ক্রীড়া ডেস্ক
জিতেশ শর্মার যেন ‘কই মাছের প্রাণ’। লক্ষ্ণৌর অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে গত রাতে আউট হতেও হতেও বেঁচে গেলেন তিনি। জীবন পেয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ২২৮ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৬.৫ ওভারে বেঙ্গালুরু করে ফেলে ৪ উইকেটে ১৯৯ রান। এমন অবস্থায় মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে বোলিং করেছেন লক্ষ্ণৌর স্পিনার দিগ্বেশ সিং রাঠি। বল ছাড়ার ঠিক আগমুহূর্তে ননস্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভাঙলেন রাঠি। জিতেশ তখন ননস্ট্রাইক প্রান্তের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর আউট হওয়ার কথা থাকলেও টিভি আম্পায়ার উলহাস গান্ধে নট আউট ঘোষণা করেছেন।
ননস্ট্রাইক প্রান্তের বাইরে থেকেও জিতেশ আউট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন এক নিয়মের কারণে। আইপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশন ৩৮.৩.১ অনুসারে, ‘বোলিং করার সময় বোলার সাধারণভাবে বল ছাড়ার আগ পর্যন্ত যদি নন-স্ট্রাইক প্রান্তের ব্যাটার বাইরে থাকেন, তাহলে বোলার রানআউট করতে পারবেন। এমন অবস্থায় বোলার বল ছুড়ে অথবা বল না ছুড়ে সরাসরি হাতে থাকা বলে উইকেট ভাঙেন, তাহলে সেই ব্যাটার রানআউট হবেন।’ কিন্তু গতকাল রাঠি তাঁর বোলিং অ্যাকশন পূর্ণ করেন। বোলিং করার মতো অবস্থায় থাকার কারণে মানকাডিং করেও কাজের কাজ কিছু করতে পারেননি তিনি। টিভি স্ক্রিনে ‘নট আউট’ দেখানোর সময় লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক ঋষভ পন্ত ইশারায় বুঝিয়েছেন যে তিনি (পন্ত) আপিল তুলে নিয়েছেন।
১১.২ ওভারে কোহলি যখন আউট হয়েছেন, তখন বেঙ্গালুরুর স্কোর ৪ উইকেটে ১২৩ রান। ৫২ বলে ১০৫ রানের সমীকরণ তখন দলটির সামনে। এমন পরিস্থিতিতে ছয় নম্বরে নেমে ৩৩ বলে ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন জিতেশ। পঞ্চম উইকেটে আগারওয়াল-জিতেশ গড়েন ৪৫ বলে ১০৭ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে আয়ুশ বাদোনিকে ছক্কা মেরে বেঙ্গালুরুকে ৮ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় এনে দেন জিতেশ।
ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলার পথে মানকাডিংয়ের পাশাপাশি ক্যাচ আউটের হাত থেকেও বেঁচে গিয়েছেন জিতেশ। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে রাঠিকে রিভার্স সুইপ করে জিতেশ পয়েন্টে বাদোনির হাতে ধরা পড়েন। জিতেশের স্কোর তখন ৪৯। কিন্তু রাঠির নো বলের কারণে বেঁচে যান জিতেশ। ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে রীতিমতো অবাক স্বয়ং জিতেশ। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এমন ইনিংস খেলব কল্পনাও করতে পারিনি। বিরাট ভাই যখন আউট হলেন, আমি ম্যাচটাকে গভীরে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছিলাম। সব চাপ তখন আমার ওপর পড়ায় ক্র্যাম্প হয়েছিল আমার। আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক দৃঢ়। একাদশের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন যে আমাদের ম্যাচ উইনার রয়েছে।’
লক্ষ্ণৌকে ৬ উইকেটে হারানোয় প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলবে বেঙ্গালুরু। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থেকে লিগ পর্ব শেষ করেছে বেঙ্গালুরু। সমান ১৯ পয়েন্ট থাকলেও নেট রানরেটের কারণে শীর্ষে পাঞ্জাব কিংস। ২৯ মে চণ্ডীগড়ে হবে প্রথম কোয়ালিফায়ারের বেঙ্গালুরু-পাঞ্জাব ম্যাচ।
জিতেশ শর্মার যেন ‘কই মাছের প্রাণ’। লক্ষ্ণৌর অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে গত রাতে আউট হতেও হতেও বেঁচে গেলেন তিনি। জীবন পেয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ২২৮ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৬.৫ ওভারে বেঙ্গালুরু করে ফেলে ৪ উইকেটে ১৯৯ রান। এমন অবস্থায় মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে বোলিং করেছেন লক্ষ্ণৌর স্পিনার দিগ্বেশ সিং রাঠি। বল ছাড়ার ঠিক আগমুহূর্তে ননস্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভাঙলেন রাঠি। জিতেশ তখন ননস্ট্রাইক প্রান্তের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর আউট হওয়ার কথা থাকলেও টিভি আম্পায়ার উলহাস গান্ধে নট আউট ঘোষণা করেছেন।
ননস্ট্রাইক প্রান্তের বাইরে থেকেও জিতেশ আউট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন এক নিয়মের কারণে। আইপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশন ৩৮.৩.১ অনুসারে, ‘বোলিং করার সময় বোলার সাধারণভাবে বল ছাড়ার আগ পর্যন্ত যদি নন-স্ট্রাইক প্রান্তের ব্যাটার বাইরে থাকেন, তাহলে বোলার রানআউট করতে পারবেন। এমন অবস্থায় বোলার বল ছুড়ে অথবা বল না ছুড়ে সরাসরি হাতে থাকা বলে উইকেট ভাঙেন, তাহলে সেই ব্যাটার রানআউট হবেন।’ কিন্তু গতকাল রাঠি তাঁর বোলিং অ্যাকশন পূর্ণ করেন। বোলিং করার মতো অবস্থায় থাকার কারণে মানকাডিং করেও কাজের কাজ কিছু করতে পারেননি তিনি। টিভি স্ক্রিনে ‘নট আউট’ দেখানোর সময় লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক ঋষভ পন্ত ইশারায় বুঝিয়েছেন যে তিনি (পন্ত) আপিল তুলে নিয়েছেন।
১১.২ ওভারে কোহলি যখন আউট হয়েছেন, তখন বেঙ্গালুরুর স্কোর ৪ উইকেটে ১২৩ রান। ৫২ বলে ১০৫ রানের সমীকরণ তখন দলটির সামনে। এমন পরিস্থিতিতে ছয় নম্বরে নেমে ৩৩ বলে ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন জিতেশ। পঞ্চম উইকেটে আগারওয়াল-জিতেশ গড়েন ৪৫ বলে ১০৭ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে আয়ুশ বাদোনিকে ছক্কা মেরে বেঙ্গালুরুকে ৮ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় এনে দেন জিতেশ।
ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলার পথে মানকাডিংয়ের পাশাপাশি ক্যাচ আউটের হাত থেকেও বেঁচে গিয়েছেন জিতেশ। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে রাঠিকে রিভার্স সুইপ করে জিতেশ পয়েন্টে বাদোনির হাতে ধরা পড়েন। জিতেশের স্কোর তখন ৪৯। কিন্তু রাঠির নো বলের কারণে বেঁচে যান জিতেশ। ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে রীতিমতো অবাক স্বয়ং জিতেশ। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এমন ইনিংস খেলব কল্পনাও করতে পারিনি। বিরাট ভাই যখন আউট হলেন, আমি ম্যাচটাকে গভীরে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছিলাম। সব চাপ তখন আমার ওপর পড়ায় ক্র্যাম্প হয়েছিল আমার। আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক দৃঢ়। একাদশের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন যে আমাদের ম্যাচ উইনার রয়েছে।’
লক্ষ্ণৌকে ৬ উইকেটে হারানোয় প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলবে বেঙ্গালুরু। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থেকে লিগ পর্ব শেষ করেছে বেঙ্গালুরু। সমান ১৯ পয়েন্ট থাকলেও নেট রানরেটের কারণে শীর্ষে পাঞ্জাব কিংস। ২৯ মে চণ্ডীগড়ে হবে প্রথম কোয়ালিফায়ারের বেঙ্গালুরু-পাঞ্জাব ম্যাচ।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
১০ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১২ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১৩ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১৩ ঘণ্টা আগে