অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর এক দম্পতি সম্প্রতি এক চমৎকার ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাঁরা সন্তান জন্ম দিয়ে নতুন এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। কারণ, যে ভ্রূণ থেকে তাদের সন্তানের জন্ম হয়েছে তা ওই দম্পতির শুক্রাণু ও ডিম্বাণু থেকে তৈরি হয়নি। মূলত, তাঁরা ৩১ বছর ধরে সংরক্ষণ করে রাখা এক ভ্রূণ থেকে তাদের সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ৩৫ বছর বয়সী লিন্ডসে এবং ৩৪ বছরের টিম পিয়ার্স দম্পতি জুলাই মাসের শেষ দিকে তাদের সন্তান জন্ম দেন। শিশুর নাম রাখা হয়েছে থ্যাডেউস ড্যানিয়েল পিয়ার্স। শিশুটির মা লিন্ডসে এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ জার্নালকে জানিয়েছেন, তাঁর পরিবার ‘এই বিষয়টিকে একেবারে সাই-ফাই সিনেমার অংশ বলেই মনে করছে এখনো।’
গবেষকেরা বলছেন, মানুষের ইতিহাসে এই প্রথম এত দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করে রাখা ভ্রূণ থেকে সফলভাবে কোনো শিশুর জন্ম হলো। এর আগে, ১৯৯২ সালে সংরক্ষণ করা এক ভ্রূণ থেকে ২০২২ সালে যমজ শিশুর জন্ম হয়েছিল।
লিন্ডসে এবং টিম পিয়ার্স দম্পতি দীর্ঘ সাত বছর ধরে সন্তান গ্রহণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারা বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁরা লিন্ডা আর্চার্ড নামে ৬২ বছর বয়সী এক নারীর কাছ থেকে ভ্রূণ ধার করার সিদ্ধান্ত নেন। লিন্ডা এবং তাঁর তৎকালীন স্বামী ১৯৯৪ সালে আইভিএফ (ইনভিট্রো ফাইর্টিলাইজেশন) পদ্ধতিতে ভ্রূণ তৈরি করেছিলেন।
সে সময় লিন্ডা মোট চারটি ভ্রূণ তৈরি করেছিলেন। যার একটি থেকে তাঁর বর্তমানে ৩০ বছর বয়সী কন্যার জন্ম হয়েছে। বাকি ৩টি তিনি সংরক্ষণ করেন। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও, তিনি ভ্রূণগুলোকে হাতছাড়া করেননি। ভ্রূণগুলোকে তিনি গবেষণা ও অন্য একটি পরিবারকে গোপনে দান করেন।
লিন্ডা জানান, তিনি যে ভ্রূণগুলো দান করেছেন সেগুলো থেকে সন্তান জন্মদান প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকাকে জরুরি বলে মনে করেন তিনি। কারণ, তাঁর মতে এই সন্তানগুলোও তো তাঁর কন্যার সঙ্গে সম্পর্কিত।
লিন্ডা প্রতি বছর কয়েক হাজার ডলার খরচ করতেন এই ভ্রূণগুলো সংরক্ষণ করতে। পরে তিনি নাইটলাইট ক্রিশ্চিয়ান অ্যাডপশন নামের একটি ভ্রূণ দত্তক সংস্থা খুঁজে পান। এই প্ল্যাটফর্মটি স্নোফ্লেক্স নামে একটি প্রোগ্রাম চালায়। লিন্ডা কর্মসূচিতে অংশ নেন। এই কর্মসূচিতে দাতারা নিজের পছন্দসই একটি দম্পতিকে বেছে নিতে পারেন।
লিন্ডা এমআইটি টেকনোলজি রিভিউকে বলেন, তাঁর পছন্দ ছিল যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বিবাহিত শ্বেতাঙ্গ খ্রিষ্টান দম্পতি। কারণ তিনি চাননি তাঁর ভ্রূণ থেকে জন্ম নেওয়া শিশু ‘দেশের বাইরে’ চলে যাক। অবশেষে তিনি পিয়ার্স দম্পতিকে খুঁজে পান।
টেনেসির রিজয়েস ফার্টিলিটি আইভিএফ ক্লিনিকে এই দম্পতির পুরো গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ক্লিনিকটি জানায়, তাদের লক্ষ্য ছিল যে কোনো ভ্রূণ স্থানান্তর করা। ভ্রূণের বয়স বা অবস্থা যাই হোক না কেন।
লিন্ডসে বলেন, তিনি ও তাঁর স্বামী কোনো রেকর্ড ভাঙার জন্য এগিয়ে যাননি, তাঁরা শুধু ‘একটি সন্তান চেয়েছিলেন।’ লিন্ডা এমআইটি টেকনোলজি রিভিউকে বলেন, তিনি এখনো শিশুটিকে সরাসরি দেখেননি, তবে ইতিমধ্যেই তাঁর মেয়ের চেহারার সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর এক দম্পতি সম্প্রতি এক চমৎকার ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাঁরা সন্তান জন্ম দিয়ে নতুন এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। কারণ, যে ভ্রূণ থেকে তাদের সন্তানের জন্ম হয়েছে তা ওই দম্পতির শুক্রাণু ও ডিম্বাণু থেকে তৈরি হয়নি। মূলত, তাঁরা ৩১ বছর ধরে সংরক্ষণ করে রাখা এক ভ্রূণ থেকে তাদের সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ৩৫ বছর বয়সী লিন্ডসে এবং ৩৪ বছরের টিম পিয়ার্স দম্পতি জুলাই মাসের শেষ দিকে তাদের সন্তান জন্ম দেন। শিশুর নাম রাখা হয়েছে থ্যাডেউস ড্যানিয়েল পিয়ার্স। শিশুটির মা লিন্ডসে এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ জার্নালকে জানিয়েছেন, তাঁর পরিবার ‘এই বিষয়টিকে একেবারে সাই-ফাই সিনেমার অংশ বলেই মনে করছে এখনো।’
গবেষকেরা বলছেন, মানুষের ইতিহাসে এই প্রথম এত দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করে রাখা ভ্রূণ থেকে সফলভাবে কোনো শিশুর জন্ম হলো। এর আগে, ১৯৯২ সালে সংরক্ষণ করা এক ভ্রূণ থেকে ২০২২ সালে যমজ শিশুর জন্ম হয়েছিল।
লিন্ডসে এবং টিম পিয়ার্স দম্পতি দীর্ঘ সাত বছর ধরে সন্তান গ্রহণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারা বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁরা লিন্ডা আর্চার্ড নামে ৬২ বছর বয়সী এক নারীর কাছ থেকে ভ্রূণ ধার করার সিদ্ধান্ত নেন। লিন্ডা এবং তাঁর তৎকালীন স্বামী ১৯৯৪ সালে আইভিএফ (ইনভিট্রো ফাইর্টিলাইজেশন) পদ্ধতিতে ভ্রূণ তৈরি করেছিলেন।
সে সময় লিন্ডা মোট চারটি ভ্রূণ তৈরি করেছিলেন। যার একটি থেকে তাঁর বর্তমানে ৩০ বছর বয়সী কন্যার জন্ম হয়েছে। বাকি ৩টি তিনি সংরক্ষণ করেন। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও, তিনি ভ্রূণগুলোকে হাতছাড়া করেননি। ভ্রূণগুলোকে তিনি গবেষণা ও অন্য একটি পরিবারকে গোপনে দান করেন।
লিন্ডা জানান, তিনি যে ভ্রূণগুলো দান করেছেন সেগুলো থেকে সন্তান জন্মদান প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকাকে জরুরি বলে মনে করেন তিনি। কারণ, তাঁর মতে এই সন্তানগুলোও তো তাঁর কন্যার সঙ্গে সম্পর্কিত।
লিন্ডা প্রতি বছর কয়েক হাজার ডলার খরচ করতেন এই ভ্রূণগুলো সংরক্ষণ করতে। পরে তিনি নাইটলাইট ক্রিশ্চিয়ান অ্যাডপশন নামের একটি ভ্রূণ দত্তক সংস্থা খুঁজে পান। এই প্ল্যাটফর্মটি স্নোফ্লেক্স নামে একটি প্রোগ্রাম চালায়। লিন্ডা কর্মসূচিতে অংশ নেন। এই কর্মসূচিতে দাতারা নিজের পছন্দসই একটি দম্পতিকে বেছে নিতে পারেন।
লিন্ডা এমআইটি টেকনোলজি রিভিউকে বলেন, তাঁর পছন্দ ছিল যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বিবাহিত শ্বেতাঙ্গ খ্রিষ্টান দম্পতি। কারণ তিনি চাননি তাঁর ভ্রূণ থেকে জন্ম নেওয়া শিশু ‘দেশের বাইরে’ চলে যাক। অবশেষে তিনি পিয়ার্স দম্পতিকে খুঁজে পান।
টেনেসির রিজয়েস ফার্টিলিটি আইভিএফ ক্লিনিকে এই দম্পতির পুরো গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ক্লিনিকটি জানায়, তাদের লক্ষ্য ছিল যে কোনো ভ্রূণ স্থানান্তর করা। ভ্রূণের বয়স বা অবস্থা যাই হোক না কেন।
লিন্ডসে বলেন, তিনি ও তাঁর স্বামী কোনো রেকর্ড ভাঙার জন্য এগিয়ে যাননি, তাঁরা শুধু ‘একটি সন্তান চেয়েছিলেন।’ লিন্ডা এমআইটি টেকনোলজি রিভিউকে বলেন, তিনি এখনো শিশুটিকে সরাসরি দেখেননি, তবে ইতিমধ্যেই তাঁর মেয়ের চেহারার সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন।
নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
১ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
১ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগে