রানা আব্বাস, পুনে থেকে
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) স্টেডিয়ামে অনুশীলনের উইকেট পর্যন্ত অসাধারণ—স্বয়ং বাংলাদেশ কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের মূল্যায়ন। পুনের এই মাঠের উইকেট মানেই রানের উৎসব। বল এত সুন্দর ব্যাটে আসে, লিটন দাসের মতো স্ট্রোক-প্লে খেলা ওপেনারদের ম্যাচের আগেই নিশ্চিত চোখ চকচক করেছে।
টস জিতে অনুমিতভাবেই বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং নিয়েছে গতকাল। লিটন-তানজিদ তামিমের কী দারুণ একটা শুরু। ছয়ের ওপর রানরেটে দুজনের ওপেনিং জুটি এনে দিল বিশ্বকাপে ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে মেহরাব হোসেন ও শাহরিয়ার হোসেন গড়েছিলেন ৬৯ রানের জুটি। ২৪ বছর পর সেটি ছাড়িয়ে লিটন-তামিম গড়লেন ৯৩ রানের জুটি।
এমন ভালো শুরুর পর ৩০০ রানের স্কোর গড়ার স্বপ্নই তো দেখে একটা দল। বিশ্বকাপে নিজেদের সবশেষ তিন ম্যাচে ভালো শুরু না হওয়ায় চিন্তা শুধু বাড়ছিল বাংলাদেশের। গতকাল ভালো শুরুর পরও পুরোনো রোগ থেকে মুক্তি মেলেনি। এবার ধসটা নামল মিডল অর্ডারে। তামিম ফিরে যাওয়ার পর পরের চার ব্যাটার ফিরে গেলেন ৮৬ রানের মধ্যে। ইনিংসের মাঝপথে বাংলাদেশের রানের গতি শুরুর মতো আর মসৃণ থাকেনি। দুই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ চেষ্টা করেছেন আরেকটি লম্বা জুটি গড়তে। বড় জুটি আর গড়া হয়নি।
৩৮ রানে মুশফিক ফিরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের স্কোর ২৫০ পেরিয়েছে ‘বুড়ো’ মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ে ভর করে। তাঁর ৩৬ বলে ৪৬ রান কোনোভাবে মান বাঁচিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের। কালকের মিডল অর্ডারের ধসের মাঝে তিনি যেভাবে লড়েছেন, তাতে মাহমুদউল্লাহকে দশে আটই দিতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ দল কেন ‘এ প্লাস’ পাওয়ার ব্যাটিং করতে পারল না? এটাই কি তাহলে ভালো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যাটিং সামর্থ্য? এই ৩০০+ স্কোরের যুগে বাংলাদেশ এখনো ‘২৫০ রানের দল’ই হয়ে রইল?
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত প্রশ্ন তুলেছেন সতীর্থ ব্যাটারদের দায়িত্বজ্ঞান নিয়েই, ‘না, এর আগেও আমরা বড় বড় স্কোর করেছি। আমার মনে হয়, আমরা ওই দায়িত্ব নিচ্ছি না। বলব যে তারা সেট হচ্ছে, এই লিটন বা তামিমের মতো কারও ১২০-১৩০ রানের ইনিংস আসত, তাহলে হয়তো ইনিংসের মাঝ ওভারে মুশি ভাই, হৃদয়ের জন্য কাজটা সহজ হতো।’
আর জুনিয়র তামিম দাবি করলেন, তাঁদের দায়িত্বজ্ঞান ঠিক আছে, ‘দায়িত্ববোধ নেই, তা নয়। কিছু ভুল করছি। না হলে ৩০-৪০ রান বেশি করতাম। সামনে চেষ্টা থাকবে এই ভুল আর না করার।’
দেশের মাঠে শক্তিশালী দলগুলোকে হারাতে বাংলাদেশ সাধারণ মিরপুরের মন্থর, ঘূর্ণি উইকেটকে বেছে নেয়। দেশের দুর্বল ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেটের মান সব সময়ই প্রশ্নবিদ্ধ। ভারতীয় ব্যাটাররা যেখানে আইপিএল কিংবা তাঁদের দেশে হাই স্কোরিং উইকেটে নিয়মিত খেলেন স্ট্রোক-প্লে, পাওয়ার হিটিংয়ে সিদ্ধহস্ত হয়ে ওঠেন, বাংলাদেশের ব্যাটারদের সেখানে ভালো উইকেটে বাউন্ডারি মারতে হয় অনেক চেষ্টাচরিত্র করে। পুনেতে গত দুই দিনের অনুশীলনে এই ছবি নিয়মিত দেখা গেছে। ভারতীয় বোলাররা জানেন, ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে সফল হওয়ার সূত্র টাইট লাইন-লেংথে বোলিং করা। বাংলাদেশের ব্যাটারদের দুর্বলতা বুঝে বুমরা-সিরাজরা হিট দ্য ডেকে পাঁজর-বুক বরাবার বল তুলে বারবার অস্বস্তিতে ফেলেছেন। স্পিনাররা টানা স্টাম্পে বোলিং করে গেছেন। তাতেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ হাঁসফাঁস করেছে।
ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতার ছবি বদলাতে দেশের ক্রিকেট কাঠামো আর সংস্কৃতির পরিবর্তনের দাবি পুরোনো হলেও বিসিবি তাতে কর্ণপাত করে সামান্যই। বড় টুর্নামেন্টে তাই বাংলাদেশ দলও আটকে থাকে মাঝারি স্কোরের বৃত্তে। শান্ত জানালেন, স্কিলের সমস্যা নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটের এই সংস্কৃতির কারণে তাদের মানসিকতা সেভাবে গড়ে উঠছে।
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) স্টেডিয়ামে অনুশীলনের উইকেট পর্যন্ত অসাধারণ—স্বয়ং বাংলাদেশ কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের মূল্যায়ন। পুনের এই মাঠের উইকেট মানেই রানের উৎসব। বল এত সুন্দর ব্যাটে আসে, লিটন দাসের মতো স্ট্রোক-প্লে খেলা ওপেনারদের ম্যাচের আগেই নিশ্চিত চোখ চকচক করেছে।
টস জিতে অনুমিতভাবেই বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং নিয়েছে গতকাল। লিটন-তানজিদ তামিমের কী দারুণ একটা শুরু। ছয়ের ওপর রানরেটে দুজনের ওপেনিং জুটি এনে দিল বিশ্বকাপে ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে মেহরাব হোসেন ও শাহরিয়ার হোসেন গড়েছিলেন ৬৯ রানের জুটি। ২৪ বছর পর সেটি ছাড়িয়ে লিটন-তামিম গড়লেন ৯৩ রানের জুটি।
এমন ভালো শুরুর পর ৩০০ রানের স্কোর গড়ার স্বপ্নই তো দেখে একটা দল। বিশ্বকাপে নিজেদের সবশেষ তিন ম্যাচে ভালো শুরু না হওয়ায় চিন্তা শুধু বাড়ছিল বাংলাদেশের। গতকাল ভালো শুরুর পরও পুরোনো রোগ থেকে মুক্তি মেলেনি। এবার ধসটা নামল মিডল অর্ডারে। তামিম ফিরে যাওয়ার পর পরের চার ব্যাটার ফিরে গেলেন ৮৬ রানের মধ্যে। ইনিংসের মাঝপথে বাংলাদেশের রানের গতি শুরুর মতো আর মসৃণ থাকেনি। দুই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ চেষ্টা করেছেন আরেকটি লম্বা জুটি গড়তে। বড় জুটি আর গড়া হয়নি।
৩৮ রানে মুশফিক ফিরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের স্কোর ২৫০ পেরিয়েছে ‘বুড়ো’ মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ে ভর করে। তাঁর ৩৬ বলে ৪৬ রান কোনোভাবে মান বাঁচিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের। কালকের মিডল অর্ডারের ধসের মাঝে তিনি যেভাবে লড়েছেন, তাতে মাহমুদউল্লাহকে দশে আটই দিতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ দল কেন ‘এ প্লাস’ পাওয়ার ব্যাটিং করতে পারল না? এটাই কি তাহলে ভালো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যাটিং সামর্থ্য? এই ৩০০+ স্কোরের যুগে বাংলাদেশ এখনো ‘২৫০ রানের দল’ই হয়ে রইল?
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত প্রশ্ন তুলেছেন সতীর্থ ব্যাটারদের দায়িত্বজ্ঞান নিয়েই, ‘না, এর আগেও আমরা বড় বড় স্কোর করেছি। আমার মনে হয়, আমরা ওই দায়িত্ব নিচ্ছি না। বলব যে তারা সেট হচ্ছে, এই লিটন বা তামিমের মতো কারও ১২০-১৩০ রানের ইনিংস আসত, তাহলে হয়তো ইনিংসের মাঝ ওভারে মুশি ভাই, হৃদয়ের জন্য কাজটা সহজ হতো।’
আর জুনিয়র তামিম দাবি করলেন, তাঁদের দায়িত্বজ্ঞান ঠিক আছে, ‘দায়িত্ববোধ নেই, তা নয়। কিছু ভুল করছি। না হলে ৩০-৪০ রান বেশি করতাম। সামনে চেষ্টা থাকবে এই ভুল আর না করার।’
দেশের মাঠে শক্তিশালী দলগুলোকে হারাতে বাংলাদেশ সাধারণ মিরপুরের মন্থর, ঘূর্ণি উইকেটকে বেছে নেয়। দেশের দুর্বল ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেটের মান সব সময়ই প্রশ্নবিদ্ধ। ভারতীয় ব্যাটাররা যেখানে আইপিএল কিংবা তাঁদের দেশে হাই স্কোরিং উইকেটে নিয়মিত খেলেন স্ট্রোক-প্লে, পাওয়ার হিটিংয়ে সিদ্ধহস্ত হয়ে ওঠেন, বাংলাদেশের ব্যাটারদের সেখানে ভালো উইকেটে বাউন্ডারি মারতে হয় অনেক চেষ্টাচরিত্র করে। পুনেতে গত দুই দিনের অনুশীলনে এই ছবি নিয়মিত দেখা গেছে। ভারতীয় বোলাররা জানেন, ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে সফল হওয়ার সূত্র টাইট লাইন-লেংথে বোলিং করা। বাংলাদেশের ব্যাটারদের দুর্বলতা বুঝে বুমরা-সিরাজরা হিট দ্য ডেকে পাঁজর-বুক বরাবার বল তুলে বারবার অস্বস্তিতে ফেলেছেন। স্পিনাররা টানা স্টাম্পে বোলিং করে গেছেন। তাতেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ হাঁসফাঁস করেছে।
ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতার ছবি বদলাতে দেশের ক্রিকেট কাঠামো আর সংস্কৃতির পরিবর্তনের দাবি পুরোনো হলেও বিসিবি তাতে কর্ণপাত করে সামান্যই। বড় টুর্নামেন্টে তাই বাংলাদেশ দলও আটকে থাকে মাঝারি স্কোরের বৃত্তে। শান্ত জানালেন, স্কিলের সমস্যা নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটের এই সংস্কৃতির কারণে তাদের মানসিকতা সেভাবে গড়ে উঠছে।
নেপাল সফরের জন্য গত পরশু শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। সে জন্য ২৪ জনের দলও সাজিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। কিন্তু মাঠের অনুশীলন এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। এর মধ্যে নতুন খবর, ক্যাম্পের জন্য আপাতত নিজেদের খেলোয়াড়দের ছাড়ছে না বসুন্ধরা কিংস। আজ এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি বাফুফেকে জানিয়েছে তারা।
৪ ঘণ্টা আগেলিওনেল মেসির সঙ্গে ধারেকাছে কেউ এলেই হতো। দেহরক্ষী ইয়াসিন চেউকো দ্রুত তাঁকে ধরে ফেলেন। বিমানের চেয়ে যেন ক্ষিপ্রগতিতে ছুটতে পারেন চেউকো। তাঁর কারণে তাই ভক্ত-সমর্থকেরা সেলফি তোলা তো দূরে থাক, অটোগ্রাফ পর্যন্ত নিতে পারেন না।
৪ ঘণ্টা আগেভুটানের ক্লাব রয়্যাল থিম্পু কলেজ ফুটবল ক্লাবে (আরটিসি) খেলবেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। একই ক্লাবের হয়ে খেলতে আজ তাঁর সঙ্গে ভুটানে গিয়েছেন স্বপ্না রানী। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রাথমিক পর্বে ‘ডি’ গ্রুপে খেলবে আরটিসি। মূলত এই টুর্নামেন্টের জন্য আফঈদা-স্বপ্নাকে নিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেলিওনেল মেসি তাঁর ক্যারিয়ারে কত শিরোপা জিতেছেন, সেটা তিনি যে নিজেও গুণে শেষ করতে পারবেন না। বার্সেলোনা, প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি), আর্জেন্টিনা—যে দলের হয়েই খেলেছেন, জিতেছেন শিরোপা। পরম আরাধ্য বিশ্বকাপ জিতেছেন ২০২২ সালে। একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন বলে ‘রেকর্ডের বরপুত্র’ উপাধিও পেয়েছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে