অনলাইন ডেস্ক
ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টির এই যুগে শুধু মাঠের লড়াইয়ে খেলা সীমাবদ্ধ থাকে না, সামাজিক মাধ্যমেও সমান দাপট দেখাতে হয়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ফেসবুকে নানাভাবে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। জিতলেই ফেসবুকে প্রতিপক্ষকে নিয়ে ব্যঙ্গ-রসিকতা করাও যেন একটা নিয়মিত দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাতে এখন পর্যন্ত রংপুরের বেশি সুযোগ হচ্ছে প্রতিপক্ষকে নিয়ে ঠাট্টা-রসিকতা করার।
সিলেট পর্ব শেষে সাতে সাত করে পূর্ণ ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রামে রওনা দিয়েছে রংপুর। রংপুরের পরে সর্বোচ্চ ৩টি করে জিতেছে চিটাগং কিংস ও ফরচুন বরিশাল। দুই দলের পয়েন্ট সমান ৬। খুলনা, রাজশাহী আর সিলেটের পয়েন্ট সমান ৪। সবার নিচে থাকা ঢাকা ক্যাপিটালের পয়েন্ট ২। পরিসংখ্যান দেখুন, রান সংগ্রাহক ও উইকেটশিকারির সেরা তিনে এখন পর্যন্ত রংপুরের কোনো ব্যাটার কিংবা বোলার নেই। তবু দল হিসেবে তারা এত ভালো করছে কীভাবে? রংপুরের সহকারী কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল বলছেন, ‘আমাদের বেশির ভাগ জাতীয় দলের সব ক্রিকেটার খেলছে। ইফতেখার (আহমেদ), খুশদিল (শাহ) পাকিস্তান দলে খেলছে। বাংলাদেশের সোহান, শেখ মেহেদী, সাইফউদ্দিন—সবাই আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়। এটাই পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে। সবাই সবার ভূমিকা খুব ভালোভাবে জানে। ক্রিকেটে লাকটাও গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত ভাগ্যের ছোঁয়াও পাচ্ছি।’
রংপুর এগিয়ে থাকার আরেকটি কারণ দুর্দান্ত কয়েকজন অলরাউন্ডার। ইফতেখার, খুশদিল, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী, সাইফউদ্দিন—চার নম্বর থেকে আট নম্বর ব্যাটিং পজিশন পর্যন্ত যাঁরা খেলছেন, প্রত্যেকে দুর্দান্ত অলরাউন্ডার। খুশদিল ৫ ইনিংসে রান করেছেন ২১৫। পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের প্রায় ২০০ ছুঁই ছুঁই স্ট্রাইরকেট বলে দিচ্ছে, তিনি কীভাবে ম্যাচের রং বদলে দিচ্ছেন। খুশদিল বোলিংয়েও ভালো করছেন, নিয়েছেন ৯ উইকেট। ইফতেখারের রানও ২০০ পেরিয়ে গেছে। সোহান সেভাবে বড় ইনিংস না খেলার সুযোগ পেলেও ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে যেভাবে কঠিন সমীকরণ মিলিয়েছেন, তাঁর ব্যাটিংও প্রশংসিত হচ্ছে। আশরাফুল তাই বলছেন, ‘নাম্বার ফোর থেকে শুরু করে নাম্বার এইট পর্যন্ত সবাই কোয়ালিটি অলরাউন্ডার। সাদামাটা অলরাউন্ডার নয়। খুশদিল শাহ, ইফতেখাররা খুব ইমপ্যাক্ট ফেলছে।’
খুশদিল, নাহিদ রানা, আকিব জাবেদ, সাইফউদ্দিন, শেখ মেহেদীদের নিয়ে গড়া রংপুরের বোলিং আক্রমণও অনেক শক্তিশালী। টুর্নামেন্টের সেরা দশেই আছেন রংপুরের পাঁচ বোলার—খুশদিল, শেখ মেহেদী, নাহিদ রানা ৯টি করে উইকেট নিয়েছেন। আকিব জাভেদ, সাইফউদ্দিন পেয়েছেন ৮টি করে উইকেট। নাহিদ রানার ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হলেও রংপুর এখনো তাঁকে বিশ্রাম দেয়নি। ওপেনার সাইফ হাসান (২২৮) রান পাচ্ছেন। অ্যালেক্স হেলস বিপিএল ছেড়ে যাওয়ার আগে রংপুরকে একাধিক ম্যাচ জেতাতে ভূমিকা রেখেছেন।
টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ২০০ রানের ইনিংস দেখা গেছে ৮টি। এগুলোর মধ্যে রংপুরের আছে ২টা। দুবারই রংপুর রান তাড়া করে জিতেছে। ‘মাঠের সাইজ ভালো করে জানতে হবে। খেলোয়াড়দের মধ্যে ওই বিশ্বাস ঢুকিয়ে দেওয়া যে, মাঠ ছোট হলে রান তাড়া করা খুব সহজ। ম্যাচ রিডিং আমরা খুব ভালো করতে পারছি’—আশরাফুলের বিশ্লেষণ।
স্নায়ুক্ষয়ী মুহূর্তে রংপুরের সঙ্গে পেরে উঠছে না কোনো দল। গত পরশু সিলেটে খুলনার বিপক্ষে হারতে হারতে হুট করে শেষ দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতে গেছে রংপুর। প্রতিপক্ষকে ভালোভাবে পড়া, নিখুঁত পরিকল্পনা, মাঠের সাইজ, ম্যাচ রিডিং—সব মিলিয়ে রংপুর এখন পর্যন্ত সব কটি বক্সেই টিক মারতে পেরেছে ভালোভাবে, যেটা বাকিরা পারেনি। আশরাফুল বললেন, ‘অভিজ্ঞতার কারণে স্নায়ুচাপে উতরে যাচ্ছি। সবার মধ্যে ওই বিশ্বাসটা আছে। আমরা প্রতিপক্ষকে নিয়ে নিখুঁত পরিকল্পনা করি। কাল (পরশু) যেমন আমরা জানি যে খুলনা রান তাড়ায় দুর্বল, বিশেষ করে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের স্নায়ুচাপে ভেঙে পড়ার প্রবণতা থাকে। সেটাই হয়েছে। আমাদের খেলোয়াড়েরা ভেঙে পড়েনি।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টির এই যুগে শুধু মাঠের লড়াইয়ে খেলা সীমাবদ্ধ থাকে না, সামাজিক মাধ্যমেও সমান দাপট দেখাতে হয়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ফেসবুকে নানাভাবে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। জিতলেই ফেসবুকে প্রতিপক্ষকে নিয়ে ব্যঙ্গ-রসিকতা করাও যেন একটা নিয়মিত দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাতে এখন পর্যন্ত রংপুরের বেশি সুযোগ হচ্ছে প্রতিপক্ষকে নিয়ে ঠাট্টা-রসিকতা করার।
সিলেট পর্ব শেষে সাতে সাত করে পূর্ণ ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রামে রওনা দিয়েছে রংপুর। রংপুরের পরে সর্বোচ্চ ৩টি করে জিতেছে চিটাগং কিংস ও ফরচুন বরিশাল। দুই দলের পয়েন্ট সমান ৬। খুলনা, রাজশাহী আর সিলেটের পয়েন্ট সমান ৪। সবার নিচে থাকা ঢাকা ক্যাপিটালের পয়েন্ট ২। পরিসংখ্যান দেখুন, রান সংগ্রাহক ও উইকেটশিকারির সেরা তিনে এখন পর্যন্ত রংপুরের কোনো ব্যাটার কিংবা বোলার নেই। তবু দল হিসেবে তারা এত ভালো করছে কীভাবে? রংপুরের সহকারী কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল বলছেন, ‘আমাদের বেশির ভাগ জাতীয় দলের সব ক্রিকেটার খেলছে। ইফতেখার (আহমেদ), খুশদিল (শাহ) পাকিস্তান দলে খেলছে। বাংলাদেশের সোহান, শেখ মেহেদী, সাইফউদ্দিন—সবাই আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়। এটাই পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে। সবাই সবার ভূমিকা খুব ভালোভাবে জানে। ক্রিকেটে লাকটাও গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত ভাগ্যের ছোঁয়াও পাচ্ছি।’
রংপুর এগিয়ে থাকার আরেকটি কারণ দুর্দান্ত কয়েকজন অলরাউন্ডার। ইফতেখার, খুশদিল, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী, সাইফউদ্দিন—চার নম্বর থেকে আট নম্বর ব্যাটিং পজিশন পর্যন্ত যাঁরা খেলছেন, প্রত্যেকে দুর্দান্ত অলরাউন্ডার। খুশদিল ৫ ইনিংসে রান করেছেন ২১৫। পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের প্রায় ২০০ ছুঁই ছুঁই স্ট্রাইরকেট বলে দিচ্ছে, তিনি কীভাবে ম্যাচের রং বদলে দিচ্ছেন। খুশদিল বোলিংয়েও ভালো করছেন, নিয়েছেন ৯ উইকেট। ইফতেখারের রানও ২০০ পেরিয়ে গেছে। সোহান সেভাবে বড় ইনিংস না খেলার সুযোগ পেলেও ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে যেভাবে কঠিন সমীকরণ মিলিয়েছেন, তাঁর ব্যাটিংও প্রশংসিত হচ্ছে। আশরাফুল তাই বলছেন, ‘নাম্বার ফোর থেকে শুরু করে নাম্বার এইট পর্যন্ত সবাই কোয়ালিটি অলরাউন্ডার। সাদামাটা অলরাউন্ডার নয়। খুশদিল শাহ, ইফতেখাররা খুব ইমপ্যাক্ট ফেলছে।’
খুশদিল, নাহিদ রানা, আকিব জাবেদ, সাইফউদ্দিন, শেখ মেহেদীদের নিয়ে গড়া রংপুরের বোলিং আক্রমণও অনেক শক্তিশালী। টুর্নামেন্টের সেরা দশেই আছেন রংপুরের পাঁচ বোলার—খুশদিল, শেখ মেহেদী, নাহিদ রানা ৯টি করে উইকেট নিয়েছেন। আকিব জাভেদ, সাইফউদ্দিন পেয়েছেন ৮টি করে উইকেট। নাহিদ রানার ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হলেও রংপুর এখনো তাঁকে বিশ্রাম দেয়নি। ওপেনার সাইফ হাসান (২২৮) রান পাচ্ছেন। অ্যালেক্স হেলস বিপিএল ছেড়ে যাওয়ার আগে রংপুরকে একাধিক ম্যাচ জেতাতে ভূমিকা রেখেছেন।
টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ২০০ রানের ইনিংস দেখা গেছে ৮টি। এগুলোর মধ্যে রংপুরের আছে ২টা। দুবারই রংপুর রান তাড়া করে জিতেছে। ‘মাঠের সাইজ ভালো করে জানতে হবে। খেলোয়াড়দের মধ্যে ওই বিশ্বাস ঢুকিয়ে দেওয়া যে, মাঠ ছোট হলে রান তাড়া করা খুব সহজ। ম্যাচ রিডিং আমরা খুব ভালো করতে পারছি’—আশরাফুলের বিশ্লেষণ।
স্নায়ুক্ষয়ী মুহূর্তে রংপুরের সঙ্গে পেরে উঠছে না কোনো দল। গত পরশু সিলেটে খুলনার বিপক্ষে হারতে হারতে হুট করে শেষ দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতে গেছে রংপুর। প্রতিপক্ষকে ভালোভাবে পড়া, নিখুঁত পরিকল্পনা, মাঠের সাইজ, ম্যাচ রিডিং—সব মিলিয়ে রংপুর এখন পর্যন্ত সব কটি বক্সেই টিক মারতে পেরেছে ভালোভাবে, যেটা বাকিরা পারেনি। আশরাফুল বললেন, ‘অভিজ্ঞতার কারণে স্নায়ুচাপে উতরে যাচ্ছি। সবার মধ্যে ওই বিশ্বাসটা আছে। আমরা প্রতিপক্ষকে নিয়ে নিখুঁত পরিকল্পনা করি। কাল (পরশু) যেমন আমরা জানি যে খুলনা রান তাড়ায় দুর্বল, বিশেষ করে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের স্নায়ুচাপে ভেঙে পড়ার প্রবণতা থাকে। সেটাই হয়েছে। আমাদের খেলোয়াড়েরা ভেঙে পড়েনি।’
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে দলের প্রয়োজন মিটিয়েছেন। সেঞ্চুরির পর বোলিংয়েও মেহেদী হাসান মিরাজের ভেলকি। ৫ উইকেট নিয়ে তৃতীয় সেশনে একাই যেন ধসিয়ে দিলেন জিম্বাবুয়েকে। তাইজুল-মিরাজের সৌজন্যে তিন দিনেই জিম্বাবুয়েকে গুঁড়িয়ে সিরিজ বাঁচাল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে সফরকারীদের ইনিংস ও ১০৬ রানের বড়
১৫ মিনিট আগেনতুন কোচ নিয়োগ নিয়ে ঝক্কির মধ্যে আছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। এর মধ্যে যোগ হলো নতুন বিতর্ক। ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য ব্রাজিল জাতীয় দলের সম্ভাব্য নতুন অ্যাওয়ে জার্সির একটি ছবি ফাঁস হওয়ার পর দেশটিতে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এ বিতর্ক শুধু তাদের ক্রীড়াঙ্গনে নয়, ছড়িয়ে পড়েছে ব্রাজিলের রাজনৈতিক
১ ঘণ্টা আগেসিলেট টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। এই জয়ে জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি অসাধারণ অবদান রাখেন। বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দেওয়ার পুরস্কার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) থেকে পেয়েছেন মুজারাবানি।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম টেস্টে ২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমেছে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমেই তাইজুল ইসলাম-নাঈম হাসানদের ঘূর্ণি জাদুতে কাঁপাকাঁপি অবস্থা তাদের। ২২ রানেই হারিয়েছে ৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া তাইজুল এরই মধ্যে শিকার করেছেন ২ উইকেট। নাঈম নিয়েছেন একটি।
২ ঘণ্টা আগে