Ajker Patrika

মোস্তাফিজের ‘চতুর্থ’ ফেরাই সেরা

লাইছ ত্বোহা, ঢাকা
মোস্তাফিজের ‘চতুর্থ’ ফেরাই সেরা

সময় ভালো যাচ্ছিল না মোস্তাফিজুর রহমানের। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের সেরা অস্ত্র তকমা দেওয়া হলেও অনেক ম্যাচ হয়ে গেল, মোস্তাফিজ ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফর এবং এশিয়া কাপে খরুচে পেসার ছিলেন তিনি। তবুও টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা ছিল তাঁর ওপর।

বিশ্বকাপের আগে ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। ১২ ইকোনমি রেটে ছিলেন উইকেটশূন্য। হতশ্রী পারফরম্যান্সে সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোয় তাঁকে আর খেলানোই হয়নি। বিশ্বকাপের আগে দলের প্রধান বোলারের বেহাল অবস্থা! চিন্তায় ফেলেছিল ম্যানেজমেন্টকেও। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচের পর পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে আলাদাভাবে কাজ করেছেন মোস্তাফিজ।

উপমহাদেশের বাইরে বরাবরই নিজেকে চেনাতে ব্যর্থ ছিলেন বাঁহাতি পেসার। এ নিয়ে অনেক কথাও শুনতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু নিজের প্রচেষ্টা; টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরাম ও পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের ক্লাস যেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভিন্ন এক মোস্তাফিজকে উপস্থাপন করল আজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ে তাঁর অবদান ছিল নজরকাড়া। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। আগের দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৫ রান এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২০ রান দিয়েছেন। তবে উইকেট না পেলেও হিসেবি বোলিং করেছেন এই পেসার। ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন আগেই। এবার মোস্তাফিজ যেন জানিয়ে রাখলেন, এশিয়ার বাইরের কন্ডিশনেও জ্বলে উঠতে পারেন তিনি।

নিজেকে হারিয়ে খোঁজা মোস্তাফিজ টি-টোয়েন্টিতে তিন ম্যাচ পর উইকেট পেলেন আজ। ৭৬ ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এমন ঘটনা আরও তিনবার ঘটেছে তাঁর সঙ্গে। টানা তিন ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন চারবার। কিন্তু চতুর্থবারের ফেরাটাই যেন মোস্তাফিজের সেরা।

সেরার ব্যাখ্যাটাও মজার–২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার টানা তিন ম্যাচে কোনো উইকেট পাননি মোস্তাফিজ। পরের বছর চতুর্থ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪০ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন; কিন্তু ম্যাচটি বাংলাদেশ ৫ উইকেটে হেরেছিল। ২০২১ সালে দ্বিতীয়বারের মতো তিন ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন ‘ফিজ’। চতুর্থ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২টি উইকেট পেয়েছিলেন। এ জন্য খরচ করেন ৪৩ রান। ওই ম্যাচেও দল হেরেছিল।

চলতি বছরের শুরুর দিকে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো তিন ম্যাচে উইকেট ছাড়া ছিলেন মোস্তাফিজ। চতুর্থ ম্যাচে গিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২টি উইকেট পান। কিন্তু এ জন্য ৪ ওভারে ৫০ রান খরচ করেছিলেন। ম্যাচটিতে ১৭ রানে জয় পায় জিম্বাবুয়ে।

টি-টোয়েন্টিতে তিন ম্যাচের বেশি কখনো উইকেট ছাড়া ছিলেন না মোস্তাফিজ। চারবারের এমন অভিজ্ঞতায় তিনবার উইকেটে ফেরাটাই ছিল তিক্ত। রানও দিয়েছেন ৪০–৫০ করে এবং দলও হেরেছিল। কিন্তু এবার বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রত্যাবর্তনের ভিন্ন গল্প লিখলেন মোস্তাফিজ। আবারও উল্লেখ করতে হচ্ছে, ৪ ওভার ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট। এবার দলও জিতেছে। তাতে বিশ্বমঞ্চের সেমিফাইনালের স্বপ্নও বেঁচে রইল বাংলাদেশের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচ জিতে সিরিজে ফিরল নিউজিল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩০
৩ রানের জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। ছবি: এক্স
৩ রানের জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। ছবি: এক্স

ম্যাচের উত্তেজনা ছিল শেষ বল পর্যন্ত। জিততে পারতো যেকোনো দলই। এমন সমীকরণে শেষ হাসি হেসেছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল মিচেল সান্টনারের দল।

এর আগে ৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ৭ রানের জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে আগামী ৯ নভেম্বর মাঠে নামবে দুই দল।

ইডেন পার্কে নিউজিল্যান্ডের করা ২০৭ রানের জবাবে ২০৪ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ৩ ওভারে ৫২ রানের সমীকরণ ছিল সফরকারী দলের সামনে। রোভম্যান পাওয়েল ও ম্যাথু ফোর্ডের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে এই সমীকরণ প্রায় মিলিয়েই ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি তারা।

কাইল জেমিসনের করা ১৮তম ওভারে ২২ রান তোলেন পাওয়েল ও ফোর্ড। পরের ওভারে ১৪ রান দেন জ্যাকব ডাফি। শেষ ওভারে অতিথিদের করতে হতো ১৬ রান। জেমিসনের করা প্রথম বলে চার মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফোর্ড। পরের বলে রান নিতে পারেননি। ওভারস্টেপিংয়ের কারণে তৃতীয় বলটি নো হয়। সেই সঙ্গে বাউন্ডারি মারেন ফোর্ড। তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন তিনি। পরের বলে উড়িয় মারতে গিয়ে আউট হন পাওয়েল। পঞ্চম বল থেকে এক রান নেন ক্রিজে আসা আকিল হুসাইন। শেষ বলে ৫ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে খুশি করতে পারেননি ফোর্ড।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৯৩ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ধাক্কা সামলে পাওয়েল, রোমারিও শেফার্ড, ফোর্ডদের ব্যাটে আমা বেঁচে ছিল তাদের। ক্যারিবীয়দের হয়ে ১৬ বলে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন পাওয়েল। সমান বলে ৩৪ রান এনে দেন রোমারিও শেফার্ড। ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন ফোর্ড। ১৩ বল খেলেন তিনি।

ম্যাচ হারলেও একটি রেকর্ড গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ৫ ওভারে ৮৭ রান করেছে তারা। টি–টোয়েন্টিতে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশের মধ্যে রান তাড়ায় শেষ ৫ ওভারে এটা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

এর আগে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২৮ বলে ৭৮ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন মার্ক চাপম্যান। ৩৯ রান আসে টিম রবিনসনের ব্যাট থেকে। ২৮ রান করেন ড্যারেল মিচেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেসিকে মায়ামির ‘অন্য রকম’ সম্মাননা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩১
মেসির হাতে মায়ামি শহরের চাবি তুলে দেন মেয়র ফান্সিস সুয়ারেজ। ছবি: এক্স
মেসির হাতে মায়ামি শহরের চাবি তুলে দেন মেয়র ফান্সিস সুয়ারেজ। ছবি: এক্স

যোগ দেওয়ার পর থেকেই ইন্টার মায়ামির চিত্র বদলে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। তারকা ফরোয়ার্ডকে পেয়ে ব্র্যান্ড ভেল্যু বেড়ে গেছে ফ্লোরিডার ক্লাবটির। বিজ্ঞাপনে আসছে একের পর এক চমক। যাঁর জন্য এত প্রাপ্তি সেই মেসিকে বরাবরই মাথার মুকুট করে রাখার চেষ্টা করেছে মায়ামি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার অন্য রকম এক সম্মাননা পেলেন মেসি।

মায়ামিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আমেরিকা বিজনেস ফোরাম। সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন মেসি। অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের হাতে মায়ামি শহরের প্রতীকী চাবি তুলে দেন মেয়র ফান্সিস সুয়ারেজ।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মেসি বলেন, ‘এই সম্মাননা দেওয়ায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। এই শহরে আমরা অনেক ভালোবাসা পাচ্ছি। এখানে থাকতে পেরে আমি খুবই খুশি। এই স্বীকৃতি আমার জন্য সম্মানের। আবারও সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

অসংখ্য প্রাপ্তির ভীড়ে কেবল একটি বিশ্বকাপ জেতা বাকি ছিল মেসির। সে অপূর্ণতা প্রাপ্তিতে রূপ নিয়েছে ২০২২ বিশ্বকাপে। তাই ক্যারিয়ার থেকে আর কিছু চাওয়া সেই তাঁর, ‘আমার মনে হয় একজন ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার চেয়ে আর বড় কিছু হতে পারে না। তাই এটা জিতে গেলে আর কিছু চাওয়ার থাকে না।’

মেসির হাতে চাবি তুলে দেওয়ার পর মায়ামি শহরের মেয়র বলেন, ‘এই শহর, দেশ ও বিশ্ব ফুটবলের জন্য আপনি (মেসি) যা করেছেন, সেসবের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আপনাকে এই চাবি দেওয়ার ইচ্ছা ছিল আমার। সবকিছু জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

পিএসজি অধ্যায় শেষে ২০২৩ সালে মায়ামিতে নাম লেখান মেসি। নতুন চুক্তিতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই ক্লাবটিতে থাকবেন তিনি। মেসির হাত ধরেই নিজেদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা (লিগস কাপ) জেতে মায়ামি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘ক্রিকেটে রাজনীতি পছন্দ করি না’ ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আকরাম

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান সংকট সমাধানের জন্য আইসিসির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ওয়াসিম আকরাম। ছবি: এক্স
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান সংকট সমাধানের জন্য আইসিসির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ওয়াসিম আকরাম। ছবি: এক্স

ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটেও। তাতে দুই দেশের মাঠের লড়াই থেকে বঞ্চিত হওয়ার পথে ভক্তরা। বিষয়টি নিয়ে নাখোশ পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম। সাফ জানিয়ে দিলেন, ক্রিকেটে রাজনীতি পছন্দ করেন না তিনি।

উইজডেন ক্রিকেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আকরাম বলেন, ‘আমি দুঃখিত। ক্রিকেটে রাজনীতি আমার পছন্দ না। এক কথায় বলতে গেলে, খেলাধুলাকে সব সময়ই রাজনীতি মুক্ত রাখা উচিত। যেকোনো লিগেই সব দেশের ক্রিকেটারদের নেওয়া উচিত।’

রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে প্রথম আসরের পর থেকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা খেলতে পারেন না। বিষয়টি নিয়ে অতীতেও কথা বলেছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। সবশেষ পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলতে না পারা নিয়ে কথা বললেন আকরাম। সাবেক তারকা পেসারের কাছে এটা বাড়াবাড়িই মনে হচ্ছে।

আকরাম বলেন, ‘ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব সমাধানে আইসিসিকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে। সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। ফ্র্যাঞ্চাইজি বা টুর্নামেন্ট কার মালিকানায় তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসল কথা হলো, সব দেশের খেলোয়াড়দেরই সুযোগ দেওয়া উচিত।’

ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই তিক্ত। সবশেষ এশিয়া কাপে বেশকিছু ইস্যুতে সে তিক্ততা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। এর শুরুটা হয়েছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে সূর্যকুমার যাদবদের হাত না মেলানো দিয়ে। শেষটা হয়েছে পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির হাত থেকে ভারতীয় দল ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানানোয়। এই কাণ্ডে টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার এক মাসের বেশি সময় পরও ট্রফি বুঝে পায়নি ভারত।

সব মিলিয়ে পিসিবি ও বিসিসিআইয়ের মধ্যে সম্পর্ক এখন চরমে। রাজনৈতিক টানাপোড়েন লম্বা সময় ধরে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলে না পাকিস্তান ও ভারত। এশিয়া কাপ ইস্যুতে সামনের দিনগুলোতে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টেও দুই দলের খেলা শঙ্কায় পড়ে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আর্জেন্টিনার ২০২৬ বিশ্বকাপ জার্সির দাম কত, কোথায় পাওয়া যাবে

ক্রীড়া ডেস্ক    
প্রকাশ্যে এল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জার্সি। ছবি: এক্স
প্রকাশ্যে এল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জার্সি। ছবি: এক্স

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আর্জেন্টিনাকে নিয়ে এমনিতেই ভক্তদের মাতামাতির শেষ নেই। ২০২৬ বিশ্বকাপেও ফেবারিট হিসেবেই খেলতে যাবে লিওনেল মেসির দল। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের জন্য লা আলবিসেলেস্তেদের জার্সি। তাতে ভক্তদের উন্মাদনা বেড়ে গেল দ্বিগুণ।

২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা। আগামী ১১ জুন বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। তার সাত মাস আগেই ২২টি দেশের জার্সি উন্মোচন করেছে ক্রীড়া সরঞ্জামাদি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। যেখানে আছে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার জার্সি।

২০২২ সালের আগে ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। অনুমিতভাবেই ল্যাটিন আমেরিকানদের বিশ্বকাপ জার্সিতে আছে তিন তারকার উপস্থিতি। তিন তারকা করা হয়েছে সোনালী রঙে।

ঐতিহ্যকে ধারণ করতে বরাবরই মতো এবারও আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রাধান্য পেয়েছে সাদা ও আকাশি নীল। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) প্রতিষ্ঠা সালকে ইঙ্গিত করে জার্সির ঘাড়ের পেছনে খোদাই করে ‘১৮৯৩’ সাল লেখা হয়েছে। ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের প্রতীক হিসেবে বুকে সোনালি প্যাঁচ রাখা হয়েছে।

অ্যাডিডাস জানিয়েছে, আপাতত চুক্তিবদ্ধ থাকা দেশগুলোর জার্সি প্রকাশ করেছে তারা। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচনে উপস্থিত ছিলেন দলটির অধিনায়ক এবং ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের একজন মেসি। তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জার্সি পাওয়া যাবে অ্যাডিডাসের ওয়েবসাইট ও নির্দিষ্ট কিছু দোকানে। এই জার্সি কিনতে খরচ করতে হবে ১০০ থেকে ১৮০ ডলার। অর্থাৎ ১২ থেকে ২২ হাজার টাকার মতো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত