Ajker Patrika

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করেই ছাড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫: ১৮
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। ছবি: ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। ছবি: ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা বাংলাদেশ কাটিয়েছে স্বপ্নের মতো। লিটন দাসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে। সেন্ট ভিনসেন্টে আজ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজকে ৮০ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশের কাজটাও সারল।

টি-টোয়েন্টিতে এর আগে ইংল্যান্ড, আফগানিস্তানকে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। তবে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ এই দুই সিরিজ জিতেছে ঘরের মাঠে। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে কঠিন কাজটা করল বাংলাদেশ। ছন্দে থাকা বাংলাদেশকে নিয়ে ধারাভাষ্যকক্ষে ইয়ান বিশপের কণ্ঠে শুধুই প্রশংসা, ‘বাংলাদেশ দুর্দান্ত, সিম্পলি সুপার্ব! এই বাংলাদেশকে এখন শুধু প্রশংসাই করতে হবে।’ সেন্ট ভিনসেন্টে সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টির উইকেট ব্যাটিংবান্ধব না হলেও আজ তৃতীয় ম্যাচের উইকেটটা একটু ভিন্ন। সিরিজজুড়ে দুর্দান্ত বাংলাদেশ ফ্ল্যাট পিচেও দেখিয়েছে কীভাবে সঠিক লাইন-লেংথে বোলিং করতে হয়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাইয়ের অনেক নায়ক রয়েছে বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান। দ্বিতীয় ম্যাচের নায়ক শামীম হোসেন পাটোয়ারী। আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজকে বেধড়ক পিটিয়েছেন জাকের আলী অনিক। তাঁর ৪১ বলে ৭২ রানের বিধ্বংসী ইনিংসেই বাংলাদেশ করেছে ১৮৯ রান। বাকি কাজটুকু এরপর সফরকারীরা সেরেছে বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে। ওবেদ ম্যাকয়কে বোল্ড করে উইন্ডিজের ইনিংসের ইতি টানেন তাসকিন আহমেদ।

১৯০ রানের লক্ষ্যে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ব্র্যান্ডন কিংকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তাসকিন। টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচেই তাসকিন পেয়েছেন কিংয়ের উইকেট। পরের ওভারে মেহেদী এসেই দিয়েছেন ধাক্কা। এক অঙ্কের স্কোর (৬) করে দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে জাস্টিন গ্রিভস ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন।

৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ এরপর পাল্টা আক্রমণ করে বাংলাদেশের ওপর। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তানজিম হাসান সাকিব দিয়েছেন ১৪ রান। তৃতীয় উইকেটে চার্লস ও পুরানের জুটি যখন ভয়ংকর হতে থাকে, তখন স্পিড ব্রেকার হিসেবে কাজ করেন মেহেদী। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে পুরানকে অসাধারণ এক বোলিংয়ে বোল্ড করেন মেহেদী। পুরান করেন ১০ বলে ১৫ রান।

পাওয়ার প্লে (প্রথম ৬ ওভার) ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ করে ৩ উইকেটে ৪৫ রানে। সপ্তম ওভারে উইন্ডিজ হারায় আরও ২ উইকেট। দ্বিতীয় বলে রস্টন চেজকে ফিরিয়েছেন হাসান মাহমুদ। মিড অফে মেহেদী ঠিকমতো ক্যাচ ধরেছেন কি না, সেটা যাচাই করে দেখতে সময় নিয়েছেন আম্পায়াররা। পরে দেখা যায়, মেহেদী পর্যাপ্ত সময় বল হাতে রেখে উদযাপন করে বল ছুড়েছেন।

১৮ বলে ২৩ রান করা চার্লস এরপর হয়েছেন রানআউট। সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রভমান পাওয়েল মিড উইকেটে ঠেলে দৌড় দিয়েছেন। তবে নন স্ট্রাইক প্রান্তে আয়েশি ভঙ্গিতে যেতে থাকেন চার্লস। মিড উইকেট থেকে সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে দেন রিশাদ হোসেন। এই রিশাদ এরপর ফিরিয়েছেন পাওয়েলকে। ১২ বলে ২ রান করেন উইন্ডিজ অধিনায়ক।

একের পর এক উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ৯.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৬০ রান। সপ্তম উইকেটে গুড়াকেশ মোতি ও রোমারিও শেফার্ড ২৬ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন।১৫তম ওভারের প্রথম বলে মোতিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রিশাদ। এখান থেকেই উইন্ডিজের শেষের শুরু। ১৪ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬.৪ ওভারে ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৮ বলে ২৩ রান করা চার্লস উইন্ডিজের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন ও মেহেদী। তানজিম সাকিব ও হাসান পেয়েছেন একটি করে উইকেট।

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন জাকের। ৪১ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ইনিংসের শেষ ওভারে আলজারি জোসেফকে তিন ছক্কা মেরেছেন জাকের। যার মধ্যে শেষটা আর্নস ভেল স্টেডিয়ামের বাইরে আছড়ে পড়েছে। এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক লিটন অবশেষে ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক (১৪)। একাদশে ফিরে পারভেজ হোসেন ইমন ২১ বলে ৩৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন।

টি-টোয়েন্টি সিরিজে ম্যান অব দ্য সিরিজ মেহেদী। সিরিজে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নিয়েছেন ৪.১৮ ইকোনমিতে। ব্যাটিংয়ে করেছেন ৩৭ রান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ফিফটি করে ক্যারিয়ার সেরা র‍্যাঙ্কিংয়ে তামিম

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৭ তম স্থানে উঠে এসেছেন তামিম। ছবি: বিসিবি
১৭ তম স্থানে উঠে এসেছেন তামিম। ছবি: বিসিবি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। দল বাজেভাবে সিরিজ হারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে নজর কেড়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। সেটার ফল পেলেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

বিস্তারিত আসছে......

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হেরেই চলেছে নিউজিল্যান্ড, উড়ছে উইন্ডিজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
নিউজিল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছবি: ক্রিকইনফো
নিউজিল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছবি: ক্রিকইনফো

টি-টোয়েন্টিতে জয় ‘সোনার হরিণ’ হয়ে উঠেছে নিউজিল্যান্ডের কাছে। জুলাইয়ে হারারেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩ রানে জয়ের পর কিউইরা তিনটি করে টি-টোয়েন্টি খেলেছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তবে এই ৬ টি-টোয়েন্টিতে নেই কোনো জয়। আজ অকল্যান্ডে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও কিউইরা কাটাতে পারল না জয়খরা।

নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখা না পেলেও ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে উড়ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নেপালের কাছে দুই টি-টোয়েন্টি হারের পর এই সংস্করণে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতেছে উইন্ডিজ। যার মধ্যে রয়েছে সবশেষ বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই। সেই ধারাবাহিকতায় অকল্যান্ডে আজ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে উইন্ডিজ। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ক্যারিবীয়রা।

১৬৫ রানের লক্ষ্যে নেমে ৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান করে নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ডেভন কনওয়েকে (১৩) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ম্যাথু ফোর্ড। দারুণ শুরুর পরই খেই হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকেরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা নিউজিল্যান্ডের স্কোর এক পর্যায়ে হয়ে যায় ১৬.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৭ রান। যেখানে নিশাম ২ রানে জীবন পেয়ে আউট হয়েছেন ১১ রানে।

নিউজিল্যান্ডের হার যখন সময়ের ব্যাপার মাত্র, তখন প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মিচেল স্যান্টনার ও জ্যাকব ডাফি। জয়ের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেই গিয়েছিল কিউইরা। কিন্তু শেষ দুই বলে যখন ১২ রানের সমীকরণের সামনে স্বাগতিকেরা, তখন স্যান্টনার ডট দিলে সেই আশাটুকু শেষ হয়ে যায়। ইনিংসের শেষ বলে কিউই অধিনায়ক চার মারলেও সেটা শুধু হারের ব্যবধান কমাতে পেরেছে। দশম উইকেটে স্যান্টনার-ডাফি গড়েন ২০ বলে ৫০ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৭ রানে আটকে যায় কিউইরা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন স্যান্টনার। ২৮ বলের ইনিংসে ৮ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেইডেন সিলস ৪ ওভারে ৩২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

টস জিতে আজ ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। আগে ব্যাটিং পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর এক পর্যায়ে ছিল ৭ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৩ রান। এখান থেকেই রান তোলার গতি বাড়াতে থাকে উইন্ডিজ। চতুর্থ উইকেটে ৩৩ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন রস্টন চেজ ও শাই হোপ। শেষ ৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫১ রান যোগ করায় উইন্ডিজ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে করেছে ১৬৪ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন অধিনায়ক হোপ। ৩৯ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৪ চার ও ৩ ছক্কা।

ছয় নম্বরে নামা রভমান পাওয়েলের ৩৩ রানের ইনিংসটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৬০ পেরোতে সহায়তা করেছে। ২৩ বলের ইনিংসে দুটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন। এই ইনিংস খেলার পথে ১, ২৩ ও ৩০ রানে জীবন পেয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের জাকারি ফুকস ও জ্যাকব ডাফি নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। যাঁর মধ্যে ডাফি ৪ ওভারে খরচ করেন ১৯ রান। সবশেষ ৭ টি-টোয়েন্টির মধ্যে চারটিতেই হেরেছে কিউইরা। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে তিন টি-টোয়েন্টি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে সহজেই হারিয়ে সমতায় আফগানরা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩৯
১০২ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে সফরকারী দল। ছবি: বিসিবি
১০২ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে সফরকারী দল। ছবি: বিসিবি

সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সামনে। কিন্তু তৃতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ন্যূনতম লড়াই করতে পারেনি আজিজুল হাকিম তামিমের দল। তাঁদের ১০২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল আফগান যুবারা।

এর আগে ৫ রানের জয়ে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টির কবল পড়ে দ্বিতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। চতুর্থ ওয়ানডেতে আগামী ৭ নভেম্বর মাঠে নামবে দুই দল।

রাজশাহীর কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে ৩৭.২ ওভারে ১৭৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলীয় ৪৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন রিফাত বেগ, জাওয়াদ আবরার ও তামিম। শুরুর ধাক্কা সামলে আর সফরকারীদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি স্বাগতিকরা।

বাংলাদেশের মান বাঁচিয়েছেন কালাম সিদ্দিকী ও রিজান হোসেন। এই দুজনের ফিফটিতে ১৫০ রানের কোটা পার করতে পেরেছে স্বাগতিকরা। চতুর্থ উইকেটে ৯৩ রান যোগ করেন তাঁরা। ৫০ বলে ৫২ রান করে ফেরেন রিজান। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে প্যাভিলিয়নের পথ ধরার আগে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন কালাম। ২৫ রান আসে জাওয়াদের ব্যাট থেকে। বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেওয়ার পথে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন জাইতুল্লাহ শাহিন ও ওয়াহিদুল্লাহ জাদরান। ৪০ রানে ৪ উইকেট নেন শাহিন। ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জাদরান। ২ ব্যাটারকে ফেরান উজাইরউল্লাহ নিয়াজাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাকিমির গুরুতর চোট, চিন্তিত পিএসজি কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ১৯
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মাঠ ছাড়েন তারকা ডিফেন্ডার। ছবি: এক্স
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মাঠ ছাড়েন তারকা ডিফেন্ডার। ছবি: এক্স

চ্যাম্পিয়নস লিগে মঙ্গলবার রাতটা খুবই দুর্বিষহ ছিল পিএসজির জন্য। তাঁদের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেস থেকে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যাচ হারার পাশাপাশি আরও দুঃসংবাদ পেয়েছে ফ্রান্সের রাজধানী পাড়ার ক্লাবটি। চোট পেয়েছেন দলটির দুই তারকা ফুটবলার উসমান দেম্বেলে ও আশরাফ হাকিমি।

ম্যাচের ২৫ মিনিটে পায়ে অস্বস্তি অনুভব করায় মাঠ ছাড়েন দেম্বেলে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে আরও একটি ধাক্কা খায় পিএসজি। লুইস দিয়াসের ফাউলের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন হাকিমি। বাইসাইকেল কিক নেওয়ার সময় মাঝমাঠে এগিয়ে স্বাগতিকদের এই রাইট ব্যাকের পায়ে আঘাত করেন দিয়াস। ব্যথায় কাতরাতে শুরু করেন মরক্কোন ফুটবলার।

ব্যথার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, কেঁদেই দেন হাকিমি। দ্রুত মেডিকেল টিমের সদস্যরা মাঠে হাজির হন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে, শেষ পর্যন্ত মেডিকেল স্টাফদের সহায়তায় মাঠ ছাড়েন হাকিমি। তাঁকে ফাউল করায় প্রথমে দিয়াসকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। পরবর্তীতে বিষয়টি আরও ভালোভাবে দেখার জন্য ভিএআরের সাহায্য নেন ম্যাচ পরিচালক। ঘটনার বিস্তারিত দেখার পর দিয়াসকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।

হাকিমিকে কতদিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। তবে ব্যথার তীব্রতা বলছে, বড় ধরনের চোটই পেয়েছেন হাকিমি। এভাবে ফাউল করায় দিয়াসের সমালোচনা করেছেন পিএসজির কোচ লুইস এনরিকে। হাকিমির চোট যে খুবই গুরুতর সেটাই বোঝা গেল তাঁর কথায়।

হাকিমির চোট প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে এনরিকে বলেন, ‘রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। চিকিৎসকরা একদিন পর হাকিমির চোট নিয়ে আমাদের জানাবেন। এটা লজ্জাজনক। খেলোয়াড়দের জন্য এটা কঠিন। জামাল মুসিয়ালার ইনজুরির কথা আমার মনে আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত