নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঘড়ির কাঁটা তখন ৩টা ছুঁইছুঁই। শীতের বিকেলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ভবনের প্রাঙ্গণ তখন লোকে লোকারণ্য। অধিকাংশই বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের মানুষ। বিভিন্ন ফেডারেশন-অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য কিংবা এনএসসিতে কর্মরত সরকারি কর্তাব্যক্তি। ভবনের পার্কিং গ্যারেজে দামি দামি গাড়ির বহর দেখে একটি ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা জানালেন, এনএসসির সামনে এত দামি দামি গাড়ি কখনো নাকি তিনি দেখেননি!
এনএসসিতে সাধারণত মানুষের ভিড় কমই দেখা যায়। আজ সেই ভবনে দামি সব গাড়ি চড়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবার হাতেই ফুল। ফুলের তোড়া যাঁর জন্য—সেই প্রতীক্ষিত ব্যক্তি এলেন নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর, বেলা ঠিক ৩টায়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হয়ে পা ফেললেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের।
এক দশকের বেশি সময় বিসিবি সভাপতি পদে থাকা পাপন সব সময়ই ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। আলোচিত, আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা পাপনকে দিয়েই তিন দশক পর পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর অভাব পূরণ হয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। মন্ত্রী হয়েই বিসিবি সভাপতি কী কী উদ্যোগ নেন বা নিতে চান, সেসব শুনতেই গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়। আর ফেডারেশনের কর্মকর্তারা মূলত এসেছিলেন ফুল দিয়ে মন্ত্রীকে বরণ করে নিতে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে আজ আনুষ্ঠানিক অভিষেক হয়েছে নাজমুল হোসেন পাপনের। মন্ত্রী হিসেবে সকালে প্রথমবারের মতো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে দুপুর পর্যন্ত কর্মঘণ্টা পার করে বিকেলে এনএসসি ভবনে চলে আসেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনকক্ষে তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিতে গিয়ে রীতিমতো হুড়োহুড়ি আর প্রতিযোগিতাই করলেন সবাই। ফুল নেওয়ার ফাঁকে কেকও কাটতে হলো পাপনকে। কেউ কেউ কেকের প্যাকেট খুলতে থাকলেন মন্ত্রীর সামনে। কখনো পাপন নিজেই সহায়তা করলেন তাঁদের কেকের প্যাকেট খুলে দিতে। অনুষ্ঠান শেষ হতে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন তিনি! আটতলায় নিজের কক্ষে কিছু সময় কাটিয়ে আবার সংবাদ সম্মেলনকক্ষে মুখোমুখি হলেন সংবাদমাধ্যমকর্মীদের।
পাপন এত দিন ছিলেন শুধু ক্রিকেটের অভিভাবক। এবার তাঁকে নিতে হবে ৩৭ ফেডারেশন ও ১৬ অ্যাসোসিয়েশনকে সামলে রাখার গুরুদায়িত্ব। এসব ফেডারেশনের কয়েকটির সম্ভাবনা থাকার পরও অর্থের অভাবে মেলে না সাফল্য দেখানোর সুযোগ, আবার কিছু ফেডারেশন টিকে আছে শুধুই নামে। সব ফেডারেশনের সঙ্গে বসে তিন বছরের মধ্যে একটি লক্ষ্য ঠিক করার কথা জানিয়েছেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী।
পাপন আজ বলেছেন, ‘এখানে অনেক ফেডারেশন। প্রতিটা খেলাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে সব খেলায় আমরা বিশ্বকাপ খেলব—এমন ভাবা ঠিক হবে না। প্রথম হলো আমাকে এখানকার সম্পর্কে জানতে হবে। মন্ত্রণালয়ের কী সক্ষমতা, তা জানতে হবে। এরপর আলাদাভাবে ফেডারেশনের সঙ্গে বসতে হবে। সমস্যা শুনতে হবে। সেগুলো নোট করে আমি কাজ করব।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে বসলে, তাদের মূলত আর্থিক সমর্থনই দেব। তখন তাদেরও আমাকে একটা লক্ষ্য দিতে হবে। এখন কোথায় আছি, সামনে কোথায় যাব বলতে হবে। তারা ৫-১০ বছরের সময় নিতেই পারে। কিন্তু তিন বছর পর কোথায় যাব, সেটা বলতে হবে। যাদের সমর্থন দেব, তারা সেটা ঠিকমতো কাজে লাগতে পারছে কি না—সেটা দেখতে হবে। কেউ যদি অর্জন না করতে পারে, তাহলেই সব বাতিল হবে, এমন না। যদি সম্ভাবনা দেখি, তাহলে প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। আর যদি দেখা যায় যে তাদের দিয়ে সম্ভব না, তাহলে আমরা দ্বিতীয়বার চিন্তা করব যে ওদের দিয়ে হবে না।’
নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের চেয়ে মাঠের সংখ্যা বাড়ানোর দিকেই মনোযোগ দিতে চান মন্ত্রী পাপন। বললেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, স্টেডিয়াম তো রয়েছে। কিন্তু মাঠ কোথায়? মাঠ না থাকলে মানুষ খেলবে কোথায়? তাই আমার কাছে স্টেডিয়ামের চেয়ে মাঠ বেশি প্রয়োজন। স্টেডিয়াম কিন্তু আমাদের অনেক রয়েছে। অনেক স্টেডিয়াম তালাবদ্ধ, খেলা হয় না। আবার অনেক স্টেডিয়াম সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। আমাদের আগে দেখতে হবে স্টেডিয়ামের সংখ্যা কত এবং এর মধ্যে সক্রিয় কটি। এরপর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।’
অনুষ্ঠান শেষে বিশৃঙ্খলা নিয়ে বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন পাপন, ‘আজকের অনুষ্ঠানটি খানিকটা বিশৃঙ্খল ছিল। আমি সামনে শৃঙ্খলার সঙ্গেই সব আয়োজন করব।’
ঘড়ির কাঁটা তখন ৩টা ছুঁইছুঁই। শীতের বিকেলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ভবনের প্রাঙ্গণ তখন লোকে লোকারণ্য। অধিকাংশই বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের মানুষ। বিভিন্ন ফেডারেশন-অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য কিংবা এনএসসিতে কর্মরত সরকারি কর্তাব্যক্তি। ভবনের পার্কিং গ্যারেজে দামি দামি গাড়ির বহর দেখে একটি ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা জানালেন, এনএসসির সামনে এত দামি দামি গাড়ি কখনো নাকি তিনি দেখেননি!
এনএসসিতে সাধারণত মানুষের ভিড় কমই দেখা যায়। আজ সেই ভবনে দামি সব গাড়ি চড়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবার হাতেই ফুল। ফুলের তোড়া যাঁর জন্য—সেই প্রতীক্ষিত ব্যক্তি এলেন নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর, বেলা ঠিক ৩টায়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হয়ে পা ফেললেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের।
এক দশকের বেশি সময় বিসিবি সভাপতি পদে থাকা পাপন সব সময়ই ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। আলোচিত, আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা পাপনকে দিয়েই তিন দশক পর পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর অভাব পূরণ হয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। মন্ত্রী হয়েই বিসিবি সভাপতি কী কী উদ্যোগ নেন বা নিতে চান, সেসব শুনতেই গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়। আর ফেডারেশনের কর্মকর্তারা মূলত এসেছিলেন ফুল দিয়ে মন্ত্রীকে বরণ করে নিতে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে আজ আনুষ্ঠানিক অভিষেক হয়েছে নাজমুল হোসেন পাপনের। মন্ত্রী হিসেবে সকালে প্রথমবারের মতো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে দুপুর পর্যন্ত কর্মঘণ্টা পার করে বিকেলে এনএসসি ভবনে চলে আসেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনকক্ষে তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিতে গিয়ে রীতিমতো হুড়োহুড়ি আর প্রতিযোগিতাই করলেন সবাই। ফুল নেওয়ার ফাঁকে কেকও কাটতে হলো পাপনকে। কেউ কেউ কেকের প্যাকেট খুলতে থাকলেন মন্ত্রীর সামনে। কখনো পাপন নিজেই সহায়তা করলেন তাঁদের কেকের প্যাকেট খুলে দিতে। অনুষ্ঠান শেষ হতে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন তিনি! আটতলায় নিজের কক্ষে কিছু সময় কাটিয়ে আবার সংবাদ সম্মেলনকক্ষে মুখোমুখি হলেন সংবাদমাধ্যমকর্মীদের।
পাপন এত দিন ছিলেন শুধু ক্রিকেটের অভিভাবক। এবার তাঁকে নিতে হবে ৩৭ ফেডারেশন ও ১৬ অ্যাসোসিয়েশনকে সামলে রাখার গুরুদায়িত্ব। এসব ফেডারেশনের কয়েকটির সম্ভাবনা থাকার পরও অর্থের অভাবে মেলে না সাফল্য দেখানোর সুযোগ, আবার কিছু ফেডারেশন টিকে আছে শুধুই নামে। সব ফেডারেশনের সঙ্গে বসে তিন বছরের মধ্যে একটি লক্ষ্য ঠিক করার কথা জানিয়েছেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী।
পাপন আজ বলেছেন, ‘এখানে অনেক ফেডারেশন। প্রতিটা খেলাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে সব খেলায় আমরা বিশ্বকাপ খেলব—এমন ভাবা ঠিক হবে না। প্রথম হলো আমাকে এখানকার সম্পর্কে জানতে হবে। মন্ত্রণালয়ের কী সক্ষমতা, তা জানতে হবে। এরপর আলাদাভাবে ফেডারেশনের সঙ্গে বসতে হবে। সমস্যা শুনতে হবে। সেগুলো নোট করে আমি কাজ করব।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে বসলে, তাদের মূলত আর্থিক সমর্থনই দেব। তখন তাদেরও আমাকে একটা লক্ষ্য দিতে হবে। এখন কোথায় আছি, সামনে কোথায় যাব বলতে হবে। তারা ৫-১০ বছরের সময় নিতেই পারে। কিন্তু তিন বছর পর কোথায় যাব, সেটা বলতে হবে। যাদের সমর্থন দেব, তারা সেটা ঠিকমতো কাজে লাগতে পারছে কি না—সেটা দেখতে হবে। কেউ যদি অর্জন না করতে পারে, তাহলেই সব বাতিল হবে, এমন না। যদি সম্ভাবনা দেখি, তাহলে প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। আর যদি দেখা যায় যে তাদের দিয়ে সম্ভব না, তাহলে আমরা দ্বিতীয়বার চিন্তা করব যে ওদের দিয়ে হবে না।’
নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের চেয়ে মাঠের সংখ্যা বাড়ানোর দিকেই মনোযোগ দিতে চান মন্ত্রী পাপন। বললেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, স্টেডিয়াম তো রয়েছে। কিন্তু মাঠ কোথায়? মাঠ না থাকলে মানুষ খেলবে কোথায়? তাই আমার কাছে স্টেডিয়ামের চেয়ে মাঠ বেশি প্রয়োজন। স্টেডিয়াম কিন্তু আমাদের অনেক রয়েছে। অনেক স্টেডিয়াম তালাবদ্ধ, খেলা হয় না। আবার অনেক স্টেডিয়াম সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। আমাদের আগে দেখতে হবে স্টেডিয়ামের সংখ্যা কত এবং এর মধ্যে সক্রিয় কটি। এরপর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।’
অনুষ্ঠান শেষে বিশৃঙ্খলা নিয়ে বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন পাপন, ‘আজকের অনুষ্ঠানটি খানিকটা বিশৃঙ্খল ছিল। আমি সামনে শৃঙ্খলার সঙ্গেই সব আয়োজন করব।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে অলিখিত সেমিফাইনালটা লিটন দাসকে দেখতে হয়েছে ডাগ আউটে বসে। দুবাইয়ে তাওহীদ হৃদয়, পারভেজ হোসেন ইমন, জাকের আলী অনিকদের একের পর এক আত্মাহুতি দেখে লিটনের মুখটা বেশ ফ্যাকাশে দেখিয়েছে। ওয়াসিম আকরামের মতে লিটন থাকলে ম্যাচের ফল অন্য কিছু হতেও পারত।
৯ মিনিট আগেজিতলেই ফাইনাল—দুবাইয়ে গত রাতে সুপার ফোরের বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটা ছিল এমনই। অলিখিত সেমিফাইনালে প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশের ফাইনাল খেলা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান কখন যে পাশার দান উল্টে দেবে, সেটা বোঝা মুশকিল।
৪২ মিনিট আগেদুবাইয়ে গত রাতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচে ছিল না কোনো জটিল সমীকরণের খেলা। অলিখিত সেমিফাইনালের বাধা যে টপকতে পারবে, সেই দল কাটবে ফাইনালের টিকিট। বাংলাদেশ সেখানে নিজেদের হাতে থাকা ম্যাচ ফস্কেছে বলে মনে করেন ওয়াসিম আকরাম।
১ ঘণ্টা আগেজয়ের জন্য ১৩৬ রানের লক্ষ্যটা কি খুব বড় ছিল? মোটেও না। কিন্তু মাঝারি মানের এই লক্ষ্যতাড়ায় শুরু থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা যে অস্থিরতা দেখালেন, স্ট্যাম্পের বাইরের বল চেজ করে খেলতে গিয়ে আত্মাহুতি দিলেন নিজেদের, তাতে ম্যাচটি যাঁরা দেখেছেন তাঁদের উপলব্ধি এটাই—এই দলের শেখার এখনো অনেক বাকি!
১১ ঘণ্টা আগে