Ajker Patrika

ইংল্যান্ডের ‘বাজবলে’ আবারও হার ভারতের

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৫ জুন ২০২৫, ০০: ৫৩
হেডিংলিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়ছেন জো রুট ও জেমি স্মিথ। ছবি: এএফপি
হেডিংলিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়ছেন জো রুট ও জেমি স্মিথ। ছবি: এএফপি

রোমাঞ্চের মঞ্চটা তৈরি হয়েছিল আগের দিনই। চতুর্থ ইনিংসে ৩৭১ রানের লক্ষ্য পাওয়ার পর শেষ দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৫০ রান। ভারতের ১০ উইকেট। তবে শেষ দিনে কতটা রোমাঞ্চ ছড়াবে, সেটা নির্ভর করছিল ইংল্যান্ড জয়ের জন্য না ড্রয়ের জন্য খেলবে, সেটার ওপর। শেষ দিনে হেডিংলিতে জয়ের জন্যই খেলেছে ইংল্যান্ড।

আর তাতেই উত্তেজনাপূর্ণ সমাপ্তির দিকে এগিয়েছে ইংল্যান্ড-ভারতের প্রথম টেস্ট। রোমাঞ্চের রেণু ছড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড জিতেছে ৫ উইকেটে। হেডিংলি টেস্টের প্রথম চার দিনই জয়ের সম্ভাবনায় ইংল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে থেকেছে ভারত। কিন্তু শেষ দিনে ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ ক্রিকেটের কাছে আর পেরে ওঠেনি ভারত। কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মস্তিষ্কপ্রসূত বাজবল ক্রিকেট খেলা শুরুর পর এটি ইংল্যান্ডের স্মরণীয় এক জয়। অবশ্য ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে এটাই জয়ের রেকর্ড নয় ইংল্যান্ডের। এর আগে ২০২২ সালে বার্মিংহামে চতুর্থ ইনিংসে ৩৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল বাজবল ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলা ইংল্যান্ড।

হেডিংলিতেও এটি সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নয়। এর আগে এই ভেন্যুতে ৪০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ১৯৮৪ সালে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের হার না মানা ১৭৩ এবং আর্থার মরিসের ১৮২ রানের ইনিংসের সুবাদে ৩ উইকেট খুইয়েই জিতে গিয়েছিল।

ইংল্যান্ডের দুর্দান্ত এই জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। ওপেনিং জুটিতে ১৮৮ রানের জুটি গড়েছিলেন তাঁরা। ফিফটি ছুঁয়ে ক্রলি ৬৫ রান করে আউট হয়ে গেলেও দেখেশুনে খেলতে থাকেন ডাকেট। ভারতীয় বোলারদের হতাশা বাড়িয়ে একসময় রানের তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলেন। দলীয় ২৫৩ রানে তিনি যখন আউট হলেন, তখন তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ১৪৯ রান। ১৭০ বলে খেলা তাঁর এই ইনিংসে আছে ২১টি চার ও ১টি ছয়। ১৫ বছরের বেশি সময় পর টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে এটি প্রথম সেঞ্চুরি।

সেঞ্চুরির ঠিক আগে অবশ্য একবার ‘জীবন’ পেয়েছিলেন ডাকেট। মোহাম্মদ সিরাজকে পুল শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। বাউন্ডারি লাইন থেকে দৌড়ে এসে হাতের নাগালের মধ্যে পেয়েও বল তালুবন্দী করতে পারেননি জয়সওয়াল।

ডাকেটের আউট হওয়ার পররে বলেই রানের খাতা না খুলে আউট হয়ে যান হ্যারি ব্রুকও। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে বোলার শার্দুল ঠাকুর উজ্জীবিত করেছিলেন ভারত শিবিরকে। কিন্তু অনেক বিপদেই ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডের ত্রাতা হয়ে ওঠা জো রুট এক প্রান্ত আগলে রেখে দেখেশুনে খেলতে থাকেন। তাঁকে প্রথম সাহচর্য দেন অধিনায়ক বেন স্টোকস (৩৩) ও পরে জেমি স্মিথ। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রুট-স্মিথের ৮৮ বলে ৭১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় সুনিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। ফিফটি ছুঁয়ে রুট অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে। জেমি স্মিথ করেন ৪৪*। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার শার্দুল ঠাকুর ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। বাকি উইকেটটি বরীন্দ্র জাদেজার।

ইংল্যান্ডের এই জয়ে ভারতীয় দলের সব সদস্যই হতাশ হয়েছেন। তবে একটু বেশিই বোধ হয় জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের পর ইতিহাসের দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে একই টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরির কীর্তি গড়া ঋষভ পন্ত। এই কীর্তি গড়ে দলকে তো জেতাতে পারেননি, উল্টো ম্যাচে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে তিরস্কৃত হয়েছেন। পেয়েছেন একটি ডিমেরিট পয়েন্টও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

ক্রীড়া ডেস্ক    
বুমরা-সূর্যকুমারকে ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে আইসিসি। দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফ। ছবি: সংগৃহীত
বুমরা-সূর্যকুমারকে ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে আইসিসি। দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফ। ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার এক মাস পেরোলেও সেটার রেশ যে এখনো কাটেনি। বিশেষ করে, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টজুড়েই ছিল ভারত-পাকিস্তানকে নিয়ে আলোচনা। মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়ে বাইরের ঘটনায় বেশি উত্তপ্ত হয়েছে। এবার সেই টুর্নামেন্টে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য সূর্যকুমার যাদব, জসপ্রীত বুমরা, হারিস রউফদের শাস্তি দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)।

আইসিসি গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের শাস্তির কথা নিশ্চিত করেছে। রউফ ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই ম্যাচ নিশ্চিত হয়েছেন। ফয়সালাবাদে গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে রউফ খেলেননি। সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে ম্যাচও তাই তিনি মিস করবেন। বুমরা পেয়েছেন এক ডিমেরিট পয়েন্ট। সূর্যকুমার যাদব পেয়েছেন দুই ডিমেরিট পয়েন্ট। আগে তো তাঁর ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা রয়েছে।

রউফের শাস্তি

২১ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরে বিমান ভূপাতিত করার ভঙ্গিতে দর্শকদের দিকে ৬ আঙুল দেখিয়েছিলেন। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল এবং নামের পাশে জুটেছিল দুই ডিমেরিট পয়েন্ট। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনালের পর আইসিসি ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের শুনানিতে ফের রউফের বিরুদ্ধে আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। নামের পাশে আরও দুই ডিমেরিট পয়েন্ট জোটে।

বুমরার শাস্তি

বুমরার বিরুদ্ধে আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে সতর্ক করার পাশাপাশি এক ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে। শাস্তি মেনে নেওয়ায় আর শুনানির প্রয়োজন হয়নি। তিনি ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনালে রউফকে আউট করার পর তাঁর উদযাপনের পাল্টা (বিমান ভূপাতিত করার উদযাপন) দিয়েছিলেন বুমরা।

সূর্যকুমারের শাস্তি

ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমারের বিরুদ্ধেও আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানার পাশাপাশি দুই ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে জয়ের পর ভারতের সামরিক বাহিনীকে উৎসর্গ করেছিলেন তিনি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মে মাসে রাষ্ট্রীয় সংঘাত নিয়ে মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে খেলার মাঠে রাজনীতি টেনে আনার অভিযোগ করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ মূলত খেলার ভাবমূতি নষ্টের অভিযোগ। পাকিস্তানি ব্যাটার সাহিবজাদা ফারহানের বিরুদ্ধেও ওঠে এমন অভিযোগ। তাঁকে সতর্ক করার পাশাপাশি একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে আইসিসি। তিনি ২১ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরে ফিফটি করার পর গুলি ছোড়ার মতো করে উদযাপন করেছিলেন। যা ‘একে-৪৭ উদযাপন’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল। আর ভারতীয় বাঁহাতি পেসার আর্শদীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে অশালীন ইঙ্গিতের অভিযোগ উঠলেও আইসিসির তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।

ঘটনাবহুল এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে তিন বার। ২৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে নবমবারের মতো মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট জেতে ভারত। তবে মহসিন নাকভির কাছ থেকে সেই রাতে ট্রফি নেয়নি সূর্যকুমারের দল। ভারতীয় ক্রিকেটাররা শিরোপা ছাড়া উদযাপন করে বিরল এক ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাক্ষাৎকার

‘এক বছরে ক্রীড়াঙ্গনে খুব বেশি পরিবর্তন চোখে পড়েনি’

বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

আমিনুল হক সাবেক অধিনায়ক, দেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক। খেলোয়াড়ি পরিচয় ছাপিয়ে আমিনুল হকের রাজনৈতিক পরিচয়টাই এখন বেশি সামনে আসছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এরই মধ্যে ঢাকা-১৬ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী। পরশু সকালে মিরপুরে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমিনুল হক ফিরে দেখলেন ৫ আগস্ট-পরবর্তী ক্রীড়াঙ্গন, তুলে ধরলেন নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার হেড অব স্পোর্টস রানা আব্বাস

রানা আব্বাস, ঢাকা 
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৭

প্রশ্ন: গত বছরের ৫ আগস্টের পর ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কার নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

আমিনুল হক: ৫ আগস্টের পর আশা করেছিলাম, নতুন ধারার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে যাঁরা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন, সেই মানুষগুলো ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব নিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজাবেন। স্বৈরাচার সরকার ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি সেক্টরে দলীয়করণ করেছে, রাজনীতিকরণ করেছে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে আমরা আশা করেছিলাম, ক্রীড়াঙ্গনটা নতুনভাবে ঢেলে সাজাব। আমার সঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টার কথাও হয়েছিল। আপনারা জানেন, তিনি সার্চ কমিটি করেছেন। যে অ্যাডহক কমিটিগুলো করা হয়েছে, ক্রীড়া পরিষদে নিজস্ব একটা সেটআপ তৈরি করে সারা দেশের যে জেলা, বিভাগীয় অ্যাডহক কমিটিগুলো করা হয়েছে, সেখানে তিনি শতভাগ তাঁর নিজের মতো করার চেষ্টা করেছেন। তিনি যদি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতেন, তাহলে মাঠের যাঁরা ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা যোগ্য ছিলেন, তাঁরা উঠে আসতেন। কিন্তু তিনি যখন পক্ষপাতের দিকে চলে গেছেন, তখন আসলে ক্রীড়াঙ্গনের সেই নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে। গত এক বছরের মূল্যায়ন যদি বলেন, খুব বেশি পরিবর্তন আমাদের চোখে পড়েনি; বরং ক্রিকেট বোর্ডের যে নির্বাচনটা আমরা দেখলাম, একেবারে নিজের মতো করে করার চেষ্টা করেছেন এবং তিনি এখানে কাউকে কোনো সুযোগ দেননি। তিনি একদম অগণতান্ত্রিকভাবে ক্রিকেট বোর্ডটা নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। এটা আসলে আমরা একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে বাংলাদেশের যাঁরা ক্রীড়া সংগঠক রয়েছেন, ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ক্রীড়া সংগঠক যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা কখনোই এটাকে ভালোভাবে নেননি।

প্রশ্ন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে তামিম ইকবালকে কীভাবে কাজে লাগাতে চান?

আমিনুল: বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ দলীয়করণমুক্ত, রাজনীতিকরণমুক্ত রাখতে চাই। এটা আজ বলছি। ভবিষ্যতেও বলব একই কথা। সে ক্ষেত্রে তামিম ইকবাল যে আমাদের বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছে, বিষয়টি এ রকম নয়। এখানে তামিম ইকবালসহ যাঁরা কাজ করেছেন বা ভবিষ্যতে ক্রিকেট বোর্ডে আসতে চান, আমরা চেয়েছি যাতে বিষয়টা অবাধ, সুষ্ঠু হয়। যাতে একেবারে নিরপেক্ষভাবে ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনটা হয়। সেই চিন্তা থেকে একজন ক্রিকেটার হিসেবে যেহেতু তামিম ইকবাল একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের বুলবুল ভাই থেকে শুরু করে যাঁরাই ছিলেন, আমরা চেয়েছি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্রিকেট বোর্ডটা গঠিত হোক। কিন্তু এটাকে একটি মহল রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যেটা আমরা আসলে কখনোই আশা করিনি। ভবিষ্যতে ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে গঠিত হবে বা বর্তমানে যেহেতু ক্রিকেট বোর্ড গঠিত হয়েছে, সেটা আসলে আমরা ভবিষ্যতের ওপরই ছেড়ে দেব। ক্রিকেট বোর্ড যেহেতু চার বছরের জন্য। কিন্তু এখানে অনেক প্রশ্ন আছে। ক্রিকেট বোর্ডের এই নির্বাচন ঘিরে মামলাও রয়েছে কিছু। এগুলো চলবে আইন অনুযায়ী। আমরা সেটার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চাই।

প্রশ্ন: বিএনপি যদি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে, ক্রীড়াঙ্গনের কোথায় দ্রুত পরিবর্তন আনতে চাইবেন?

আমিনুল: প্রথম পরিবর্তনটা করতে চাই স্কুল পর্যায়ে। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি থেকে খেলাধুলাকে বাধ্যতামূলক করতে চাই। সেটা বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রমের অন্তর্ভুক্ত করব। খেলাধুলা একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সারা দেশে আমরা মাঠগুলো সংরক্ষণ করতে চাই। আমাদের ‘নতুন কুঁড়ি’ নামের কর্মসূচি শুরু করব। সেই নতুন কুঁড়ির মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় যারা রয়েছে, তাদের ভবিষ্যতে সরকারিভাবে খেলাধুলা, পড়াশোনা—সব দায়দায়িত্ব নেব। খেলাকে কেউ কিন্তু এখন পর্যন্ত পেশা হিসেবে বেছে নেয়নি। আমরা সেই জায়গা নিয়েও কাজ করতে চাই; যাতে ভবিষ্যতে একজন ফুটবলার নিজেকে ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। একেবারে তৃণমূল থেকে ভবিষ্যতে যেন খেলাকে পেশা হিসেবে নিতে পারে, সেই পেশার নিশ্চয়তা আমরা দিতে চাই।

প্রশ্ন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আপনাদের অবস্থান কী হবে? তাঁকে কি দেশে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে?

আমিনুল: একজন সাবেক জাতীয় ফুটবলার, সাবেক জাতীয় অধিনায়ক হিসেবে যেটা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করেছি, আমাকে প্রতি মুহূর্তে মামলা-হামলায় জর্জরিত করেছে। শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছি। আমাকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছি। এই ধরনের পরিস্থিতি যেন কোনোভাবে খেলোয়াড়ের সঙ্গে না হয়, এটা আমি কখনোই চাই না এবং সমর্থনও করি না। একজন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হচ্ছে, ভিন্নমত থাকতে পারে। আমি আমার মতামত দিয়ে আমার কাজ যদি সফলভাবে শেষ করতে পারি, এটা আমার যোগ্যতা অনুযায়ী করব। কিন্তু ভিন্নমতের কারণে যে আমার ওপরে বা অন্য কারও ওপরে জুলুম-নির্যাতন হবে, সেটাকে কখনোই সমর্থন করি না এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো জুলুম নির্যাতন হবে না। আপনি যে বিষয়টি বলছেন, তা হচ্ছে, যেহেতু সাকিবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে মামলা হয়েছে, সেটা কিন্তু অবৈধ সরকারের ৩০০ জনের একজন এমপি হওয়ায় সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে যখন ওই স্বৈরাচার সরকার মানুষকে যেভাবে হত্যা করেছে, যেভাবে গুম করেছে, এটার দায়ভার ৩০০ জনের একজনকে নিতে হবে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তবে এটার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র নেবে।

প্রশ্ন: অনেক জটিল বিষয়ে কথা হলো, এবার ফুটবলে আসি। বাংলাদেশের ফুটবলে হামজা আসার পর যে আশা তৈরি হয়েছে, সেটা শুধুই জাতীয় দলকেন্দ্রিক। ক্লাব ফুটবল আঁধারেই আছে।

আমিনুল: হামজা চৌধুরী, শমিত শোম বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যে খেলোয়াড়েরা রয়েছে, তাদের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের ফুটবলে একটা জাগরণ তৈরি হয়েছে। সেই জাগরণকে অবশ্যই আমরা ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি এবং এই হাইপটা ধরে রাখতে পারলে আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল অনেক এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়। তৃণমূল পর্যায় মানে আমাদের তেমন কোনো খেলা কিন্তু গত এক বছরে দৃশ্যমান দেখিনি। আমাদের ঘরোয়া ফুটবলের সেই জৌলুশ কিন্তু আমরা এখনো দেখিনি। শুধু দু-চারটি ক্লাবের ওপর বাংলাদেশের ফুটবল নির্ভর করে না। আমাদের উপজেলা বা জেলা পর্যায়ের যে ফুটবল খেলা দরকার কিংবা যে ধরনের লিগ দরকার, আমরা যখন খেলেছি শেরেবাংলা কাপ, সোহরাওয়ার্দী কাপের মাধ্যমে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অনেক ভালো ভালো ফুটবলার বের হয়ে আসত। এই পাইপলাইনটা কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ। এখন হামজা চৌধুরীকে কেন্দ্র করে বা বাংলাদেশের ফুটবল জাতীয় পর্যায়ে হয়তো এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের যে বিকল্প দরকার, তৃণমূল পর্যায় থেকে যে শুরু করা দরকার বা যে স্কুল ফুটবল শুরু করা দরকার, এই জায়গাগুলোতে আমরা অনেকাংশে পিছিয়ে আছি। এটা কখনোই রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। সময় দিতে হবে। পরিকল্পনা করতে হবে। পেশাদারি মনোভাব আনতে হবে সব পর্যায়ে। শুধু খেলোয়াড়েরা পেশাদারি আচরণ করবে আর কর্মকর্তারা করবেন না, তা হলে তো হবে না। মাঠের সংকট নিয়েও আমাদের কাজ করতে হবে। সেটা অবশ্যই সরকারি পর্যায় থেকে হওয়া উচিত এবং পাশাপাশি আমাদের ক্লাব পর্যায়গুলো ক্লাবের যে সুযোগ-সুবিধা দরকার, আসলে তা অপ্রতুল। সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়, হামজা চৌধুরীকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ফুটবলে নবজাগরণ তৈরি হয়েছে। এটা ধরে রেখে আমরা যদি তৃণমূল পর্যায়ে এগিয়ে আসতে পারি এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা যায়, তাহলে হয়তো ভালো কিছু করতে পারব।

প্রশ্ন: কদিন পর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, বাংলাদেশ কি পারবে হারাতে?

আমিনুল: ভারতের ফুটবল আর বাংলাদেশের ফুটবলে কিন্তু খুব বেশি পার্থক্য নেই। হামজা চৌধুরীর আসার কারণে বাংলাদেশের ফুটবলে এবং খেলোয়াড়দের ভেতরে একটি নতুন উন্মাদনা বা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। সেই আত্মবিশ্বাসের জায়গা থেকে বলি, যেহেতু আমাদের ঘরের মাঠে খেলা, আমরা যদি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিপিএলের পাঁচ দল চূড়ান্ত, নেই ‘চ্যাম্পিয়ন’ বরিশাল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিপিএলের পাঁচ দল চূড়ান্ত করেছে বিসিবি। ফাইল ছবি
বিপিএলের পাঁচ দল চূড়ান্ত করেছে বিসিবি। ফাইল ছবি

২০২৬ বিপিএলের পাঁচটি দল চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আজ রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, টগি স্পোর্টস লিমিটেডের রংপুর রাইডার্স, চ্যাম্পিয়নস স্পোর্টস ঢাকা, নাবিল গ্রুপের রাজশাহী, ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেসের চট্টগ্রাম ও ক্রিকেট উইথ সামিকে দেওয়া হয়েছে সিলেট দল। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল পেয়েছে ৫ বছরের চুক্তিতে। এবার কোন দলের কী নাম হবে, এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

২০২৬ বিপিএলে অংশ নিতে আগ্রহ দেখিয়েছিল ১১টি প্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে টেকে আটটি প্রতিষ্ঠান। এবার বিপিএলে থাকছে না বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশালের নামে কোনো দল। আর্থিক শক্তি, ম্যানেজমেন্ট ও মোটিভেশন এবং অভিজ্ঞতা—এই তিনটি বিষয় যাচাইবাছাই করে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, কোনো দল যদি পরের মৌসুমে দল চালাতে না চায়, সেটি অন্তত ৩ মাস আগে জানাতে হবে বিসিবিকে। ২ কোটি অংশগ্রহণ ফি ও ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হচ্ছে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি পাওনা টাকা নিয়ে অনিয়ম করে, ব্যাংক গ্যারান্টি থেকে পরিশোধ করবে বলে জানানো হয়েছে।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন, পাঁচ দলের বিপিএল ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে তাঁদের। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলের প্রস্তুতি নিতে পর্যাপ্ত সময় রাখতে চায় বিসিবি। বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট হবে ১৭ নভেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হৃদয়বিদারক ঘটনা, ম্যাচ চলাকালীন কোচের মৃত্যু

ক্রীড়া ডেস্ক    
ম্যাচের ২২ মিনিটে হার্ট অ্যাটাক করেন ম্লাদেন জিজোভিচ। ছবি: এক্স
ম্যাচের ২২ মিনিটে হার্ট অ্যাটাক করেন ম্লাদেন জিজোভিচ। ছবি: এক্স

ফুটবল কখনো কখনো অনেক নিষ্ঠুর। নির্মমভাবে ম্যাচ হারের চেয়েও এই খেলায় অনেক সময় ঘটে যায় হৃদয়বিদারক ঘটনা। সবশেষ তেমন কিছুই দেখা গেল সার্বিয়ান সুপার লিগাতে ম্লাদস্ত লুচানি ও এফকে রাদনিকির ম্যাচে।

সার্বিয়ার শীর্ষ লিগে লুচানির মাঠে খেলতে গিয়েছিল রাদনিচকি। সবকিছু ঠিকভাবেই চলছিল। গোলের উদ্দেশ্যে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে চলছিল ম্যাচ। কিন্তু ২২ মিনিটেই হঠা থমকে যায় সবকিছু। নিরবতা নেমে আসে গোটা গ্যালারিতে।

সার্বিয়ার বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, হার্ট অ্যাটাক করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সফরকারী দলের কোচ ম্লাদেন জিজোভিচ। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি ৪৪ বছর বয়সী এই বসনিয়ান কোচকে।

জিজোভিচ হার্ট অ্যাটাক করার পরই খেলোয়াড়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর ম্যাচ পরিত্যক্ত করা হয়। এই কোচের মৃত্যু দেশের ফুটবলের জন্য অপূরণী ক্ষতি বলে বর্ণনা করেছে সার্বিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএসএস)।

দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে বসনিয়ার সাবেক মিডফিল্ডার জিজোবিচকে নিয়োগ দেয় রাদনিচকি। এই কোচের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ক্লাবটি।

শোক বার্তায় রাদনিচকি লিখেছে, ‘গভীরতম দুঃখের সাথে জনসাধারণ, ভক্ত এবং ক্রীড়া বন্ধুদের জানাচ্ছি যে আমাদের পেশাদার কর্মীদের প্রধান ম্লাদেন জিজোভিচ লুচানিতে ম্লাদস্ত এবং রাদনিকির ম্যাচ চলাকালীন মারা গেছেন। যে কয়েকজন কোচ এই ক্লাবে এসেছেন তাঁদের মধ্যে জিজোভিচ এখানে নিজের জ্ঞান, প্রাণশক্তি ও মাহাত্ম্য দিয়ে গভীর ছাপ রেখে গেছেন। এই ক্লাব কেবল একজন কোচকে নয়, হারিয়েছে একজন ভালো মানুষ, বন্ধু ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত