রানা আব্বাস, অ্যান্টিগা থেকে
ছাই রঙা লেক্সাসে বেলা ঠিক ১টায় সিডার ভ্যালি গলফ কোর্সে ঢুকলেন তিনি। অ্যান্টিগার এই গলফ কোর্স তাঁরই নামে। ভরদুপুরে গলফ খেলতে এসেছেন স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস। সপ্তাহে এক দিন আসেন গলফ খেলতে।
আজ ভিভের সাপ্তাহিক গলফ খেলার দিন—নানা সূত্রে খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় সেখানে উপস্থিত আমরা দুই বাংলাদেশি সাংবাদিক। ভিভ গাড়িটা পার্ক করতেই এগিয়ে গেলেন এনটিভির প্রতিবেদক বর্ষণ কবির। সাক্ষাৎকারের অনুরোধ করতেই স্বভাবসুলভ দৃঢ়কণ্ঠে তাঁর একটাই শব্দ—‘নো’! গলফের সরঞ্জামাদি নামাতে নামাতে জানতে চাইলেন, কোন দেশ থেকে এসেছি।
বাংলাদেশি সাংবাদিক শুনে ভিভ জানালেন, রাতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দেখতে যেতে পারেন। দরকার হয় স্টেডিয়ামে কথা বলবেন; তবু গলফ কোর্সে নয়। কেন? এটা তাঁর ব্যক্তিগত সময়। এই সময়টা গলফ ছাড়া পৃথিবীর আর কারও দেবেন না বলে ঠিক করেছেন। সঙ্গে এ-ও মনে করিয়ে দিলেন, তিনি যখন একবার ‘না’ বলেছেন, সেটি এখন আর ‘হ্যাঁ’ হবে না।
আপনি কিং—কিং ভিভ না বললে কার সাধ্যি সেটি ‘হ্যাঁ’-তে পরিণত করার! এবার তাঁর জলদগম্ভীর কণ্ঠে প্রতিবাদ, ‘নো, আই অ্যাম নট কিং...ইউ রং।’ আরও যোগ করলেন, ‘তোমরা পারতে এভাবে বিরাটের (কোহলি) সাক্ষাৎকার নিতে? এ কদিনে অনেক অনুরোধ এসেছে। এখন কোনো সাক্ষাৎকার দেব না। এটা একান্তই আমার সময়।’
ছোট্ট এ নিরীহ কথার মধ্যেও অনেক অর্থ লুকিয়ে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বিরাট কোহলিকে এনেছেন। ভিভ কি বলতে চাইছেন, এ সময়ের সেরা ব্যাটার কোহলিকে নাগালে পাওয়া যতটা কঠিন, খেলা ছাড়ার ৩৩ বছর পর ৭২ বয়সী ভিভকেও পাওয়া ঠিক ততটাই কঠিন।
অগত্যা সাক্ষাৎকারের আশা ছেড়ে তখন স্মৃতি জমিয়ে রাখার দিকে মনোযোগ দিতে হলো। সেলফি-ছবি কি তোলা যাবে? এই অনুরোধে সাড়া দিয়ে ‘হ্যাঁ, এটাই সবচেয়ে সহজ অপশন’ বলে ভিভ হাসিমুখে ছবি-সেলফি তুললেন। এ সময় এক ভক্ত দুবার ছবি তোলার অনুরোধ করলে তাঁকে ফোন পরিবর্তনের পরামর্শ দিলেন ক্রিকেট কিংবদন্তি।
যাঁর ভয়ে প্রতিপক্ষের শিরদাঁড়ায় ভয়ের স্রোত বইয়ে যেত, যিনি প্রতিপক্ষের বোলারদের মানসিকভাবে স্রেফ ধ্বংস করে দিতেন; মাঠের বাইরে ভিভের সঙ্গে এখনো কথা বলতে হয় হিসাব করে। এখনো তাঁর চলনবলনে সেই রাজকীয়তা। গলফ কার্টসে খেলার সরঞ্জামাদি নিয়ে চলে গেলেন গলফ কোর্সে। তাঁর ব্যাটিং দেখার সুযোগ হয়নি। কিন্তু ব্যাটিংয়ের মতোই সেই সুইং, স্ট্রোক তো গলফেও দেখা যায়। চোখের সামনে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের গলফের স্ট্রোক যেন ব্যাটিংয়ের বিধ্বংসী স্ট্রোক-প্লে চিত্রিত হয়—সাত সমুদ্দুর তেরো নদীর ওপার থেকে অ্যান্টিগায় বিশ্বকাপ কাভার করতে এসে ভিভকে চোখের সামনে এভাবে দেখতে পাওয়া যেকোনো ক্রীড়া সাংবাদিকের কাছেই বড় আকাঙ্ক্ষিত বিষয়।
ভিভ একবার ‘প্রত্যাখান’ করেছেন তো কি, তাঁর জন্য আরও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে দেখাই যেতে পারে, যদি মনটা গলে! সিডার ভ্যালি গলফ কোর্সের পার্কিং এরিয়ায় দুই ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়েও অবশ্য মন আর গলানো গেল না। আবারও একই অনুরোধ করতেই ব্যাটিংয়ের সময় বোলারের গায়ের রক্ত হিম করে দেওয়া সেই চাউনিতে শীতল কণ্ঠে বললেন, ‘হে মান ইউ ডিডেন্ট গেট আন্ডারস্ট্যান্ড...।’
এ সময়ে কিছু ভারতীয় ভক্ত ভিভকে ঘিরে ধরলেন। তাঁদের ছবি-সেলফি, অটোগ্রাফের আবদার মেটালেন। এর মধ্যে এক সত্তরোর্ধ্ব ভক্ত আবার ১৯৮৩ বিশ্বকাপের সেই তিক্ত স্মৃতিও তাঁকে মনে করিয়ে দিলেন। জানালেন, ’৮৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের ধারাভাষ্য তিনি রেডিওতে শুনেছিলেন। ভিভ হাসিমুখে ভক্তদের আবদার মিটিয়ে ছুটলেন পরের গলফ কোর্সে। ঠিক তখন আরও এক মাইক্রোভর্তি ভক্ত-সমর্থক হাজির। ভিভের সঙ্গে একটু ছবি তুলতে, অটোগ্রাফ নিতে সহস্র মাইল পাড়ি দিয়ে এসেছেন তাঁরা।
যিনি ছোট্ট এক দ্বীপ থেকে উঠে এসে ব্যাট হাতে বিশ্ব শাসন করেছেন—সময়ের স্রোতে বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক কিছু বদলে গেলেও স্যার আইজ্যাক ভিভিয়ান আলেক্সান্ডার রিচার্ডসের আবেদন, তাৎপর্য, গুরুত্ব, প্রভাব—সবকিছুই অটুট, ঠিক আগের মতোই।
ছাই রঙা লেক্সাসে বেলা ঠিক ১টায় সিডার ভ্যালি গলফ কোর্সে ঢুকলেন তিনি। অ্যান্টিগার এই গলফ কোর্স তাঁরই নামে। ভরদুপুরে গলফ খেলতে এসেছেন স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস। সপ্তাহে এক দিন আসেন গলফ খেলতে।
আজ ভিভের সাপ্তাহিক গলফ খেলার দিন—নানা সূত্রে খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় সেখানে উপস্থিত আমরা দুই বাংলাদেশি সাংবাদিক। ভিভ গাড়িটা পার্ক করতেই এগিয়ে গেলেন এনটিভির প্রতিবেদক বর্ষণ কবির। সাক্ষাৎকারের অনুরোধ করতেই স্বভাবসুলভ দৃঢ়কণ্ঠে তাঁর একটাই শব্দ—‘নো’! গলফের সরঞ্জামাদি নামাতে নামাতে জানতে চাইলেন, কোন দেশ থেকে এসেছি।
বাংলাদেশি সাংবাদিক শুনে ভিভ জানালেন, রাতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দেখতে যেতে পারেন। দরকার হয় স্টেডিয়ামে কথা বলবেন; তবু গলফ কোর্সে নয়। কেন? এটা তাঁর ব্যক্তিগত সময়। এই সময়টা গলফ ছাড়া পৃথিবীর আর কারও দেবেন না বলে ঠিক করেছেন। সঙ্গে এ-ও মনে করিয়ে দিলেন, তিনি যখন একবার ‘না’ বলেছেন, সেটি এখন আর ‘হ্যাঁ’ হবে না।
আপনি কিং—কিং ভিভ না বললে কার সাধ্যি সেটি ‘হ্যাঁ’-তে পরিণত করার! এবার তাঁর জলদগম্ভীর কণ্ঠে প্রতিবাদ, ‘নো, আই অ্যাম নট কিং...ইউ রং।’ আরও যোগ করলেন, ‘তোমরা পারতে এভাবে বিরাটের (কোহলি) সাক্ষাৎকার নিতে? এ কদিনে অনেক অনুরোধ এসেছে। এখন কোনো সাক্ষাৎকার দেব না। এটা একান্তই আমার সময়।’
ছোট্ট এ নিরীহ কথার মধ্যেও অনেক অর্থ লুকিয়ে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বিরাট কোহলিকে এনেছেন। ভিভ কি বলতে চাইছেন, এ সময়ের সেরা ব্যাটার কোহলিকে নাগালে পাওয়া যতটা কঠিন, খেলা ছাড়ার ৩৩ বছর পর ৭২ বয়সী ভিভকেও পাওয়া ঠিক ততটাই কঠিন।
অগত্যা সাক্ষাৎকারের আশা ছেড়ে তখন স্মৃতি জমিয়ে রাখার দিকে মনোযোগ দিতে হলো। সেলফি-ছবি কি তোলা যাবে? এই অনুরোধে সাড়া দিয়ে ‘হ্যাঁ, এটাই সবচেয়ে সহজ অপশন’ বলে ভিভ হাসিমুখে ছবি-সেলফি তুললেন। এ সময় এক ভক্ত দুবার ছবি তোলার অনুরোধ করলে তাঁকে ফোন পরিবর্তনের পরামর্শ দিলেন ক্রিকেট কিংবদন্তি।
যাঁর ভয়ে প্রতিপক্ষের শিরদাঁড়ায় ভয়ের স্রোত বইয়ে যেত, যিনি প্রতিপক্ষের বোলারদের মানসিকভাবে স্রেফ ধ্বংস করে দিতেন; মাঠের বাইরে ভিভের সঙ্গে এখনো কথা বলতে হয় হিসাব করে। এখনো তাঁর চলনবলনে সেই রাজকীয়তা। গলফ কার্টসে খেলার সরঞ্জামাদি নিয়ে চলে গেলেন গলফ কোর্সে। তাঁর ব্যাটিং দেখার সুযোগ হয়নি। কিন্তু ব্যাটিংয়ের মতোই সেই সুইং, স্ট্রোক তো গলফেও দেখা যায়। চোখের সামনে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের গলফের স্ট্রোক যেন ব্যাটিংয়ের বিধ্বংসী স্ট্রোক-প্লে চিত্রিত হয়—সাত সমুদ্দুর তেরো নদীর ওপার থেকে অ্যান্টিগায় বিশ্বকাপ কাভার করতে এসে ভিভকে চোখের সামনে এভাবে দেখতে পাওয়া যেকোনো ক্রীড়া সাংবাদিকের কাছেই বড় আকাঙ্ক্ষিত বিষয়।
ভিভ একবার ‘প্রত্যাখান’ করেছেন তো কি, তাঁর জন্য আরও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে দেখাই যেতে পারে, যদি মনটা গলে! সিডার ভ্যালি গলফ কোর্সের পার্কিং এরিয়ায় দুই ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়েও অবশ্য মন আর গলানো গেল না। আবারও একই অনুরোধ করতেই ব্যাটিংয়ের সময় বোলারের গায়ের রক্ত হিম করে দেওয়া সেই চাউনিতে শীতল কণ্ঠে বললেন, ‘হে মান ইউ ডিডেন্ট গেট আন্ডারস্ট্যান্ড...।’
এ সময়ে কিছু ভারতীয় ভক্ত ভিভকে ঘিরে ধরলেন। তাঁদের ছবি-সেলফি, অটোগ্রাফের আবদার মেটালেন। এর মধ্যে এক সত্তরোর্ধ্ব ভক্ত আবার ১৯৮৩ বিশ্বকাপের সেই তিক্ত স্মৃতিও তাঁকে মনে করিয়ে দিলেন। জানালেন, ’৮৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের ধারাভাষ্য তিনি রেডিওতে শুনেছিলেন। ভিভ হাসিমুখে ভক্তদের আবদার মিটিয়ে ছুটলেন পরের গলফ কোর্সে। ঠিক তখন আরও এক মাইক্রোভর্তি ভক্ত-সমর্থক হাজির। ভিভের সঙ্গে একটু ছবি তুলতে, অটোগ্রাফ নিতে সহস্র মাইল পাড়ি দিয়ে এসেছেন তাঁরা।
যিনি ছোট্ট এক দ্বীপ থেকে উঠে এসে ব্যাট হাতে বিশ্ব শাসন করেছেন—সময়ের স্রোতে বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক কিছু বদলে গেলেও স্যার আইজ্যাক ভিভিয়ান আলেক্সান্ডার রিচার্ডসের আবেদন, তাৎপর্য, গুরুত্ব, প্রভাব—সবকিছুই অটুট, ঠিক আগের মতোই।
নেপাল সফরের জন্য গত পরশু শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। সে জন্য ২৪ জনের দলও সাজিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। কিন্তু মাঠের অনুশীলন এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। এর মধ্যে নতুন খবর, ক্যাম্পের জন্য আপাতত নিজেদের খেলোয়াড়দের ছাড়ছে না বসুন্ধরা কিংস। আজ এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি বাফুফেকে জানিয়েছে তারা।
৩ ঘণ্টা আগেলিওনেল মেসির সঙ্গে ধারেকাছে কেউ এলেই হতো। দেহরক্ষী ইয়াসিন চেউকো দ্রুত তাঁকে ধরে ফেলেন। বিমানের চেয়ে যেন ক্ষিপ্রগতিতে ছুটতে পারেন চেউকো। তাঁর কারণে তাই ভক্ত-সমর্থকেরা সেলফি তোলা তো দূরে থাক, অটোগ্রাফ পর্যন্ত নিতে পারেন না।
৪ ঘণ্টা আগেভুটানের ক্লাব রয়্যাল থিম্পু কলেজ ফুটবল ক্লাবে (আরটিসি) খেলবেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। একই ক্লাবের হয়ে খেলতে আজ তাঁর সঙ্গে ভুটানে গিয়েছেন স্বপ্না রানী। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রাথমিক পর্বে ‘ডি’ গ্রুপে খেলবে আরটিসি। মূলত এই টুর্নামেন্টের জন্য আফঈদা-স্বপ্নাকে নিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেলিওনেল মেসি তাঁর ক্যারিয়ারে কত শিরোপা জিতেছেন, সেটা তিনি যে নিজেও গুণে শেষ করতে পারবেন না। বার্সেলোনা, প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি), আর্জেন্টিনা—যে দলের হয়েই খেলেছেন, জিতেছেন শিরোপা। পরম আরাধ্য বিশ্বকাপ জিতেছেন ২০২২ সালে। একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন বলে ‘রেকর্ডের বরপুত্র’ উপাধিও পেয়েছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে