বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনার সেমিফাইনালে ওঠা মানেই যেন নিশ্চিত ফাইনালের টিকিট। ১৯৩০ থেকে ২০২২-৯২ বছরের ইতিহাসে আর্জেন্টিনা যতবারই সেমিফাইনাল খেলেছে, প্রতিবারই সেই বাধা তারা টপকে গেছে। কখনো ডিয়েগো ম্যারাডোনা, কখনো সার্জিও গয়কোচিয়া, কখনো লিওনেল মেসি, এমিলিয়ানো মার্তিনেজদের কাঁধে চড়ে আকাশি-নীলরা গেছে স্বপ্নের ফাইনালে।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আর্জেন্টিনার সেমিফাইনাল পেরিয়ে ফাইনালে যাওয়ার ম্যাচগুলো:
১। ১৯৩০ বিশ্বকাপ: আর্জেন্টিনা ৬-যুক্তরাষ্ট্র ১; আয়োজক: উরুগুয়ে
প্রথম বিশ্বকাপেই আর্জেন্টিনা খেলে সেমিফাইনালে।
উরুগুয়েতে আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপে ১৩ দল ভাগ হয়ে খেলেছিল ৪ গ্রুপে। চার গ্রুপের সেরা দল খেলেছিল সেমিফাইনালে। শেষ চারে যুক্তরাষ্ট্রকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেয় আর্জেন্টিনা।
২। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ: আর্জেন্টিনা ২-বেলজিয়াম ০; আয়োজক: মেক্সিকো
কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পর সেমিতে বেলজিয়ামের বিপক্ষেও এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। ইংল্যান্ড ম্যাচের মতো বেলজিয়ামের বিপক্ষেও জোড়া গোল করেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। অ্যাজটেক স্টেডিয়ামে ৫১ ও ৬৩ মিনিটে তৎকালীন আর্জেন্টাইন অধিনায়কের গোলে আর্জেন্টিনা ওঠে ফাইনালে।
৩। ১৯৯০ বিশ্বকাপ: আর্জেন্টিনা ১-ইতালি ১ (টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জয়ী আর্জেন্টিনা) ; আয়োজক: ইতালি
স্বাগতিক ইতালির বিপক্ষে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। নেপলসে ১৭ মিনিটে সালভাতোর শিলাচির গোলে এগিয়ে যায় ইতালি। আর্জেন্টিনাকে ৬৭ মিনিটে সমতায় ফেরান ক্লদিও ক্যানিজিয়া। খেলা পেনাল্টি শ্যুটআউটে গড়ালে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক সার্জিও গয়কোচিয়া ঠেকান দুই শট, যা মূলত ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়।
৪। ২০১৪ বিশ্বকাপ: আর্জেন্টিনা ০-নেদারল্যান্ডস ০ (টাইব্রেকে ৪-২ গোলে জয়ী আর্জেন্টিনা) ; আয়োজক: ব্রাজিল
দীর্ঘ দুই যুগ পর আরেকটি সেমিফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। অ্যারেনা করিন্থিয়ানসে ১২০ মিনিটে গোল করতে পারেনি আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস কোনো দলই। খেলা টাইব্রেকে গেলে ডাচদের সামনে চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো। পঞ্চমবারের মতো স্বপ্নের ফাইনালে ওঠে আকাশী-নীলরা।
৫। ২০২২ বিশ্বকাপ: আর্জেন্টিনা ৩-ক্রোয়েশিয়া ০; আয়োজক: কাতার
৮ বছর পর সেমিফাইনালে আরেক ইউরোপীয় দলের মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। লুসাইলে এবার আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। লিওনেল মেসি ও হুলিয়ান আলভারেজের নৈপুণ্যে ষষ্ঠবারের মতো ফাইনালে ওঠে আকাশী-নীলরা। তাতে রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রতিশোধও নিয়ে নেয় আর্জেন্টিনা। গত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া।
১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতলেও সেবারের ফরম্যাটে ছিল না সেমিফাইনাল। দ্বিতীয় রাউন্ডের সেরা দুই দল খেলে ফাইনালে।
কাতার বিশ্বকাপের আগে পাঁচবার ফাইনাল খেলে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দুইবার। ১৯৭৮ সালে নেদারল্যান্ডস এবং ১৯৮৬ বিশ্বকাপে জার্মানিকে হারিয়ে শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। আর রানার্সআপ হয়েছে তিন বিশ্বকাপে। ১৯৩০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা হেরেছিল উরুগুয়ের কাছে। ১৯৯০ ও ২০১৪-এই দুই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়েছিল জার্মানি। ২০১৪ এর পর এবার কাতারে সেই আক্ষেপ মেসি এবার ঘোচাতে পারবেন কি না তা জানা যাবে ১৮ ডিসেম্বর। লুসাইলে আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ মরক্কো বা ফ্রান্স।
বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনার সেমিফাইনালে ওঠা মানেই যেন নিশ্চিত ফাইনালের টিকিট। ১৯৩০ থেকে ২০২২-৯২ বছরের ইতিহাসে আর্জেন্টিনা যতবারই সেমিফাইনাল খেলেছে, প্রতিবারই সেই বাধা তারা টপকে গেছে। কখনো ডিয়েগো ম্যারাডোনা, কখনো সার্জিও গয়কোচিয়া, কখনো লিওনেল মেসি, এমিলিয়ানো মার্তিনেজদের কাঁধে চড়ে আকাশি-নীলরা গেছে স্বপ্নের ফাইনালে।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আর্জেন্টিনার সেমিফাইনাল পেরিয়ে ফাইনালে যাওয়ার ম্যাচগুলো:
১। ১৯৩০ বিশ্বকাপ: আর্জেন্টিনা ৬-যুক্তরাষ্ট্র ১; আয়োজক: উরুগুয়ে
প্রথম বিশ্বকাপেই আর্জেন্টিনা খেলে সেমিফাইনালে।
উরুগুয়েতে আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপে ১৩ দল ভাগ হয়ে খেলেছিল ৪ গ্রুপে। চার গ্রুপের সেরা দল খেলেছিল সেমিফাইনালে। শেষ চারে যুক্তরাষ্ট্রকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেয় আর্জেন্টিনা।
২। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ: আর্জেন্টিনা ২-বেলজিয়াম ০; আয়োজক: মেক্সিকো
কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পর সেমিতে বেলজিয়ামের বিপক্ষেও এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। ইংল্যান্ড ম্যাচের মতো বেলজিয়ামের বিপক্ষেও জোড়া গোল করেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। অ্যাজটেক স্টেডিয়ামে ৫১ ও ৬৩ মিনিটে তৎকালীন আর্জেন্টাইন অধিনায়কের গোলে আর্জেন্টিনা ওঠে ফাইনালে।
৩। ১৯৯০ বিশ্বকাপ: আর্জেন্টিনা ১-ইতালি ১ (টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জয়ী আর্জেন্টিনা) ; আয়োজক: ইতালি
স্বাগতিক ইতালির বিপক্ষে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। নেপলসে ১৭ মিনিটে সালভাতোর শিলাচির গোলে এগিয়ে যায় ইতালি। আর্জেন্টিনাকে ৬৭ মিনিটে সমতায় ফেরান ক্লদিও ক্যানিজিয়া। খেলা পেনাল্টি শ্যুটআউটে গড়ালে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক সার্জিও গয়কোচিয়া ঠেকান দুই শট, যা মূলত ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়।
৪। ২০১৪ বিশ্বকাপ: আর্জেন্টিনা ০-নেদারল্যান্ডস ০ (টাইব্রেকে ৪-২ গোলে জয়ী আর্জেন্টিনা) ; আয়োজক: ব্রাজিল
দীর্ঘ দুই যুগ পর আরেকটি সেমিফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। অ্যারেনা করিন্থিয়ানসে ১২০ মিনিটে গোল করতে পারেনি আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস কোনো দলই। খেলা টাইব্রেকে গেলে ডাচদের সামনে চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো। পঞ্চমবারের মতো স্বপ্নের ফাইনালে ওঠে আকাশী-নীলরা।
৫। ২০২২ বিশ্বকাপ: আর্জেন্টিনা ৩-ক্রোয়েশিয়া ০; আয়োজক: কাতার
৮ বছর পর সেমিফাইনালে আরেক ইউরোপীয় দলের মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। লুসাইলে এবার আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। লিওনেল মেসি ও হুলিয়ান আলভারেজের নৈপুণ্যে ষষ্ঠবারের মতো ফাইনালে ওঠে আকাশী-নীলরা। তাতে রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রতিশোধও নিয়ে নেয় আর্জেন্টিনা। গত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া।
১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতলেও সেবারের ফরম্যাটে ছিল না সেমিফাইনাল। দ্বিতীয় রাউন্ডের সেরা দুই দল খেলে ফাইনালে।
কাতার বিশ্বকাপের আগে পাঁচবার ফাইনাল খেলে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দুইবার। ১৯৭৮ সালে নেদারল্যান্ডস এবং ১৯৮৬ বিশ্বকাপে জার্মানিকে হারিয়ে শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। আর রানার্সআপ হয়েছে তিন বিশ্বকাপে। ১৯৩০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা হেরেছিল উরুগুয়ের কাছে। ১৯৯০ ও ২০১৪-এই দুই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়েছিল জার্মানি। ২০১৪ এর পর এবার কাতারে সেই আক্ষেপ মেসি এবার ঘোচাতে পারবেন কি না তা জানা যাবে ১৮ ডিসেম্বর। লুসাইলে আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ মরক্কো বা ফ্রান্স।
নতুন মৌসুম সামনে রেখে ব্রাজিলিয়ান কোচ সের্গিও ফারিয়াস নিয়োগ দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। আগামীকাল কাতারের দোহায় এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রাথমিক পর্বে সিরিয়ার ক্লাব আল কারামাহর মুখোমুখি হবে তারা। কাতারে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ফারিয়াসের। উল্টো ইরাকের ক্লাব দুহোকের স্পোর্টসের কোচ হয়েছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে২০২৬ বিশ্বকাপের স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করেছে ফিফা। আগ্রহী ব্যক্তিরা আজ শুরু করে দিতে পারেন আবেদনপ্রক্রিয়া।
৬ ঘণ্টা আগেযে দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সবশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) বিতর্কিত করেছে, তার একটি চিটাগং কিংস। কিছুদিন আগে চিটাগংকে পাওনা ৪৬ কোটি টাকা চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বিসিবি। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির স্বত্বাধিকারী সামির কাদের চৌধুরী মনে করেন, বিপিএলকে তাঁরা বিতর্কিত করেননি, করেছে খোদ বিসিবি!
৭ ঘণ্টা আগেফিফার সবশেষ প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে বড় চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ২৪ ধাপ উন্নতি করে উঠে এসেছে ১০৪ নম্বরে। আর কোনো দলই এতটা বড় লাফ দিতে পারেনি। উন্নতির এই ধারা বজায় রাখতে চান কোচ পিটার বাটলার। বাংলাদেশকে সেরা ১০০ দলের ভেতর রাখতে কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগে