Ajker Patrika

আইপিএল-পিএসএল নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের ওপর ক্ষুব্ধ অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার

ক্রীড়া ডেস্ক    
স্থগিত আইপিএল-পিএসএল পুনরায় শুরুর ব্যাপার নিয়ে খেপেছেন মিচেল জনসন। ছবি: ক্রিকইনফো
স্থগিত আইপিএল-পিএসএল পুনরায় শুরুর ব্যাপার নিয়ে খেপেছেন মিচেল জনসন। ছবি: ক্রিকইনফো

ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতের প্রভাব ক্রিকেটে কতটা পড়েছে, সেটা তো কারও অজানা নয়। আইপিএল, পিএসএল দুটি টুর্নামেন্টই বাধ্য হয়ে স্থগিত করা হয়েছিল। ভারত-পাকিস্তানের এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ যখন মাঠে গড়াচ্ছে আবার, তখন ঘটছে নানা ঘটনা।

স্থগিত হওয়া আইপিএল, পিএসএল দুটি টুর্নামেন্টই পুনরায় মাঠে গড়াচ্ছে আগামীকাল। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচির কারণে বিদেশি ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে বিপাকে পড়ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। জস বাটলারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ব্যস্ততার কারণে তাঁর বদলে কুশল মেন্ডিসকে নিয়েছে গুজরাট টাইটান্স। যেখানে কুশল মেন্ডিস স্থগিত হওয়ার আগে খেলেছিলেন পিএসএলের লাহোর কালান্দার্সে। আবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আইপিএল খেলতে ভারতে ফিরতে চাচ্ছেন না জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। তাঁর পরিবর্তে দিল্লি ক্যাপিটালস নিয়েছে মোস্তাফিজুর রহমানকে।

ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান নামে এক পত্রিকায় লেখা কলামে আইপিএল, পিএসএল নিয়ে কথা বলেছেন মিচেল জনসন। তাঁর মতে দুটি টুর্নামেন্ট হয় বন্ধ হওয়া উচিত না হলে বিকল্প কিছু ভাবা উচিত। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার বলেন, ‘এটা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কাউকে জোর করে অথবা চাপ প্রয়োগ করে ফেরানো যাবে না। এমনকি আইপিএল, পিএসএল দুটি টুর্নামেন্টই সাময়িক সময়ের জন্য থেমে ছিল। এখন সেটা ফেরানোর চেষ্টা চলছে। দুইটা টুর্নামেন্ট এখন বন্ধ হওয়া উচিত। অথবা চালিয়ে নেওয়া উচিত অন্য উপায়ে। সেটা আর্থিক দিক দিয়ে বড়সড় একটা ব্যাপার হবে।’

আইপিএলের সূচি পুনর্নিধারণ করায় টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ৩ জুন। আর লর্ডসে ২০২৩-২৫ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরু হবে ১১ জুন। এই ফাইনালে খেলবে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে আইপিএলের দলে থাকা ৮ প্রোটিয়া ক্রিকেটার আছেন আইপিএলের ফাইনালের দলে। এতে করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই), ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার (সিএসএ) মধ্যে ‘যুদ্ধ’ চলছে বলে ক্রিকবাজ, ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন দেখে বোঝা গেছে। তাতে করে আইপিএলে প্লে-অফ না খেলাও হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের।

জনসন এখানে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালকে গুরুত্ব দিতে বলছেন। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক বাঁহাতি পেসার বলেন, ‘এটা ভুলে গেলে চলবে না, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। আইপিএলের ফাইনাল সরে এখন ৩ জুন চলে গেছে। লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল শুরুর ঠিক এক সপ্তাহ আগে। ক্রিকেটারদের প্রস্তুতিতে একটা প্রভাব ফেলবে। যেখানে টেস্ট ক্রিকেটের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের একটা ব্যাপার থাকে।’

৯ মে আইপিএল এক সপ্তাহ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। তার আগে ৮ মে ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এইচপিসিএ) স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব-দিল্লি ম্যাচ মাঝপথে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। সেসময় ধর্মশালা ও পার্শ্ববর্তী বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই মুহূর্তে দিল্লি ও পাঞ্জাব দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্টিং স্টাফদের বাস ও ট্রেনে করে ধর্মশালা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। মিচেল স্টার্ক ও ম্যাকগার্ককে তখন অনেক আতঙ্কিত লাগছিল বলে ক্রিকবাজের আজকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।

জনসনের মতে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘যদি আমাকে ভারতে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হতো টুর্নামেন্টের শেষ অংশে খেলার জন্য, এখানে সহজ সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। আমি না বলে দিতাম। জীবন ও নিরাপত্তার ব্যাপার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়। টাকা পয়সা না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত