অনলাইন ডেস্ক
স্পেনের বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, তাঁরা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন একটি পূর্ণাঙ্গ আঙুলের ছাপ আবিষ্কার করেছেন—যা প্রমাণ করে, নিয়ানডারথাল মানুষেরাও শিল্পকর্ম তৈরি করত।
এই আঙুলের ছাপটি পাওয়া গেছে একটি পাথরের ওপর। ছাপটি দেখতে অনেকটা মানুষের মুখের মতো। বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রায় ৪৩ হাজার বছর আগে এক নিয়ানডারথাল ব্যক্তি লাল রঞ্জকে আঙুল ডুবিয়ে পাথরটির ওপর একটি ‘নাক’ এঁকেছিলেন। পাথরটি স্পেনের সেগোভিয়া প্রদেশের সান লাসারো নামক একটি গুহায় খুঁজে পাওয়া গেছে।
পাথরটির মাঝখানে লাল বিন্দুটির ‘কৌশলগত’ অবস্থানের কারণে এটিকে প্রতীকী আচরণের নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন গবেষকেরা। তাঁদের মতে—এটি প্রমাণ করে, নিয়ানডারথালেরা বিমূর্ত চিন্তা করতে পারত।
গবেষণার সহলেখক মারিয়া দে আন্দ্রেস-হেরেরো বলেন, এই আবিষ্কার নিয়ানডারথালদের শিল্প সৃষ্টির সক্ষমতা নিয়ে চলমান বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
মাদ্রিদের কমপ্লুতেন্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেরেরো বিবিসির নিউজডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, পাঁচ বছর আগে খননকাজ শুরু হলেও ২০২২ সালে গবেষকদলটি দেড় মিটার গভীর তলদেশে পাথরটি খুঁজে পায়।
হেরেরো বলেন, ‘প্রথমে আমরা বিশ্বাসই করতে পারিনি। অন্য পাথরগুলোর তুলনায় এটি ছিল বড়, আর মাঝখানে ছিল একটি লাল বিন্দু—যা দেখতে ছিল একেবারে মানুষের মুখের মতো।’
লাল দাগটি ওখার (প্রাকৃতিক লাল রঞ্জক মাটি) দিয়ে তৈরি কিনা, তা প্রথমে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরে পরীক্ষায় রঞ্জকের উপস্থিতি নিশ্চিত হলে গবেষকদল স্পেনের বৈজ্ঞানিক পুলিশের সাহায্য নেয়। তাঁদের উন্নত মাল্টি-স্পেকট্রাম বিশ্লেষণের মাধ্যমে আঙুলের ছাপ শনাক্ত হয়।
বিশ্লেষণে ধারণা করা হয়েছে, ছাপটি এক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের। যদিও বর্তমানে নিয়ানডারথালদের আঙুলের ছাপের তুলনা করার জন্য কোনো পৃথক নমুনা নেই।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের একজন সরকারি কর্মকর্তা গঞ্জালো সান্তোনহা বলেন, ‘এটি ইউরোপ মহাদেশে পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন বহনযোগ্য চিত্রাঙ্কিত বস্তু এবং সম্ভবত নিয়ানডারথালদের হাতে আঁকা একমাত্র বহনযোগ্য শিল্পকর্ম।’
অধ্যাপক হেরেরো বলেন, ‘এটি প্রতীকী দক্ষতার বিষয়ে নিয়ানডারথালদের সক্ষমতার ওপর নতুন আলো ফেলেছে। কারণ এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক প্রেক্ষাপটে পাওয়া প্রথম রঞ্জকে চিহ্নিত বস্তু। তা ছাড়া, এটি এমন একটি ক্ষেত্রে পাওয়া গেছে যেখানে কোনো ব্যবহারিক প্রয়োজনে এটি ব্যবহৃত হয়নি—যা এটিকে নিছক শিল্পসৃষ্টির উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়েছে বলে ইঙ্গিত দেয়।’
গবেষণার আরেক সহ-লেখক অধ্যাপক আলোনসো বলেন, ‘আমাদের ধারণা, নিয়ানডারথালদের কেউ পাথরটির ফাটল ও গড়ন দেখে মুগ্ধ হয়েছিল এবং সে ইচ্ছাকৃতভাবে এর ঠিক মাঝখানে ওখারের দাগ দিয়ে চিহ্ন এঁকে দেয়।’
গবেষকেরা বলেন, রঞ্জকটি গুহার আশ্রয়স্থলে প্রাকৃতিকভাবে ছিল না। সুতরাং এটি বাইরে থেকে সংগ্রহ করে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
প্রত্নতত্ত্ব ও নৃতত্ত্ব বিষয়ক বিজ্ঞান সাময়িকী আর্কিওলজিক্যাল অ্যান্ড অ্যানথ্রোপলজিক্যাল সায়েন্সেস-এ প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে—‘সান লাসারো গুহা আশ্রয়স্থলের পাথরটির এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা একে অসাধারণ করে তোলে। এ কারণে এটিকে এক ধরনের প্রতীকী চিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে—যা নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে একটি বহনযোগ্য শিল্পকর্ম হিসেবে ধরা যেতে পারে।’
স্পেনের বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, তাঁরা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন একটি পূর্ণাঙ্গ আঙুলের ছাপ আবিষ্কার করেছেন—যা প্রমাণ করে, নিয়ানডারথাল মানুষেরাও শিল্পকর্ম তৈরি করত।
এই আঙুলের ছাপটি পাওয়া গেছে একটি পাথরের ওপর। ছাপটি দেখতে অনেকটা মানুষের মুখের মতো। বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রায় ৪৩ হাজার বছর আগে এক নিয়ানডারথাল ব্যক্তি লাল রঞ্জকে আঙুল ডুবিয়ে পাথরটির ওপর একটি ‘নাক’ এঁকেছিলেন। পাথরটি স্পেনের সেগোভিয়া প্রদেশের সান লাসারো নামক একটি গুহায় খুঁজে পাওয়া গেছে।
পাথরটির মাঝখানে লাল বিন্দুটির ‘কৌশলগত’ অবস্থানের কারণে এটিকে প্রতীকী আচরণের নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন গবেষকেরা। তাঁদের মতে—এটি প্রমাণ করে, নিয়ানডারথালেরা বিমূর্ত চিন্তা করতে পারত।
গবেষণার সহলেখক মারিয়া দে আন্দ্রেস-হেরেরো বলেন, এই আবিষ্কার নিয়ানডারথালদের শিল্প সৃষ্টির সক্ষমতা নিয়ে চলমান বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
মাদ্রিদের কমপ্লুতেন্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেরেরো বিবিসির নিউজডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, পাঁচ বছর আগে খননকাজ শুরু হলেও ২০২২ সালে গবেষকদলটি দেড় মিটার গভীর তলদেশে পাথরটি খুঁজে পায়।
হেরেরো বলেন, ‘প্রথমে আমরা বিশ্বাসই করতে পারিনি। অন্য পাথরগুলোর তুলনায় এটি ছিল বড়, আর মাঝখানে ছিল একটি লাল বিন্দু—যা দেখতে ছিল একেবারে মানুষের মুখের মতো।’
লাল দাগটি ওখার (প্রাকৃতিক লাল রঞ্জক মাটি) দিয়ে তৈরি কিনা, তা প্রথমে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরে পরীক্ষায় রঞ্জকের উপস্থিতি নিশ্চিত হলে গবেষকদল স্পেনের বৈজ্ঞানিক পুলিশের সাহায্য নেয়। তাঁদের উন্নত মাল্টি-স্পেকট্রাম বিশ্লেষণের মাধ্যমে আঙুলের ছাপ শনাক্ত হয়।
বিশ্লেষণে ধারণা করা হয়েছে, ছাপটি এক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের। যদিও বর্তমানে নিয়ানডারথালদের আঙুলের ছাপের তুলনা করার জন্য কোনো পৃথক নমুনা নেই।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের একজন সরকারি কর্মকর্তা গঞ্জালো সান্তোনহা বলেন, ‘এটি ইউরোপ মহাদেশে পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন বহনযোগ্য চিত্রাঙ্কিত বস্তু এবং সম্ভবত নিয়ানডারথালদের হাতে আঁকা একমাত্র বহনযোগ্য শিল্পকর্ম।’
অধ্যাপক হেরেরো বলেন, ‘এটি প্রতীকী দক্ষতার বিষয়ে নিয়ানডারথালদের সক্ষমতার ওপর নতুন আলো ফেলেছে। কারণ এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক প্রেক্ষাপটে পাওয়া প্রথম রঞ্জকে চিহ্নিত বস্তু। তা ছাড়া, এটি এমন একটি ক্ষেত্রে পাওয়া গেছে যেখানে কোনো ব্যবহারিক প্রয়োজনে এটি ব্যবহৃত হয়নি—যা এটিকে নিছক শিল্পসৃষ্টির উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়েছে বলে ইঙ্গিত দেয়।’
গবেষণার আরেক সহ-লেখক অধ্যাপক আলোনসো বলেন, ‘আমাদের ধারণা, নিয়ানডারথালদের কেউ পাথরটির ফাটল ও গড়ন দেখে মুগ্ধ হয়েছিল এবং সে ইচ্ছাকৃতভাবে এর ঠিক মাঝখানে ওখারের দাগ দিয়ে চিহ্ন এঁকে দেয়।’
গবেষকেরা বলেন, রঞ্জকটি গুহার আশ্রয়স্থলে প্রাকৃতিকভাবে ছিল না। সুতরাং এটি বাইরে থেকে সংগ্রহ করে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
প্রত্নতত্ত্ব ও নৃতত্ত্ব বিষয়ক বিজ্ঞান সাময়িকী আর্কিওলজিক্যাল অ্যান্ড অ্যানথ্রোপলজিক্যাল সায়েন্সেস-এ প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে—‘সান লাসারো গুহা আশ্রয়স্থলের পাথরটির এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা একে অসাধারণ করে তোলে। এ কারণে এটিকে এক ধরনের প্রতীকী চিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে—যা নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে একটি বহনযোগ্য শিল্পকর্ম হিসেবে ধরা যেতে পারে।’
নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
২ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
২ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগে