Ajker Patrika

‘অটোপাসে’র নির্বাচন এড়াতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাঁরা দুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অটোপাসে’র নির্বাচন এড়াতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সেলিম শাহেদ ও মোহাম্মদ মিঠুন। ছবি: ফাইল ছবি
অটোপাসে’র নির্বাচন এড়াতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সেলিম শাহেদ ও মোহাম্মদ মিঠুন। ছবি: ফাইল ছবি

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কল্যাণ সংগঠন কোয়াবের নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত লড়াইটা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে শুধুই সভাপতি পদে। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সেলিম শাহেদ ও বর্তমান সময়ের দেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুন। বাকি ১০টি পদে প্রার্থী একক থাকায় কোনো ভোট হচ্ছে না। ফলে নির্বাচনের উত্তাপ, আগ্রহ এখন কেন্দ্রীভূত শুধু সভাপতি পদের দিকেই। লড়াইটা যেন অভিজ্ঞ আর তারুণ্যের।

জাতীয় দলের সাবেক দুই তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মর্তুজা কোয়াবের সদস্য হলেও ভোটার তালিকায় নেই তাঁদের নাম। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা আর কোয়াবের বার্ষিক ফি পরিশোধ না করায় ভোটাধিকার হারাতে হয়েছে তাঁদের।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, নতুন বিধান অনুযায়ী এবার ভোটার তালিকায় আছেন ২১২ সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর কোয়াবের নির্বাচনে সহসভাপতি পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জাতীয় দলের বর্তমান ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহান। তবে তাঁর বিপরীতে কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। নাজমুল হোসেন শান্ত, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, রুমানা আহমেদ, শামসুর রহমান শুভ, মেহেদী হাসান মিরাজ, খালেদ মাসুদ পাইলট, ইমরুল কায়েস, ইরফান শুক্কুর, আকবর আলী মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তাঁদের বিপক্ষে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আজ শেষ হচ্ছে মনোনয়ন ফরম জমা ও প্রত্যাহারের সময়। কোয়াবের আসল প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন দাঁড়িয়ে শুধু সভাপতি পদে।

সভাপতি প্রার্থী হওয়া সেলিম শাহেদের কাছে জয়-পরাজয়ের চেয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন হওয়াটা জরুরি, জয়-পরাজয় নয়। সবাই খেলোয়াড়, যাকে তারা যোগ্য মনে করবে, তাকে জয়ী করবে। যদি নির্বাচন ছাড়া, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া জেতেন, তাহলে সবাই জিপিএ ফাইভ পাবে। সবাই অটোপাস হয়ে যাবে! দীর্ঘ মেয়াদে ভালো হবে না সেটা। নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় আসতে পারলে যোগ্যরা আসতে উৎসাহী হবে।’

সভাপতি পদে শাহেদের প্রতিদ্বন্দ্বী মিঠুন বলেন, ‘কোয়াব ক্রিকেটারদের সংগঠন। ক্রিকেটের স্বার্থই বড় করে দেখতে চাই। কে আসবে গুরুত্বপূর্ণ না। যেই আসবে সে যেন ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করে। ভোটই শুধু না, পরের ধাপেও ক্রিকেটারদের সমর্থন দরকার। কোয়াবের প্রতি খেলোয়াড়দের বিশ্বাসটা ফেরোনো প্রথম ও বড় চ্যালেঞ্জ।’

একাধিক ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান ক্রিকেটারদের সমর্থন থাকতে পারে মিঠুনের প্রতি। তবে সাবেক ক্রিকেটারদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। শাহেদ অবশ্য এসব চ্যালেঞ্জকে বড় করে দেখেন না। তিনি মিঠুনের সুরেই বললেন, ‘চ্যালেঞ্জের মধ্যে যেতে চাই না। মিঠুনসহ সব ক্রিকেটার আমার কাছের। এখানে আক্রমণ, ঝগড়াঝাটি, কোনো দ্বন্দ্ব নেই। খেলোয়াড়েরা যাকে যোগ্য মনে করবে, তাকে নির্বাচন করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আয়ারল্যান্ড সিরিজে ব্যাটিং কোচ আশরাফুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আয়ারল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল। ছবি: বিসিবি
আয়ারল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল। ছবি: বিসিবি

আয়ারল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করবেন মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে।

বিসিবির আজকের সভা শেষে আশরাফুলকে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকছেন আবদুর রাজ্জাক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশে ‘স্পোর্টস মিউজিয়াম’ দেখতে চান বাফুফে সভাপতি

ক্রীড়া ডেস্ক    
‘স্পোর্টস মিউজিয়াম’ বাংলাদেশে দেখতে চান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। ছবি: বাফুফে
‘স্পোর্টস মিউজিয়াম’ বাংলাদেশে দেখতে চান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। ছবি: বাফুফে

খেলাধুলার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসাটা আজ একেবারে নতুন নয়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ক্রিকেট অথবা ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়াম, বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফুটবল—সব জায়গায় গ্যালারিতে দেখা যায় দর্শকদের ভিড়। শুধু তা-ই নয়, বিদেশে খেলা হলেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা অধীর আগ্রহে খেলা দেখেন।

দেশের ক্রিকেট-ফুটবলে মনে রাখার মতো মুহূর্ত একেবারে কম নয়। ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি, ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সহ ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর অসংখ্য স্মৃতি উপহার দিয়েছেন আকরাম খান, তামিম ইকবাল, আকবর আলীরা। ফুটবলে নারী সাফে ২০২২ ও ২০২৪ সালে টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। দুইবারই সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমারা শিরোপা জিতেছেন স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে। বয়সভিত্তিক নারী সাফেও বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলছে। আর গত কয়েক মাসে হামজা চৌধুরী, শমিত শোমদের মতো তারকা ফুটবলার আসার কারণে দেশের ফুটবলে নতুন এক জোয়ার এসেছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়ালে চাওয়া ‘স্পোর্টস মিউজিয়াম’-এর মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উল্লেখযোগ্য মুহূর্তগুলো জীবন্ত করে রাখা।

পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে আজ বিএসপিএ-এর নতুন কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সহসভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে ছিলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। বাংলাদেশে বিএসপিএ একটা স্পোর্টস মিউজিম করতে পারবে বলে মনে আশা তাবিথের। বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘বিএসপিএ-এর কাজটা কিন্তু আজকের নয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য থাকবে। আজকে আমি বিএসপিএ-এর অফিস প্রধান হয়ে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি আগামীতে বিএসপিএ-এর নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটা স্পোর্টস মিউজিয়ামও দেখতে পারব। এটা হবে আমার শেষ চাওয়া।

দেশের ক্রীড়াঙ্গনের মুহূর্তগুলো তুলে ধরেন বলে বিএসপিএতে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন তাবিথ। বিএসপিএ-এর অনুষ্ঠানে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আজকে যে খেলাটা খেলছি, যেখানে আয়োজন করছি, যে খেলোয়াড় ভালো খেলছে, সময়ের সঙ্গে নতুন খেলোয়াড় আসবে। নতুন ফেডারেশন আসবে, নতুন প্রতিপক্ষ ও কোচ আসবে। আমরা ভুলেও যেতে পারি। আবার মনেও রাখতে পারি। আপনাদের লেখার কারণে আমরা সবাই কিন্তু ইতিহাসের পাতায় স্বীকৃতি পাই। এই মুহূর্তটাকে আপনারা ধরে রাখছেন।’

প্রতিহিংসা নয়, তাবিথের চাওয়া খেলাধুলার মাধ্যমে যেন প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা তৈরি হয় এবং দেশে একটা সুস্থ সমাজ গড়ে ওঠে। বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আপনাদের লেখার মাধ্যমে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেন ও আপনাদের লেখার মাধ্যমে খেলাধুলা যে ধরনের ইমপ্যাক্ট তৈরি করছে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের ওপর, সেটা খুব ভালোভাবে আপনারা তুলে ধরেন। কারণ, আমরা জানি যে খেলাধুলা শুধু প্রতিযোগিতা না। খেলাধুলা মনস্তাত্ত্বিক প্রতিযোগিতা তৈরি করে। আমরা প্রতিহিংসা নয়। প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা তৈরি করতে চাই। সেই অবদানটা কিন্তু আমাদের ক্রীড়াবিদদের। আমরা বাংলাদেশে দেখতে চাই একটা সুস্থ সমাজ। শারীরিকভাবে হোক, মানসিকভাবে হোক। খেলাধুলার মাধ্যমেই এটা হয়। খেলাধুলার সঙ্গে আমরা যতটুকু সময় জড়িয়ে থাকব, জাতীয় হোক, অ্যামেচার হোক, প্রফেশনাল হোক, নন-প্রফেশনাল হোক, ততই আমরা কিন্তু একটা ভালো সমাজ গড়ে তুলতে পারব। এই ইমপ্যাক্টটা কিন্তু খেলাধুলা আমাদের দিচ্ছে।’

খেলাধুলা যে দেশের অর্থনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলে সেটা না বললেও চলছে। ভারতে এক আইপিএল দিয়েই কোটি কোটি টাকা অর্থ উপার্জন করা যায় মাত্র তিন মাসের মধ্যেই। আর ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করলে কত শত কোটি টাকা যে যোগ হয় একটা দেশের অর্থনীতিতে, সেটা ধারণাতীত। তাবিথ যেন আজ এটাই মনে করিয়ে দিতে চাইলেন। বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেটা আপনারা আজকে নিয়ে কথা বলছেন সেটা হলো অর্থনীতি। ক্রীড়া অর্থনীতি সম্ভবত বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ ক্রীড়া ইকোনমি। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে আমাদের ক্রীড়া সংগঠনগুলো ভালো উদ্যোগ ভূমিকা রাখতে পারে। সেই কথাগুলি আমি বিশ্বাস করি যে বিএসপিএ-এর মাধ্যমে ছড়িয়ে যাবে এবং বিএসপিএ-এর জন্যই আমরা কাজ করব।’

ফুটবল-ক্রিকেটসহ দেশের অন্যান্য খেলাধুলায় কীভাবে উন্নয়ন সম্ভব, সেটা নিয়ে তাবিথের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বুলবুল। সেক্ষেত্রে কিছু কিছু উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেছেন বিসিবি সভাপতি। সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে বুলবুল বলেন, ‘বসে বসে আলাপ করছিলাম তাবিথ ভাইয়ের সঙ্গে। আমরা যদি তাকিয়ে দেখি অলিম্পিক স্পোর্টস, মাল্টি স্পোর্টসগুলো মানে অন্যান্য যে সংস্থাগুলো খেলে, সেখানে কিন্তু আমাদের অত বড় সাফল্য নেই। আমরা সকলে কিছু কিছু অবদান যদি রাখতে পারি যেমন স্পোর্টস সায়েন্স, স্পোর্টস মেডিসিন, স্পোর্টস সাইকোলজি, একটা পরিপূর্ণ বায়োমেকানিকাল ল্যাব। সেখানে আমরা আমন্ত্রণ জানাই সব খেলাধুলার বিভাগকে। এই প্রোগ্রামটার পেছনে গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে কাজ করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোকে কঠিন শাস্তি দেবে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৪
বিসিবি। ফাইলছবি
বিসিবি। ফাইলছবি

লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর ব্যাপারে এবার কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ সেটা নিশ্চিত করেছে বোর্ড। নতুন মৌসুমের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ এবং প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ের লিগ থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হতে যাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনো দল সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে লিগে অংশগ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে কিংবা শুরুর পর প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করলে সংশ্লিষ্ট দলটি অযোগ্য ঘোষিত হবে ও রেলিগেশনে চলে যাবে। সেই মৌসুমে দলটির পুনরায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। অযোগ্য ঘোষণার বা প্রত্যাহারের আগে যদি দলটি এক বা একাধিক ম্যাচে অংশ নিয়ে থাকে, তবে সেই ম্যাচগুলোর পূর্ণ পয়েন্ট প্রতিপক্ষ দলকে দেওয়া হবে। মূল ফল বিবেচিত হবে না।

দল অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পর সূচি অনুযায়ী তাদের বিপক্ষে যেসব দলের খেলার কথা ছিল, প্রতিপক্ষ দলগুলো আপনাআপনি ম্যাচের পূর্ণ পয়েন্ট পাবে। লিগ শুরুর আগে যেসব দল আনুষ্ঠানিকভাবে খেলা থেকে নাম প্রত্যাহার করবে, তাদের ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য নয়। কোনো মৌসুমে দুটি বা তার বেশি দল অংশগ্রহণ না করা বা প্রত্যাহারের কারণে অবনমিত হলে রেলিগেশন লিগ হবে না। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৫–২৬ মৌসুমে এই ধারার আওতায় কয়টি দল অবনমিত হয়েছে, তার ভিত্তিতে সিসিডিএম নির্ধারণ করবে ২০২৬-২৭ মৌসুমে কয়টি দল খেলবে।

বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন হয়েছে ৬ অক্টোবর। নির্বাচনের আগেই লিগ বর্জনের হুমকি দিয়েছিল আবাহনী-মোহামেডানসহ ৪৮ ক্লাব। তাদের দাবি ছিল নির্বাচন বাতিল করা। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয়েছে আর বিসিবি কয়েকটি ক্লাবকে বুঝিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলাতে রাজি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০১ বছর বয়সী অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের মৃত্যু

ক্রীড়া ডেস্ক    
১০১ বছর বয়সী অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন চার্লস কস্তে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ছবি: সংগৃহীত
১০১ বছর বয়সী অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন চার্লস কস্তে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন চার্লস কস্তে আর নেই। ১০১ বছর বয়সে তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। চার দিন হয়ে গেলেও তাঁর মৃত্যুর খবর জানা গেছে একটু দেরিতেই।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে কস্তে মারা গেছেন ৩০ অক্টোবর। গতকাল তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী মারিয়ানা ফেরারি। এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে লন্ডন অলিম্পিকের চ্যাম্পিয়ন চার্লস কস্তে মারা গেছেন। খেলাধুলায় তিনি সমৃদ্ধ এক ঐতিহ্য।’ ১৯৪৮ লন্ডন অলিম্পিকে ছেলেদের টিম পারস্যুট ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন তিনি।

২০২৪-এর ২৬ জুলাই প্যারিসের টুইলারি বাগানে বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যাতেই জ্বলে উঠেছিল অলিম্পিক মশাল। কস্তের জীবনে সেটাই ছিল অন্যতম সুন্দর মুহূর্ত। হাতে থাকা মশাল সেদিন তুলে দিয়েছিলেন ফরাসি অলিম্পিয়ান টেডি রিনারের হাতে। প্যারিস অলিম্পিক শুরুর মাস খানেক আগে আয়োজকদের কাছ থেকে ফোনে তিনি জেনেছিলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে মশালবাহকদের একজন হতে যাচ্ছেন তিনি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে কস্তে ছিলেন দারুণ এক সাইক্লিস্ট। যুদ্ধ শেষে ফের নেমেছিলেন ট্র্যাকে। ১৯৪৭ সালে ফ্রান্সের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন। পরের বছর লন্ডন অলিম্পিকে সাইক্লিংয়ের টিম পারস্যুট ইভেন্টে সেমিফাইনালে ব্রিটেন ও ফাইনালে ইতালিকে হারাতে বড় অবদান রেখেছিলেন।

এ বছরের ২ জানুয়ারিতে হাঙ্গেরিয়ান জিমন্যাস্ট আগনেস কেলেতি মারা গিয়েছিলেন ১০৩ বছর। যেখানে ৯ জানুয়ারি তাঁর ছিল ১০৪তম জন্মদিন। তবে তিনি হাঙ্গেরির মধ্যে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। তিনি মারা যাবার পর ১০ মাস শতবর্ষী অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ছিলেন কস্তে। সেই কস্তেও চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত