বিংশ শতাব্দীর সেরা ডেলিভারিটা তাঁর হাত থেকেই বেরিয়েছিল। লেগ স্পিন যদি হয় শিল্প, সেটির নিখুঁত শিল্পী তিনি। তবে স্ত্রীর কাছে কখনোই নিখুঁত হতে পারেননি শেন ওয়ার্ন। প্রতারণা করতে গিয়েও পার পাননি। শেষমেশ তাঁর সংসারটাই ভেঙেছে।
অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ওয়ার্নের ক্রিকেট ক্যারিয়ার যতটা বর্ণিল, মাঠের বাইরের জগৎ ততটাই কলঙ্কে মাখা। বলটাকে নিজের ইচ্ছে মতো ঘোরানোর পাশাপাশি অসংখ্য নারীকেও ঘুরিয়েছেন। একজনকে ছেড়ে আরেকজনকে বানিয়েছেন শয্যা সঙ্গী। কিন্তু কোথাও থিতু হতে পারেননি। ‘শেন’ নামে নিজের নতুন তথ্যচিত্রে উঠে এসেছে এসব কাহিনি।
২০০০ সালে ব্রিটেনের এক সেবিকাকে যৌন উত্তেজক বার্তা পাঠিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়কের পদ হারান ওয়ার্ন। সেটি জানার পরও মুখ বুজে সহ্য করে গেছেন তাঁর স্ত্রী সিমোন কালাহান। তবে একটা সময় স্বামীর প্রতি সিমোনের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তাই ২০০৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজ শুরুর আগে ওয়ার্নের সঙ্গে দেখা করতে ইংল্যান্ডে আসেন তিনি।
ওয়ার্নের ধোঁকাবাজি ধরা পড়ে সে সময়ই। সিমোন জানতে পারেন, একসঙ্গে দুই পরকীয়া চালাচ্ছেন ওয়ার্ন। একজন তিন সন্তানের মা ও অন্যের স্ত্রী কেরি কোলিমোর, আরেকজন ছাত্রী লরা সেয়ার্স।
এসব জানার পরও চুপ ছিলেন সিমোন। কদিন পর ওয়ার্নের অন্যতম ‘শিকার’ লরা নিজেই একটি পত্রিকাকে কুকীর্তির কথা ফাঁস করে দেন। জানান, বেশ কয়েকবার তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন অজি লেগ স্পিনার। পত্রিকার খবর চোখে পড়তেই তিন সন্তান নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ফিরে যান সিমোন। কিছু দিন পর ওয়ার্নকে তালাকও দেন তিনি।
অ্যাশেজ চলাকালীন স্ত্রী-সন্তান চলে যাওয়ায় মুষড়ে পড়েন ওয়ার্ন। এ ব্যাপারে ওয়ার্ন তাঁর তথ্যচিত্রে বলেছেন, ‘সিমোন আমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেই আমি মদ্যপ হয়ে পড়ি। প্রতি রাতেই বারে গিয়ে মদপান করতাম আর হোটেলে ফিরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতাম। সন্তানদের কথা খুব মনে পড়ত। ভাবতাম, ওদের সঙ্গে আর কোনো দিন দেখা হবে না।’
স্ত্রী সিমোন চলে যাওয়ার পর ওয়ার্নের জীবনে আসেন দুই মডেল কোরাইল এইসোলজ ও এমা কিয়ারনি। মানে, ওয়ার্ন বেশির ভাগ সময়ই একসঙ্গে একাধিক নারীর প্রেমে মজেছেন। এ দুই মডেলের সঙ্গে ৭০৮ টেস্ট উইকেট শিকারির ‘লীলাখেলা’ অবশ্য বেশি দিন জমেনি।
সবাইকে চমকে দিয়ে ২০০৭ সালে ফের ওয়ার্নের কাছে ফেরেন সাবেক স্ত্রী সিমোন। চেয়েছিলেন নতুন করে সংসার সাজাতে। ভেবেছিলেন ওয়ার্ন বোধ হয় নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু ওয়ার্ন শোধরালে তো! এ দফায় অন্য নারীকে কামোত্তেজক বার্তা পাঠাতে গিয়ে সিমোনের ফোন নম্বরে পাঠান ওয়ার্ন। ধোঁকাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে সেই যে চলে গেলেন, আর ফেরেননি সিমোন।
সিমোনের সঙ্গে পাকাপাকিভাবে বিচ্ছেদের পর ব্রিটিশ মডেল অভিনেত্রী লিজ হার্লিকে ফাঁদে ফেলেন ওয়ার্ন। ২০১১ সালে বাগদানও সারেন তাঁরা। তবে দুই বছর যেতেই এ জুটিরও ভাঙন ধরে।
ওয়ার্নের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে সিমোন হার্লিকেই দায়ী করেছেন। তথ্যচিত্রে তিনি হার্লিকে স্বার্থপর ও অপরিণত নারী উল্লেখ করে বলেছেন, ‘সে আমার পরিবারকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করেছে।’
তথ্যচিত্রে ওয়ার্নের ফিক্সিং কাণ্ডে জাড়ানোর ঘটনাও উঠে এসেছে। ১৯৯৫ সালে এক ভারতীয় বাজিকরকে ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে ম্যাচের পিচ সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলেন তিনি। যদি ৫২ বছর বয়সী কিংবদন্তি ব্যাপারটি অস্বীকার করেছেন। বরং পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সেলিম মালিক নাকি করাচি টেস্টে তাঁকে বাজে বোলিং করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
বিংশ শতাব্দীর সেরা ডেলিভারিটা তাঁর হাত থেকেই বেরিয়েছিল। লেগ স্পিন যদি হয় শিল্প, সেটির নিখুঁত শিল্পী তিনি। তবে স্ত্রীর কাছে কখনোই নিখুঁত হতে পারেননি শেন ওয়ার্ন। প্রতারণা করতে গিয়েও পার পাননি। শেষমেশ তাঁর সংসারটাই ভেঙেছে।
অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ওয়ার্নের ক্রিকেট ক্যারিয়ার যতটা বর্ণিল, মাঠের বাইরের জগৎ ততটাই কলঙ্কে মাখা। বলটাকে নিজের ইচ্ছে মতো ঘোরানোর পাশাপাশি অসংখ্য নারীকেও ঘুরিয়েছেন। একজনকে ছেড়ে আরেকজনকে বানিয়েছেন শয্যা সঙ্গী। কিন্তু কোথাও থিতু হতে পারেননি। ‘শেন’ নামে নিজের নতুন তথ্যচিত্রে উঠে এসেছে এসব কাহিনি।
২০০০ সালে ব্রিটেনের এক সেবিকাকে যৌন উত্তেজক বার্তা পাঠিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়কের পদ হারান ওয়ার্ন। সেটি জানার পরও মুখ বুজে সহ্য করে গেছেন তাঁর স্ত্রী সিমোন কালাহান। তবে একটা সময় স্বামীর প্রতি সিমোনের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তাই ২০০৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজ শুরুর আগে ওয়ার্নের সঙ্গে দেখা করতে ইংল্যান্ডে আসেন তিনি।
ওয়ার্নের ধোঁকাবাজি ধরা পড়ে সে সময়ই। সিমোন জানতে পারেন, একসঙ্গে দুই পরকীয়া চালাচ্ছেন ওয়ার্ন। একজন তিন সন্তানের মা ও অন্যের স্ত্রী কেরি কোলিমোর, আরেকজন ছাত্রী লরা সেয়ার্স।
এসব জানার পরও চুপ ছিলেন সিমোন। কদিন পর ওয়ার্নের অন্যতম ‘শিকার’ লরা নিজেই একটি পত্রিকাকে কুকীর্তির কথা ফাঁস করে দেন। জানান, বেশ কয়েকবার তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন অজি লেগ স্পিনার। পত্রিকার খবর চোখে পড়তেই তিন সন্তান নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ফিরে যান সিমোন। কিছু দিন পর ওয়ার্নকে তালাকও দেন তিনি।
অ্যাশেজ চলাকালীন স্ত্রী-সন্তান চলে যাওয়ায় মুষড়ে পড়েন ওয়ার্ন। এ ব্যাপারে ওয়ার্ন তাঁর তথ্যচিত্রে বলেছেন, ‘সিমোন আমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেই আমি মদ্যপ হয়ে পড়ি। প্রতি রাতেই বারে গিয়ে মদপান করতাম আর হোটেলে ফিরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতাম। সন্তানদের কথা খুব মনে পড়ত। ভাবতাম, ওদের সঙ্গে আর কোনো দিন দেখা হবে না।’
স্ত্রী সিমোন চলে যাওয়ার পর ওয়ার্নের জীবনে আসেন দুই মডেল কোরাইল এইসোলজ ও এমা কিয়ারনি। মানে, ওয়ার্ন বেশির ভাগ সময়ই একসঙ্গে একাধিক নারীর প্রেমে মজেছেন। এ দুই মডেলের সঙ্গে ৭০৮ টেস্ট উইকেট শিকারির ‘লীলাখেলা’ অবশ্য বেশি দিন জমেনি।
সবাইকে চমকে দিয়ে ২০০৭ সালে ফের ওয়ার্নের কাছে ফেরেন সাবেক স্ত্রী সিমোন। চেয়েছিলেন নতুন করে সংসার সাজাতে। ভেবেছিলেন ওয়ার্ন বোধ হয় নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু ওয়ার্ন শোধরালে তো! এ দফায় অন্য নারীকে কামোত্তেজক বার্তা পাঠাতে গিয়ে সিমোনের ফোন নম্বরে পাঠান ওয়ার্ন। ধোঁকাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে সেই যে চলে গেলেন, আর ফেরেননি সিমোন।
সিমোনের সঙ্গে পাকাপাকিভাবে বিচ্ছেদের পর ব্রিটিশ মডেল অভিনেত্রী লিজ হার্লিকে ফাঁদে ফেলেন ওয়ার্ন। ২০১১ সালে বাগদানও সারেন তাঁরা। তবে দুই বছর যেতেই এ জুটিরও ভাঙন ধরে।
ওয়ার্নের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে সিমোন হার্লিকেই দায়ী করেছেন। তথ্যচিত্রে তিনি হার্লিকে স্বার্থপর ও অপরিণত নারী উল্লেখ করে বলেছেন, ‘সে আমার পরিবারকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করেছে।’
তথ্যচিত্রে ওয়ার্নের ফিক্সিং কাণ্ডে জাড়ানোর ঘটনাও উঠে এসেছে। ১৯৯৫ সালে এক ভারতীয় বাজিকরকে ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে ম্যাচের পিচ সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলেন তিনি। যদি ৫২ বছর বয়সী কিংবদন্তি ব্যাপারটি অস্বীকার করেছেন। বরং পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সেলিম মালিক নাকি করাচি টেস্টে তাঁকে বাজে বোলিং করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
লাফ দিয়ে আকাশ ছোঁয়া যদি সম্ভব হতো, হয়তো সেটাও করে ফেলতেন আরমান্দ ডুপ্লান্টিস। পোল ভল্টে বিস্ময় জাগিয়ে তোলাটা রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করেছেন এই সুইডিশ অ্যাথলেট। গতকাল গড়েছেন নতুন বিশ্ব রেকর্ড। হাঙ্গেরির গ্রাঁ প্রিতে ৬ দশমিক ২৯ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে মাধ্যাকর্ষণকে আরেকবার বুড়ো আঙুল দেখালেন তিনি।
১২ ঘণ্টা আগেসকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এমন আবহাওয়ায় মিরপুরে ক্রিকেটারদের আলস্য আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশ দলের কন্ডিশনিং ও স্ট্রেংথ ট্রেইনার নাথান কেলির কাছে এসবের গুরুত্ব নেই। গুমোট আবহাওয়া হোক বা গরম, কাজের বেলায় তিনি একচুল ছাড় দেন না—এটাই বোঝা গেছে শেষ এক সপ্তাহের ফিটনেস ক্যাম্পে।
১২ ঘণ্টা আগেইউরোপিয়ান ফুটবলে নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার তোড়জোড় চলছে। ১৫ আগস্ট থেকে পর্দা উঠবে লা লিগার ৯৫তম মৌসুমের। বার্সেলোনা নামবে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। জাবি আলোনসোকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখা রিয়াল মাদ্রিদও চায় আধিপত্য ফেরাতে। সব মিলিয়ে নতুন মৌসুমে লা লিগায় ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা বিষয়াদি নিয়েই এই উপস
১৬ ঘণ্টা আগেসিঙ্গাপুর ম্যাচের পরপরই একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল, সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডোতে হামজা চৌধুরী খেলবেন তো। সে অনিশ্চয়তা কাটেনি এখনো। যদিও হামজাকে দলে রেখেই ২৪ জনের স্কোয়াড সাজিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
১৬ ঘণ্টা আগে