নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে গাছেরা। আর এই প্রক্রিয়ার রিয়েলটাইম ভিডিও ধারণ করেছেন জাপানের গবেষকেরা। কোনো বিপদের সম্মুখীন হলে উদ্ভিদ তার আশপাশের গাছকে প্রতিরক্ষার জন্য সতর্ক করে।
এই যুগান্তকারী গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন জাপানের সাইতামা বিশ্ববিদ্যালয়ের আণবিক জীববিজ্ঞানী মাসাৎসুগু টয়োটা। এটি বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত হয়েছে।
পোকামাকড়ের আক্রমণ বা আঘাত পেলে কিছু গাছ ভোলাটাইল অরগানিক কম্পাউন্ড (ভিওসি) বা উদ্বায়ী জৈব যৌগ নিঃসরণ করতে পারে। এই পদার্থ অন্যান্য গাছের ওপর কী প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে এই গবেষণায় পর্যবেক্ষণ করা হয়। একজন পোস্টডক্টরাল গবেষক তাকুয়া উমুরা ও পিএইচডি ছাত্র ইউরি আরতানি এই গবেষণা দলের মূল সদস্য।
গবেষকেরা বলেন, আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া বা তৃণভোজী কোনো প্রাণীর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেশী উদ্ভিদ যখন ভিওসি নিঃসরণ করে, তখন অন্য গাছগুলো সেটি গ্রহণ এবং বিভিন্ন প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই ধরনের যোগাযোগ বিভিন্ন হুমকি থেকে গাছপালাকে রক্ষা করে।
এই গবেষণা পরিচালনার জন্য বায়ুপাম্পযুক্ত একটি পাত্রে বেশ কিছু গাছের পাতা এবং শুঁয়োপোকা রাখা হয়। অন্য পাত্রে অন্য চেম্বারে রাখা হয় অ্যারাবিডোপসিস থালিয়ানা (সরিষা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত) নামের একটি সাধারণ আগাছা।
জিনগতভাবে অ্যারাবিডোপসিস গাছগুলো ক্যালসিয়াম আয়ন (Ca2+) পেলে সবুজ রঙের প্রতিপ্রভা (ফ্লুরোসেন্স) বিকিরণ করে। এটি স্ট্রেস বা কষ্টের অনুভূতির বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করে।
ভিওসির সংস্পর্শে আসা পাতাগুলো সুস্থ আগাছাগুলোয় যে সংকেত পাঠায়, তা গবেষকেরা ফ্লুরোসেন্স মাইক্রোস্কোপ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন।
গাছের যোগাযোগ বিষয়ে ১৯৮৩ সালের একটি গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নতুন গবেষণাটি করা হয়েছে।
গবেষক টয়োটা বলেন, কখন, কোথায় ও কীভাবে গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত বা বিপদগ্রস্ত প্রতিবেশীর (উদ্ভিদ) কাছ থেকে বায়ুবাহিত ‘সতর্কবার্তা’ পায় এবং তাতে সাড়া দেয়, তার জটিল প্রক্রিয়া উন্মোচন করেছে এই গবেষণা।
সঠিক সময়ে আসন্ন হুমকির বিষয়ে সতর্ক করতে গাছপালার এই যোগাযোগের নেটওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদ্ভিদ জগতের মধ্যে জটিল ও সূক্ষ্ম মিথস্ক্রিয়াগুলোর ওপর আলোকপাত করে এই গবেষণা। যেখানে পরিবেশগত সম্পর্ক ও উদ্ভিদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা যায়।
গাছের যোগাযোগ-সম্পর্কিত আরও তথ্য
রাসায়নিক সংকেত, আলোভিত্তিক বার্তা, বৈদ্যুতিক স্পন্দন ও নেটওয়ার্কভিত্তিক জটিল ভাষার মাধ্যমে গাছেরা নিজেদের জগতে যোগাযোগ করে। এ ধরনের যোগাযোগ গাছের বেঁচে থাকা ও মিথস্ক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
গাছের মধ্যে যোগাযোগের জটিল প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদবিদ্যার একটি আকর্ষণীয় পাঠ। এটি উদ্ভিদ সম্পর্কে আমাদের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। উদ্ভিদ ব্যথা পায় না বা অপর উদ্ভিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে না—এ গবেষণার ফলাফল এমন ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে।
গাছের রাসায়নিক ভাষা
আগেই বলা হয়েছে, গাছ বিপদে পড়লে ভোলাটাইল অরগানিক কম্পাউন্ড (ভিওসি) বাতাসে নিঃসরণ করে। ভিওসি প্রতিবেশী গাছে বার্তা পৌঁছায়। এটি খরা বা পোকার আক্রমণের মতো পরিবেশগত বিভিন্ন অবস্থা সম্পর্কে তথ্য পাঠায়। উদাহরণস্বরূপ, যখন একটি উদ্ভিদ কোনো তৃণভোজীর (পোকামাকড় বা প্রাণী) আক্রমণের শিকার হয়, তখন এটি নির্দিষ্ট ভিওসি নির্গত করে, যা কাছাকাছি গাছপালাগুলো শনাক্ত করে। এই প্রতিবেশী গাছগুলো তখন অনুরূপ আক্রমণের শঙ্কায় তাদের নিজস্ব রাসায়নিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করে।
সতর্কসংকেত ও প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া
গাছের যোগাযোগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকগুলোর একটি হলো সতর্কসংকেত প্রেরণ। আক্রান্ত গাছ যখন ভিওসি নিঃসরণ করে যন্ত্রণার বার্তা পাঠায়, তখন প্রতিবেশী উদ্ভিদগুলো সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সতর্ক হয়। সেই সঙ্গে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রাকৃতিক শিকারিদের (যেমন মাকড়সা) আকর্ষণ করে। অর্থাৎ শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য গাছেরা তাদের মিত্রদের সাহায্য চাইতে পারে।
বৈদ্যুতিক সংকেত
গাছেরা বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমেও নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে। এই প্রক্রিয়া প্রাণীদের মস্তিষ্কে স্নায়ুতন্ত্রের মতো কাজ করে। কোনো গাছ আঘাতপ্রাপ্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এটি তার কাঠামোজুড়ে বৈদ্যুতিক স্পন্দন প্রবাহ করে। এটি গাছের মধ্যে শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটাতে পারে। যেমন খরার সময় পানির অপচয় রোধে গাছের পাতায় থাকা স্টোমাটা বা পত্ররন্ধ্র বন্ধ হয়ে যায়। এতে প্রস্বেদন বন্ধ হয়ে পানির নির্গমন থেমে যায়।
উড ওয়াইড ওয়েব বা শিকড়ের জাল
মাটির নিচে শিকড় ও সংশ্লিষ্ট ছত্রাক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গাছেরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে। একে ‘উড ওয়াইড ওয়েব’ বলা হয়। এই নেটওয়ার্ক প্রাথমিকভাবে মাইকোরাইজাল ছত্রাকের মাধ্যমে তৈরি হয়। এটি বিভিন্ন গাছের শিকড়ের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে। এই সংযোগের মাধ্যমে গাছেরা নিজেদের মধ্যে পুষ্টি, পানি ও তথ্য শেয়ার করে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো গাছে পুষ্টির অভাব দেখা দিলে এটি মাটির নিচের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতিবেশী গাছ থেকে উপাদান সংগ্রহ করতে পারে।
বাস্তুতন্ত্রে উদ্ভিদ যোগাযোগের ভূমিকা
বাস্তুতন্ত্রের প্রকৃতি বোঝার জন্য একাধিক গাছের মধ্যে যোগাযোগ কীভাবে হয়, তা জানা প্রয়োজন। প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জের সঙ্গে মোকাবিলা করে এবং সেই সঙ্গে কীটপতঙ্গের আক্রমণ ও জলবায়ু পরিবর্তনেও কীভাবে গাছ টিকে থাকে, তা বুঝতে এই জ্ঞান সাহায্য করে।
এই জ্ঞান কৃষি, বনায়ন ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গাছের এই ভাষাসম্পর্কিত জ্ঞান পৃথিবীর বৈচিত্র্যময় ও বিরল উদ্ভিদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে মানুষের ধারণাও সমৃদ্ধ করে।
তথ্যসূত্র: আর্থ ডটকম
নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে গাছেরা। আর এই প্রক্রিয়ার রিয়েলটাইম ভিডিও ধারণ করেছেন জাপানের গবেষকেরা। কোনো বিপদের সম্মুখীন হলে উদ্ভিদ তার আশপাশের গাছকে প্রতিরক্ষার জন্য সতর্ক করে।
এই যুগান্তকারী গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন জাপানের সাইতামা বিশ্ববিদ্যালয়ের আণবিক জীববিজ্ঞানী মাসাৎসুগু টয়োটা। এটি বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত হয়েছে।
পোকামাকড়ের আক্রমণ বা আঘাত পেলে কিছু গাছ ভোলাটাইল অরগানিক কম্পাউন্ড (ভিওসি) বা উদ্বায়ী জৈব যৌগ নিঃসরণ করতে পারে। এই পদার্থ অন্যান্য গাছের ওপর কী প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে এই গবেষণায় পর্যবেক্ষণ করা হয়। একজন পোস্টডক্টরাল গবেষক তাকুয়া উমুরা ও পিএইচডি ছাত্র ইউরি আরতানি এই গবেষণা দলের মূল সদস্য।
গবেষকেরা বলেন, আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া বা তৃণভোজী কোনো প্রাণীর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেশী উদ্ভিদ যখন ভিওসি নিঃসরণ করে, তখন অন্য গাছগুলো সেটি গ্রহণ এবং বিভিন্ন প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই ধরনের যোগাযোগ বিভিন্ন হুমকি থেকে গাছপালাকে রক্ষা করে।
এই গবেষণা পরিচালনার জন্য বায়ুপাম্পযুক্ত একটি পাত্রে বেশ কিছু গাছের পাতা এবং শুঁয়োপোকা রাখা হয়। অন্য পাত্রে অন্য চেম্বারে রাখা হয় অ্যারাবিডোপসিস থালিয়ানা (সরিষা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত) নামের একটি সাধারণ আগাছা।
জিনগতভাবে অ্যারাবিডোপসিস গাছগুলো ক্যালসিয়াম আয়ন (Ca2+) পেলে সবুজ রঙের প্রতিপ্রভা (ফ্লুরোসেন্স) বিকিরণ করে। এটি স্ট্রেস বা কষ্টের অনুভূতির বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করে।
ভিওসির সংস্পর্শে আসা পাতাগুলো সুস্থ আগাছাগুলোয় যে সংকেত পাঠায়, তা গবেষকেরা ফ্লুরোসেন্স মাইক্রোস্কোপ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন।
গাছের যোগাযোগ বিষয়ে ১৯৮৩ সালের একটি গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নতুন গবেষণাটি করা হয়েছে।
গবেষক টয়োটা বলেন, কখন, কোথায় ও কীভাবে গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত বা বিপদগ্রস্ত প্রতিবেশীর (উদ্ভিদ) কাছ থেকে বায়ুবাহিত ‘সতর্কবার্তা’ পায় এবং তাতে সাড়া দেয়, তার জটিল প্রক্রিয়া উন্মোচন করেছে এই গবেষণা।
সঠিক সময়ে আসন্ন হুমকির বিষয়ে সতর্ক করতে গাছপালার এই যোগাযোগের নেটওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদ্ভিদ জগতের মধ্যে জটিল ও সূক্ষ্ম মিথস্ক্রিয়াগুলোর ওপর আলোকপাত করে এই গবেষণা। যেখানে পরিবেশগত সম্পর্ক ও উদ্ভিদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা যায়।
গাছের যোগাযোগ-সম্পর্কিত আরও তথ্য
রাসায়নিক সংকেত, আলোভিত্তিক বার্তা, বৈদ্যুতিক স্পন্দন ও নেটওয়ার্কভিত্তিক জটিল ভাষার মাধ্যমে গাছেরা নিজেদের জগতে যোগাযোগ করে। এ ধরনের যোগাযোগ গাছের বেঁচে থাকা ও মিথস্ক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
গাছের মধ্যে যোগাযোগের জটিল প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদবিদ্যার একটি আকর্ষণীয় পাঠ। এটি উদ্ভিদ সম্পর্কে আমাদের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। উদ্ভিদ ব্যথা পায় না বা অপর উদ্ভিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে না—এ গবেষণার ফলাফল এমন ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে।
গাছের রাসায়নিক ভাষা
আগেই বলা হয়েছে, গাছ বিপদে পড়লে ভোলাটাইল অরগানিক কম্পাউন্ড (ভিওসি) বাতাসে নিঃসরণ করে। ভিওসি প্রতিবেশী গাছে বার্তা পৌঁছায়। এটি খরা বা পোকার আক্রমণের মতো পরিবেশগত বিভিন্ন অবস্থা সম্পর্কে তথ্য পাঠায়। উদাহরণস্বরূপ, যখন একটি উদ্ভিদ কোনো তৃণভোজীর (পোকামাকড় বা প্রাণী) আক্রমণের শিকার হয়, তখন এটি নির্দিষ্ট ভিওসি নির্গত করে, যা কাছাকাছি গাছপালাগুলো শনাক্ত করে। এই প্রতিবেশী গাছগুলো তখন অনুরূপ আক্রমণের শঙ্কায় তাদের নিজস্ব রাসায়নিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করে।
সতর্কসংকেত ও প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া
গাছের যোগাযোগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকগুলোর একটি হলো সতর্কসংকেত প্রেরণ। আক্রান্ত গাছ যখন ভিওসি নিঃসরণ করে যন্ত্রণার বার্তা পাঠায়, তখন প্রতিবেশী উদ্ভিদগুলো সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সতর্ক হয়। সেই সঙ্গে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রাকৃতিক শিকারিদের (যেমন মাকড়সা) আকর্ষণ করে। অর্থাৎ শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য গাছেরা তাদের মিত্রদের সাহায্য চাইতে পারে।
বৈদ্যুতিক সংকেত
গাছেরা বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমেও নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে। এই প্রক্রিয়া প্রাণীদের মস্তিষ্কে স্নায়ুতন্ত্রের মতো কাজ করে। কোনো গাছ আঘাতপ্রাপ্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এটি তার কাঠামোজুড়ে বৈদ্যুতিক স্পন্দন প্রবাহ করে। এটি গাছের মধ্যে শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটাতে পারে। যেমন খরার সময় পানির অপচয় রোধে গাছের পাতায় থাকা স্টোমাটা বা পত্ররন্ধ্র বন্ধ হয়ে যায়। এতে প্রস্বেদন বন্ধ হয়ে পানির নির্গমন থেমে যায়।
উড ওয়াইড ওয়েব বা শিকড়ের জাল
মাটির নিচে শিকড় ও সংশ্লিষ্ট ছত্রাক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গাছেরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে। একে ‘উড ওয়াইড ওয়েব’ বলা হয়। এই নেটওয়ার্ক প্রাথমিকভাবে মাইকোরাইজাল ছত্রাকের মাধ্যমে তৈরি হয়। এটি বিভিন্ন গাছের শিকড়ের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে। এই সংযোগের মাধ্যমে গাছেরা নিজেদের মধ্যে পুষ্টি, পানি ও তথ্য শেয়ার করে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো গাছে পুষ্টির অভাব দেখা দিলে এটি মাটির নিচের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতিবেশী গাছ থেকে উপাদান সংগ্রহ করতে পারে।
বাস্তুতন্ত্রে উদ্ভিদ যোগাযোগের ভূমিকা
বাস্তুতন্ত্রের প্রকৃতি বোঝার জন্য একাধিক গাছের মধ্যে যোগাযোগ কীভাবে হয়, তা জানা প্রয়োজন। প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জের সঙ্গে মোকাবিলা করে এবং সেই সঙ্গে কীটপতঙ্গের আক্রমণ ও জলবায়ু পরিবর্তনেও কীভাবে গাছ টিকে থাকে, তা বুঝতে এই জ্ঞান সাহায্য করে।
এই জ্ঞান কৃষি, বনায়ন ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গাছের এই ভাষাসম্পর্কিত জ্ঞান পৃথিবীর বৈচিত্র্যময় ও বিরল উদ্ভিদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে মানুষের ধারণাও সমৃদ্ধ করে।
তথ্যসূত্র: আর্থ ডটকম
গণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১ দিন আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগে