Ajker Patrika

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ বাংলাদেশের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই

আহমেদ রিয়াদ, চট্টগ্রাম থেকে
অনেক দিন ধরে ওপেনিং জুটি নিয়ে ভুগছে বাংলাদেশ । ইনিংসে ভালো শুরু পাওয়ার আশায় বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম আর চট্টগ্রাম টেস্টে সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয়ের ক্লাস নিচ্ছেন সিনিয়র সহকারী কোচ সালাহ উদ্দীন ।
অনেক দিন ধরে ওপেনিং জুটি নিয়ে ভুগছে বাংলাদেশ । ইনিংসে ভালো শুরু পাওয়ার আশায় বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম আর চট্টগ্রাম টেস্টে সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয়ের ক্লাস নিচ্ছেন সিনিয়র সহকারী কোচ সালাহ উদ্দীন ।

মাঠে ভালো ফল নেই। এর সঙ্গে ঘিরে ধরেছে বিতর্কের ছায়া। কঠিন একসময় পার করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। এ পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামে আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ। ঠিক বিপরীত দৃশ্য জিম্বাবুইয়ান দলে, সিলেট টেস্ট জেতার পর আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে সফরকারীরা। টানা দুই যুগ পর টেস্ট সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে তারা।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিং ব্যর্থতার মিছিল যেন বাংলাদেশের বড় চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। কোচ ফিল সিমন্স দায়িত্ব নেওয়ার পর পাঁচ মাসে এই বাস্তবতা স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করেছেন। এবার তাঁর প্রত্যাশা, ব্যাটাররা যেন ইতিবাচক মানসিকতায় খেলেন, ‘বোর্ডে দিনে ২০০ রান’ মানসিকতার গণ্ডি পেরিয়ে সামনে এগোতে পারেন। গতকাল ম্যাচপূর্ব অনুশীলনে সেই মানসিকতা তৈরির চেষ্টা স্পষ্ট ছিল। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলের প্রত্যেক ব্যাটারকে নিবিড়ভাবে ব্যাটিং অনুশীলন করিয়েছেন সিমন্স। নেটে সব ব্যাটারকে সাবলীল দেখা গেলেও মাঠের পরীক্ষায় তাঁরা কতটা সফল হবেন, সেটাই বড় প্রশ্ন। জিম্বাবুইয়ান পেসারদের শর্ট বল, ব্যাক অব লেংথ থেকে ছোবল দেওয়া কিংবা বাড়তি বাউন্সে যেভাবে সিলেটে কাবু হয়েছেন তাঁরা, চট্টগ্রামে সেটি না হলেই হয়।

চট্টগ্রামে টেস্টে বাংলাদেশের ইতিহাস খুব একটা অনুপ্রেরণাদায়ী নয় শান্তদের কাছে। গত সাত বছরে এখানে কোনো জয় নেই; সবশেষ জয়টি এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, সেই ২০১৮ সালে। দায়িত্ব নেওয়ার পর ফিল সিমন্স বাংলাদেশে এখনো কোনো টেস্টের জয় দেখেননি। দেশের ক্রিকেট এখন ঢেকে আছে হতাশার চাদরে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রিকেটারদের ব্র্যান্ড ভ্যালুও পড়তির দিকে। এই মুহূর্তে একটি জয়ই পারে হতাশা কাটিয়ে নতুন দিনের সন্ধান দিতে।

সিলেট টেস্টের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর দলে এসেছে পরিবর্তন। জাকির হাসানের জায়গায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো খেলা এনামুল হক বিজয়। তবে বিজয় একাদশে জায়গা পাবেন কি না, নাকি ক্লাব রাজনীতির ‘শিকার’ হয়ে দলে ঢুকেছেন, তা স্পষ্ট হবে একাদশ ঘোষণার পর। বিজয় দলে এলে বাদ পড়তে পারেন মাহমুদুল হাসান জয়। গত ১৭ ইনিংসে কোনো ফিফটি করতে পারেননি এই ওপেনার।

সিরিজ বাঁচাতে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ কেমন উইকেট চায়? অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সিলেট টেস্টে হেরে বলেছিলেন, চট্টগ্রামেও তাঁরা ‘স্পোর্টিং উইকেট’ চান। কিন্তু এটা বলার জন্য বলা নাকি মনের কথা? পরিসংখ্যান-রেকর্ড তো তা বলে না। চট্টগ্রামের উইকেট মানেই শুরুতে রান, পরে ঘূর্ণি সহায়ক। দলে চার স্পিনার রেখেছে বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। অভিজ্ঞ মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে চট্টগ্রামের ‘লোকাল বয়’ নাঈম হাসান তো আছেনই। পিএসএল খেলতে পাকিস্তানে চলে যাওয়া গতিতারকা নাহিদ রানার জায়গায় নতুন কোনো পেসার নেয়নি বাংলাদেশ। এই টেস্টে বাংলাদেশের তিন স্পিনার নিয়ে খেলার সম্ভাবনাই বেশি। জিম্বাবুয়ের প্রথম পাঁচ ব্যাটারের তিনজনই বাঁহাতি হওয়ায় মিরাজের সঙ্গে নাঈমও চট্টগ্রামে যোগ দিতে পারেন স্পিন আক্রমণে।

চট্টগ্রাম এমনিতে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটিং উইকেট হিসেবেই পরিচিত। এখানে সর্বশেষ দুই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করা দলই ৫০০ পেরোনো স্কোর গড়েছে। দুটি টেস্টেই হেরেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে উইকেট ব্যাটারদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে এই পিচে স্পিনাররা টার্ন পেতে শুরু করেন। কাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স উইকেট নিয়ে বলেছেন, ‘উইকেট চমৎকার। শক্ত, ফ্ল্যাট এবং কিছুটা শুকনো। তবে আশা করছি টেস্টের শেষভাগে কিছু টার্ন পাওয়া যাবে, যেটা আমাদের জন্য ভালো হবে।’ সিমন্স বললেন, প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট তুলে নিতে পাঁচ বোলার খেলানোর পরিকল্পনা তাঁদের, ‘টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ বোলার থাকা জরুরি। আমাদের দলে মিরাজের মতো টপ-ক্লাস অলরাউন্ডার রয়েছেন। তাই এক অতিরিক্ত ব্যাটার নিয়ে নামছি না। ২০ উইকেট তুলতে ৫ বোলার প্রয়োজন।’

সিলেটের মতো চট্টগ্রামেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। চট্টগ্রাম টেস্টে তাই টস জিতলে বাংলাদেশ যে সিলেট টেস্টের মতো আগেই ব্যাটিং নেবে, সেটি নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু স্বাগতিকদের বড় চিন্তা তো ওই ব্যাটিং নিয়েই। যে রোগের আরোগ্যের উপায় খুঁজে পেতে গলদঘর্ম অবস্থা তাদের!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিপিএলের পাঁচ দল চূড়ান্ত, নেই ‘চ্যাম্পিয়ন’ বরিশাল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিপিএলের পাঁচ দল চূড়ান্ত করেছে বিসিবি। ফাইল ছবি
বিপিএলের পাঁচ দল চূড়ান্ত করেছে বিসিবি। ফাইল ছবি

২০২৬ বিপিএলের পাঁচটি দল চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আজ রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, টগি স্পোর্টস লিমিটেডের রংপুর রাইডার্স, চ্যাম্পিয়নস স্পোর্টস ঢাকা, নাবিল গ্রুপের রাজশাহী, ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেসের চট্টগ্রাম ও ক্রিকেট উইথ সামিকে দেওয়া হয়েছে সিলেট দল। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল পেয়েছে ৫ বছরের চুক্তিতে। এবার কোন দলের কী নাম হবে, এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

২০২৬ বিপিএলে অংশ নিতে আগ্রহ দেখিয়েছিল ১১টি প্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে টেকে আটটি প্রতিষ্ঠান। এবার বিপিএলে থাকছে না বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশালের নামে কোনো দল। আর্থিক শক্তি, ম্যানেজমেন্ট ও মোটিভেশন এবং অভিজ্ঞতা—এই তিনটি বিষয় যাচাইবাছাই করে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, কোনো দল যদি পরের মৌসুমে দল চালাতে না চায়, সেটি অন্তত ৩ মাস আগে জানাতে হবে বিসিবিকে। ২ কোটি অংশগ্রহণ ফি ও ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হচ্ছে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি পাওনা টাকা নিয়ে অনিয়ম করে, ব্যাংক গ্যারান্টি থেকে পরিশোধ করবে বলে জানানো হয়েছে।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন, পাঁচ দলের বিপিএল ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে তাঁদের। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলের প্রস্তুতি নিতে পর্যাপ্ত সময় রাখতে চায় বিসিবি। বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট হবে ১৭ নভেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হৃদয়বিদারক ঘটনা, ম্যাচ চলাকালীন কোচের মৃত্যু

ক্রীড়া ডেস্ক    
ম্যাচের ২২ মিনিটে হার্ট অ্যাটাক করেন ম্লাদেন জিজোভিচ। ছবি: এক্স
ম্যাচের ২২ মিনিটে হার্ট অ্যাটাক করেন ম্লাদেন জিজোভিচ। ছবি: এক্স

ফুটবল কখনো কখনো অনেক নিষ্ঠুর। নির্মমভাবে ম্যাচ হারের চেয়েও এই খেলায় অনেক সময় ঘটে যায় হৃদয়বিদারক ঘটনা। সবশেষ তেমন কিছুই দেখা গেল সার্বিয়ান সুপার লিগাতে ম্লাদস্ত লুচানি ও এফকে রাদনিকির ম্যাচে।

সার্বিয়ার শীর্ষ লিগে লুচানির মাঠে খেলতে গিয়েছিল রাদনিচকি। সবকিছু ঠিকভাবেই চলছিল। গোলের উদ্দেশ্যে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে চলছিল ম্যাচ। কিন্তু ২২ মিনিটেই হঠা থমকে যায় সবকিছু। নিরবতা নেমে আসে গোটা গ্যালারিতে।

সার্বিয়ার বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, হার্ট অ্যাটাক করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সফরকারী দলের কোচ ম্লাদেন জিজোভিচ। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি ৪৪ বছর বয়সী এই বসনিয়ান কোচকে।

জিজোভিচ হার্ট অ্যাটাক করার পরই খেলোয়াড়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর ম্যাচ পরিত্যক্ত করা হয়। এই কোচের মৃত্যু দেশের ফুটবলের জন্য অপূরণী ক্ষতি বলে বর্ণনা করেছে সার্বিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএসএস)।

দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে বসনিয়ার সাবেক মিডফিল্ডার জিজোবিচকে নিয়োগ দেয় রাদনিচকি। এই কোচের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ক্লাবটি।

শোক বার্তায় রাদনিচকি লিখেছে, ‘গভীরতম দুঃখের সাথে জনসাধারণ, ভক্ত এবং ক্রীড়া বন্ধুদের জানাচ্ছি যে আমাদের পেশাদার কর্মীদের প্রধান ম্লাদেন জিজোভিচ লুচানিতে ম্লাদস্ত এবং রাদনিকির ম্যাচ চলাকালীন মারা গেছেন। যে কয়েকজন কোচ এই ক্লাবে এসেছেন তাঁদের মধ্যে জিজোভিচ এখানে নিজের জ্ঞান, প্রাণশক্তি ও মাহাত্ম্য দিয়ে গভীর ছাপ রেখে গেছেন। এই ক্লাব কেবল একজন কোচকে নয়, হারিয়েছে একজন ভালো মানুষ, বন্ধু ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্রীলঙ্কায় সফল নাঈমকে কেন বাদ দিল বিসিবি

নিজস্ব প্রতিবদেক
সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের ৯ উইকেট নেন এই ডানহাতি স্পিনার। এবার বাদ পড়লেন তিনি। ছবি: বিসিবি
সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের ৯ উইকেট নেন এই ডানহাতি স্পিনার। এবার বাদ পড়লেন তিনি। ছবি: বিসিবি

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল হাতে পাওয়ার পর একটা কারণে চোখ আটকে যায়। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেও জায়গা হারিয়েছেন নাঈম হাসান। যেটা অবাক করেছে সবাইকে। আইরিশ সিরিজে এই স্পিনারের না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হাসিবুল হোসেন শান্ত।

গত জুনে শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ড্র দিয়ে সিরিজ শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হেরে যায় সফরকারীরা। দলীয় পারফরম্যান্স ভালো না হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন নাঈম। ২ ম্যাচের ৩ ইনিংসে তুলে নেন ৯ উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলে তাঁর না থাকা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়। শান্ত জানালেন, ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের কারণেই বাদ পড়েছেন নাঈম। এছাড়া পেস বান্ধব উইকেটের কথা মাথায় রেখেও নেওয়া হয়নি এই স্পিনারকে।

আজকের পত্রিকাকে বিসিবির নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হাসিবুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড দলে সব ব্যাটারই ডানহাতি। নাঈম তো ডানহাতি স্পিনার। এজন্য তাঁকে দলে নেওয়া হয়নি। তাছাড়া সিলেটের মাঠে পেস বোলারদের জন্য সহায়তা বেশি থাকে। সেই বিবেচনাতেও বাদ পড়েছেন নাঈম। ওর বিষয়টা মাথায় আছে। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে ভাবা হবে নাঈমকে নিয়ে।’

২০১৮ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্ট অভিষেক হয় নাঈমের। এখন পর্যন্ত খেলা ১৪ টেস্টের ২৫ ইনিংসে বল হাতে নিয়েছেন ৪৮ উইকেট। ৫ উইকেট নিয়েছেন চারবার। ইনিংসে ১০৫ রানে ৬ উইকেট তাঁর সেরা বোলিং ফিগার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুশফিকের শততম টেস্ট সিরিজের দলে নেই অঙ্কন-নাঈম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ১৭
মিরপুর শততম টেস্ট খেলতে নামার কথা মুশফিকের। ছবি: বিসিবি
মিরপুর শততম টেস্ট খেলতে নামার কথা মুশফিকের। ছবি: বিসিবি

ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহিমের সৌজন্যে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন মুশফিক। তাঁর শততম টেস্ট সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও নাঈম হাসান।

সর্বশেষ বাংলাদেশ টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন এনামুল হক বিজয়ও। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ব্যাট হাতে ফর্মে নেই জাকের আলী অনিক। তবে টেস্ট দলে তাঁকে জায়গা দিয়েছেন নির্বাচকরা। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ৬ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ৩০ গড়ে করেছেন ৩৩৭ রান। ফিফটি করেছেন চারটি।

রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে খেলবেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এজন্য আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলে রাখা হয়নি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে। সবশেষ ১৪ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই মাহমুদুল হাসান জয়ের। এরপরও রাখা হয়েছে এই ব্যাটারকে। সাদমান ইসলাম অনিকের সাথে ওপেনিং করবেন জয়। দলে আছেন চার পেসার। স্পিনার রাখা হয়েছে তিনজন।

আগামী ৬ নভেম্বর ঢাকা আসবে আয়ারল্যান্ড। ১১ নভেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে সফরকারীরা। দুই দলের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৯ নভেম্বর। ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ, লিটন দাস, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, জাকের আলী অনিক, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, এবাদত হোসেন চৌধুরী, হাসান মুরাদ, খালেদ আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও সাদমান ইসলাম অনিক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত