অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চান না হৃদয়

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। কাছাকাছি গেলেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের হাত থেকে সিরিজ ফস্কে গেছে। তবে তাওহীদ হৃদয়ের মতে, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে দারুণ কিছু করা সম্ভব। 

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গত পরশু শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেই সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই বাংলাদেশের সিরিজ নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল। তবে ৪ মার্চ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ হেরে যায় ৩ রানে। পরের ম্যাচে ৬ মার্চ বাংলাদেশ জিতেছে ৮ উইকেটে। তবে গত পরশু সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই হৃদয় করেন ৩২ রান। বাকি দুই ম্যাচে (প্রথম ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি) আউট হয়েছেন দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আগেই। যার মধ্যে শেষ ম্যাচে মেরেছেন গোল্ডেন ডাক। অথচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে শেষ হওয়া বিপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ছিলেন হৃদয়ই। 

টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে পরশু চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। হৃদয় যেন এই সিরিজকেই পাখির চোখ করছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘যেটা চলে গেছে, সেটা বলে আর লাভ নেই। আমরা সেখানে যে ভুল করেছি, সামনের ম্যাচে সেগুলো যত কম করব, প্রত্যেক ম্যাচেই ভালো প্রভাব ফেলবে। ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে ভালো লাগে। দল হিসেবে যদি বলি, সিরিজ জেতার জন্যই অবশ্যই খেলব। আমাদের ভেতর সে ক্ষুধা আছে। আমি মনে করি যে সিরিজটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটা সিরিজ যেহেতু আমরা হেরেছি। যেটা বলছিলাম যে এই সিরিজটা আমাদের জন্য একটু চ্যালেঞ্জিং হবে। আমাদের সেরাটা দিয়ে যদি খেলতে পারি, তাহলে ইনশা আল্লাহ ভালো কিছুই হবে।’ 

ওয়ানডেতে হৃদয়ের পথচলা গত বছরের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ২৭ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৪.৬১ গড়ে করেন ৭২৭ রান। ওয়ানডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস তার এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই। পরশু আবার যখন একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলা, সেটা অনুপ্রাণিত করারই কথা। হৃদয় অবশ্য উত্তর দিয়েছেন একটু ভিন্নভাবে, ‘এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ৮২ রানের ভালো ইনিংস ছিল। বিশ্বকাপে শেষ সময়ে নেমেছিলাম, সেখানেও ছিল একটা। আগেও যেটা বললাম, সেটা আমার কাছে অতীত। অতীত নিয়ে ভাবতে চাই না। সেখান থেকে আমি হয়তো অনুপ্রেরণা পাব। তবে নির্দিষ্ট দিনেই আমাকে ভালো খেলতে হবে। দিনটা যত ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারব, ততই আমার জন্য ভালো হবে।’