নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তিন মাসে তিনটি সিরিজ জয়। সেই সাফল্যের পিঠে চড়ে সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই স্বপ্নের শুরুতেই কিনা ধাক্কা খায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে। এরপর কোনোমতে সুপার টুয়েলভে উঠলেও শুরুর সেই ‘কুফা’ থেকে বেরোতে পারেনি মাহমুদউল্লাহর দল। বিশ্বকাপে ভরাডুবিই হয়েছে বাংলাদেশের। শূন্য হাতেই এর মধ্যে দেশে ফিরেছেন বেশির ভাগ ক্রিকেটারও।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে এসেই চমক দেখিয়ে সুপার টুয়েলভে ওঠা নামিবিয়া পর্যন্ত জয়ের দেখা পেয়েছে। সেখানে মাহমুদউল্লাহরা হেরেছেন পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই। বাংলাদেশ দলের চূড়ান্ত ব্যর্থতা নিয়ে তাই সমালোচনা হচ্ছে সবখানে। ওয়াসিম আকরাম থেকে মার্ক ওয়াহর মতো কিংবদন্তিরা পর্যন্ত সরব হয়েছেন এ নিয়ে। তাতে যেন ‘ঘুম ভেঙেছে’ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।
দল দেশে ফেরার দিন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আরেক নির্বাচক আবদুর রাজ্জাকসহ বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তাকে নিয়ে বৈঠক করেছেন ক্ষুব্ধ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যেই আলোচনায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ব্যর্থতা থেকে উত্তরণে করণীয় দিকগুলো প্রাধান্য পেয়েছে। বৈঠকে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরও ‘অটো চয়েস’ হয়ে থাকা বেশ কিছু ক্রিকেটারের কপাললিখনও নাকি লেখা হয়ে যায়। সঙ্গে ভারত, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কার আদলে দলের সঙ্গে ‘টিম ডিরেক্টর’ হিসেবে একজনকে যুক্ত করার সিদ্ধান্তও হয়েছে। আর সেই দায়িত্ব উঠেছে বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের কাঁধে।
পরের বছর আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেটি আবার অস্ট্রেলিয়ার মতো কঠিন কন্ডিশনে। এই বিশ্বকাপের বাজে অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী বিশ্বকাপের পরিকল্পনা সাজাতে এখনই কাজ শুরু করতে চায় বিসিবি। আর সেটি শুরু হচ্ছে পাকিস্তান সিরিজ দিয়েই।
নিয়মিত সুযোগ পাওয়ার পরও টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের মেলে ধরতে পারছেন না লিটন দাস, সৌম্য সরকাররা। এ বছর ১৭টি টি-টোয়েন্টি খেলে লিটন ১৩ গড়ে সাকল্য রান করেছেন ২০৮। আরেক টপ অর্ডার ব্যাটার সৌম্য সরকারও ব্যর্থ এই সংস্করণে। বিশ্বকাপেও দুজন ছিলেন ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির দল থেকে তাই বাদ পড়তে পারেন লিটন-সৌম্য। তাঁদের জায়গায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও মিডল অর্ডার ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়কে বাজিয়ে দেখা হতে পারে। পাকিস্তান সিরিজে যুক্ত হতে পারেন রোনো আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার।
এমন ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। গতকাল মিরপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিক একটা স্কোয়াড করেছি। এই স্কোয়াডে আমরা কিছু খেলোয়াড়কে ডেকেছি। আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যে মূল স্কোয়াড আমরা তৈরি করে ফেলব।’
বিশ্বকাপে দলের সার্বিক পারফরম্যান্স নিয়েও বিশ্লেষণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নান্নু। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খুব বাজে পারফরম্যান্স হয়েছে, সেগুলো সব বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কোচের সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে, সবকিছু জেনে ঠিক করণীয়টা করা হবে।’
আগে একাধিকবার টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সুজন। এবার প্রায় একই দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে বসানো হচ্ছে ‘টিম ডিরেক্টর’ পদে। এখন থেকে জাতীয় দলের ক্রিকেটার নির্বাচন থেকে লক্ষ্য-পরিকল্পনা নির্ধারণ, গেম প্ল্যানিংয়েও সম্পৃক্ত থাকবেন সুজন।
দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনার পরিবর্তে আপাতত ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’র চিন্তাই বেশি করছে বিসিবি।
তিন মাসে তিনটি সিরিজ জয়। সেই সাফল্যের পিঠে চড়ে সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই স্বপ্নের শুরুতেই কিনা ধাক্কা খায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে। এরপর কোনোমতে সুপার টুয়েলভে উঠলেও শুরুর সেই ‘কুফা’ থেকে বেরোতে পারেনি মাহমুদউল্লাহর দল। বিশ্বকাপে ভরাডুবিই হয়েছে বাংলাদেশের। শূন্য হাতেই এর মধ্যে দেশে ফিরেছেন বেশির ভাগ ক্রিকেটারও।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে এসেই চমক দেখিয়ে সুপার টুয়েলভে ওঠা নামিবিয়া পর্যন্ত জয়ের দেখা পেয়েছে। সেখানে মাহমুদউল্লাহরা হেরেছেন পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই। বাংলাদেশ দলের চূড়ান্ত ব্যর্থতা নিয়ে তাই সমালোচনা হচ্ছে সবখানে। ওয়াসিম আকরাম থেকে মার্ক ওয়াহর মতো কিংবদন্তিরা পর্যন্ত সরব হয়েছেন এ নিয়ে। তাতে যেন ‘ঘুম ভেঙেছে’ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।
দল দেশে ফেরার দিন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আরেক নির্বাচক আবদুর রাজ্জাকসহ বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তাকে নিয়ে বৈঠক করেছেন ক্ষুব্ধ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যেই আলোচনায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ব্যর্থতা থেকে উত্তরণে করণীয় দিকগুলো প্রাধান্য পেয়েছে। বৈঠকে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরও ‘অটো চয়েস’ হয়ে থাকা বেশ কিছু ক্রিকেটারের কপাললিখনও নাকি লেখা হয়ে যায়। সঙ্গে ভারত, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কার আদলে দলের সঙ্গে ‘টিম ডিরেক্টর’ হিসেবে একজনকে যুক্ত করার সিদ্ধান্তও হয়েছে। আর সেই দায়িত্ব উঠেছে বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের কাঁধে।
পরের বছর আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেটি আবার অস্ট্রেলিয়ার মতো কঠিন কন্ডিশনে। এই বিশ্বকাপের বাজে অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী বিশ্বকাপের পরিকল্পনা সাজাতে এখনই কাজ শুরু করতে চায় বিসিবি। আর সেটি শুরু হচ্ছে পাকিস্তান সিরিজ দিয়েই।
নিয়মিত সুযোগ পাওয়ার পরও টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের মেলে ধরতে পারছেন না লিটন দাস, সৌম্য সরকাররা। এ বছর ১৭টি টি-টোয়েন্টি খেলে লিটন ১৩ গড়ে সাকল্য রান করেছেন ২০৮। আরেক টপ অর্ডার ব্যাটার সৌম্য সরকারও ব্যর্থ এই সংস্করণে। বিশ্বকাপেও দুজন ছিলেন ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির দল থেকে তাই বাদ পড়তে পারেন লিটন-সৌম্য। তাঁদের জায়গায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও মিডল অর্ডার ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়কে বাজিয়ে দেখা হতে পারে। পাকিস্তান সিরিজে যুক্ত হতে পারেন রোনো আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার।
এমন ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। গতকাল মিরপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিক একটা স্কোয়াড করেছি। এই স্কোয়াডে আমরা কিছু খেলোয়াড়কে ডেকেছি। আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যে মূল স্কোয়াড আমরা তৈরি করে ফেলব।’
বিশ্বকাপে দলের সার্বিক পারফরম্যান্স নিয়েও বিশ্লেষণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নান্নু। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খুব বাজে পারফরম্যান্স হয়েছে, সেগুলো সব বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কোচের সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে, সবকিছু জেনে ঠিক করণীয়টা করা হবে।’
আগে একাধিকবার টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সুজন। এবার প্রায় একই দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে বসানো হচ্ছে ‘টিম ডিরেক্টর’ পদে। এখন থেকে জাতীয় দলের ক্রিকেটার নির্বাচন থেকে লক্ষ্য-পরিকল্পনা নির্ধারণ, গেম প্ল্যানিংয়েও সম্পৃক্ত থাকবেন সুজন।
দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনার পরিবর্তে আপাতত ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’র চিন্তাই বেশি করছে বিসিবি।
আঙুলের ইশারায় সুনীল গাভাস্কার বোঝাচ্ছিলেন ‘ডিগবাজি দাও’। কারণ প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর এভাবেই উদ্যাপন করেন ঋষভ পন্ত। গাভাস্কারও বেশ উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন তখন। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও এল উদ্যাপনের সুযোগ। কিন্তু গাভাস্কারের অনুরোধ রাখেননি পন্ত। ডান হাতের আঙুল উল্টো ঘুরিয়ে চোখের কাছে এনে...
৩ ঘণ্টা আগেগল টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। পরশু কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এর আগে ধাক্কা খেয়েছে স্বাগতিকেরা। পিঠের বাঁ পাশে চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন পেসার মিলান রত্নায়েকে। গলে খেলার সময় ব্যথা পান তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেতাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিকের কথা বললে বাংলাদেশের নামই উঠে আসবে সবার প্রথমে। ২০১৫ সালে বিদায় নেওয়ার পর কোচিংয়ের চেয়ে তিনি বেশি জড়িত ছিলেন পারিবারিক ব্যবসায়। সেই ডাচ কোচ লুডভিক ডি ক্রুইফ আবার আলোচনায় দেশের ফুটবলে।
৯ ঘণ্টা আগেজিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে হার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার—সব মিলিয়ে বাজে সময় পার করা বাংলাদেশ দলের জন্য কদিন আগে শেষ হওয়া গল টেস্টটা আসলেই বিশেষ কিছু। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটেও এসেছে সেঞ্চুরি।
৯ ঘণ্টা আগে