দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক কোটি মানুষের মতো মাশরাফি-সাকিবদের কাছেও পদ্মা সেতু অন্য রকম এক আবেগের নাম। আজ উদ্বোধনের দিনে পদ্মা সেতু নিয়ে তাঁরাও উচ্ছ্বসিত।
মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাবেক অধিনায়ক
এটা তো বলার অবকাশ রাখে না যে এটার মূল্য কী। এখানে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, এটা বিরাট বিষয় আমাদের দেশের জন্য। আমাদের দেশ ভালো একটা জিনিস অর্জন করা এবং সেটার সুনাম হওয়া—এটা একটা বিরাট ব্যাপার। নিজস্ব আবেগের অনেক বিষয় থাকে, অনেক সময় অনেক মানুষের ক্ষতিও দেখেছি চোখের সামনে (যখন পদ্মা সেতু ছিল না)। তারা এমন এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়েছে, এমন এমন সময় ছিল মানুষের পার হওয়ার প্রয়োজনেও হতে পারেনি। অনেক ব্যবসায়ীর অনেক ক্ষতি হয়েছে। এটা যে কত বড় একটা আশীর্বাদ আমাদের জন্য, একমাত্র যারা এই পথে যাওয়া আসা করছে সারা জীবন, তারাই বলতে পারবে। এখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, সেটা অবিশ্বাস্য। আমার কাছে মনে হয়, এটা যদি রাজনৈতিকভাবে চিন্তা না করা হয়, তাহলে আমাদের একটা বিরাট গর্বের জায়গা।
সাকিব আল হাসান, টেস্ট অধিনায়ক, বাংলাদেশ
আমি যেহেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ, সেদিক থেকে আমার জন্য আরও বড় ব্যাপার। আমি খুব রোমাঞ্চিত। এটা সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। আমার কাছে মনে হয় এটা দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় অবদান রাখবে। পুরো বাঙালি জাতির একটা স্বপ্ন ছিল, যেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কারণেই সম্ভব হয়েছে। আশা করছি এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
হরষিত বিশ্বাস, জাতীয় ভলিবল দলের অধিনায়ক
এটা স্বপ্নের মতো। ক্রীড়াঙ্গনে স্বপ্নের মতো ব্যাপার। আগে আমরা যখন ঢাকা থেকে নড়াইলে যেতাম, তখন কমপক্ষে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা সময় লেগে যেত। এখন সেতু হওয়ায় দুই-তিন ঘণ্টার বেশি লাগবে না। যখন ম্যাচ থাকত, তখন সারা রাত জেগে আমাদের ঢাকায় যেতে হতো। খুব কষ্ট হতো। এখন একদিন আগেই কিংবা দিনে দিনে গিয়ে ম্যাচ খেলে আসা সম্ভব। সকালে রওনা হলে দেখা যাবে আমরা দুপুর ১২টার মধ্যেই পৌঁছে গেছি। আবার খেলা শেষ করে নিজ শহরে চলে যেতে পারব। আগে টুর্নামেন্ট শেষ করে ফিরে যেতে পরদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। সেতু হওয়ায় সেই সমস্যা হবে না, যানজটের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইলের মানুষ বুঝতে পারছে পদ্মা সেতু আসলে তাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কখনো ভাবতেই পারিনি পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে খেলতে যাব। শুধু অপেক্ষায় ছিলাম কবে পদ্মা সেতুটা হবে। সংশয়ে ছিলাম, পদ্মা সেতু হতে হতে খেলার মতো অবস্থায় থাকব কি না। তবে এত দ্রুত সেতু হয়ে যাবে ভাবতেই পারিনি।
রাকিব হোসেন, জাতীয় ফুটবল দলের উইঙ্গার
আগে কত কষ্ট করে আমরা বাড়ি যেতাম। এক ফেরিতে গাদাগাদি করে হাজার হাজার মানুষ বাড়ি যেত, ঢাকায় ফিরত। এই গাদাগাদি করে যেতে গিয়ে মানুষ মারাও গেল। যাত্রী বেশি দেখলে পারাপারের সময় পরিবহনের খরচও বাড়িয়ে দেওয়া হতো। আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতাটা এই পদ্মা পার হওয়ার সময়ই। একবার জরুরি কাজে বরিশালে ফিরছিলাম। তখন জরুরি সতর্কসংকেত ছিল। আবহাওয়া এতটাই খারাপ ছিল যে ফেরিতে পানি উঠে গেল। ডুবে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। ফেরিতে থাকা মানুষ তখন ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। আগে বরিশাল থেকে ঢাকায় যাওয়া-আসার জন্য ভালো বাসের ব্যবস্থা ছিল না। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতটা ছিল খুব কঠিন। আর এ কারণে খেলাধুলার উন্নয়নটাও আসলে উল্লেখযোগ্য হারে হয়নি। এখন বরিশালে আশা করছি ভালো একটা পরিবর্তন হবে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক কোটি মানুষের মতো মাশরাফি-সাকিবদের কাছেও পদ্মা সেতু অন্য রকম এক আবেগের নাম। আজ উদ্বোধনের দিনে পদ্মা সেতু নিয়ে তাঁরাও উচ্ছ্বসিত।
মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাবেক অধিনায়ক
এটা তো বলার অবকাশ রাখে না যে এটার মূল্য কী। এখানে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, এটা বিরাট বিষয় আমাদের দেশের জন্য। আমাদের দেশ ভালো একটা জিনিস অর্জন করা এবং সেটার সুনাম হওয়া—এটা একটা বিরাট ব্যাপার। নিজস্ব আবেগের অনেক বিষয় থাকে, অনেক সময় অনেক মানুষের ক্ষতিও দেখেছি চোখের সামনে (যখন পদ্মা সেতু ছিল না)। তারা এমন এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়েছে, এমন এমন সময় ছিল মানুষের পার হওয়ার প্রয়োজনেও হতে পারেনি। অনেক ব্যবসায়ীর অনেক ক্ষতি হয়েছে। এটা যে কত বড় একটা আশীর্বাদ আমাদের জন্য, একমাত্র যারা এই পথে যাওয়া আসা করছে সারা জীবন, তারাই বলতে পারবে। এখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, সেটা অবিশ্বাস্য। আমার কাছে মনে হয়, এটা যদি রাজনৈতিকভাবে চিন্তা না করা হয়, তাহলে আমাদের একটা বিরাট গর্বের জায়গা।
সাকিব আল হাসান, টেস্ট অধিনায়ক, বাংলাদেশ
আমি যেহেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ, সেদিক থেকে আমার জন্য আরও বড় ব্যাপার। আমি খুব রোমাঞ্চিত। এটা সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। আমার কাছে মনে হয় এটা দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় অবদান রাখবে। পুরো বাঙালি জাতির একটা স্বপ্ন ছিল, যেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কারণেই সম্ভব হয়েছে। আশা করছি এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
হরষিত বিশ্বাস, জাতীয় ভলিবল দলের অধিনায়ক
এটা স্বপ্নের মতো। ক্রীড়াঙ্গনে স্বপ্নের মতো ব্যাপার। আগে আমরা যখন ঢাকা থেকে নড়াইলে যেতাম, তখন কমপক্ষে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা সময় লেগে যেত। এখন সেতু হওয়ায় দুই-তিন ঘণ্টার বেশি লাগবে না। যখন ম্যাচ থাকত, তখন সারা রাত জেগে আমাদের ঢাকায় যেতে হতো। খুব কষ্ট হতো। এখন একদিন আগেই কিংবা দিনে দিনে গিয়ে ম্যাচ খেলে আসা সম্ভব। সকালে রওনা হলে দেখা যাবে আমরা দুপুর ১২টার মধ্যেই পৌঁছে গেছি। আবার খেলা শেষ করে নিজ শহরে চলে যেতে পারব। আগে টুর্নামেন্ট শেষ করে ফিরে যেতে পরদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। সেতু হওয়ায় সেই সমস্যা হবে না, যানজটের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইলের মানুষ বুঝতে পারছে পদ্মা সেতু আসলে তাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কখনো ভাবতেই পারিনি পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে খেলতে যাব। শুধু অপেক্ষায় ছিলাম কবে পদ্মা সেতুটা হবে। সংশয়ে ছিলাম, পদ্মা সেতু হতে হতে খেলার মতো অবস্থায় থাকব কি না। তবে এত দ্রুত সেতু হয়ে যাবে ভাবতেই পারিনি।
রাকিব হোসেন, জাতীয় ফুটবল দলের উইঙ্গার
আগে কত কষ্ট করে আমরা বাড়ি যেতাম। এক ফেরিতে গাদাগাদি করে হাজার হাজার মানুষ বাড়ি যেত, ঢাকায় ফিরত। এই গাদাগাদি করে যেতে গিয়ে মানুষ মারাও গেল। যাত্রী বেশি দেখলে পারাপারের সময় পরিবহনের খরচও বাড়িয়ে দেওয়া হতো। আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতাটা এই পদ্মা পার হওয়ার সময়ই। একবার জরুরি কাজে বরিশালে ফিরছিলাম। তখন জরুরি সতর্কসংকেত ছিল। আবহাওয়া এতটাই খারাপ ছিল যে ফেরিতে পানি উঠে গেল। ডুবে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। ফেরিতে থাকা মানুষ তখন ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। আগে বরিশাল থেকে ঢাকায় যাওয়া-আসার জন্য ভালো বাসের ব্যবস্থা ছিল না। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতটা ছিল খুব কঠিন। আর এ কারণে খেলাধুলার উন্নয়নটাও আসলে উল্লেখযোগ্য হারে হয়নি। এখন বরিশালে আশা করছি ভালো একটা পরিবর্তন হবে।
প্রথমবারের মতো আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই টি-টোয়েন্টি লিগে বাংলাদেশের কাটার মাস্টার খেলবেন দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে।
৩ ঘণ্টা আগেহাতের ব্যাটকে তলোয়ার বানালেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। কচু কাটা করলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের। ৪১ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে খেললেন রেকর্ড ১২৫ রানের ইনিংস। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ এই ইনিংসই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। ৫৩ রানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৪ ঘণ্টা আগেএকেকটা পাসের পর হতাশা ঝাড়ছিলেন সুলেমান দিয়াবাতে। প্রতিপক্ষে দীর্ঘদেহী ফুটবলারদের সামনে কোনোভাবেই পেরে উঠছিলেন না বাকিরা। যা লড়াই করার তা দেখা গেছে শুধু দিয়াবাতের মধ্যে। দিন শেষে বিফলেই যায় তা। আবাহনী লিমিটেডকে ২-০ গোলে হারিয়ে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মূল পর্বে নাম লিখিয়েছে কিরগিজস্তানের ক্লাব মুরাস ইউন
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বকাপ কিংবা অলিম্পিকের মতো বড় প্রতিযোগিতায় সাফল্যের জন্য কমবেশি সব দেশেই পুরস্কৃত করা হয় খেলোয়াড়দের। তবে আফ্রিকান নেশনস চ্যাম্পিয়নশিপকে ঘিরেই নিজ দেশের ফুটবলারদের আর্থিক বোনাসের ঘোষণা দিয়েছেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো। প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য কেনিয়ার খেলোয়াড়েরা পাবেন বাড়তি অর্থ।
৬ ঘণ্টা আগে