রানা আব্বাস
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর খেলোয়াড়েরা ছুটিতে গেলেও বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো আছেন ঢাকাতেই। শিগগির তাঁকে নেমে পড়তে হবে মাঠে। পরশু আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডমিঙ্গো বললেন অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ও বাংলাদেশে তাঁর দুই বছরের অধ্যায় নিয়ে।
প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪–১ ব্যবধানে সিরিজ জেতা কতটা তৃপ্তিদায়ক?
রাসেল ডমিঙ্গো: অবশ্যই তৃপ্তির ব্যাপার। যদিও আমার জন্য খুব বেশি না। দল, অধিনায়ক ও খেলোয়াড়দের জন্যই বেশি। তাঁরা অনেক পরিশ্রম করেছে। গত কয়েক মাস ছেলেরা যে পরিশ্রম করেছে, এটা তারই ফল।
প্রশ্ন: তরুণ খেলোয়াড়েরা যেভাবে খেলেছে, এটা দেখা কতটা আনন্দদায়ক ছিল?
ডমিঙ্গো: বাংলাদেশে সিনিয়র ও তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে অনেক কথা হয়। এটা অপ্রয়োজনীয়। আমি তাদের তরুণ খেলোয়াড় বলব না, বরং কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়ই বলতে চাইব। তবে আফিফ, শামীম, শেখ মেহেদী, নাঈম, সোহান (নুরুল) দারুণ খেলেছে। তারা রোমাঞ্চ নিয়ে এসেছে, শরীরীভাষাও দারুণ ছিল। ভালো করতে তারা বেশ ক্ষুধার্তও ছিল। সামনে এগিয়ে এসে দলকে তারা ম্যাচ জিতিয়েছে, এটা দেখা ছিল দারুণ ব্যাপার।
প্রশ্ন: অনেকে বলেন, সাকিব-তামিম-মুশফিকরা অবসরে গেলে বিরাট এক শূন্যতা তৈরি হবে বাংলাদেশ দলে। তাঁদের শূন্যস্থান পূরণে তরুণদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?
ডমিঙ্গো: সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ লম্বা সময় বাংলাদেশ দলকে আগলে রেখেছে। তাঁরা সবাই দুর্দান্ত খেলোয়াড়। কিন্তু একসময় তাঁরা আর থাকবে না। সময়ের সঙ্গে অন্যদেরও এগিয়ে এসে তাঁদের (সাকিব-মুশফিকদের) জায়গা নিতে হবে এবং সেই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের উচিত নতুন খেলোয়াড়ের ওপর বিনিয়োগ করা। এটা নিশ্চিত করতে হবে যে নতুনেরা পুরোনোদের জায়গাটা ঠিকভাবে নিতে পারছে। তাঁরা (সাকিব-মুশফিকরা) দুর্দান্ত খেলোয়াড়, এই জায়গা নেওয়ার কাজটা মোটেই সহজ হবে না। জাতীয় দলের নিচের কাঠামোগুলোতে ভালো খেলোয়াড় তৈরি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এমন খেলোয়াড় যেন তৈরি হয়, যারা জায়গাগুলো নিতে পারবে।
প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মোস্তাফিজুর রহমান যে বোলিং করেছেন, কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
ডমিঙ্গো: কোনো সন্দেহ নেই যে মোস্তাফিজ একজন অসাধারণ বোলার। দীর্ঘ সময় ধরে সে বিশ্বমানের বোলার। হ্যাঁ, আমাদের উইকেট তাঁর ডেলিভারির পরিবর্তন ও বৈচিত্র্যের জন্য মানানসই। নিজেদের কন্ডিশনে তাঁর এমন বোলিং পারফরম্যান্স দেখাটা দারুণ ব্যাপার।
প্রশ্ন: এ সিরিজে সাফল্য পেতে সাকিব আল হাসানকে কি আরও ক্ষুধার্ত দেখাল?
ডমিঙ্গো: সাকিবের যে নিবেদন, সেটা দুর্দান্ত। এটা শুধু দক্ষতার ব্যাপার না। বাংলাদেশের খেলার সময় সে যেমন মানসিকতা দেখায়, তা দারুণ। গত কয়েক মাস তাঁর মাইন্ড-সেট খুব ভালো অবস্থায় আছে। সে যেভাবে খেলেছে, আমি তৃপ্ত। সে সব সময় ভালো করে। নিশ্চিত করতে হবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের এই ক্ষুধা যেন অব্যাহত থাকে।
প্রশ্ন: এই সিরিজে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অধিনায়কত্ব কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ডমিঙ্গো: রিয়াদের সঙ্গে কাজ করা খুবই উপভোগ করি। সে খুবই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। বাংলাদেশ দলের হয়ে ভালো করতে সে খুবই নিবেদিত। পারফরম্যান্স দিয়ে সে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেয়। টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেলার ব্যাপারে সে খেলোয়াড়দের বেশ উৎসাহ দেয়। শুধু মাঠের কৌশল নয়, মাঠের বাইরেও সে যেভাবে দল পরিচালনা করে, আমি খুশি।
প্রশ্ন: এত ইতিবাচক দিক থাকার পরও বাংলাদেশ টপ অর্ডার নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। বিশেষ করে সৌম্য সরকারের ছন্দ হারিয়ে ফেলা নিয়ে কথা হচ্ছে।
ডমিঙ্গো: খেলোয়াড়দের নিয়ে সমালোচনা থাকেই। বিশ্বে এমন কোনো খেলোয়াড় নেই যে প্রতি ম্যাচে ও প্রতি সিরিজে রান করে। মানুষ ভুলে গেছে সর্বশেষ সিরিজেও সৌম্য সিরিজসেরা হয়েছিল। এই সিরিজে কোনো ব্যাটসম্যান খুব বেশি ভালো করতে পারেনি। তাকে নিয়ে অনেক অন্যায় সমালোচনা হয়। সে আমাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়। তাকে আমাদের সমর্থন করতে হবে। দর্শক ও মিডিয়ারও তাকে সমর্থন দেওয়া উচিত। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে।
প্রশ্ন: মিরপুরের উইকেট নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই উইকেটে খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যথার্থ প্রস্তুতি হবে না। উইকেট নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
ডমিঙ্গো: আমি কিন্তু গ্রাউন্ডসম্যান না। উইকেট তৈরিতে আমার কোনো নির্দেশনা থাকে না। আমার মনে হয়, অনেক বৃষ্টি ছিল। আর্দ্রতার কারণে উইকেট কঠিন হয়ে যায়। এটি ব্যাটসম্যানদের কাজটা কঠিন করে দেয়।
প্রশ্ন: আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি?
ডমিঙ্গো: বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে বেশ আগে থেকে কথা হচ্ছে। জানি না মানুষ কেন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলছে! বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সামনের মাসগুলোয় শুরু হবে।
প্রশ্ন: কদিন পর নিউজিল্যান্ড আসছে বাংলাদেশে। এই দলের বিপক্ষেও ভালো করতে কতটা আশাবাদী?
ডমিঙ্গো: নিউজিল্যান্ড খুবই ভালো দল। এই মুহূর্তে তাদের দলে বেশ গভীরতা আছে। এমন উদ্ধত হয়ে বলতে পারি না যে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করব! তারা দুই-তিন বছর সাদা বলের অন্যতম সেরা দল। আমরা জানি, সিরিজ জিততে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। তারাও নিজেদের প্রমাণ করতে চাইবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের কোচ হওয়ার দুই বছর পূর্ণ হলো আপনার। এই সময়ের কাজ নিয়ে নিজেকে ১০-এ কত দেবেন?
ডমিঙ্গো: এটা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে চাই না।
প্রশ্ন: আপনার এই দুই বছরে বাংলাদেশ সাদা বলের ক্রিকেটে বেশ কিছু স্মরণীয় জয় পেয়েছে। কিন্তু লাল বলে দলের ফল প্রত্যাশিত নয়। এখানে উন্নতি করতে করণীয় কী?
ডমিঙ্গো: টেস্টে উন্নতি করার একমাত্র উপায় হচ্ছে ছেলেদের ঘরোয়া পর্যায়ে অনেক বেশি চার দিনের ম্যাচ খেলতে হবে। সামনে খুব কম টেস্ট আছে। আমাদের পরের টেস্ট নভেম্বরে। ছয় মাস পরপর টেস্ট খেললে উন্নতির ধারাবাহিকতা দেখানো কঠিন। এর মাঝে টেস্ট খেলোয়াড়দের সামনে খুব বেশি চার দিনের ম্যাচও নেই। এদিকে নজর দিতে হবে। ছেলেদের যথেষ্ট টেস্ট খেলার সুযোগ দিতে হবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচের বিরতিতে অনেক বেশি চার দিনের ম্যাচ খেললে সুফল পাওয়া যেতে পারে। যদিও কোভিড পরিস্থিতিতে এটা কঠিন। কিন্তু আমাদের আউট অব দ্য বক্স ভাবতে হবে। এমন উপায় বের করার চেষ্টা করতে হবে যেন টেস্ট খেলোয়াড়েরা অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক চার দিনের ক্রিকেট খেলতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর খেলোয়াড়েরা ছুটিতে গেলেও বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো আছেন ঢাকাতেই। শিগগির তাঁকে নেমে পড়তে হবে মাঠে। পরশু আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডমিঙ্গো বললেন অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ও বাংলাদেশে তাঁর দুই বছরের অধ্যায় নিয়ে।
প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪–১ ব্যবধানে সিরিজ জেতা কতটা তৃপ্তিদায়ক?
রাসেল ডমিঙ্গো: অবশ্যই তৃপ্তির ব্যাপার। যদিও আমার জন্য খুব বেশি না। দল, অধিনায়ক ও খেলোয়াড়দের জন্যই বেশি। তাঁরা অনেক পরিশ্রম করেছে। গত কয়েক মাস ছেলেরা যে পরিশ্রম করেছে, এটা তারই ফল।
প্রশ্ন: তরুণ খেলোয়াড়েরা যেভাবে খেলেছে, এটা দেখা কতটা আনন্দদায়ক ছিল?
ডমিঙ্গো: বাংলাদেশে সিনিয়র ও তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে অনেক কথা হয়। এটা অপ্রয়োজনীয়। আমি তাদের তরুণ খেলোয়াড় বলব না, বরং কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়ই বলতে চাইব। তবে আফিফ, শামীম, শেখ মেহেদী, নাঈম, সোহান (নুরুল) দারুণ খেলেছে। তারা রোমাঞ্চ নিয়ে এসেছে, শরীরীভাষাও দারুণ ছিল। ভালো করতে তারা বেশ ক্ষুধার্তও ছিল। সামনে এগিয়ে এসে দলকে তারা ম্যাচ জিতিয়েছে, এটা দেখা ছিল দারুণ ব্যাপার।
প্রশ্ন: অনেকে বলেন, সাকিব-তামিম-মুশফিকরা অবসরে গেলে বিরাট এক শূন্যতা তৈরি হবে বাংলাদেশ দলে। তাঁদের শূন্যস্থান পূরণে তরুণদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?
ডমিঙ্গো: সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ লম্বা সময় বাংলাদেশ দলকে আগলে রেখেছে। তাঁরা সবাই দুর্দান্ত খেলোয়াড়। কিন্তু একসময় তাঁরা আর থাকবে না। সময়ের সঙ্গে অন্যদেরও এগিয়ে এসে তাঁদের (সাকিব-মুশফিকদের) জায়গা নিতে হবে এবং সেই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের উচিত নতুন খেলোয়াড়ের ওপর বিনিয়োগ করা। এটা নিশ্চিত করতে হবে যে নতুনেরা পুরোনোদের জায়গাটা ঠিকভাবে নিতে পারছে। তাঁরা (সাকিব-মুশফিকরা) দুর্দান্ত খেলোয়াড়, এই জায়গা নেওয়ার কাজটা মোটেই সহজ হবে না। জাতীয় দলের নিচের কাঠামোগুলোতে ভালো খেলোয়াড় তৈরি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এমন খেলোয়াড় যেন তৈরি হয়, যারা জায়গাগুলো নিতে পারবে।
প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মোস্তাফিজুর রহমান যে বোলিং করেছেন, কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
ডমিঙ্গো: কোনো সন্দেহ নেই যে মোস্তাফিজ একজন অসাধারণ বোলার। দীর্ঘ সময় ধরে সে বিশ্বমানের বোলার। হ্যাঁ, আমাদের উইকেট তাঁর ডেলিভারির পরিবর্তন ও বৈচিত্র্যের জন্য মানানসই। নিজেদের কন্ডিশনে তাঁর এমন বোলিং পারফরম্যান্স দেখাটা দারুণ ব্যাপার।
প্রশ্ন: এ সিরিজে সাফল্য পেতে সাকিব আল হাসানকে কি আরও ক্ষুধার্ত দেখাল?
ডমিঙ্গো: সাকিবের যে নিবেদন, সেটা দুর্দান্ত। এটা শুধু দক্ষতার ব্যাপার না। বাংলাদেশের খেলার সময় সে যেমন মানসিকতা দেখায়, তা দারুণ। গত কয়েক মাস তাঁর মাইন্ড-সেট খুব ভালো অবস্থায় আছে। সে যেভাবে খেলেছে, আমি তৃপ্ত। সে সব সময় ভালো করে। নিশ্চিত করতে হবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের এই ক্ষুধা যেন অব্যাহত থাকে।
প্রশ্ন: এই সিরিজে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অধিনায়কত্ব কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ডমিঙ্গো: রিয়াদের সঙ্গে কাজ করা খুবই উপভোগ করি। সে খুবই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। বাংলাদেশ দলের হয়ে ভালো করতে সে খুবই নিবেদিত। পারফরম্যান্স দিয়ে সে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেয়। টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেলার ব্যাপারে সে খেলোয়াড়দের বেশ উৎসাহ দেয়। শুধু মাঠের কৌশল নয়, মাঠের বাইরেও সে যেভাবে দল পরিচালনা করে, আমি খুশি।
প্রশ্ন: এত ইতিবাচক দিক থাকার পরও বাংলাদেশ টপ অর্ডার নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। বিশেষ করে সৌম্য সরকারের ছন্দ হারিয়ে ফেলা নিয়ে কথা হচ্ছে।
ডমিঙ্গো: খেলোয়াড়দের নিয়ে সমালোচনা থাকেই। বিশ্বে এমন কোনো খেলোয়াড় নেই যে প্রতি ম্যাচে ও প্রতি সিরিজে রান করে। মানুষ ভুলে গেছে সর্বশেষ সিরিজেও সৌম্য সিরিজসেরা হয়েছিল। এই সিরিজে কোনো ব্যাটসম্যান খুব বেশি ভালো করতে পারেনি। তাকে নিয়ে অনেক অন্যায় সমালোচনা হয়। সে আমাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়। তাকে আমাদের সমর্থন করতে হবে। দর্শক ও মিডিয়ারও তাকে সমর্থন দেওয়া উচিত। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে।
প্রশ্ন: মিরপুরের উইকেট নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই উইকেটে খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যথার্থ প্রস্তুতি হবে না। উইকেট নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
ডমিঙ্গো: আমি কিন্তু গ্রাউন্ডসম্যান না। উইকেট তৈরিতে আমার কোনো নির্দেশনা থাকে না। আমার মনে হয়, অনেক বৃষ্টি ছিল। আর্দ্রতার কারণে উইকেট কঠিন হয়ে যায়। এটি ব্যাটসম্যানদের কাজটা কঠিন করে দেয়।
প্রশ্ন: আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি?
ডমিঙ্গো: বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে বেশ আগে থেকে কথা হচ্ছে। জানি না মানুষ কেন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলছে! বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সামনের মাসগুলোয় শুরু হবে।
প্রশ্ন: কদিন পর নিউজিল্যান্ড আসছে বাংলাদেশে। এই দলের বিপক্ষেও ভালো করতে কতটা আশাবাদী?
ডমিঙ্গো: নিউজিল্যান্ড খুবই ভালো দল। এই মুহূর্তে তাদের দলে বেশ গভীরতা আছে। এমন উদ্ধত হয়ে বলতে পারি না যে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করব! তারা দুই-তিন বছর সাদা বলের অন্যতম সেরা দল। আমরা জানি, সিরিজ জিততে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। তারাও নিজেদের প্রমাণ করতে চাইবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের কোচ হওয়ার দুই বছর পূর্ণ হলো আপনার। এই সময়ের কাজ নিয়ে নিজেকে ১০-এ কত দেবেন?
ডমিঙ্গো: এটা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে চাই না।
প্রশ্ন: আপনার এই দুই বছরে বাংলাদেশ সাদা বলের ক্রিকেটে বেশ কিছু স্মরণীয় জয় পেয়েছে। কিন্তু লাল বলে দলের ফল প্রত্যাশিত নয়। এখানে উন্নতি করতে করণীয় কী?
ডমিঙ্গো: টেস্টে উন্নতি করার একমাত্র উপায় হচ্ছে ছেলেদের ঘরোয়া পর্যায়ে অনেক বেশি চার দিনের ম্যাচ খেলতে হবে। সামনে খুব কম টেস্ট আছে। আমাদের পরের টেস্ট নভেম্বরে। ছয় মাস পরপর টেস্ট খেললে উন্নতির ধারাবাহিকতা দেখানো কঠিন। এর মাঝে টেস্ট খেলোয়াড়দের সামনে খুব বেশি চার দিনের ম্যাচও নেই। এদিকে নজর দিতে হবে। ছেলেদের যথেষ্ট টেস্ট খেলার সুযোগ দিতে হবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচের বিরতিতে অনেক বেশি চার দিনের ম্যাচ খেললে সুফল পাওয়া যেতে পারে। যদিও কোভিড পরিস্থিতিতে এটা কঠিন। কিন্তু আমাদের আউট অব দ্য বক্স ভাবতে হবে। এমন উপায় বের করার চেষ্টা করতে হবে যেন টেস্ট খেলোয়াড়েরা অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক চার দিনের ক্রিকেট খেলতে পারে।
ঘুমিয়ে পড়া বাংলাদেশ ফুটবল জেগে ওঠার স্বপ্ন দেখছে প্রবাসী ফুটবলারদের ঘিরে। ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে শুরুর একাদশে ৫ জনই ছিলেন প্রবাসী। যদিও ম্যাচটি জিততে পারেনি বাংলাদেশ, হেরেছে ২-১ গোলে। শুরুতে ধাক্কা খেলেও সফলতার খোঁজে বাংলাদেশ চোখ রাখতে পারে সুরিনামের দিকে।
১ সেকেন্ড আগেক্লাব বিশ্বকাপে আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। রাত ১টায় রিয়াল খেলকে পাচুয়ার বিপক্ষে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আল হিলালের সঙ্গে ড্র করেছে তারা। কাল সকাল ৭টায় ম্যানসিটি মাঠে নামবে সৌদির ক্লাব আল আইনের বিপক্ষে।
৮ মিনিট আগেআর্জেন্টিনা জিতল সবশেষ ফুটবল বিশ্বকাপ। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপেও লাতিনের দলগুলো যেভাবে দাপট দেখাচ্ছে—তাহলে কি এবার এই টুর্নামেন্টও জিতবে লাতিন আমেরিকার কোনো ক্লাব? এই প্রশ্নে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোর কোচ ফিলিপে লুইসের উত্তর অন্তত ‘হ্যাঁ’।
২৪ মিনিট আগেগলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
১৪ ঘণ্টা আগে