আহমেদ রিয়াদ, চট্টগ্রাম থেকে
মাঠে ভালো ফল নেই। এর সঙ্গে ঘিরে ধরেছে বিতর্কের ছায়া। কঠিন একসময় পার করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। এ পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামে আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ। ঠিক বিপরীত দৃশ্য জিম্বাবুইয়ান দলে, সিলেট টেস্ট জেতার পর আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে সফরকারীরা। টানা দুই যুগ পর টেস্ট সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে তারা।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিং ব্যর্থতার মিছিল যেন বাংলাদেশের বড় চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। কোচ ফিল সিমন্স দায়িত্ব নেওয়ার পর পাঁচ মাসে এই বাস্তবতা স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করেছেন। এবার তাঁর প্রত্যাশা, ব্যাটাররা যেন ইতিবাচক মানসিকতায় খেলেন, ‘বোর্ডে দিনে ২০০ রান’ মানসিকতার গণ্ডি পেরিয়ে সামনে এগোতে পারেন। গতকাল ম্যাচপূর্ব অনুশীলনে সেই মানসিকতা তৈরির চেষ্টা স্পষ্ট ছিল। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলের প্রত্যেক ব্যাটারকে নিবিড়ভাবে ব্যাটিং অনুশীলন করিয়েছেন সিমন্স। নেটে সব ব্যাটারকে সাবলীল দেখা গেলেও মাঠের পরীক্ষায় তাঁরা কতটা সফল হবেন, সেটাই বড় প্রশ্ন। জিম্বাবুইয়ান পেসারদের শর্ট বল, ব্যাক অব লেংথ থেকে ছোবল দেওয়া কিংবা বাড়তি বাউন্সে যেভাবে সিলেটে কাবু হয়েছেন তাঁরা, চট্টগ্রামে সেটি না হলেই হয়।
চট্টগ্রামে টেস্টে বাংলাদেশের ইতিহাস খুব একটা অনুপ্রেরণাদায়ী নয় শান্তদের কাছে। গত সাত বছরে এখানে কোনো জয় নেই; সবশেষ জয়টি এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, সেই ২০১৮ সালে। দায়িত্ব নেওয়ার পর ফিল সিমন্স বাংলাদেশে এখনো কোনো টেস্টের জয় দেখেননি। দেশের ক্রিকেট এখন ঢেকে আছে হতাশার চাদরে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রিকেটারদের ব্র্যান্ড ভ্যালুও পড়তির দিকে। এই মুহূর্তে একটি জয়ই পারে হতাশা কাটিয়ে নতুন দিনের সন্ধান দিতে।
সিলেট টেস্টের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর দলে এসেছে পরিবর্তন। জাকির হাসানের জায়গায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো খেলা এনামুল হক বিজয়। তবে বিজয় একাদশে জায়গা পাবেন কি না, নাকি ক্লাব রাজনীতির ‘শিকার’ হয়ে দলে ঢুকেছেন, তা স্পষ্ট হবে একাদশ ঘোষণার পর। বিজয় দলে এলে বাদ পড়তে পারেন মাহমুদুল হাসান জয়। গত ১৭ ইনিংসে কোনো ফিফটি করতে পারেননি এই ওপেনার।
সিরিজ বাঁচাতে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ কেমন উইকেট চায়? অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সিলেট টেস্টে হেরে বলেছিলেন, চট্টগ্রামেও তাঁরা ‘স্পোর্টিং উইকেট’ চান। কিন্তু এটা বলার জন্য বলা নাকি মনের কথা? পরিসংখ্যান-রেকর্ড তো তা বলে না। চট্টগ্রামের উইকেট মানেই শুরুতে রান, পরে ঘূর্ণি সহায়ক। দলে চার স্পিনার রেখেছে বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। অভিজ্ঞ মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে চট্টগ্রামের ‘লোকাল বয়’ নাঈম হাসান তো আছেনই। পিএসএল খেলতে পাকিস্তানে চলে যাওয়া গতিতারকা নাহিদ রানার জায়গায় নতুন কোনো পেসার নেয়নি বাংলাদেশ। এই টেস্টে বাংলাদেশের তিন স্পিনার নিয়ে খেলার সম্ভাবনাই বেশি। জিম্বাবুয়ের প্রথম পাঁচ ব্যাটারের তিনজনই বাঁহাতি হওয়ায় মিরাজের সঙ্গে নাঈমও চট্টগ্রামে যোগ দিতে পারেন স্পিন আক্রমণে।
চট্টগ্রাম এমনিতে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটিং উইকেট হিসেবেই পরিচিত। এখানে সর্বশেষ দুই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করা দলই ৫০০ পেরোনো স্কোর গড়েছে। দুটি টেস্টেই হেরেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে উইকেট ব্যাটারদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে এই পিচে স্পিনাররা টার্ন পেতে শুরু করেন। কাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স উইকেট নিয়ে বলেছেন, ‘উইকেট চমৎকার। শক্ত, ফ্ল্যাট এবং কিছুটা শুকনো। তবে আশা করছি টেস্টের শেষভাগে কিছু টার্ন পাওয়া যাবে, যেটা আমাদের জন্য ভালো হবে।’ সিমন্স বললেন, প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট তুলে নিতে পাঁচ বোলার খেলানোর পরিকল্পনা তাঁদের, ‘টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ বোলার থাকা জরুরি। আমাদের দলে মিরাজের মতো টপ-ক্লাস অলরাউন্ডার রয়েছেন। তাই এক অতিরিক্ত ব্যাটার নিয়ে নামছি না। ২০ উইকেট তুলতে ৫ বোলার প্রয়োজন।’
সিলেটের মতো চট্টগ্রামেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। চট্টগ্রাম টেস্টে তাই টস জিতলে বাংলাদেশ যে সিলেট টেস্টের মতো আগেই ব্যাটিং নেবে, সেটি নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু স্বাগতিকদের বড় চিন্তা তো ওই ব্যাটিং নিয়েই। যে রোগের আরোগ্যের উপায় খুঁজে পেতে গলদঘর্ম অবস্থা তাদের!
মাঠে ভালো ফল নেই। এর সঙ্গে ঘিরে ধরেছে বিতর্কের ছায়া। কঠিন একসময় পার করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। এ পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামে আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ। ঠিক বিপরীত দৃশ্য জিম্বাবুইয়ান দলে, সিলেট টেস্ট জেতার পর আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে সফরকারীরা। টানা দুই যুগ পর টেস্ট সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে তারা।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিং ব্যর্থতার মিছিল যেন বাংলাদেশের বড় চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। কোচ ফিল সিমন্স দায়িত্ব নেওয়ার পর পাঁচ মাসে এই বাস্তবতা স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করেছেন। এবার তাঁর প্রত্যাশা, ব্যাটাররা যেন ইতিবাচক মানসিকতায় খেলেন, ‘বোর্ডে দিনে ২০০ রান’ মানসিকতার গণ্ডি পেরিয়ে সামনে এগোতে পারেন। গতকাল ম্যাচপূর্ব অনুশীলনে সেই মানসিকতা তৈরির চেষ্টা স্পষ্ট ছিল। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলের প্রত্যেক ব্যাটারকে নিবিড়ভাবে ব্যাটিং অনুশীলন করিয়েছেন সিমন্স। নেটে সব ব্যাটারকে সাবলীল দেখা গেলেও মাঠের পরীক্ষায় তাঁরা কতটা সফল হবেন, সেটাই বড় প্রশ্ন। জিম্বাবুইয়ান পেসারদের শর্ট বল, ব্যাক অব লেংথ থেকে ছোবল দেওয়া কিংবা বাড়তি বাউন্সে যেভাবে সিলেটে কাবু হয়েছেন তাঁরা, চট্টগ্রামে সেটি না হলেই হয়।
চট্টগ্রামে টেস্টে বাংলাদেশের ইতিহাস খুব একটা অনুপ্রেরণাদায়ী নয় শান্তদের কাছে। গত সাত বছরে এখানে কোনো জয় নেই; সবশেষ জয়টি এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, সেই ২০১৮ সালে। দায়িত্ব নেওয়ার পর ফিল সিমন্স বাংলাদেশে এখনো কোনো টেস্টের জয় দেখেননি। দেশের ক্রিকেট এখন ঢেকে আছে হতাশার চাদরে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রিকেটারদের ব্র্যান্ড ভ্যালুও পড়তির দিকে। এই মুহূর্তে একটি জয়ই পারে হতাশা কাটিয়ে নতুন দিনের সন্ধান দিতে।
সিলেট টেস্টের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর দলে এসেছে পরিবর্তন। জাকির হাসানের জায়গায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো খেলা এনামুল হক বিজয়। তবে বিজয় একাদশে জায়গা পাবেন কি না, নাকি ক্লাব রাজনীতির ‘শিকার’ হয়ে দলে ঢুকেছেন, তা স্পষ্ট হবে একাদশ ঘোষণার পর। বিজয় দলে এলে বাদ পড়তে পারেন মাহমুদুল হাসান জয়। গত ১৭ ইনিংসে কোনো ফিফটি করতে পারেননি এই ওপেনার।
সিরিজ বাঁচাতে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ কেমন উইকেট চায়? অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সিলেট টেস্টে হেরে বলেছিলেন, চট্টগ্রামেও তাঁরা ‘স্পোর্টিং উইকেট’ চান। কিন্তু এটা বলার জন্য বলা নাকি মনের কথা? পরিসংখ্যান-রেকর্ড তো তা বলে না। চট্টগ্রামের উইকেট মানেই শুরুতে রান, পরে ঘূর্ণি সহায়ক। দলে চার স্পিনার রেখেছে বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। অভিজ্ঞ মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে চট্টগ্রামের ‘লোকাল বয়’ নাঈম হাসান তো আছেনই। পিএসএল খেলতে পাকিস্তানে চলে যাওয়া গতিতারকা নাহিদ রানার জায়গায় নতুন কোনো পেসার নেয়নি বাংলাদেশ। এই টেস্টে বাংলাদেশের তিন স্পিনার নিয়ে খেলার সম্ভাবনাই বেশি। জিম্বাবুয়ের প্রথম পাঁচ ব্যাটারের তিনজনই বাঁহাতি হওয়ায় মিরাজের সঙ্গে নাঈমও চট্টগ্রামে যোগ দিতে পারেন স্পিন আক্রমণে।
চট্টগ্রাম এমনিতে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটিং উইকেট হিসেবেই পরিচিত। এখানে সর্বশেষ দুই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করা দলই ৫০০ পেরোনো স্কোর গড়েছে। দুটি টেস্টেই হেরেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে উইকেট ব্যাটারদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে এই পিচে স্পিনাররা টার্ন পেতে শুরু করেন। কাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স উইকেট নিয়ে বলেছেন, ‘উইকেট চমৎকার। শক্ত, ফ্ল্যাট এবং কিছুটা শুকনো। তবে আশা করছি টেস্টের শেষভাগে কিছু টার্ন পাওয়া যাবে, যেটা আমাদের জন্য ভালো হবে।’ সিমন্স বললেন, প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট তুলে নিতে পাঁচ বোলার খেলানোর পরিকল্পনা তাঁদের, ‘টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ বোলার থাকা জরুরি। আমাদের দলে মিরাজের মতো টপ-ক্লাস অলরাউন্ডার রয়েছেন। তাই এক অতিরিক্ত ব্যাটার নিয়ে নামছি না। ২০ উইকেট তুলতে ৫ বোলার প্রয়োজন।’
সিলেটের মতো চট্টগ্রামেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। চট্টগ্রাম টেস্টে তাই টস জিতলে বাংলাদেশ যে সিলেট টেস্টের মতো আগেই ব্যাটিং নেবে, সেটি নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু স্বাগতিকদের বড় চিন্তা তো ওই ব্যাটিং নিয়েই। যে রোগের আরোগ্যের উপায় খুঁজে পেতে গলদঘর্ম অবস্থা তাদের!
কাশ্মীরের পেহেলগামে নৃশংস হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। ভারত দাবি করেছে, এর পেছনে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ ইস্যুতে দুই দলের মধ্যে বিরাজ করছে উত্তেজনা। ভারত সরকার তাদের দেশে পাকিস্তানের বিভিন্ন নিউজ সাইট, ইউটিউব চ্যানেল ব্লক কেরে দিয়েছে। ক্রিকেটাররাও জড়িয়ে গেছেন বাগ্যুদ্ধে। শোয়েব আখতারের ইউটি
৩ ঘণ্টা আগেসাত বছর চলছে সাদমান ইসলামের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন দেখা পেয়েছেন নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি, সঙ্গে পূর্ণ করলেন ১০০০ রান। বাংলাদেশের ১৮ তম ক্রিকেটার হিসেবে ১ হাজার রান সাদমানের।
৪ ঘণ্টা আগে৩ উইকেটে ২০৪ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ দল। তৃতীয় সেশনেও ব্যাটিংটা ভালোই করছিলেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। দলীয় ২৫৯ রান পর্যন্ত ছিল সেই তিন উইকেটই। কিন্তু শেষ বিকেলে ভিনসেন্ট মাসেকেসার ঘূর্ণি জাদুতে বেশ এলোমেলো হয়ে যায় ব্যাটিং। শেষ ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা। তবু ৬৪ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ
৬ ঘণ্টা আগে