রানা আব্বাস, আবুধাবি থেকে
আবুধাবিতে গতকাল এক টিকিটে দুই ম্যাচ দেখার সুযোগ ছিল দর্শকদের। আইসিসি সংবাদমাধ্যমকর্মীদেরও সুযোগ দিয়েছিল একসঙ্গে দুটি ম্যাচ কাভার করার। পাকিস্তানের ম্যাচ সন্ধ্যায় থাকলেও দুপুরে বাংলাদেশ-ম্যাচে প্রেসবক্সে উপস্থিত পাকিস্তানি সাংবাদিকদের কেউ কেউ অবাক দৃষ্টিতে প্রশ্ন করলেন, মাহমুদউল্লাহদের এই ভগ্ন দশা কেন?
প্রশ্নটার উত্তর খুঁজতে গিয়ে অনেক কারণই সামনে আসবে। এর মধ্যে একটি প্রসঙ্গ এল তাসকিন আহমেদের সংবাদ সম্মেলনে—ঘরের মাঠে বাজে উইকেটে খেলে কীভাবে উন্নতি করা সম্ভব! দুই দিন আগে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলছিলেন, তাঁরা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো উইকেট চান। যে উইকেটে ১৮০-২০০ রানের স্কোর হবে নিয়মিত। ধারাবাহিক বড় স্কোর তোলার অভ্যাস থাকলে পাওয়া যাবে পাওয়ার হিটার। বোলাররাও চ্যালেঞ্জটা নিতে শিখবেন। গতকাল তাসকিনও বললেন, দেশে তাঁরা নিয়মিত ভালো উইকেটে খেলতে চান, ‘এখানকার উইকেট অনেক স্পোর্টিং। মিরপুরের চেয়ে ভিন্ন।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও ভালো উইকেটে খেলা হলে আমাদের বোলিং-ব্যাটিং দুটিতেই আরও উন্নতি হবে। যত ভালো উইকেটে খেলা হবে, বোলারদের তত চ্যালেঞ্জ বাড়বে। এতে আমাদের সবারই উন্নতি হবে। ভবিষ্যতে ভালো উইকেটে খেললে ফল যা-ই হোক, বড় ইভেন্টগুলোতে সুবিধা হবে।’
সাদা বলের আরেক সংস্করণে ওয়ানডেতে বেশ ধারাবাহিক হলেও টি-টোয়েন্টির সুরটা এখনো সেভাবে খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। মাঝেমধ্যে কিছু বড় জয় আসে বটে, তবে নিয়মিত হোঁচট খাওয়ায় ১৫ বছরের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সংস্করণটা গোলকধাঁধায় হয়ে থাকল বাংলাদেশের কাছে। সংস্করণটার আবির্ভাব দর্শকদের বিনোদন দিতে হলেও এখন তিন ধরনের ক্রিকেটে সবচেয়ে ‘সিরিয়াস গেম’ বোধ হয় এটিই! বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আর আইসিসির কাছে ক্রিকেটকে বিশ্বায়নের প্রধান হাতিয়ার হয়ে যাওয়ায় টি-টোয়েন্টি নিয়ে দলগুলোর ভাবনাচিন্তা, গবেষণা বাকি দুটি সংস্করণের চেয়ে যেন বেশি হয়ে গেছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে কোথায়? তাসকিন স্বীকার করে নিচ্ছেন, এই ফরম্যাটে তাঁরা বেশ পিছিয়ে আছেন, ‘হ্যাঁ, অনেকের চেয়ে টি-টোয়েন্টিতে আমরা একটু পিছিয়ে। তবে যে সামর্থ্য বা সক্ষমতা আমাদের আছে, সেই অনুযায়ীও খেলতে পারিনি (এই টুর্নামেন্টে। সামর্থ্য অনুযায়ী খেললে ফল এত বাজে হতো না। এর চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স আশা করা যায়।’
দল ভালো না করতে পারলেও টুর্নামেন্টে কিছুটা দ্যুতি ছড়িয়েছেন তাসকিন। ৫ ম্যাচে ৫ উইকেট দিয়ে অবশ্য তাঁর বোলিং বিশ্লেষণ করা যাবে না। গতিময় বোলিং তাঁর মূল শক্তি। সেটি নিয়মিতই করতে পেরেছেন। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪৯ কিলোমিটারে বল করেছেন। অনেক সময় গতিতে জোর দিতে গিয়ে ব্যয়বহুল বোলিং করে ফেলেন। এবার ৫.৭২ ইকোনমি বলছে, এখানে বেশ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছেন। অবশ্য দল ভালো না করায় তাঁর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স আড়ালেই পড়ে যাচ্ছে। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তাসকিন বললেন, ‘প্রতিটি বলই নিজের সেরাটা দিয়ে করার চেষ্টা করেছি, পরিকল্পনা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। ভালো বোলিং করেও টি-টোয়েন্টিতে কখনো রান হয়ে যায়। অনেক দিন খারাপ বোলিং করেও উইকেট এসে যায়। ভবিষ্যতে আরও ভালো করব ইনশা আল্লাহ।’
আবুধাবিতে গতকাল এক টিকিটে দুই ম্যাচ দেখার সুযোগ ছিল দর্শকদের। আইসিসি সংবাদমাধ্যমকর্মীদেরও সুযোগ দিয়েছিল একসঙ্গে দুটি ম্যাচ কাভার করার। পাকিস্তানের ম্যাচ সন্ধ্যায় থাকলেও দুপুরে বাংলাদেশ-ম্যাচে প্রেসবক্সে উপস্থিত পাকিস্তানি সাংবাদিকদের কেউ কেউ অবাক দৃষ্টিতে প্রশ্ন করলেন, মাহমুদউল্লাহদের এই ভগ্ন দশা কেন?
প্রশ্নটার উত্তর খুঁজতে গিয়ে অনেক কারণই সামনে আসবে। এর মধ্যে একটি প্রসঙ্গ এল তাসকিন আহমেদের সংবাদ সম্মেলনে—ঘরের মাঠে বাজে উইকেটে খেলে কীভাবে উন্নতি করা সম্ভব! দুই দিন আগে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলছিলেন, তাঁরা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো উইকেট চান। যে উইকেটে ১৮০-২০০ রানের স্কোর হবে নিয়মিত। ধারাবাহিক বড় স্কোর তোলার অভ্যাস থাকলে পাওয়া যাবে পাওয়ার হিটার। বোলাররাও চ্যালেঞ্জটা নিতে শিখবেন। গতকাল তাসকিনও বললেন, দেশে তাঁরা নিয়মিত ভালো উইকেটে খেলতে চান, ‘এখানকার উইকেট অনেক স্পোর্টিং। মিরপুরের চেয়ে ভিন্ন।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও ভালো উইকেটে খেলা হলে আমাদের বোলিং-ব্যাটিং দুটিতেই আরও উন্নতি হবে। যত ভালো উইকেটে খেলা হবে, বোলারদের তত চ্যালেঞ্জ বাড়বে। এতে আমাদের সবারই উন্নতি হবে। ভবিষ্যতে ভালো উইকেটে খেললে ফল যা-ই হোক, বড় ইভেন্টগুলোতে সুবিধা হবে।’
সাদা বলের আরেক সংস্করণে ওয়ানডেতে বেশ ধারাবাহিক হলেও টি-টোয়েন্টির সুরটা এখনো সেভাবে খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। মাঝেমধ্যে কিছু বড় জয় আসে বটে, তবে নিয়মিত হোঁচট খাওয়ায় ১৫ বছরের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সংস্করণটা গোলকধাঁধায় হয়ে থাকল বাংলাদেশের কাছে। সংস্করণটার আবির্ভাব দর্শকদের বিনোদন দিতে হলেও এখন তিন ধরনের ক্রিকেটে সবচেয়ে ‘সিরিয়াস গেম’ বোধ হয় এটিই! বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আর আইসিসির কাছে ক্রিকেটকে বিশ্বায়নের প্রধান হাতিয়ার হয়ে যাওয়ায় টি-টোয়েন্টি নিয়ে দলগুলোর ভাবনাচিন্তা, গবেষণা বাকি দুটি সংস্করণের চেয়ে যেন বেশি হয়ে গেছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে কোথায়? তাসকিন স্বীকার করে নিচ্ছেন, এই ফরম্যাটে তাঁরা বেশ পিছিয়ে আছেন, ‘হ্যাঁ, অনেকের চেয়ে টি-টোয়েন্টিতে আমরা একটু পিছিয়ে। তবে যে সামর্থ্য বা সক্ষমতা আমাদের আছে, সেই অনুযায়ীও খেলতে পারিনি (এই টুর্নামেন্টে। সামর্থ্য অনুযায়ী খেললে ফল এত বাজে হতো না। এর চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স আশা করা যায়।’
দল ভালো না করতে পারলেও টুর্নামেন্টে কিছুটা দ্যুতি ছড়িয়েছেন তাসকিন। ৫ ম্যাচে ৫ উইকেট দিয়ে অবশ্য তাঁর বোলিং বিশ্লেষণ করা যাবে না। গতিময় বোলিং তাঁর মূল শক্তি। সেটি নিয়মিতই করতে পেরেছেন। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪৯ কিলোমিটারে বল করেছেন। অনেক সময় গতিতে জোর দিতে গিয়ে ব্যয়বহুল বোলিং করে ফেলেন। এবার ৫.৭২ ইকোনমি বলছে, এখানে বেশ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছেন। অবশ্য দল ভালো না করায় তাঁর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স আড়ালেই পড়ে যাচ্ছে। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তাসকিন বললেন, ‘প্রতিটি বলই নিজের সেরাটা দিয়ে করার চেষ্টা করেছি, পরিকল্পনা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। ভালো বোলিং করেও টি-টোয়েন্টিতে কখনো রান হয়ে যায়। অনেক দিন খারাপ বোলিং করেও উইকেট এসে যায়। ভবিষ্যতে আরও ভালো করব ইনশা আল্লাহ।’
আঙুলের ইশারায় সুনীল গাভাস্কার বোঝাচ্ছিলেন ‘ডিগবাজি দাও’। কারণ প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর এভাবেই উদ্যাপন করেন ঋষভ পন্ত। গাভাস্কারও বেশ উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন তখন। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও এল উদ্যাপনের সুযোগ। কিন্তু গাভাস্কারের অনুরোধ রাখেননি পন্ত। ডান হাতের আঙুল উল্টো ঘুরিয়ে চোখের কাছে এনে...
৪ ঘণ্টা আগেগল টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। পরশু কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এর আগে ধাক্কা খেয়েছে স্বাগতিকেরা। পিঠের বাঁ পাশে চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন পেসার মিলান রত্নায়েকে। গলে খেলার সময় ব্যথা পান তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেতাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিকের কথা বললে বাংলাদেশের নামই উঠে আসবে সবার প্রথমে। ২০১৫ সালে বিদায় নেওয়ার পর কোচিংয়ের চেয়ে তিনি বেশি জড়িত ছিলেন পারিবারিক ব্যবসায়। সেই ডাচ কোচ লুডভিক ডি ক্রুইফ আবার আলোচনায় দেশের ফুটবলে।
৯ ঘণ্টা আগেজিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে হার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার—সব মিলিয়ে বাজে সময় পার করা বাংলাদেশ দলের জন্য কদিন আগে শেষ হওয়া গল টেস্টটা আসলেই বিশেষ কিছু। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটেও এসেছে সেঞ্চুরি।
৯ ঘণ্টা আগে