নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গল মুশফিকুর রহিমের কাছে যেমন পয়মন্তু এক ভেন্যু। কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) মাঠ মোহাম্মদ আশরাফুলের কাছে অনেকটা তা-ই। ১৮ বছর পর বাংলাদেশ আবার টেস্ট খেলতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক ভেন্যুতে। কাল গল থেকে সড়কপথে দুই ঘণ্টার যাত্রা শেষে কলম্বো সিনামন গ্র্যান্ড হোটেলে উঠেছে শান্তর দল। পৌঁছেই তারা পেয়েছে উষ্ণ অভ্যর্থনা। গলে দারুণ একটি টেস্ট উপহার দেওয়া বাংলাদেশ দল দাঁড়িয়ে নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে।
গল শুধু মুশফিকের কাছেই ‘প্রিয়’ হয়ে ওঠেনি, নিজের ‘লাকি’ গ্রাউন্ডে রূপান্তরিত করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন। এবার এসেছেন সেই কলম্বোর এসএসসিতে, যেখানে আশরাফুল গড়েছিলেন অসাধারণ এক রেকর্ড, টেস্ট ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে করেছিলেন সেঞ্চুরি। এখনো অক্ষত সেই রেকর্ড। এ মাঠে পরে আরও দুই টেস্ট খেলেছিলেন আশরাফুল। প্রতি টেস্টেই রান পেয়েছেন। এ মাঠে ৩ টেস্টে ৪৩ গড়ে করেছেন ২৬০ রান।
কাল আশরাফুলের কাছে ফিরে এল দুই যুগ আগে গড়া সেই রেকর্ডের স্মৃতি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্জয় (নাঈমুর রহমান, তখনকার অধিনায়ক) ভাই আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন তাঁর পজিশনে ব্যাটিং করার। রাতে স্বপ্ন দেখলাম, ২০০ করেছি! সকালে দুর্জয় ভাইকে বলতেই বললেন, তুই তো ব্যাটার, ২০০ করা সম্ভব। মাঠে গিয়ে সেই আত্মবিশ্বাসেই ব্যাটিং করেছি। ওই ম্যাচে আমাদের সঙ্গে খেলেছিল বুলবুল (আমিনুল ইসলাম) ভাই, তাঁর সঙ্গে ব্যাটিং করার অনুভূতিটাই ছিল আলাদা। তিনি ছিলেন আমার প্রিয় ক্রিকেটারদের একজন। এখন তিনি বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন।’
তখন বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ মানেই একপেশে লড়াই। অবশ্যই বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ আর তাঁর ফাঁকে আশরাফুলের মতো কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ঝলকানি। লঙ্কানদের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ সামলানোর সেই অভিজ্ঞতা মনে পড়ল আশরাফুলের, ‘প্রতিপক্ষ বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বে ছিল মুত্তিয়া মুরালিধরন। তখন সে তার ক্যারিয়ারের চূড়ায়। ভারতের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই নিয়েছিল দশের বেশি উইকেট, যত দূর মনে পড়ে। তাকে খেলা সহজ মনে হয়েছিল আমার। উইকেটে উপভোগ করছিলাম। দুসরা মারছে, আমি ধীরলয়ে খেলে দিচ্ছি। ও আমাদের সঙ্গে ১০ উইকেট পেলেও ওর বল খেলতে আমার কোনো সমস্যা হয়নি।’
নিজের ওই আত্মবিশ্বাস থেকে শান্তদের অনুপ্রাণিত করলেন আশরাফুল, ‘এখন শ্রীলঙ্কার দলে আগের মতো ভয়ংকর স্পিনার নেই। আমাদের সময় যারা স্পিনার ছিল, তারা সবাই বিশ্বসেরা। এবারের লঙ্কান দলে তারা কেউ নেই। বেশির ভাগই নতুন। আর আমরা স্পিন ভালো খেলি। নিজের ওপর বিশ্বাসটাই বেশি জরুরি।’
গলের মতো এসএসসিও এখন স্পিন-স্বর্গ নয়। বরং ব্যাটিংবান্ধব উইকেট হিসেবে বেশি পরিচিত এই মাঠে। শ্রীলঙ্কা এখানে ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭৫৬/৬ রেকর্ড গড়েছে। এখানেই রয়েছে জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারার জুটি ৬২৪ রানের অবিস্মরণীয় সেই জুটি। শান্তরা নিশ্চয়ই এসব পরিসংখ্যান-রেকর্ড জানেন। সিংহলিজ মাঠে কেমন উইকেট হতে পারে, তা নিয়ে কথা হয় হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গে, যিনি আশরাফুলের সঙ্গে এই মাঠে খেলেছেন। সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘গলের উইকেটের সঙ্গে খুব বেশি পার্থক্য থাকবে না। প্রথম দিনে কিছুটা বল মুভ করে। পরে পুরো ব্যাটিং উইকেট হয়ে যায়। পাঁচ বোলার নিয়ে খেলাই ভালো হবে। মিরাজ ফিরলে বোলিং বিভাগ ভারসাম্য পাবে। আলাদা চিন্তার খুব একটা দরকার নেই।’
গলে ম্যাচ ড্র করার পর অধিনায়ক শান্ত নিজেও জানিয়েছিলেন, কলম্বো টেস্টের আগে সেটাই দলকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে, ‘আমার মনে হয়, কন্ডিশন আলাদা হবে। ওখানে খেলেছে এমন ক্রিকেটার আমাদের দলে কম (নেই)। গলে যেভাবে খেলেছি, সেটা আত্মবিশ্বাস দেবে। কন্ডিশন বুঝে টিম কম্বিনেশন হবে।’
বাংলাদেশের বর্তমান দলে কারও এসএসসিতে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তবে এই দলের সঙ্গে সেই (২০০১-২০০৭) সময়ের দলের পার্থক্যও অনেক। শান্তরা প্রতিপক্ষের মাঠেই আক্রমণের জবাব দিতে জানেন। লঙ্কার মাঠে টেস্ট সিরিজ জিতে তাই নিজেদের আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে।
গল মুশফিকুর রহিমের কাছে যেমন পয়মন্তু এক ভেন্যু। কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) মাঠ মোহাম্মদ আশরাফুলের কাছে অনেকটা তা-ই। ১৮ বছর পর বাংলাদেশ আবার টেস্ট খেলতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক ভেন্যুতে। কাল গল থেকে সড়কপথে দুই ঘণ্টার যাত্রা শেষে কলম্বো সিনামন গ্র্যান্ড হোটেলে উঠেছে শান্তর দল। পৌঁছেই তারা পেয়েছে উষ্ণ অভ্যর্থনা। গলে দারুণ একটি টেস্ট উপহার দেওয়া বাংলাদেশ দল দাঁড়িয়ে নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে।
গল শুধু মুশফিকের কাছেই ‘প্রিয়’ হয়ে ওঠেনি, নিজের ‘লাকি’ গ্রাউন্ডে রূপান্তরিত করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন। এবার এসেছেন সেই কলম্বোর এসএসসিতে, যেখানে আশরাফুল গড়েছিলেন অসাধারণ এক রেকর্ড, টেস্ট ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে করেছিলেন সেঞ্চুরি। এখনো অক্ষত সেই রেকর্ড। এ মাঠে পরে আরও দুই টেস্ট খেলেছিলেন আশরাফুল। প্রতি টেস্টেই রান পেয়েছেন। এ মাঠে ৩ টেস্টে ৪৩ গড়ে করেছেন ২৬০ রান।
কাল আশরাফুলের কাছে ফিরে এল দুই যুগ আগে গড়া সেই রেকর্ডের স্মৃতি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্জয় (নাঈমুর রহমান, তখনকার অধিনায়ক) ভাই আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন তাঁর পজিশনে ব্যাটিং করার। রাতে স্বপ্ন দেখলাম, ২০০ করেছি! সকালে দুর্জয় ভাইকে বলতেই বললেন, তুই তো ব্যাটার, ২০০ করা সম্ভব। মাঠে গিয়ে সেই আত্মবিশ্বাসেই ব্যাটিং করেছি। ওই ম্যাচে আমাদের সঙ্গে খেলেছিল বুলবুল (আমিনুল ইসলাম) ভাই, তাঁর সঙ্গে ব্যাটিং করার অনুভূতিটাই ছিল আলাদা। তিনি ছিলেন আমার প্রিয় ক্রিকেটারদের একজন। এখন তিনি বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন।’
তখন বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ মানেই একপেশে লড়াই। অবশ্যই বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ আর তাঁর ফাঁকে আশরাফুলের মতো কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ঝলকানি। লঙ্কানদের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ সামলানোর সেই অভিজ্ঞতা মনে পড়ল আশরাফুলের, ‘প্রতিপক্ষ বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বে ছিল মুত্তিয়া মুরালিধরন। তখন সে তার ক্যারিয়ারের চূড়ায়। ভারতের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই নিয়েছিল দশের বেশি উইকেট, যত দূর মনে পড়ে। তাকে খেলা সহজ মনে হয়েছিল আমার। উইকেটে উপভোগ করছিলাম। দুসরা মারছে, আমি ধীরলয়ে খেলে দিচ্ছি। ও আমাদের সঙ্গে ১০ উইকেট পেলেও ওর বল খেলতে আমার কোনো সমস্যা হয়নি।’
নিজের ওই আত্মবিশ্বাস থেকে শান্তদের অনুপ্রাণিত করলেন আশরাফুল, ‘এখন শ্রীলঙ্কার দলে আগের মতো ভয়ংকর স্পিনার নেই। আমাদের সময় যারা স্পিনার ছিল, তারা সবাই বিশ্বসেরা। এবারের লঙ্কান দলে তারা কেউ নেই। বেশির ভাগই নতুন। আর আমরা স্পিন ভালো খেলি। নিজের ওপর বিশ্বাসটাই বেশি জরুরি।’
গলের মতো এসএসসিও এখন স্পিন-স্বর্গ নয়। বরং ব্যাটিংবান্ধব উইকেট হিসেবে বেশি পরিচিত এই মাঠে। শ্রীলঙ্কা এখানে ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭৫৬/৬ রেকর্ড গড়েছে। এখানেই রয়েছে জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারার জুটি ৬২৪ রানের অবিস্মরণীয় সেই জুটি। শান্তরা নিশ্চয়ই এসব পরিসংখ্যান-রেকর্ড জানেন। সিংহলিজ মাঠে কেমন উইকেট হতে পারে, তা নিয়ে কথা হয় হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গে, যিনি আশরাফুলের সঙ্গে এই মাঠে খেলেছেন। সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘গলের উইকেটের সঙ্গে খুব বেশি পার্থক্য থাকবে না। প্রথম দিনে কিছুটা বল মুভ করে। পরে পুরো ব্যাটিং উইকেট হয়ে যায়। পাঁচ বোলার নিয়ে খেলাই ভালো হবে। মিরাজ ফিরলে বোলিং বিভাগ ভারসাম্য পাবে। আলাদা চিন্তার খুব একটা দরকার নেই।’
গলে ম্যাচ ড্র করার পর অধিনায়ক শান্ত নিজেও জানিয়েছিলেন, কলম্বো টেস্টের আগে সেটাই দলকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে, ‘আমার মনে হয়, কন্ডিশন আলাদা হবে। ওখানে খেলেছে এমন ক্রিকেটার আমাদের দলে কম (নেই)। গলে যেভাবে খেলেছি, সেটা আত্মবিশ্বাস দেবে। কন্ডিশন বুঝে টিম কম্বিনেশন হবে।’
বাংলাদেশের বর্তমান দলে কারও এসএসসিতে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তবে এই দলের সঙ্গে সেই (২০০১-২০০৭) সময়ের দলের পার্থক্যও অনেক। শান্তরা প্রতিপক্ষের মাঠেই আক্রমণের জবাব দিতে জানেন। লঙ্কার মাঠে টেস্ট সিরিজ জিতে তাই নিজেদের আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে।
ফিফার সবশেষ প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে বড় চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ২৪ ধাপ উন্নতি করে উঠে এসেছে ১০৪ নম্বরে। আর কোনো দলই এতটা বড় লাফ দিতে পারেনি। উন্নতির এই ধারা বজায় রাখতে চান কোচ পিটার বাটলার। বাংলাদেশকে সেরা ১০০ দলের ভেতর রাখত কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি।
৩২ মিনিট আগেবাফুফে ভবনের চার তলায় থাকেন নারী ফুটবলাররা। ক্যাম্পের খাবার নিয়ে প্রায়ই সমালোচনা করতে দেখা যায় কোচ পিটার বাটলার। ফুটবলারদের মধ্যে সঠিক পুষ্টির অভাবও দেখতে পান তিনি। বাটলার কথার সঙ্গে খুব একটা একমত নন বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ।
১ ঘণ্টা আগেখেলোয়াড়দের শখের গাড়ি নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে কত কিছুই তো দেখা যায়। কেউ এক গাড়ি কিনে দীর্ঘদিন চালানোর পর নতুন মডেলের গাড়ি কেনেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গ্যারেজে আছে বিশ্বের নামীদামী অনেক ব্র্যান্ডের গাড়ি। রোনালদোর মতো রোহিত শর্মারও গাড়ির গাড়িপ্রেমী এক ক্রিকেটার।
২ ঘণ্টা আগেলাওসে গতকাল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দলের জন্য দিনটা ছিল অম্লমধুর। কারণ, বিকেলে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হজমের পর মূল পর্বের টিকিট পাওয়াটাই শঙ্কার মুখে পড়ে গিয়েছিল। পরে জানা যায়, বাংলাদেশ নারী দল অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগে