আহমেদ রিয়াদ, হায়দরাবাদ থেকে
এই সময়ের একটি আদর্শ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কেমন হতে পারে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচ দেখলেই উত্তর পাওয়া যাবে। ভারতের মারদাঙ্গা টি-টোয়েন্টির বিপরীতে বাংলাদেশ খেলছে ‘ভিনগ্রহে’র ক্রিকেট—যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেট টি-টোয়েন্টিতে একেবারেই অচল! এই মানের টি-টোয়েন্টি খেলে যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে। এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজে হেরে বসা বাংলাদেশ হায়দরাবাদে এসেছে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা এড়াতে।
ঘরের মাঠে স্পিন-সহায়ক, মন্থর পিচে লো স্কোরিং ম্যাচ খেলার অভ্যাস বাংলাদেশের ব্যাটারদের। এই অভ্যাস নিয়ে যখন আন্তর্জাতিক ব্যাটিং-সহায়ক পিচে খেলতে হয়, তখন খাবি খেতে থাকেন শান্তরা। তবে শুধু উইকেটকে দায়ী করলেই কি শেষ? দুই মাস আগে দেশের মাঠে দারুণ প্রস্তুতি নিয়েই তো পাকিস্তানে তাঁরা ভালো করেছিলেন। কিন্তু ভারতে তাঁদের হলোটা কী?
বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম মনে করেন, ভারত সফরে বাংলাদেশের টেস্ট, টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যর্থতার পেছনে ঘাটতি ছিল মানসিক দৃঢ়তায়, প্রস্তুতিতে নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানে ভালো ক্রিকেট খেলেছি। কারণ, আমরা পিছিয়ে পড়েও পাকিস্তানের বিপক্ষে দাপট দেখানোর পথটা পেয়ে গিয়েছিলাম। ভারতে সেই পথটার কাছেও যেতে পারছি না। আমরা আমাদের দুর্বলতা নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছি তাদের সামনে। এটার স্কিলের ঘাটতি না, এটা মানসিক ঘাটতি।’ ফাহিম আরও যোগ করলেন, ‘ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য না থাকায় তারা দ্রুত উইকেট হারায়, এসব ম্যাচে এটা এক বড় সমস্যা।’
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ভারত সফরে বাংলাদেশের ধারাবাহিক ব্যর্থতার পেছনে খেলোয়াড়দের মানসিকতা ও পরিকল্পনার ঘাটতি সামনে এনেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা প্রাথমিকভাবে উইকেটে সেট হওয়ার পরও নিয়মিতভাবে একই ভুল করে আউট হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা বা ভারতের মতো দলগুলো যে ধরনের কৌশল ব্যবহার করে, সেসব থেকে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা শিক্ষা নিতে পারেনি।’
আশরাফুল সামনে এনেছেন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ‘আমাদের দলে এখন যারা ক্রিকেট খেলছে, তারা এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিজেকে তৈরি করতে পারেনি। তবু তারা খেলছে, সুযোগ পাচ্ছে। তাদের শটের রেঞ্জ কম। যেমন পারভেজ হোসেন ইমন দুই বছর পর সুযোগ পেল। কিন্তু সে তার শটের রেঞ্জে উন্নতি করতে পারেনি। মিরাজ-লিটনও নিজেদের মেরিট অনুযায়ী খেলছে না।’
এই সিরিজে ধারাভাষ্যকর হিসেবে কাজ করে তামিম ইকবাল খুব কাছ থেকেই দেখলেন দলের বাজে পারফরম্যান্স। আগামী ডিসেম্বরে বিপিএল দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার কথা তাঁর। তামিম যারপরনাই হতাশ শান্তদের পারফরম্যান্সে। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তাঁর বিশ্লেষণ, ‘বাংলাদেশ যতটা খারাপ ক্রিকেট খেলছে, ততটা খারাপ দল নয়। নিজেদের ক্রিকেটীয় চরিত্রের বাইরে গিয়ে ক্রিকেট খেলছে। প্রতিটি দলের ফরমেট ভেদে তাদের ক্রিকেটের আলাদা আলাদা চরিত্র থাকে। সেখানে বাংলাদেশের চরিত্র কোনটি বা কেমন হওয়া উচিত, সেটি আগে বেছে নিয়ে এগোতে হবে। এই চরিত্রগুলো দাঁড় করাতে যদি কিছু সংস্কার (উইকেট ও ম্যান ম্যানেজমেন্টে) দরকার হয়, তাহলে তা দ্রুত করা উচিত, যেন পরে ক্রিকেটাররা এসব নিয়ে আর অভিযোগ দিতে না পারে।’
এই সময়ের একটি আদর্শ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কেমন হতে পারে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচ দেখলেই উত্তর পাওয়া যাবে। ভারতের মারদাঙ্গা টি-টোয়েন্টির বিপরীতে বাংলাদেশ খেলছে ‘ভিনগ্রহে’র ক্রিকেট—যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেট টি-টোয়েন্টিতে একেবারেই অচল! এই মানের টি-টোয়েন্টি খেলে যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে। এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজে হেরে বসা বাংলাদেশ হায়দরাবাদে এসেছে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা এড়াতে।
ঘরের মাঠে স্পিন-সহায়ক, মন্থর পিচে লো স্কোরিং ম্যাচ খেলার অভ্যাস বাংলাদেশের ব্যাটারদের। এই অভ্যাস নিয়ে যখন আন্তর্জাতিক ব্যাটিং-সহায়ক পিচে খেলতে হয়, তখন খাবি খেতে থাকেন শান্তরা। তবে শুধু উইকেটকে দায়ী করলেই কি শেষ? দুই মাস আগে দেশের মাঠে দারুণ প্রস্তুতি নিয়েই তো পাকিস্তানে তাঁরা ভালো করেছিলেন। কিন্তু ভারতে তাঁদের হলোটা কী?
বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম মনে করেন, ভারত সফরে বাংলাদেশের টেস্ট, টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যর্থতার পেছনে ঘাটতি ছিল মানসিক দৃঢ়তায়, প্রস্তুতিতে নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানে ভালো ক্রিকেট খেলেছি। কারণ, আমরা পিছিয়ে পড়েও পাকিস্তানের বিপক্ষে দাপট দেখানোর পথটা পেয়ে গিয়েছিলাম। ভারতে সেই পথটার কাছেও যেতে পারছি না। আমরা আমাদের দুর্বলতা নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছি তাদের সামনে। এটার স্কিলের ঘাটতি না, এটা মানসিক ঘাটতি।’ ফাহিম আরও যোগ করলেন, ‘ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য না থাকায় তারা দ্রুত উইকেট হারায়, এসব ম্যাচে এটা এক বড় সমস্যা।’
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ভারত সফরে বাংলাদেশের ধারাবাহিক ব্যর্থতার পেছনে খেলোয়াড়দের মানসিকতা ও পরিকল্পনার ঘাটতি সামনে এনেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা প্রাথমিকভাবে উইকেটে সেট হওয়ার পরও নিয়মিতভাবে একই ভুল করে আউট হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা বা ভারতের মতো দলগুলো যে ধরনের কৌশল ব্যবহার করে, সেসব থেকে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা শিক্ষা নিতে পারেনি।’
আশরাফুল সামনে এনেছেন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ‘আমাদের দলে এখন যারা ক্রিকেট খেলছে, তারা এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিজেকে তৈরি করতে পারেনি। তবু তারা খেলছে, সুযোগ পাচ্ছে। তাদের শটের রেঞ্জ কম। যেমন পারভেজ হোসেন ইমন দুই বছর পর সুযোগ পেল। কিন্তু সে তার শটের রেঞ্জে উন্নতি করতে পারেনি। মিরাজ-লিটনও নিজেদের মেরিট অনুযায়ী খেলছে না।’
এই সিরিজে ধারাভাষ্যকর হিসেবে কাজ করে তামিম ইকবাল খুব কাছ থেকেই দেখলেন দলের বাজে পারফরম্যান্স। আগামী ডিসেম্বরে বিপিএল দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার কথা তাঁর। তামিম যারপরনাই হতাশ শান্তদের পারফরম্যান্সে। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তাঁর বিশ্লেষণ, ‘বাংলাদেশ যতটা খারাপ ক্রিকেট খেলছে, ততটা খারাপ দল নয়। নিজেদের ক্রিকেটীয় চরিত্রের বাইরে গিয়ে ক্রিকেট খেলছে। প্রতিটি দলের ফরমেট ভেদে তাদের ক্রিকেটের আলাদা আলাদা চরিত্র থাকে। সেখানে বাংলাদেশের চরিত্র কোনটি বা কেমন হওয়া উচিত, সেটি আগে বেছে নিয়ে এগোতে হবে। এই চরিত্রগুলো দাঁড় করাতে যদি কিছু সংস্কার (উইকেট ও ম্যান ম্যানেজমেন্টে) দরকার হয়, তাহলে তা দ্রুত করা উচিত, যেন পরে ক্রিকেটাররা এসব নিয়ে আর অভিযোগ দিতে না পারে।’
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
১২ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১৪ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১৪ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১৫ ঘণ্টা আগে