ক্রীড়া ডেস্ক
কলম্বোর প্রেমাদাসায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা একটু কঠিন হলেও ২৪৯ রানের লক্ষ্য একেবারে দুঃসাধ্য নয়। বিশেষ করে গতকাল কুশল মেন্ডিসের তাণ্ডব দেখে মনে হচ্ছিল লঙ্কানরা এই ম্যাচেই সিরিজ নিজেদের করে নিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ১৬ রানে জিতে সমতায় ফিরিয়েছে বাংলাদেশ।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে গতকাল ২৪৯ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম ৯ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৭৪ রান। যেখানে একাই ৫২ রান করেন কুশল মেন্ডিস। ২০ বলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। এখান থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর পাশাপাশি রান তোলার গতিও কমতে থাকে লঙ্কানদের। ৩৮.৩ ওভারে লঙ্কানদের স্কোর হয়ে যায় ৮ উইকেটে ১৭০ রান। শ্রীলঙ্কার গুটিয়ে যাওয়া যখন ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র, তখন বাংলাদেশের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান জানিথ লিয়ানাগে। নবম উইকেটে দুষ্মন্ত চামিরার সঙ্গে ৫৩ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন লিয়ানাগে।
লিয়ানাগেকে (৭৮) মোস্তাফিজ ফেরানোর পরই দ্রুত গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ৪৯তম ওভারের পঞ্চম বলে চামিরাকে বোল্ড করে লঙ্কানদের ইনিংসের ইতি টানেন তানজিম হাসান সাকিব। ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ রানে লঙ্কানরা অলআউট হলে বাংলাদেশ সিরিজে ১-১ সমতা করে ফেলে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, ‘আমাদের দলের সবার আত্মবিশ্বাস ছিল। সবাই সবাইকে মাঠের মধ্যে আত্মবিশ্বাসী করেছে। এই জিনিসটা ভালো লেগেছে। সবার ভেতরে ওই আত্মবিশ্বাসটা ছিল—আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি। তার জন্যই আমরা পেরেছি।’
৫ উইকেটে ২০৬ থেকে হঠাৎই ৯ উইকেটে ২১৮ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তখন তানজিম সাকিবের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়েই ২৪৮ রান করতে পারে দলটি। শেষ উইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ২৪ বলে ৩০ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন তানজিম সাকিব। ৮ নম্বরে নামা তানজিম সাকিব ২১ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
তানজিম সাকিবের ব্যাটিং ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন মিরাজ। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘একটা কৃতিত্ব দিতে চাই তানজিম হাসান সাকিবকে। সে যেভাবে ব্যাটিং করেছে শেষের দিকে, কারণ সে সময়ে তার রানটা দারুণ দরকারি ছিল। সে যেভাবে হাসারাঙ্গাকে আক্রমণ করেছে, আমার কাছে মনে হয় ওর ৩৩ রানটা দলের জয়ের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, এই উইকেটে ২২০ রান আর ২৫০ রান দুইটা দুই রকম চিত্র তো। তাই কৃতিত্ব ওর প্রাপ্য।’
১৬ রানে ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের ফিল্ডিং গতকাল বাজে হয়েছে। জানিথ লিয়ানাগে ব্যক্তিগত ২৮ ও ৪২ রানে জীবন পেয়েছেন জাকের আলী অনিক ও রিশাদ হোসেনের ক্যাচ মিসের কারণে। তা ছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৫.৫ ও ৪৫.৫ ওভার ব্যাটিং করেছে। পাল্লেকেলেতে পরশু সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে নামার আগে ব্যাটিং, ফিল্ডিংয়ে ভুলগুলো শোধরানো দরকার বলে মনে করেন মিরাজ। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘১-১ সিরিজে সমতা। আমরা তৃতীয় ম্যাচ নিয়ে আরও পরিকল্পনা করে নামতে পারব। সময় আছে আমরা কোন জায়গাটা আামাদের দুর্বলতাগুলো আছে। দেখেন, আমরা ম্যাচ জিতেছি, কিন্তু আমাদের কিছু কিছু জায়গা উন্নতি করতে হবে। দেখেন, আমরা দুইটা ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু আমরা এখনো ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পারিনি।’
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। পাল্লেকেলেতে পরশু তৃতীয় ওয়ানডেতে জিতলেই প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়বে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে ওয়ানডে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ। সবশেষ ২০২৪ সালে বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতে লঙ্কানদের বিপক্ষে।
কলম্বোর প্রেমাদাসায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা একটু কঠিন হলেও ২৪৯ রানের লক্ষ্য একেবারে দুঃসাধ্য নয়। বিশেষ করে গতকাল কুশল মেন্ডিসের তাণ্ডব দেখে মনে হচ্ছিল লঙ্কানরা এই ম্যাচেই সিরিজ নিজেদের করে নিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ১৬ রানে জিতে সমতায় ফিরিয়েছে বাংলাদেশ।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে গতকাল ২৪৯ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম ৯ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৭৪ রান। যেখানে একাই ৫২ রান করেন কুশল মেন্ডিস। ২০ বলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। এখান থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর পাশাপাশি রান তোলার গতিও কমতে থাকে লঙ্কানদের। ৩৮.৩ ওভারে লঙ্কানদের স্কোর হয়ে যায় ৮ উইকেটে ১৭০ রান। শ্রীলঙ্কার গুটিয়ে যাওয়া যখন ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র, তখন বাংলাদেশের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান জানিথ লিয়ানাগে। নবম উইকেটে দুষ্মন্ত চামিরার সঙ্গে ৫৩ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন লিয়ানাগে।
লিয়ানাগেকে (৭৮) মোস্তাফিজ ফেরানোর পরই দ্রুত গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ৪৯তম ওভারের পঞ্চম বলে চামিরাকে বোল্ড করে লঙ্কানদের ইনিংসের ইতি টানেন তানজিম হাসান সাকিব। ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ রানে লঙ্কানরা অলআউট হলে বাংলাদেশ সিরিজে ১-১ সমতা করে ফেলে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, ‘আমাদের দলের সবার আত্মবিশ্বাস ছিল। সবাই সবাইকে মাঠের মধ্যে আত্মবিশ্বাসী করেছে। এই জিনিসটা ভালো লেগেছে। সবার ভেতরে ওই আত্মবিশ্বাসটা ছিল—আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি। তার জন্যই আমরা পেরেছি।’
৫ উইকেটে ২০৬ থেকে হঠাৎই ৯ উইকেটে ২১৮ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তখন তানজিম সাকিবের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়েই ২৪৮ রান করতে পারে দলটি। শেষ উইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ২৪ বলে ৩০ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন তানজিম সাকিব। ৮ নম্বরে নামা তানজিম সাকিব ২১ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
তানজিম সাকিবের ব্যাটিং ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন মিরাজ। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘একটা কৃতিত্ব দিতে চাই তানজিম হাসান সাকিবকে। সে যেভাবে ব্যাটিং করেছে শেষের দিকে, কারণ সে সময়ে তার রানটা দারুণ দরকারি ছিল। সে যেভাবে হাসারাঙ্গাকে আক্রমণ করেছে, আমার কাছে মনে হয় ওর ৩৩ রানটা দলের জয়ের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, এই উইকেটে ২২০ রান আর ২৫০ রান দুইটা দুই রকম চিত্র তো। তাই কৃতিত্ব ওর প্রাপ্য।’
১৬ রানে ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের ফিল্ডিং গতকাল বাজে হয়েছে। জানিথ লিয়ানাগে ব্যক্তিগত ২৮ ও ৪২ রানে জীবন পেয়েছেন জাকের আলী অনিক ও রিশাদ হোসেনের ক্যাচ মিসের কারণে। তা ছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৫.৫ ও ৪৫.৫ ওভার ব্যাটিং করেছে। পাল্লেকেলেতে পরশু সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে নামার আগে ব্যাটিং, ফিল্ডিংয়ে ভুলগুলো শোধরানো দরকার বলে মনে করেন মিরাজ। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘১-১ সিরিজে সমতা। আমরা তৃতীয় ম্যাচ নিয়ে আরও পরিকল্পনা করে নামতে পারব। সময় আছে আমরা কোন জায়গাটা আামাদের দুর্বলতাগুলো আছে। দেখেন, আমরা ম্যাচ জিতেছি, কিন্তু আমাদের কিছু কিছু জায়গা উন্নতি করতে হবে। দেখেন, আমরা দুইটা ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু আমরা এখনো ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পারিনি।’
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। পাল্লেকেলেতে পরশু তৃতীয় ওয়ানডেতে জিতলেই প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়বে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে ওয়ানডে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ। সবশেষ ২০২৪ সালে বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতে লঙ্কানদের বিপক্ষে।
পেশাদার কারিয়ারে সবচেয়ে বেশি ফুটবল ম্যাচ খেলার রেকর্ড কার? এই প্রশ্নে এখন নাম নিতে হবে ব্রাজিলের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক ফ্যাবিওর। ৪৪ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৩৯১টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন। এই রেকর্ডে তিনি পেছনে ফেলেছেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি গোলকিপার পিটার শিলটনকে।
৬ ঘণ্টা আগেএপ্রিলে এএইচএফ কাপে ছিলেন দলের অধিনায়ক। অথচ হকি এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পাননি পুষ্কর খীসা মিমো। শুধু তা-ই নয়, বাদ পড়েছেন মঈনুল ইসলাম কৌশিক ও নাঈম উদ্দিন। মিমোর দাবি, সিনিয়রদের পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। দল নির্বাচনে হকি ফেডারেশনে গতকাল বাগ্বিতণ্ডাও হয়েছে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মধ্যে।
৬ ঘণ্টা আগেদারুণ জয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক ভুটানকে আজ ৩-১ গোলে হারিয়েছে অর্পিতা বিশ্বাসের দল। বাংলাদেশের হয়ে জোড়া গোল করেন আলপি আক্তার।
৮ ঘণ্টা আগেবিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেওয়া ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার’ উদ্যোগের প্রশংসায় করছেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু এই উদ্যোগের ভালো দিকগুলো যত দিন না বাস্তবায়ন করা হবে, তত দিন কোনো ফল আসবে না বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।
৯ ঘণ্টা আগে