রানা আব্বাস, আবুধাবি থেকে
আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ২০ হাজার। কাল মেরেকেটে ২ হাজার দর্শকও হলো না! অথচ ম্যাচটা কিনা বাংলাদেশের। পৃথিবীর এমন কোনো ভূখণ্ড আছে, যেখানে বাংলাদেশ দল খেলতে গেলে দর্শক হয় না? তাও আবার আবুধাবির মতো বাংলাদেশি প্রবাসী-অধ্যুষিত শহরে!
কিন্তু কাল আবুধাবিতে দর্শকের ঢল কোথায়? লিটন-তাসকিনদের প্রতিপক্ষ ছিল হংকং। তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ দেখতে এসে মূল্যবান দিরহাম আর কর্মঘণ্টা ‘নষ্ট’ করতে চান না অনেক প্রবাসী দর্শক! তাঁরা বরং এ মাঠেই হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ‘ব্লকবাস্টার’ দেখার অপেক্ষায়। যে দর্শকেরা কাল খেলা দেখতে এসেছেন তাঁদের মধ্যে সাকিব আল হাসানের ভক্তই যেন বেশি। বাহারি প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাঁরা হাজির স্টেডিয়ামে। এক দর্শকের গেঞ্জিতে ‘দ্য গোট’ বা গ্রেটেস্ট অব অল টাইম লেখার সঙ্গে সাকিবের চিরচেনা সেই আবেদনের ছবি। ওই দর্শকের চোখে, ‘রাজা তো রাজাই। রাজা সব সময় রাজা। দ্য গোট।’ বিসিবির প্রতি তাঁর অনুরোধ, ‘বাংলাদেশের মাঠে তাঁকে যেন একটা ম্যাচ খেলতে দেওয়া হয়।’
আরেক দর্শক হাজির সাকিবের সঙ্গে তোলা একটা ছবি নিয়ে। সর্বশেষ টি-টেনে বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে তিনি বড় অভিমান নিয়ে নাকি বলেছিলেন, বাংলাদেশের খেলা আর দেখবেনই না! সাকিবই তাঁকে বুঝিয়েছেন, বাংলাদেশের খেলা যেন কিছুতেই দেখা না ছাড়েন! তাই তো তিনি কাল আবার মাঠে। বললেন, ‘টি-টেনে সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, গল্প হয়েছিল। তিনি তখন জার্সি, ক্যাপ, ট্রাউজার উপহার দিয়েছিলেন। ছবি তুলেছিলাম। তখন বলেছিলাম, বাংলাদেশের ম্যাচ আর দেখব না! তিনি বলেছেন, না দেখবা। তাঁর কথা অনুযায়ী মাঠে এসেছি।’
সাকিব আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়েছেন। তবে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন খেলছেন ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল)। অ্যান্টিগার হয়ে পারফরম্যান্স তাঁর নেহাত মন্দ নয়। সাকিব আপাতত অতীত হলেও বাংলাদেশ এখনো খুঁজে পায়নি তাঁর মতো একজন নিখাদ অলরাউন্ডার। বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলে বৈচিত্র্যময় বোলিং বিভাগ আছে। ব্যাটিং বিভাগে টপ অর্ডার আগের চেয়ে শক্তিশালী। ফিনিশিং ভূমিকায় শামীম-জাকিরের মতো ব্যাটার আছেন। তবে সাকিবের প্রস্থানের পর একজন জেনুইন অলরাউন্ডার এখনো দেখা যায়নি টি-টোয়েন্টি দলে। মেহেদী হাসান মিরাজ হতে পারতেন সাকিবের ভালো বিকল্প। তাঁকে অবশ্য টেস্ট ও ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতে অপরিহার্য মনে করেন না টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকেরা।
মাঠের খেলায় সাকিবের শূন্যতা তাই সহসা পূরণ হচ্ছে না। আর লম্বা সময় ধারাবাহিক দাপুটে পারফরম্যান্সে সাকিবের যে বিশাল ফ্যানবেজ, সেটির প্রভাব এখনো এতটা, বাংলাদেশের ম্যাচ হলেই অনুভব হয়। মরুতে হতে যাওয়া আরেকটি এশিয়া কাপে দর্শকেরা তাই সাকিবকে বড্ড মিস করবেন, এ আর অস্বাভাবিক কী!
আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ২০ হাজার। কাল মেরেকেটে ২ হাজার দর্শকও হলো না! অথচ ম্যাচটা কিনা বাংলাদেশের। পৃথিবীর এমন কোনো ভূখণ্ড আছে, যেখানে বাংলাদেশ দল খেলতে গেলে দর্শক হয় না? তাও আবার আবুধাবির মতো বাংলাদেশি প্রবাসী-অধ্যুষিত শহরে!
কিন্তু কাল আবুধাবিতে দর্শকের ঢল কোথায়? লিটন-তাসকিনদের প্রতিপক্ষ ছিল হংকং। তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ দেখতে এসে মূল্যবান দিরহাম আর কর্মঘণ্টা ‘নষ্ট’ করতে চান না অনেক প্রবাসী দর্শক! তাঁরা বরং এ মাঠেই হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ‘ব্লকবাস্টার’ দেখার অপেক্ষায়। যে দর্শকেরা কাল খেলা দেখতে এসেছেন তাঁদের মধ্যে সাকিব আল হাসানের ভক্তই যেন বেশি। বাহারি প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাঁরা হাজির স্টেডিয়ামে। এক দর্শকের গেঞ্জিতে ‘দ্য গোট’ বা গ্রেটেস্ট অব অল টাইম লেখার সঙ্গে সাকিবের চিরচেনা সেই আবেদনের ছবি। ওই দর্শকের চোখে, ‘রাজা তো রাজাই। রাজা সব সময় রাজা। দ্য গোট।’ বিসিবির প্রতি তাঁর অনুরোধ, ‘বাংলাদেশের মাঠে তাঁকে যেন একটা ম্যাচ খেলতে দেওয়া হয়।’
আরেক দর্শক হাজির সাকিবের সঙ্গে তোলা একটা ছবি নিয়ে। সর্বশেষ টি-টেনে বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে তিনি বড় অভিমান নিয়ে নাকি বলেছিলেন, বাংলাদেশের খেলা আর দেখবেনই না! সাকিবই তাঁকে বুঝিয়েছেন, বাংলাদেশের খেলা যেন কিছুতেই দেখা না ছাড়েন! তাই তো তিনি কাল আবার মাঠে। বললেন, ‘টি-টেনে সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, গল্প হয়েছিল। তিনি তখন জার্সি, ক্যাপ, ট্রাউজার উপহার দিয়েছিলেন। ছবি তুলেছিলাম। তখন বলেছিলাম, বাংলাদেশের ম্যাচ আর দেখব না! তিনি বলেছেন, না দেখবা। তাঁর কথা অনুযায়ী মাঠে এসেছি।’
সাকিব আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়েছেন। তবে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন খেলছেন ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল)। অ্যান্টিগার হয়ে পারফরম্যান্স তাঁর নেহাত মন্দ নয়। সাকিব আপাতত অতীত হলেও বাংলাদেশ এখনো খুঁজে পায়নি তাঁর মতো একজন নিখাদ অলরাউন্ডার। বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলে বৈচিত্র্যময় বোলিং বিভাগ আছে। ব্যাটিং বিভাগে টপ অর্ডার আগের চেয়ে শক্তিশালী। ফিনিশিং ভূমিকায় শামীম-জাকিরের মতো ব্যাটার আছেন। তবে সাকিবের প্রস্থানের পর একজন জেনুইন অলরাউন্ডার এখনো দেখা যায়নি টি-টোয়েন্টি দলে। মেহেদী হাসান মিরাজ হতে পারতেন সাকিবের ভালো বিকল্প। তাঁকে অবশ্য টেস্ট ও ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতে অপরিহার্য মনে করেন না টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকেরা।
মাঠের খেলায় সাকিবের শূন্যতা তাই সহসা পূরণ হচ্ছে না। আর লম্বা সময় ধারাবাহিক দাপুটে পারফরম্যান্সে সাকিবের যে বিশাল ফ্যানবেজ, সেটির প্রভাব এখনো এতটা, বাংলাদেশের ম্যাচ হলেই অনুভব হয়। মরুতে হতে যাওয়া আরেকটি এশিয়া কাপে দর্শকেরা তাই সাকিবকে বড্ড মিস করবেন, এ আর অস্বাভাবিক কী!
শ্রেয়াস আইয়ারের মতো ক্রিকেটার এশিয়া কাপের দলে সুযোগ না পাওয়ায় হয়েছিল অনেক সমালোচনা। অজিত আগারকারও উত্তর দিতে গিয়ে এক রকম নিরুপায় হয়ে পড়েছিলেন। অফফর্ম থাকলে তো জায়গা মেলেই না। এমনকি ফর্মে থাকা ক্রিকেটারও ভারতের একাদশে সুযোগ পান না।
১৮ মিনিট আগেলিটন দাস এত ধারাবাহিক কবে ছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর হয়তো তিনি নিজেও খুঁজে পাবেন না। ‘হ্যালির ধূমকেতু’র মতো অনেক দিন পরপর জ্বলে ওঠা লিটন রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। বাংলাদেশের অধিনায়কের দুর্দান্ত ব্যাটিং দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ওয়াসিম জাফর-মুরালি কার্তিকরা।
১ ঘণ্টা আগেনানা মুনির নানা মত—এশিয়া কাপ, আইসিসি ইভেন্ট এলে বহুল প্রচলিত এই কথাটার বাস্তব প্রমাণ দেখা যায়। টুর্নামেন্টে কে হবে চ্যাম্পিয়ন, কার দৌড় কত দূর—এসব নিয়ে চলে বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা। তবে বাংলাদেশের তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব এগুলো নিয়ে তেমন একটা ভাবেন না।
২ ঘণ্টা আগে২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনো বাকি ৯ মাস সময়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকোতে আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে হবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। কিন্তু ভক্ত-সমর্থকদের যে ফুটবলের এই উৎসব দেখতে তর সইছে না। প্রথম দফায় টিকিট ছাড়তেই ফিফার সাইটে ভক্ত-সমর্থকেরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে