Ajker Patrika

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখল ইংল্যান্ড 

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখল ইংল্যান্ড 

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ড। ব্রিসবেনে এবার কিউইদের ২০ রানে হারিয়ে ‘প্রতিশোধ’ তো নিলই, একই সঙ্গে শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রাখল ইংলিশরা। গ্রুপ-১-এর পয়েন্ট টেবিলও হলো আরও জটিল। 

১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ড শুরুতেই চাপে পড়ে। দলীয় ৮ রানেই কিউইদের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ডেভন কনওয়ের উইকেট তুলে নেন ক্রিস ওকস। দারুণ কিছুর আভাস দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ফিন অ্যালেন। ১১ বলে ১৬ রান করা অ্যালেনের উইকেট নিয়েছেন স্যাম কারান। নিউজিল্যান্ডের স্কোর তখন ৫ ওভারে ২ উইকেটে ২৮ রান। 

অ্যালেনের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন গ্লেন ফিলিপস। কেন উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন ফিলিপস। উইলিয়ামসন ধীর গতিতে খেললেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন ফিলিপস। ২৫ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন কিউই এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। তৃতীয় উইকেটে ফিলিপস-উইলিয়ামসন গড়েন ৫৯ বলে ৯১ রানের জুটি। কিউই অধিনায়ককে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন বেন স্টোকস। 

উইলিয়ামসনের বিদায়ের পর থেকেই মূলত নিউজিল্যান্ডের ভাঙন শুরু হয়। ১১৯ থেকে ১৩৫—এই ১৬ রান যোগ করতে আরও তিন উইকেট হারায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। যার মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোরার ফিলিপসের উইকেটও ছিল। ৩৬ বলে ৬২ রান করেছিলেন এই কিউই মিডল অর্ডার। এরপর শুধূ ব্যবধানই কমাতে পারে কিউইরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৯ রানে আটকে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। ইংলিশ বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ওকস এবং কারান। ম্যাচসেরা হয়েছেন জস বাটলার। ৪৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। ৭টি চার এবং ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক। 

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বাটলার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ইংলিশরা করে ১৭৯ রান। ইংল্যান্ড ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন বাটলার। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন লকি ফার্গুসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত