Ajker Patrika

ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে বিচারকাজে পুলিশ কর্মকর্তার বিস্ময়কর মন্তব্য

ক্রীড়া ডেস্ক    
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মারা যান ডিয়েগো ম্যারাডোনা।  ছবি: সংগৃহীত
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মারা যান ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ছবি: সংগৃহীত

চার বছরেরও বেশি সময় আগে ডিয়েগো ম্যারাডোনা চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তবে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির মৃত্যুর পর থেকেই পরিবারের সদস্যেরা মনে করছেন, স্বাভাবিকভাবে হয়নি তাঁর মৃত্যু। ম্যারাডোনার মৃত্যুতে চিকিৎসাজনিত অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আর্জেন্টিনার রাজধানী শহর বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদরো আদালতে ১১ মার্চ ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়। আদালতে গতকাল চার পুলিশ কর্মকর্তা দাখিল করেছেন প্রমাণাদি। সেই চার পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে একজন লুকাস ফারিয়াস দিয়েছেন বিস্ময়কর তথ্য। আদালতে ফারিয়াস বলেন,‘সেই কক্ষে কোনো চিকিৎসার সরঞ্জাম দেখিনি। ঘরোয়া হাসপাতালের অংশ হওয়া উচিত এমন কোনো সিরাম আমি দেখিনি। ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। ডিয়েগো ম্যারাডোনার যে বিষয়টি সবার আগে নজর কেড়েছে সেটা হলো, তার মুখের অবস্থান এবং তলপেট। বিস্ফোরণ হওয়ার মতোই ফোলা মনে হচ্ছিল তলপেটটা। সেভাবে ম্যারাডোনাকে দেখে চমকে গিয়েছিলাম।’

ম্যারাডোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত আটজনের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন এক নিউরোসার্জন, এক মনোরোগবিদ, এক মনোবিজ্ঞানী, এক মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর, এক নার্স কো-অর্ডিনেটর, এক চিকিৎসক এবং রাতের বেলার এক নার্স। দিনের বেলায় ম্যারাডোনাকে যে নার্স দেখাশোনা করতেন, তাঁর বিচার আলাদাভাবে হবে। যন্ত্রণাকাতর সময়ে ম্যারাডোনাকে ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে কৌঁসুলিদের অভিযোগ। দোষী সাব্যস্ত হলে ৮ থেকে ২৫ বছরের জেল হতে পারে অভিযুক্তদের। জুলাই পর্যন্ত এই মামলা চলতে পারে।

আদালতের সামনে ভক্ত-সমর্থকেরা  ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে অভিযুক্তদের বিচার দাবি করছেন। ছবি: এপি
আদালতের সামনে ভক্ত-সমর্থকেরা ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে অভিযুক্তদের বিচার দাবি করছেন। ছবি: এপি

হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা ও ফুসফুসে তরল জমা হওয়ার কারণে ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মারা যান ম্যারাডোনা। মৃত্যুর ঠিক কয়েক সপ্তাহ আগে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তাঁর। বুয়েনস এইরেসের এক অভিজাত এলাকায় ভাড়া বাড়িতে জীবনের শেষ দিনগুলো কাটিয়েছেন তিনি। মৃত্যুর সময় আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। মেক্সিকোয় অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপেই ‘হ্যান্ড অব গড’, ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’ এই দুই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন ম্যারাডোনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত