ক্রীড়া ডেস্ক
শারজায় গত রাতে ইতিহাস গড়েছে নেপাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯ রানে জিতে প্রথমবারের মতো কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলকে হারানোর কীর্তি গড়ল নেপাল। তবে এমন ‘পচা শামুকে পা কাটা’র মতো ঘটনা ক্যারিবীয়দের কাছে এবারই প্রথম নয়। তারা এমন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে চারবার।
বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে উইন্ডিজ ক্রিকেটারদের দেখা যায় নিয়মিতই। রোমারিও শেফার্ড, কাইল মায়ার্স, আকিল হোসেনের মতো ক্রিকেটাররা ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে কতটা ভয়ংকর, সেটা নতুন করে না বললেও চলছে। ‘প্রিয়’ এই সংস্করণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাবুডুবু খেতে দেখা রীতিমতো বিস্ময়কর। টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত চারবার সহযোগী দেশের কাছে হারের বিব্রতকর রেকর্ড রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। চারটিই ঘটেছে চার ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। ২০১৪ সালে কিংসটনে উইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্যারিবীয়দের হারিয়ে চমকে দিয়েছিল আফগানিস্তান। বর্তমানে আফগানরা টি-টোয়েন্টিতে দাপট দেখালেও ৯ বছর আগে তাদের সেই জয়টা অঘটনের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিল না।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরেক সহযোগী দল স্কটল্যান্ডের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারের ঘটনা রয়েছে। হোবার্টে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইন্ডিজকে হারিয়েছিল স্কটিশরা। গতকাল শারজায় টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া নেপাল ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৮ রান করেছিল। আমির জাঙ্গু, আকিম আগুস্তে, নাভিন বিদাইসি, র্যামন সিমন্ডস-এই চার উইন্ডিজ ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে গতকালের ম্যাচেই। ক্যারিবীয়দের অধিনায়ক ছিলেন আকিল হোসেন। চার ক্রিকেটারের অভিষেক হোক বা অধিনায়কের দায়িত্বে থাকুন আকিল, নেপালের বিপক্ষে ১৪৯ রান তাড়া করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে তো অসম্ভব ছিল না। কিন্তু শারজার এই ম্যাচটিতে ক্যারিবীয়রা হেরে যায় ১৯ রানে।
ইতিহাস গড়ার পর শারজার গ্যালারিতে নেপালের ভক্ত-সমর্থকদের উদযাপন ছিল দেখার মতো। নেপাল যেখানে উদযাপনে ব্যস্ত, তখন স্বাভাবিকভাবেই মুখ ভার উইন্ডিজ ক্রিকেটারদের। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ক্যারিবীয় অধিনায়ক আকিল বলেন, ‘ক্রিকেট তো এটাই। বিপুল পরিমাণ দর্শকদের উপস্থিতিতে ম্যাচ খেলাটা সত্যিই দারুণ কিছু। দুই দলই দারুণ খেলেছে। দুর্ভাগ্যবশত জয়ের জন্য আমরা সেরাটা দিতে পারিনি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন হেরেছিল আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ডের কাছে, তখনো আইরিশ-আফগানরা আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দেশ হয়ে ওঠেনি। আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ড টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে ২০১৭ সালে। এমনকি আয়ারল্যান্ডের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টিতে তিন বার হেরেছে। যার মধ্যে হোবার্টে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইন্ডিজকে ৯ রানে হারিয়েছিল আইরিশরা।
স্যার ক্লাইভ লয়েড, স্যার ভিভ রিচার্ডসের সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণযুগ কত আগেই পেরিয়ে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরবর্তীতে ব্রায়ান লারা, রামনরেশ সারোয়ান, ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেলদের মতো তারকা পেয়েছে উইন্ডিজ। ২০১২ ও ২০১৬ সালে দুইবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ক্যারিবীয়রা। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এত ভগ্ন দশা! ২০১৯ ও ২০২৩ সালে দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপেও খেলতে পারেনি উইন্ডিজ। এবার তাদের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ার হাতছানি নেপালের। আগামীকাল ও পরশু নেপাল-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হবে।
সহযোগী দেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার
প্রতিপক্ষ সাল
আয়ারল্যান্ড ২০১৪
আফগানিস্তান ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
স্কটল্যান্ড ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
নেপাল ২০২৫
শারজায় গত রাতে ইতিহাস গড়েছে নেপাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯ রানে জিতে প্রথমবারের মতো কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলকে হারানোর কীর্তি গড়ল নেপাল। তবে এমন ‘পচা শামুকে পা কাটা’র মতো ঘটনা ক্যারিবীয়দের কাছে এবারই প্রথম নয়। তারা এমন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে চারবার।
বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে উইন্ডিজ ক্রিকেটারদের দেখা যায় নিয়মিতই। রোমারিও শেফার্ড, কাইল মায়ার্স, আকিল হোসেনের মতো ক্রিকেটাররা ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে কতটা ভয়ংকর, সেটা নতুন করে না বললেও চলছে। ‘প্রিয়’ এই সংস্করণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাবুডুবু খেতে দেখা রীতিমতো বিস্ময়কর। টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত চারবার সহযোগী দেশের কাছে হারের বিব্রতকর রেকর্ড রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। চারটিই ঘটেছে চার ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। ২০১৪ সালে কিংসটনে উইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্যারিবীয়দের হারিয়ে চমকে দিয়েছিল আফগানিস্তান। বর্তমানে আফগানরা টি-টোয়েন্টিতে দাপট দেখালেও ৯ বছর আগে তাদের সেই জয়টা অঘটনের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিল না।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরেক সহযোগী দল স্কটল্যান্ডের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারের ঘটনা রয়েছে। হোবার্টে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইন্ডিজকে হারিয়েছিল স্কটিশরা। গতকাল শারজায় টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া নেপাল ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৮ রান করেছিল। আমির জাঙ্গু, আকিম আগুস্তে, নাভিন বিদাইসি, র্যামন সিমন্ডস-এই চার উইন্ডিজ ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে গতকালের ম্যাচেই। ক্যারিবীয়দের অধিনায়ক ছিলেন আকিল হোসেন। চার ক্রিকেটারের অভিষেক হোক বা অধিনায়কের দায়িত্বে থাকুন আকিল, নেপালের বিপক্ষে ১৪৯ রান তাড়া করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে তো অসম্ভব ছিল না। কিন্তু শারজার এই ম্যাচটিতে ক্যারিবীয়রা হেরে যায় ১৯ রানে।
ইতিহাস গড়ার পর শারজার গ্যালারিতে নেপালের ভক্ত-সমর্থকদের উদযাপন ছিল দেখার মতো। নেপাল যেখানে উদযাপনে ব্যস্ত, তখন স্বাভাবিকভাবেই মুখ ভার উইন্ডিজ ক্রিকেটারদের। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ক্যারিবীয় অধিনায়ক আকিল বলেন, ‘ক্রিকেট তো এটাই। বিপুল পরিমাণ দর্শকদের উপস্থিতিতে ম্যাচ খেলাটা সত্যিই দারুণ কিছু। দুই দলই দারুণ খেলেছে। দুর্ভাগ্যবশত জয়ের জন্য আমরা সেরাটা দিতে পারিনি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন হেরেছিল আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ডের কাছে, তখনো আইরিশ-আফগানরা আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দেশ হয়ে ওঠেনি। আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ড টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে ২০১৭ সালে। এমনকি আয়ারল্যান্ডের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টিতে তিন বার হেরেছে। যার মধ্যে হোবার্টে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইন্ডিজকে ৯ রানে হারিয়েছিল আইরিশরা।
স্যার ক্লাইভ লয়েড, স্যার ভিভ রিচার্ডসের সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণযুগ কত আগেই পেরিয়ে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরবর্তীতে ব্রায়ান লারা, রামনরেশ সারোয়ান, ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেলদের মতো তারকা পেয়েছে উইন্ডিজ। ২০১২ ও ২০১৬ সালে দুইবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ক্যারিবীয়রা। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এত ভগ্ন দশা! ২০১৯ ও ২০২৩ সালে দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপেও খেলতে পারেনি উইন্ডিজ। এবার তাদের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ার হাতছানি নেপালের। আগামীকাল ও পরশু নেপাল-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হবে।
সহযোগী দেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার
প্রতিপক্ষ সাল
আয়ারল্যান্ড ২০১৪
আফগানিস্তান ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
স্কটল্যান্ড ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
নেপাল ২০২৫
দারুণ একটা গুগলি দিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। সেটি বুঝতেই পারেননি ইব্রাহিম জাদরান। মিডল স্টাম্পের আশে পাশে পিচ করা বল সামনের পায়ের ভেতরের অংশে লাগে। বাধা না পেলে বল ছুঁয়ে যেত লেগ স্টাম্পের বাইরের অংশ। এলবিডব্লুর জোরালো আবেদন তোলেন আম্পায়াররা। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় বেঁচে যান ইব্রাহিম।
১ ঘণ্টা আগেবিপিএল বিতর্কমুক্ত করার লক্ষ্যে ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের (আইএমজি) সঙ্গে তিন বছরের চুক্তির কথা শোনা যাচ্ছিল গত জুন থেকেই। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত হয়নি তা। নির্বাচনের পর নতুনভাবে গঠিত বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল চাইছে স্বল্প সময়ের মধ্যে অন্তত পাঁচটি দল নিয়ে বিপিএল করতে।
১ ঘণ্টা আগেজুন থেকেই বিপিএল আয়োজন নিয়ে নানান কথা শোনা যাচ্ছিল। বোর্ড তখন বলেছিল, ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (আইএমজি)-এর সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি হচ্ছে। কিন্তু চার মাস পেরিয়ে গেলেও চুক্তিটা হয়নি। এবার আর সময় নষ্ট করতে চায় না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
৩ ঘণ্টা আগেঅনেকদিন ধরেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব জামাল ভূঁইয়ার কাঁধে। যদিও শুরুর একাদশে নিয়মিত জায়গা হয় না তাঁর। সেক্ষেত্রে তপু বর্মণ কিংবা সোহেল রানার কাছেই থাকে নেতৃত্বের বাহুবন্ধনী।
৪ ঘণ্টা আগে