আজকের পত্রিকা ডেস্ক
এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবলের পাঁচ ভেন্যুর দুটিতে মুন্সিগঞ্জ ও গাজীপুরে হয়েছে প্রথম দিনের প্রথম দুটি ম্যাচ। কিন্তু দুই মাঠের অবস্থা এমন, যা দেখে প্রশ্নটি আপনাআপনি ঠোঁটে চলে আসে—এমন মাঠে কি খেলা যায়?
প্রথম ম্যাচে গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে খেলেছে মোহামেডান ও ঢাকা ওয়ান্ডারার্স। দুই দলের ফুটবলারদের অনেকেই মাঠে পা রেখে অবাক। কারও মনে জেঁকে বসে চোটে পড়ার ভয়। কেউ আবার হেসে কূল পাননি। ওয়ার্মআপের সময় ক্লাব কর্তাদের কয়েকজনকে মাঠ নিয়ে সমালোচনায় মাততে দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়ান্ডারার্সের একজন সিনিয়র ফুটবলার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবল কোন পথে, সেটা মাঠ দেখলে বোঝা যায়। বছরের পর বছর এমন মাঠেই যদি ফুটবল খেলতে হয়, উন্নতির আশা করা কঠিন।’
১৯৯৫ সালে নির্মিত শহীদ বরকত স্টেডিয়াম এত দিনেও পায়নি পরিপূর্ণতা। শুরুতে এটির নাম ছিল গাজীপুর জেলা স্টেডিয়াম। পরে ভাষাশহীদ আবুল বরকতের নামে এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্টেডিয়ামটিতে মূলত বাংলাদেশের জাতীয় দিবসগুলোতে কুচকাওয়াজ কর্মসূচি, কনসার্ট এবং জেলার বিভিন্ন ক্রীড়া আয়োজন বিশেষ করে ক্রিকেট, ফুটবল ও খেলোয়াড় বাছাইয়ের কাজ হয়। সেটি এবার ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার টুর্নামেন্টের অন্যতম ভেন্যু। নির্মাণের পর স্টেডিয়ামটির সংস্কারে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তারপরও মাঠের এমন রুক্ষ অবস্থা যে চোটে পড়ায় ভয় নিয়ে খেলতে হয় ফুটবলারদের।
ম্যাচের আগে যতটা পারা যায় খানাখন্দ মেরামত করা হয়েছে। এ বিষয়ে কথা হয় গাজীপুর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাউন্সিলর হান্নান মিয়ার সঙ্গে। মাঠের নাজুক অবস্থায় তিনি হতাশ হয়ে বলেন, ‘১৫-১৬ বছর ধরে খেলা হয় না। বাফুফের কেউ খোঁজও রাখে না। আমরা নিজেরা যতটুকু পারি মাঝেমধ্যে পরিচর্যা করি। কিছুদিন আগেও এ মাঠে গোলপোস্ট ছিল না। প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের আগে গোলপোস্ট লাগানো হয়েছে। কী বলব, স্কোরবোর্ডও নেই।’
দিনের আরেক ম্যাচে মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে খেলেছে ব্রাদার্স-পুলিশ এফসি। ১৯৭৪ সালে নির্মিত প্রায় ৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার মাঠটি দিনে দিনে চাকচিক্য হারিয়েছে। এবারের আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে এই মাঠে প্রিমিয়ার লিগের কিছু ম্যাচ হয়েছিল। তখন এতটা বাজে অবস্থা দেখা যায়নি। এবার এটি ব্রাদার্সের হোম ভেন্যু। কিন্তু গতকাল এখানে খেলে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে ব্রাদার্স ও পুলিশ এফসির খেলোয়াড়দের। মাঠের কোনো অংশে অল্প ঘাস, আবার কোনো অংশ ধূসর।
প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দিনের খেলার জয়-পরাজয় ছাপিয়ে আলোচনায় গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়াম এবং মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামের মাঠ। মাঠের এই বিবর্ণতায় ঘরোয়া ফুটবলের প্রতিচ্ছবি দেখছেন দেশের ফুটবলবোদ্ধারা।
এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবলের পাঁচ ভেন্যুর দুটিতে মুন্সিগঞ্জ ও গাজীপুরে হয়েছে প্রথম দিনের প্রথম দুটি ম্যাচ। কিন্তু দুই মাঠের অবস্থা এমন, যা দেখে প্রশ্নটি আপনাআপনি ঠোঁটে চলে আসে—এমন মাঠে কি খেলা যায়?
প্রথম ম্যাচে গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে খেলেছে মোহামেডান ও ঢাকা ওয়ান্ডারার্স। দুই দলের ফুটবলারদের অনেকেই মাঠে পা রেখে অবাক। কারও মনে জেঁকে বসে চোটে পড়ার ভয়। কেউ আবার হেসে কূল পাননি। ওয়ার্মআপের সময় ক্লাব কর্তাদের কয়েকজনকে মাঠ নিয়ে সমালোচনায় মাততে দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়ান্ডারার্সের একজন সিনিয়র ফুটবলার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবল কোন পথে, সেটা মাঠ দেখলে বোঝা যায়। বছরের পর বছর এমন মাঠেই যদি ফুটবল খেলতে হয়, উন্নতির আশা করা কঠিন।’
১৯৯৫ সালে নির্মিত শহীদ বরকত স্টেডিয়াম এত দিনেও পায়নি পরিপূর্ণতা। শুরুতে এটির নাম ছিল গাজীপুর জেলা স্টেডিয়াম। পরে ভাষাশহীদ আবুল বরকতের নামে এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্টেডিয়ামটিতে মূলত বাংলাদেশের জাতীয় দিবসগুলোতে কুচকাওয়াজ কর্মসূচি, কনসার্ট এবং জেলার বিভিন্ন ক্রীড়া আয়োজন বিশেষ করে ক্রিকেট, ফুটবল ও খেলোয়াড় বাছাইয়ের কাজ হয়। সেটি এবার ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার টুর্নামেন্টের অন্যতম ভেন্যু। নির্মাণের পর স্টেডিয়ামটির সংস্কারে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তারপরও মাঠের এমন রুক্ষ অবস্থা যে চোটে পড়ায় ভয় নিয়ে খেলতে হয় ফুটবলারদের।
ম্যাচের আগে যতটা পারা যায় খানাখন্দ মেরামত করা হয়েছে। এ বিষয়ে কথা হয় গাজীপুর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাউন্সিলর হান্নান মিয়ার সঙ্গে। মাঠের নাজুক অবস্থায় তিনি হতাশ হয়ে বলেন, ‘১৫-১৬ বছর ধরে খেলা হয় না। বাফুফের কেউ খোঁজও রাখে না। আমরা নিজেরা যতটুকু পারি মাঝেমধ্যে পরিচর্যা করি। কিছুদিন আগেও এ মাঠে গোলপোস্ট ছিল না। প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের আগে গোলপোস্ট লাগানো হয়েছে। কী বলব, স্কোরবোর্ডও নেই।’
দিনের আরেক ম্যাচে মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে খেলেছে ব্রাদার্স-পুলিশ এফসি। ১৯৭৪ সালে নির্মিত প্রায় ৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার মাঠটি দিনে দিনে চাকচিক্য হারিয়েছে। এবারের আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে এই মাঠে প্রিমিয়ার লিগের কিছু ম্যাচ হয়েছিল। তখন এতটা বাজে অবস্থা দেখা যায়নি। এবার এটি ব্রাদার্সের হোম ভেন্যু। কিন্তু গতকাল এখানে খেলে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে ব্রাদার্স ও পুলিশ এফসির খেলোয়াড়দের। মাঠের কোনো অংশে অল্প ঘাস, আবার কোনো অংশ ধূসর।
প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দিনের খেলার জয়-পরাজয় ছাপিয়ে আলোচনায় গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়াম এবং মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামের মাঠ। মাঠের এই বিবর্ণতায় ঘরোয়া ফুটবলের প্রতিচ্ছবি দেখছেন দেশের ফুটবলবোদ্ধারা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে অলিখিত সেমিফাইনালটা লিটন দাসকে দেখতে হয়েছে ডাগ আউটে বসে। দুবাইয়ে তাওহীদ হৃদয়, পারভেজ হোসেন ইমন, জাকের আলী অনিকদের একের পর এক আত্মাহুতি দেখে লিটনের মুখটা বেশ ফ্যাকাশে দেখিয়েছে। ওয়াসিম আকরামের মতে লিটন থাকলে ম্যাচের ফল অন্য কিছু হতেও পারত।
৪ মিনিট আগেজিতলেই ফাইনাল—দুবাইয়ে গত রাতে সুপার ফোরের বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটা ছিল এমনই। অলিখিত সেমিফাইনালে প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশের ফাইনাল খেলা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান কখন যে পাশার দান উল্টে দেবে, সেটা বোঝা মুশকিল।
৩৭ মিনিট আগেদুবাইয়ে গত রাতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচে ছিল না কোনো জটিল সমীকরণের খেলা। অলিখিত সেমিফাইনালের বাধা যে টপকতে পারবে, সেই দল কাটবে ফাইনালের টিকিট। বাংলাদেশ সেখানে নিজেদের হাতে থাকা ম্যাচ ফস্কেছে বলে মনে করেন ওয়াসিম আকরাম।
১ ঘণ্টা আগেজয়ের জন্য ১৩৬ রানের লক্ষ্যটা কি খুব বড় ছিল? মোটেও না। কিন্তু মাঝারি মানের এই লক্ষ্যতাড়ায় শুরু থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা যে অস্থিরতা দেখালেন, স্ট্যাম্পের বাইরের বল চেজ করে খেলতে গিয়ে আত্মাহুতি দিলেন নিজেদের, তাতে ম্যাচটি যাঁরা দেখেছেন তাঁদের উপলব্ধি এটাই—এই দলের শেখার এখনো অনেক বাকি!
১১ ঘণ্টা আগে