‘টুর্নামেন্টে বাচ্চাদের পাঠাতে ভারতকে কে বলেছে’ 

যেকোনো টুর্নামেন্টে ভারত, পাকিস্তান থাকা মানেই তা নিয়ে চলবে একের পর এক আলোচনা। ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের ঘটনাটাও ঠিক এমনই। পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস বয়সের কথা বলে খোঁচা দিয়েছেন ভারতকে। 

শ্রীলঙ্কায় গত মাসে হয়েছিল এবারের ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ। টুর্নামেন্টে পাকিস্তান ‘এ’ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হারিস। হারিস তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। একই সঙ্গে মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, শাহনওয়াজ দাহানি, সাইম আয়ুবদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁদের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ৪৩ ম্যাচ খেলেছেন ওয়াসিম। অধিনায়ক হারিস খেলেছেন ১৪ ম্যাচ, সাইম ৮ ম্যাচ ও দাহানি খেলেছেন ১৩ ম্যাচ। পাকিস্তান দলের গড় বয়স ছিল ২৩.২০ বছর। অন্যদিকে ভারত ‘এ’ দলের নেতৃত্ব ছিলেন যশ ধুল। ভারতের কোনো ক্রিকেটারই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ছিলেন না। সাই সুদর্শন, অভিষেক শর্মা, রিয়ান পরাগরা আইপিএলে দুর্দান্ত খেলে এসেছেন গত কয়েক বছর। ২০.৮ ছিল ভারতীয় দলের গড় বয়স। 

ভারতকে ১২৮ রানে হারিয়ে এবারের ইমার্জিং এশিয়া কাপ জিতেছে পাকিস্তান। এরপরই পাকিস্তান সিনিয়র ক্রিকেটারদের দল পাঠিয়েছে-এ নিয়ে চলে আলাপ-আলোচনা। এ ব্যাপারে হারিস বলেন, ‘অনেকে বলছেন যে পাকিস্তান যে দল পাঠিয়েছে, দলে অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার ছিল। আমরা তো তাদের (ভারত) বাচ্চাদের টুর্নামেন্টে পাঠাতে বলিনি। তারা (ভারত) বলছে যে আমাদের ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা কত ম্যাচ খেলেছি? সাইম ৫ ম্যাচ খেলেছে, আমি ৬ ম্যাচ। তাদের (ভারত) খেলোয়াড়দের ২৬০ আইপিএল ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে।’ 

পাকিস্তানকে হারিয়ে ২০১৩ সালে ইমার্জিং এশিয়া কাপের প্রথম টুর্নামেন্টেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে প্রতিশোধ নিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের দ্বিতীয় শিরোপা জিতল পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের শিরোপা নিজেদের কাছেই রেখে দিল পাকিস্তান। ২০১৯ সালে বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। সর্বোচ্চ দুবার করে শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ভারত জিতেছে একবারই ২০১৩ সালে।