নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এক হামজা চৌধুরীর আগমন বদল এনে দিয়েছে ভাবনায়, স্বপ্ন দেখাচ্ছে নতুন কিছুর। ৯ বারের চেষ্টায় বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে মাত্র একবার। সেটাও ৪৫ বছর আগে। ২০২৭ সালে এশিয়ান কাপের পরবর্তী আসরে খেলতে পারবে কি বাংলাদেশ? অসম্ভব কিছু নয়, তবে বাস্তবতা কঠিনই। কিন্তু স্বপ্ন তো দেখাই যায়।
এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের শুরুটা হয় ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র দিয়ে। গ্রুপের বাকি দুই দলও সিঙ্গাপুর-হংকং করেছে ড্র। তারাও খুলতে পারেনি গোলের খাতা। পয়েন্টের ব্যবধানে চার দলই এখন রয়েছে এক কাতারে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। মূলপর্বে খেলার পথ সুগম করতে হলে ঘরের মাঠে ৩ পয়েন্টের বিকল্প কিছু ভাবা উচিত নয়। হোম ম্যাচের তিনটিই বাংলাদেশ খেলবে এ বছর।
আপাতত পরিকল্পনা অবশ্য সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা প্রাথমিক দল ঘোষণা করবেন কিছুদিনের মধ্যেই। তবে ভারতের বিপক্ষে খেলানো শুরুর একাদশে যে পরিবর্তন আসবে, তা অনুমিতই। কারণ, বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার কথা কানাডাপ্রবাসী শমিত শোমের। যিনি দলে যোগ দেবেন ৪ কিংবা ৫ জুন।
গোলরক্ষক হিসেবে মিতুল মারমার জায়গা পাকাই আছে বলা যায়। তবে ভারত ম্যাচের পর প্রিমিয়ার লিগের ৭ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে ক্লিনশিট রাখতে পেরেছেন তিনি। তাই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন হোসেন। রক্ষণেও তপু বর্মণ ও তারিক কাজীর জায়গা নড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কিন্তু বসুন্ধরা কিংসে এই মৌসুমে সেভাবে নিজেদের আলোকিত করতে পারেননি তাঁরা।
ভারতের বিপক্ষে চোটে পড়ে ২২ মিনিটের বেশি খেলতে পারেননি তপু। তাঁর জায়গায় রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পড়ে রহমত মিয়ার ওপর। ব্রাদার্সের হয়ে এই মৌসুমে কিছুটা বিবর্ণই ছিলেন এই ডিফেন্ডার। তপুর বিকল্প হতে পারেন মেহেদী হাসান মিঠু। মোহামেডানকে লিগ জেতাতে দারুণ ভূমিকা রাখেন এই ডিফেন্ডার। আছে হেডে গোল করার দক্ষতাও। চলতি মৌসুমের সেরা ডিফেন্ডারের তালিকা করলে তাঁকে ওপরের দিকেই রাখতে হবে।
ভারত ম্যাচে চমক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন শাকিল আহাদ তপু। প্রিমিয়ার লিগেও মোহামেডানের হয়ে শুভ্রতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন এই রাইট ব্যাক। কাবরেরার পছন্দের জায়গায় যে তিনি থাকবেন, তা হলফ করেই বলা যায়। শৃঙ্খলাভঙ্গে নিষিদ্ধ সাদ উদ্দিন জাতীয় দলে খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। প্রিমিয়ার লিগে তাঁর পারফরম্যান্স খুব একটা খারাপ ছিল না। তিনি না খেলতে পারলে লেফট ব্যাকে তাঁর বিকল্প হতে পারেন তাঁরই ভাই তাজউদ্দিন। রাইট ব্যাক হিসেবে খেলে রহমতগঞ্জের হয়ে ৪ গোল ও ৬ অ্যাসিস্ট করেন তিনি। ইসা ফয়সালও দাবি রাখেন সেখানে খেলার।
৪-২-৩-১ ছকে হামজার সঙ্গে ডাবল পিভট হিসেবে কাবরেরা খেলিয়েছিলেন মোহাম্মদ হৃদয়কে। আবাহনীকে এবার সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেন তিনি। যদিও কোনো শিরোপা জেতাতে পারেননি। একাদশে জায়গা হারানো জামাল ভূঁইয়া হয়তো আবারও অধিনায়কের নাম ভূমিকায় থাকতে পারেন। ব্রাদার্সের হয়ে এবার ৮টি ম্যাচ খেলেন তিনি।
দুই উইংগার শাহরিয়ার ইমন ও মজিবুর রহমান জনি নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। শিলং থেকে আসার পর লিগে একটি ম্যাচেও পাননি গোলের দেখা। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তাঁদের দুজনের জায়গা অনিশ্চিত বলা যায়। তাঁর ওপর শমিতও যোগ হবেন। ভুটান ম্যাচে কোচের মন জয় করলে একাদশে দেখা যেতে পারে ফাহামিদুল ইসলামেরও। সে ক্ষেত্র কপাল পুড়তে পারে ইমনের।
ইমন-জনির চেয়ে লিগে ভালো পারফর্ম করছেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম। রাকিব হোসেন তো আছেনই। দারুণ ফর্মে থাকা এই ফরোয়ার্ড ১০ গোল করে স্থানীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা। সমান গোল করে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আল আমিনও। মাঝখানে খেই হারালেও সবশেষ দুই ম্যাচে তিন গোলের দেখা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু শিলংয়ে ১ মিনিটও খেলতে না পারা এই ফুটবলার এবার সুযোগ পাবেন তো?
এক হামজা চৌধুরীর আগমন বদল এনে দিয়েছে ভাবনায়, স্বপ্ন দেখাচ্ছে নতুন কিছুর। ৯ বারের চেষ্টায় বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে মাত্র একবার। সেটাও ৪৫ বছর আগে। ২০২৭ সালে এশিয়ান কাপের পরবর্তী আসরে খেলতে পারবে কি বাংলাদেশ? অসম্ভব কিছু নয়, তবে বাস্তবতা কঠিনই। কিন্তু স্বপ্ন তো দেখাই যায়।
এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের শুরুটা হয় ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র দিয়ে। গ্রুপের বাকি দুই দলও সিঙ্গাপুর-হংকং করেছে ড্র। তারাও খুলতে পারেনি গোলের খাতা। পয়েন্টের ব্যবধানে চার দলই এখন রয়েছে এক কাতারে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। মূলপর্বে খেলার পথ সুগম করতে হলে ঘরের মাঠে ৩ পয়েন্টের বিকল্প কিছু ভাবা উচিত নয়। হোম ম্যাচের তিনটিই বাংলাদেশ খেলবে এ বছর।
আপাতত পরিকল্পনা অবশ্য সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা প্রাথমিক দল ঘোষণা করবেন কিছুদিনের মধ্যেই। তবে ভারতের বিপক্ষে খেলানো শুরুর একাদশে যে পরিবর্তন আসবে, তা অনুমিতই। কারণ, বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার কথা কানাডাপ্রবাসী শমিত শোমের। যিনি দলে যোগ দেবেন ৪ কিংবা ৫ জুন।
গোলরক্ষক হিসেবে মিতুল মারমার জায়গা পাকাই আছে বলা যায়। তবে ভারত ম্যাচের পর প্রিমিয়ার লিগের ৭ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে ক্লিনশিট রাখতে পেরেছেন তিনি। তাই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন হোসেন। রক্ষণেও তপু বর্মণ ও তারিক কাজীর জায়গা নড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কিন্তু বসুন্ধরা কিংসে এই মৌসুমে সেভাবে নিজেদের আলোকিত করতে পারেননি তাঁরা।
ভারতের বিপক্ষে চোটে পড়ে ২২ মিনিটের বেশি খেলতে পারেননি তপু। তাঁর জায়গায় রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পড়ে রহমত মিয়ার ওপর। ব্রাদার্সের হয়ে এই মৌসুমে কিছুটা বিবর্ণই ছিলেন এই ডিফেন্ডার। তপুর বিকল্প হতে পারেন মেহেদী হাসান মিঠু। মোহামেডানকে লিগ জেতাতে দারুণ ভূমিকা রাখেন এই ডিফেন্ডার। আছে হেডে গোল করার দক্ষতাও। চলতি মৌসুমের সেরা ডিফেন্ডারের তালিকা করলে তাঁকে ওপরের দিকেই রাখতে হবে।
ভারত ম্যাচে চমক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন শাকিল আহাদ তপু। প্রিমিয়ার লিগেও মোহামেডানের হয়ে শুভ্রতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন এই রাইট ব্যাক। কাবরেরার পছন্দের জায়গায় যে তিনি থাকবেন, তা হলফ করেই বলা যায়। শৃঙ্খলাভঙ্গে নিষিদ্ধ সাদ উদ্দিন জাতীয় দলে খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। প্রিমিয়ার লিগে তাঁর পারফরম্যান্স খুব একটা খারাপ ছিল না। তিনি না খেলতে পারলে লেফট ব্যাকে তাঁর বিকল্প হতে পারেন তাঁরই ভাই তাজউদ্দিন। রাইট ব্যাক হিসেবে খেলে রহমতগঞ্জের হয়ে ৪ গোল ও ৬ অ্যাসিস্ট করেন তিনি। ইসা ফয়সালও দাবি রাখেন সেখানে খেলার।
৪-২-৩-১ ছকে হামজার সঙ্গে ডাবল পিভট হিসেবে কাবরেরা খেলিয়েছিলেন মোহাম্মদ হৃদয়কে। আবাহনীকে এবার সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেন তিনি। যদিও কোনো শিরোপা জেতাতে পারেননি। একাদশে জায়গা হারানো জামাল ভূঁইয়া হয়তো আবারও অধিনায়কের নাম ভূমিকায় থাকতে পারেন। ব্রাদার্সের হয়ে এবার ৮টি ম্যাচ খেলেন তিনি।
দুই উইংগার শাহরিয়ার ইমন ও মজিবুর রহমান জনি নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। শিলং থেকে আসার পর লিগে একটি ম্যাচেও পাননি গোলের দেখা। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তাঁদের দুজনের জায়গা অনিশ্চিত বলা যায়। তাঁর ওপর শমিতও যোগ হবেন। ভুটান ম্যাচে কোচের মন জয় করলে একাদশে দেখা যেতে পারে ফাহামিদুল ইসলামেরও। সে ক্ষেত্র কপাল পুড়তে পারে ইমনের।
ইমন-জনির চেয়ে লিগে ভালো পারফর্ম করছেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম। রাকিব হোসেন তো আছেনই। দারুণ ফর্মে থাকা এই ফরোয়ার্ড ১০ গোল করে স্থানীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা। সমান গোল করে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আল আমিনও। মাঝখানে খেই হারালেও সবশেষ দুই ম্যাচে তিন গোলের দেখা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু শিলংয়ে ১ মিনিটও খেলতে না পারা এই ফুটবলার এবার সুযোগ পাবেন তো?
বাংলাদেশের ব্যাটারদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের অভাব তো রয়েছেই। এমনকি থিতু হয়ে উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার রোগটাও বেশ পুরোনো। উইকেটে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে দেওয়ার পর ইনিংস যেখানে বড় করার কথা, উল্টো বাজে শটে উইকেট উপহার দেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
২৪ মিনিট আগেগৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট—বহু ক্লিশে এই কথাটা আবারও বলতে হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্টের ফল দেখে। হেডিংলিতে ম্যাচের বেশির ভাগ সময় দাপট দেখিয়ে ভারত শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা হেরেছে ৫ উইকেটে। এমন জয়ের পর নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য লাগছে বেন ডাকেটের কাছে।
১ ঘণ্টা আগেএবারের ক্লাব বিশ্বকাপে শুধু গোল হজম করাই যেন অকল্যান্ড সিটির একমাত্র নিয়তি। তিন ম্যাচ খেলে হজম করেছে ১৭ গোল। অথচ এত এত গোল হজম করা অকল্যান্ডের কাছেই কিনা ধরা খেল বোকা জুনিয়র্স।
২ ঘণ্টা আগেঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিতে ‘ওস্তাদ’ এনামুল হক বিজয়। কিন্তু যখন বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে নামেন, তখন তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যায় না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একের পর এক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারছেন না।
২ ঘণ্টা আগে