ক্রীড়া ডেস্ক
বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ জিতে যেত শ্রীলঙ্কা। কলম্বোর প্রেমাদাসায় সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লঙ্কানদের প্রায় জিতিয়েই দিয়েছিলেন জানিথ লিয়ানাগে। তবে প্রাণপণে লড়েও শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকদের জেতাতে পারেননি লিয়ানাগে।
২৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কার স্কোর একটা পর্যায়ে হয়ে যায় ৩৮.৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭০ রান। তখন ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যান লিয়ানাগে। নবম উইকেটে দুষ্মন্ত চামিরার সঙ্গে ৫৩ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন লিয়ানাগে। হাতে ২ উইকেট নিয়ে শেষ ১৭ বলে শ্রীলঙ্কার যখন ২১ রান দরকার, তখন লিয়ানাগে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। ৪৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লঙ্কান ব্যাটার মোস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে কট এন্ড বোল্ডের শিকার হয়েছেন।
৮৫ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৭৮ রানের ইনিংস খেলে লিয়ানাগে বিদায় নিলে শ্রীলঙ্কার জয়ের আশা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। লঙ্কানরা এরপর ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ রানে অলআউট হয়ে যায়। ১৬ রানে ম্যাচ হারের পর দায়টা নিজের কাঁধেই তুলে নিচ্ছেন লিয়ানাগে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লঙ্কান এই ব্যাটার বলেন, ‘এসব পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, সেই ব্যাপারে কোচদের সঙ্গে কথা বলেছি বারবার। তারা একটা কথা বলেছেন, যদি বাকি ব্যাটাররা আউট হয়, তাহলে আমি টিকে থেকে বড় শট খেলব। ভেবেছিলাম আমি শেষ পর্যন্ত টিকলে ম্যাচটা জিততে পারতাম।’
লিয়ানাগে যে ৭৮ রান করেছেন, তাতে বাংলাদেশের ফিল্ডারদেরও অবদান রয়েছে। ব্যক্তিগত ২৮ ও ৪২ রানে লিয়ানাগে জীবন পেয়েছেন জাকের আলী অনিক ও রিশাদ হোসেনের ক্যাচ মিসের কারণে। তবে শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে না পারায় আফসোস করছেন লঙ্কান এই ব্যাটার। সংবাদ সম্মেলনে লিয়ানাগে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছিলাম মোস্তাফিজের বিপক্ষে তেমন ঝুঁকি না নিয়ে অন্যান্য ওভার থেকে রান বের করতে। তবে সেটা কাজে দেয়নি। দুষ্মন্ত চামিরা আমাকে দারুণভাবে সমর্থন দিয়েছে। আমি টিকলে থাকলে ম্যাচটা নিশ্চিতভাবে জিততে পারতাম। চামিরা দারুণ খেলেছে। ভুলটা আমিই করেছিলাম।’
জয়ের লক্ষ্যে নেমে গতকাল প্রেমাদাসায় বিস্ফোরক শুরু করে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিসের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে (২০ বলে ফিফটি) প্রথম ৯ ওভারে ১ উইকেটে ৭৪ রান করে ফেলে লঙ্কানরা। তবে তানভীর ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ঘূর্ণিজাদুতে চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে লঙ্কানরা। শ্রীলঙ্কার ১০ উইকেটের মধ্যে এই তিন স্পিনার নিয়েছেন ৭ উইকেট। যার মধ্যে তানভীর নিয়েছেন ৫ উইকেট। বলতে গেলে বাংলাদেশের কাছে গতকাল বেশির ভাগ লঙ্কান ক্রিকেটার উইকেট উপহার দিয়েছেন।
১৬ রানে হারের পর শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের কাঠগড়ায় তুললেন লিয়ানাগে। ২৯ বছর বয়সী লঙ্কান ব্যাটার বলেন, ‘আমরা ছোটখাটো ভুল করেছি। ম্যাচটা সেখানেই হেরেছি। ব্যাটিং বিভাগকে সেই দায়ভার নিতে হবে। আমরা জানি ম্যাচ যত এগোতে থাকে, প্রেমাদাসার উইকেটে স্পিন তত বেশি কার্যকরী হয়। এটাকে কোনো অজুহাত দিতে চাচ্ছি না আমরা।’
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। পাল্লেকেলেতে পরশু তৃতীয় ওয়ানডেতে জিতলেই প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার মাঠে ওয়ানতে সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়বে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে ওয়ানডে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ। সবশেষ ২০২৪ সালে বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতে লঙ্কানদের বিপক্ষে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ জিতে যেত শ্রীলঙ্কা। কলম্বোর প্রেমাদাসায় সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লঙ্কানদের প্রায় জিতিয়েই দিয়েছিলেন জানিথ লিয়ানাগে। তবে প্রাণপণে লড়েও শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকদের জেতাতে পারেননি লিয়ানাগে।
২৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কার স্কোর একটা পর্যায়ে হয়ে যায় ৩৮.৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭০ রান। তখন ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যান লিয়ানাগে। নবম উইকেটে দুষ্মন্ত চামিরার সঙ্গে ৫৩ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন লিয়ানাগে। হাতে ২ উইকেট নিয়ে শেষ ১৭ বলে শ্রীলঙ্কার যখন ২১ রান দরকার, তখন লিয়ানাগে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। ৪৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লঙ্কান ব্যাটার মোস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে কট এন্ড বোল্ডের শিকার হয়েছেন।
৮৫ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৭৮ রানের ইনিংস খেলে লিয়ানাগে বিদায় নিলে শ্রীলঙ্কার জয়ের আশা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। লঙ্কানরা এরপর ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ রানে অলআউট হয়ে যায়। ১৬ রানে ম্যাচ হারের পর দায়টা নিজের কাঁধেই তুলে নিচ্ছেন লিয়ানাগে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লঙ্কান এই ব্যাটার বলেন, ‘এসব পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, সেই ব্যাপারে কোচদের সঙ্গে কথা বলেছি বারবার। তারা একটা কথা বলেছেন, যদি বাকি ব্যাটাররা আউট হয়, তাহলে আমি টিকে থেকে বড় শট খেলব। ভেবেছিলাম আমি শেষ পর্যন্ত টিকলে ম্যাচটা জিততে পারতাম।’
লিয়ানাগে যে ৭৮ রান করেছেন, তাতে বাংলাদেশের ফিল্ডারদেরও অবদান রয়েছে। ব্যক্তিগত ২৮ ও ৪২ রানে লিয়ানাগে জীবন পেয়েছেন জাকের আলী অনিক ও রিশাদ হোসেনের ক্যাচ মিসের কারণে। তবে শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে না পারায় আফসোস করছেন লঙ্কান এই ব্যাটার। সংবাদ সম্মেলনে লিয়ানাগে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছিলাম মোস্তাফিজের বিপক্ষে তেমন ঝুঁকি না নিয়ে অন্যান্য ওভার থেকে রান বের করতে। তবে সেটা কাজে দেয়নি। দুষ্মন্ত চামিরা আমাকে দারুণভাবে সমর্থন দিয়েছে। আমি টিকলে থাকলে ম্যাচটা নিশ্চিতভাবে জিততে পারতাম। চামিরা দারুণ খেলেছে। ভুলটা আমিই করেছিলাম।’
জয়ের লক্ষ্যে নেমে গতকাল প্রেমাদাসায় বিস্ফোরক শুরু করে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিসের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে (২০ বলে ফিফটি) প্রথম ৯ ওভারে ১ উইকেটে ৭৪ রান করে ফেলে লঙ্কানরা। তবে তানভীর ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ঘূর্ণিজাদুতে চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে লঙ্কানরা। শ্রীলঙ্কার ১০ উইকেটের মধ্যে এই তিন স্পিনার নিয়েছেন ৭ উইকেট। যার মধ্যে তানভীর নিয়েছেন ৫ উইকেট। বলতে গেলে বাংলাদেশের কাছে গতকাল বেশির ভাগ লঙ্কান ক্রিকেটার উইকেট উপহার দিয়েছেন।
১৬ রানে হারের পর শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের কাঠগড়ায় তুললেন লিয়ানাগে। ২৯ বছর বয়সী লঙ্কান ব্যাটার বলেন, ‘আমরা ছোটখাটো ভুল করেছি। ম্যাচটা সেখানেই হেরেছি। ব্যাটিং বিভাগকে সেই দায়ভার নিতে হবে। আমরা জানি ম্যাচ যত এগোতে থাকে, প্রেমাদাসার উইকেটে স্পিন তত বেশি কার্যকরী হয়। এটাকে কোনো অজুহাত দিতে চাচ্ছি না আমরা।’
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। পাল্লেকেলেতে পরশু তৃতীয় ওয়ানডেতে জিতলেই প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার মাঠে ওয়ানতে সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়বে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে ওয়ানডে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ। সবশেষ ২০২৪ সালে বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতে লঙ্কানদের বিপক্ষে।
ট্রাজেডি—শব্দটি যেন মোহাম্মদ সিরাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উদাহরণ দিতে চাইলে এই সিরিজেরই অনেক কিছু মুহূর্ত তুলে ধরতে পারেন সিরাজ। লর্ডসে অদ্ভুতভাবে বোল্ড হয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকার সেই দৃশ্য, বোলারদের ক্যাচ মিসের পর হতাশাচ্ছন্ন মুখ, একের পর এক ক্লান্তিকর স্পেল, এমনকি ব্রুকের ক্যাচ নিয়েও
২ মিনিট আগেঅস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ। গত বছরের মতো এবারও সিরিজে অংশ নেবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। নুরুল হাসান সোহানকে অধিনায়ক করে আজ দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
১৮ মিনিট আগেলন্ডনের ওভালে পঞ্চম টেস্ট শুরুর আগে সিরিজের স্কোরলাইন ছিল ইংল্যান্ড ২: ভারত ১। সিরিজ জিততে ইংল্যান্ডের জন্য সমীকরণ ছিল এই টেস্ট জেতা না হয় ড্র করা। অন্যদিকে সিরিজ বাঁচাতে ভারতকে এই ম্যাচটা জিততেই হতো। টানটান উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচটি ৬ রানে জিতে সিরিজ বাঁচাল ভারত।
২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের ম্যাচ হলে আলোচিত ঘটনা না ঘটে কি পারে। কারণ, ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমা পাকিস্তানের নামের সঙ্গে ভালোভাবে জুড়ে গেছে। এবার পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ঘটেছে এক বিরল ঘটনা। এই ঘটনা আগে অনেকবার হলেও পাকিস্তানের ম্যাচের ঘটনাটা একটু বিশেষ।
৩ ঘণ্টা আগে