Ajker Patrika

স্কালোনিই কি আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা কোচ

আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৪, ১৫: ২০
স্কালোনিই কি আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা কোচ

জাদুকর বললেও যেন লিওনেল স্কালোনির জন্য তা কম হয়ে যায়। তাঁর জাদুর ছোঁয়ায় আর্জেন্টিনার হাতে শিরোপা দেখতে পাওয়া রীতিমতো এখন ডাল–ভাত। যেকোনো মেজর টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই যেন এখন আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দেওয়া যায়। 

একের পর এক শিরোপা জিততে থাকা আর্জেন্টিনাকেই একসময় ডাকা হতো ‘আর জেতে না’ নামে। আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেলবে অথচ শিরোপার ছোঁয়া পাবে না—এটা একরকম অলিখিত নিয়ম হয়ে গিয়েছিল। বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা—সব জায়গাতেই আর্জেন্টিনার ভক্ত-সমর্থকদের জন্য গল্পটা ছিল এমন হতাশার। যে লিওনেল মেসি ক্লাব পর্যায়ে একের পর এক শিরোপা জিততেন, তাঁর ক্যাবিনেট হাহাকার করত আন্তর্জাতিক ফুটবলে একটি শিরোপা জয়ের জন্য। তিনিও শিরোপার কাছে এসে চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আক্ষেপে পুড়েছেন বারবার। 

শুধু তা–ই নয়, আর্জেন্টিনা দলে কোচও পরিবর্তন হতো বারবার। আলেহান্দ্রো সাবেয়ার অধীনে ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা রানার্সআপ হওয়ার পরের চার বছরে এসেছেন তিন কোচ, যার মধ্যে জেরার্দো তাতা মার্তিনো সর্বোচ্চ দুই বছর টিকতে পেরেছিলেন (২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত)। এদগার্দো বাউজা (২০১৬ থেকে ২০১৭) এবং হোর্হে সামপাওলি (২০১৭ থেকে ২০১৮) আলবিসেলেস্তের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন এক বছর করে, যেখানে সামপাওলি ২০১৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা শেষ ১৬ থেকে বিদায় নেওয়ার পর সাম্পাওলি পদত্যাগ করেছেন। 

সাম্পাওলির যেখানে শেষ, সেখান থেকেই শুরু স্কালোনির। যদিও ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে স্কালোনি নিয়োগ পাওয়ার পর অনেক সমালোচনা হয়েছিল। কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাও স্কালোনির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই স্কালোনি ধীরে ধীরে দলকে তৈরি করেছেন। আর্জেন্টিনার ড্রেসিংরুমে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করেছেন। দুই সিনিয়র মেসি, আনহেল দি মারিয়ার সঙ্গে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, রদ্রিগো ডি পল—সবাইকে পরিবারের মতো এক সুতোয় বাঁধতে পেরেছেন স্কালোনি। প্রথম সাফল্যটা তিনি পেয়েছেন ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জিতে। মারাকানায় সেবার ব্রাজিলকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা দীর্ঘ ২৮ বছরের শিরোপাখরা কাটায়। মেসিরও সেটা আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রথম কোনো শিরোপা।

ব্রাজিলের মাঠে কোপা আমেরিকা জয়ের ধারাবাহিকতায় ২০২২ ফিনালিসিমা, ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ, ২০২৪ কোপা আমেরিকা—আরও তিনটি শিরোপা জেতে স্কালোনির আর্জেন্টিনা। সব মিলে স্কালোনি তিন বছর ব্যবধানে জিতলেন চারটি মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা। যেখানে ২০২২-এর ১৮ ডিসেম্বর কাতারের আইকনিক লুসাইলে বিশ্বকাপ জিতে আর্জেন্টিনার দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষা ফুরোয়। মায়ামির হার্ড রকে আজ কলম্বিয়াকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা তো কোপার শিরোপা ধরে রেখেছেই। পাশাপাশি উরুগুয়েকে পেছনে ফেলে ১৬তম শিরোপা জেতে কোপায় সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়ে আর্জেন্টিনা। 

কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখল আর্জেন্টিনা। ২০২৪ কোপা আমেরিকা জয়ের মাধ্যমে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ১৬ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে আকাশি-নীলরা। ছবি: এএফপিকৌশলগত দিক থেকেও স্কালোনি মাস্টারক্লাস কোচের পরিচয় দিয়েই চলেছেন। এবারের কোপা আমেরিকার কথাই চিন্তা করা যাক। শতভাগ ফিট না হওয়া মেসিকে এক ম্যাচ বিশ্রাম দিয়েছেন স্কালোনি। এমনকি সেমিফাইনালে কানাডার বিপক্ষে মেসিকে যেকোনো মূল্যে খেলানোর দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। সাহসী কোচ না হলে কয়জন কোচের পক্ষে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব! সেই মেসি টুর্নামেন্টে তাঁর প্রথম গোল পেয়ে যান সেমিতে। বদলি হিসেবে লাওতারো মার্তিনেজকে খেলিয়েছেন চার ম্যাচে। তাঁর আস্থার প্রতিদান লাওতারো দিয়েছেন দারুণভাবে। মায়ামিতে আজ ফাইনালে ১১২ মিনিটে জিওভান্নি লো সেলসোর অ্যাসিস্ট থেকে মার্তিনেজ গোল করলে সুদূর ফ্লোরিডা থেকে ঢাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। 
 
আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে শিরোপা জয়ের হিসাব করলে যৌথভাবে দুইয়ে স্কালোনি। স্কালোনির সমান চার শিরোপা জিতেছেন আলফিও বাসিলে। বাসিলে জেতেন দুটি কোপা আমেরিকা এবং একটি করে কনফেডারেশনস কাপ ও ফিনালিসিমা। কোচ হিসেবে সর্বোচ্চ ছয় শিরোপা আর্জেন্টিনাকে জেতানোর কীর্তি গুইলার্মো স্ট্যাবিলের। স্ট্যাবিলের ছয়টি শিরোপা ছিল কোপা আমেরিকাতেই। আর্জেন্টিনায় ছয় বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে স্কালোনি যখন চারটি শিরোপা জিতেছেন, স্ট্যাবিলের রেকর্ডও কত দিন অক্ষুণ্ন থাকে সেটাই এখন দেখার বিষয়। 

আরও পড়ুন-

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচ জিতে সিরিজে ফিরল নিউজিল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩০
৩ রানের জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। ছবি: এক্স
৩ রানের জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। ছবি: এক্স

ম্যাচের উত্তেজনা ছিল শেষ বল পর্যন্ত। জিততে পারতো যেকোনো দলই। এমন সমীকরণে শেষ হাসি হেসেছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল মিচেল সান্টনারের দল।

এর আগে ৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ৭ রানের জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে আগামী ৯ নভেম্বর মাঠে নামবে দুই দল।

ইডেন পার্কে নিউজিল্যান্ডের করা ২০৭ রানের জবাবে ২০৪ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ৩ ওভারে ৫২ রানের সমীকরণ ছিল সফরকারী দলের সামনে। রোভম্যান পাওয়েল ও ম্যাথু ফোর্ডের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে এই সমীকরণ প্রায় মিলিয়েই ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি তারা।

কাইল জেমিসনের করা ১৮তম ওভারে ২২ রান তোলেন পাওয়েল ও ফোর্ড। পরের ওভারে ১৪ রান দেন জ্যাকব ডাফি। শেষ ওভারে অতিথিদের করতে হতো ১৬ রান। জেমিসনের করা প্রথম বলে চার মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফোর্ড। পরের বলে রান নিতে পারেননি। ওভারস্টেপিংয়ের কারণে তৃতীয় বলটি নো হয়। সেই সঙ্গে বাউন্ডারি মারেন ফোর্ড। তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন তিনি। পরের বলে উড়িয় মারতে গিয়ে আউট হন পাওয়েল। পঞ্চম বল থেকে এক রান নেন ক্রিজে আসা আকিল হুসাইন। শেষ বলে ৫ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে খুশি করতে পারেননি ফোর্ড।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৯৩ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ধাক্কা সামলে পাওয়েল, রোমারিও শেফার্ড, ফোর্ডদের ব্যাটে আমা বেঁচে ছিল তাদের। ক্যারিবীয়দের হয়ে ১৬ বলে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন পাওয়েল। সমান বলে ৩৪ রান এনে দেন রোমারিও শেফার্ড। ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন ফোর্ড। ১৩ বল খেলেন তিনি।

ম্যাচ হারলেও একটি রেকর্ড গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ৫ ওভারে ৮৭ রান করেছে তারা। টি–টোয়েন্টিতে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশের মধ্যে রান তাড়ায় শেষ ৫ ওভারে এটা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

এর আগে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২৮ বলে ৭৮ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন মার্ক চাপম্যান। ৩৯ রান আসে টিম রবিনসনের ব্যাট থেকে। ২৮ রান করেন ড্যারেল মিচেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেসিকে মায়ামির ‘অন্য রকম’ সম্মাননা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩১
মেসির হাতে মায়ামি শহরের চাবি তুলে দেন মেয়র ফান্সিস সুয়ারেজ। ছবি: এক্স
মেসির হাতে মায়ামি শহরের চাবি তুলে দেন মেয়র ফান্সিস সুয়ারেজ। ছবি: এক্স

যোগ দেওয়ার পর থেকেই ইন্টার মায়ামির চিত্র বদলে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। তারকা ফরোয়ার্ডকে পেয়ে ব্র্যান্ড ভেল্যু বেড়ে গেছে ফ্লোরিডার ক্লাবটির। বিজ্ঞাপনে আসছে একের পর এক চমক। যাঁর জন্য এত প্রাপ্তি সেই মেসিকে বরাবরই মাথার মুকুট করে রাখার চেষ্টা করেছে মায়ামি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার অন্য রকম এক সম্মাননা পেলেন মেসি।

মায়ামিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আমেরিকা বিজনেস ফোরাম। সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন মেসি। অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের হাতে মায়ামি শহরের প্রতীকী চাবি তুলে দেন মেয়র ফান্সিস সুয়ারেজ।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মেসি বলেন, ‘এই সম্মাননা দেওয়ায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। এই শহরে আমরা অনেক ভালোবাসা পাচ্ছি। এখানে থাকতে পেরে আমি খুবই খুশি। এই স্বীকৃতি আমার জন্য সম্মানের। আবারও সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

অসংখ্য প্রাপ্তির ভীড়ে কেবল একটি বিশ্বকাপ জেতা বাকি ছিল মেসির। সে অপূর্ণতা প্রাপ্তিতে রূপ নিয়েছে ২০২২ বিশ্বকাপে। তাই ক্যারিয়ার থেকে আর কিছু চাওয়া সেই তাঁর, ‘আমার মনে হয় একজন ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার চেয়ে আর বড় কিছু হতে পারে না। তাই এটা জিতে গেলে আর কিছু চাওয়ার থাকে না।’

মেসির হাতে চাবি তুলে দেওয়ার পর মায়ামি শহরের মেয়র বলেন, ‘এই শহর, দেশ ও বিশ্ব ফুটবলের জন্য আপনি (মেসি) যা করেছেন, সেসবের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আপনাকে এই চাবি দেওয়ার ইচ্ছা ছিল আমার। সবকিছু জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

পিএসজি অধ্যায় শেষে ২০২৩ সালে মায়ামিতে নাম লেখান মেসি। নতুন চুক্তিতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই ক্লাবটিতে থাকবেন তিনি। মেসির হাত ধরেই নিজেদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা (লিগস কাপ) জেতে মায়ামি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘ক্রিকেটে রাজনীতি পছন্দ করি না’ ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আকরাম

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান সংকট সমাধানের জন্য আইসিসির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ওয়াসিম আকরাম। ছবি: এক্স
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান সংকট সমাধানের জন্য আইসিসির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ওয়াসিম আকরাম। ছবি: এক্স

ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটেও। তাতে দুই দেশের মাঠের লড়াই থেকে বঞ্চিত হওয়ার পথে ভক্তরা। বিষয়টি নিয়ে নাখোশ পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম। সাফ জানিয়ে দিলেন, ক্রিকেটে রাজনীতি পছন্দ করেন না তিনি।

উইজডেন ক্রিকেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আকরাম বলেন, ‘আমি দুঃখিত। ক্রিকেটে রাজনীতি আমার পছন্দ না। এক কথায় বলতে গেলে, খেলাধুলাকে সব সময়ই রাজনীতি মুক্ত রাখা উচিত। যেকোনো লিগেই সব দেশের ক্রিকেটারদের নেওয়া উচিত।’

রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে প্রথম আসরের পর থেকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা খেলতে পারেন না। বিষয়টি নিয়ে অতীতেও কথা বলেছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। সবশেষ পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলতে না পারা নিয়ে কথা বললেন আকরাম। সাবেক তারকা পেসারের কাছে এটা বাড়াবাড়িই মনে হচ্ছে।

আকরাম বলেন, ‘ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব সমাধানে আইসিসিকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে। সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। ফ্র্যাঞ্চাইজি বা টুর্নামেন্ট কার মালিকানায় তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসল কথা হলো, সব দেশের খেলোয়াড়দেরই সুযোগ দেওয়া উচিত।’

ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই তিক্ত। সবশেষ এশিয়া কাপে বেশকিছু ইস্যুতে সে তিক্ততা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। এর শুরুটা হয়েছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে সূর্যকুমার যাদবদের হাত না মেলানো দিয়ে। শেষটা হয়েছে পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির হাত থেকে ভারতীয় দল ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানানোয়। এই কাণ্ডে টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার এক মাসের বেশি সময় পরও ট্রফি বুঝে পায়নি ভারত।

সব মিলিয়ে পিসিবি ও বিসিসিআইয়ের মধ্যে সম্পর্ক এখন চরমে। রাজনৈতিক টানাপোড়েন লম্বা সময় ধরে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলে না পাকিস্তান ও ভারত। এশিয়া কাপ ইস্যুতে সামনের দিনগুলোতে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টেও দুই দলের খেলা শঙ্কায় পড়ে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আর্জেন্টিনার ২০২৬ বিশ্বকাপ জার্সির দাম কত, কোথায় পাওয়া যাবে

ক্রীড়া ডেস্ক    
প্রকাশ্যে এল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জার্সি। ছবি: এক্স
প্রকাশ্যে এল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জার্সি। ছবি: এক্স

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আর্জেন্টিনাকে নিয়ে এমনিতেই ভক্তদের মাতামাতির শেষ নেই। ২০২৬ বিশ্বকাপেও ফেবারিট হিসেবেই খেলতে যাবে লিওনেল মেসির দল। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের জন্য লা আলবিসেলেস্তেদের জার্সি। তাতে ভক্তদের উন্মাদনা বেড়ে গেল দ্বিগুণ।

২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা। আগামী ১১ জুন বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। তার সাত মাস আগেই ২২টি দেশের জার্সি উন্মোচন করেছে ক্রীড়া সরঞ্জামাদি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। যেখানে আছে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার জার্সি।

২০২২ সালের আগে ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। অনুমিতভাবেই ল্যাটিন আমেরিকানদের বিশ্বকাপ জার্সিতে আছে তিন তারকার উপস্থিতি। তিন তারকা করা হয়েছে সোনালী রঙে।

ঐতিহ্যকে ধারণ করতে বরাবরই মতো এবারও আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রাধান্য পেয়েছে সাদা ও আকাশি নীল। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) প্রতিষ্ঠা সালকে ইঙ্গিত করে জার্সির ঘাড়ের পেছনে খোদাই করে ‘১৮৯৩’ সাল লেখা হয়েছে। ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের প্রতীক হিসেবে বুকে সোনালি প্যাঁচ রাখা হয়েছে।

অ্যাডিডাস জানিয়েছে, আপাতত চুক্তিবদ্ধ থাকা দেশগুলোর জার্সি প্রকাশ করেছে তারা। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচনে উপস্থিত ছিলেন দলটির অধিনায়ক এবং ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের একজন মেসি। তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জার্সি পাওয়া যাবে অ্যাডিডাসের ওয়েবসাইট ও নির্দিষ্ট কিছু দোকানে। এই জার্সি কিনতে খরচ করতে হবে ১০০ থেকে ১৮০ ডলার। অর্থাৎ ১২ থেকে ২২ হাজার টাকার মতো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত