বিশ্বের প্রাচীনতম এবং দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদগুলোর একটি হচ্ছে বাঁশ। চীনা বিজ্ঞানীদের একটি দল দাবি করেছে, ক্রমবর্ধমান বিশ্ব জনসংখ্যার জন্য একটি টেকসই এবং পুষ্টিকর খাবারের উৎস হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এই উদ্ভিদ।
চীনের গণমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এই গবেষণার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
পিয়ার–রিভিউ জার্নাল ট্রেন্ডস ইন ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুসারে, বাঁশ কোড়লে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান রয়েছে। এর মধ্যে থাকা উচ্চ মাত্রার প্রোটিন অনেকটা গরুর দুধের মতোই! তা ছাড়া বাঁশের ভেতরের অংশে বিদ্যমান প্রোটিনের মাত্রা অনেক শস্যের চেয়েও বেশি।
বাঁশ কোড়ল মূলত কচি বাঁশ, এটি অনেক দেশেই সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। গবেষকেরা ভবিষ্যতের সম্ভাব্য খাবার হিসেবে দেখছেন এই বাঁশ কোড়লকে।
চায়না ন্যাশনাল ব্যাম্বু রিসার্চ সেন্টারের গবেষক উ লিয়াংরুর নেতৃত্বে চলছে এই গবেষণা। তাঁদের লেখা গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, বাঁশ কোড়লে রয়েছে টেকসই খাদ্য সম্পদ হওয়ার সম্ভাবনা। এ ছাড়া, এই উদ্ভিদ ঘিরে রয়েছে বাণিজ্য ও রপ্তানির সুযোগ—যা স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে।
স্বাস্থ্যগত উপকারিতার রূপরেখা দিয়ে গবেষকেরা বলেছেন, বাঁশ কোড়ল মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় নয়টি অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিডের মধ্যে সাতটির উৎস। প্রকৃতপক্ষে, গাজর, বাঁধাকপির মতো অন্যান্য সবজির তুলনায় বাঁশ কোড়লে অ্যামিনো অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি এবং এতে পালংশাক ও কুমড়ার চেয়েও বেশি আয়রন থাকে।
গবেষণাপত্র অনুসারে, খাদ্যতালিকায় থাকা কার্বোহাইড্রেটের একটি দুর্দান্ত উৎসও এই বাঁশ কোড়ল। এতে কম চর্বিযুক্ত উপাদান এবং বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং ক্যানসার প্রতিরোধ করার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সুবিধা প্রদান করার ক্ষমতা রয়েছে বাঁশ কোড়লের।
গবেষক উ লিয়াংরু বলেন, বাঁশ কোড়লের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে অন্যতম হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করা। এতে এমন কিছু যৌগ রয়েছে যা মুক্ত র্যাডিকেলগুলোকে ধ্বংস করতে পারে। যে মুক্ত র্যাডিকেলগুলো কোষের ক্ষতিসাধন এবং বার্ধক্য ত্বরান্বিত করার জন্য দায়ী।
তিনি আরও বলেন— প্রোটিন, খাদ্যতালিকায় থাকা আঁশ, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন এবং বিভিন্ন সক্রিয় জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে এই বাঁশ কোড়ল।
বাঁশ কোড়ল রান্নার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। লবণ দিয়ে আচার, গাঁজানো, শুকনো, টিনজাত, হিমায়িত, রস কিংবা গুঁড়ো করে যেমন খাওয়া যায়, তেমনি অন্যান্য সবজির মতো করে রান্না করেও খাওয়া যায় বাঁশ কোড়ল।
বিশ্বজুড়ে অনেকেই বাঁশকে কেবল পান্ডার খাদ্য হিসেবেই দেখে। তবে রান্না এবং ঔষধি উপাদান হিসেবে বাঁশ ব্যবহারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এশিয়ায়। বাঁশ কোড়লের চাহিদাও এখন বাড়ছে। ২০০৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বাঁশের বাণিজ্য মূল্য বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। টিনজাত বাঁশ কোড়ল রপ্তানি করা হচ্ছে।
বিশ্বের বৃহত্তম বাঁশ উৎপাদনকারী দেশ হচ্ছে চীন। সেখানে প্রায় ৬৪ লাখ হেক্টর বাঁশবন রয়েছে। তবে এর মধ্যে ৬ শতাংশেরও কম বাঁশ থেকে বাঁশ কোড়ল উৎপাদন করা হয়। এবং প্রায় ২৪ শতাংশ ব্যবহৃত হয় সম্মিলিতভাবে কাঠ ও বাঁশ কোড়ল উৎপাদনের জন্য। এই বনাঞ্চল থেকে চীনে প্রতি বছর আনুমানিক আড়াই থেকে সাড়ে ৩ কোটি টন বাঁশ কোড়ল উৎপাদিত হয়।
তবুও এর মাত্র এক–তৃতীয়াংশই খাওয়ার জন্য সংগ্রহ করা হয় বলে জানিয়েছে গবেষণাপত্র। বাকি বাঁশ জঙ্গলেই পড়ে থাকে। সেখানেই পচে যায়।
উ লিয়াংরু বলেন, চীনের বাঁশ কোড়ল যদি সম্পূর্ণভাবে সংগ্রহ করা হয় এবং বিশ্বব্যাপী বাঁশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে প্রতি বছর ১৫ কোটি টন বাঁশ উৎপাদন করা সম্ভব হতে পারে। এতে বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যঘাটতি দূর করা সম্ভব।
তবে বাঁশ কোড়লে যে কোনো সমস্যা নেই তা নয়। বিশ্বব্যাপী মোট ১ হাজার ৬৪০ প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায়। তবে সেগুলোর সবকটিতে ভোজ্য নরম অংশ বা বাঁশ কোড়ল হয় না। চীনে পাওয়া যায় এমন ৮০০টি প্রজাতির মধ্যে মাত্র ১৫৩টি ভোজ্য এবং এর মধ্যে শুধু ৫৬টির বাঁশ কোড়লই উচ্চমানের বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
এ ছাড়া একটি বাঁশের নরম অংশের প্রায় ৭০ শতাংশই অখাদ্য বর্জ্য। তবে গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে, বাঁশের বাইরের আবরণকে কীভাবে কার্যকর উপাদানে পরিণত করা যায় তা পরীক্ষা করছেন অনেক গবেষক।
বিশ্বের প্রাচীনতম এবং দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদগুলোর একটি হচ্ছে বাঁশ। চীনা বিজ্ঞানীদের একটি দল দাবি করেছে, ক্রমবর্ধমান বিশ্ব জনসংখ্যার জন্য একটি টেকসই এবং পুষ্টিকর খাবারের উৎস হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এই উদ্ভিদ।
চীনের গণমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এই গবেষণার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
পিয়ার–রিভিউ জার্নাল ট্রেন্ডস ইন ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুসারে, বাঁশ কোড়লে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান রয়েছে। এর মধ্যে থাকা উচ্চ মাত্রার প্রোটিন অনেকটা গরুর দুধের মতোই! তা ছাড়া বাঁশের ভেতরের অংশে বিদ্যমান প্রোটিনের মাত্রা অনেক শস্যের চেয়েও বেশি।
বাঁশ কোড়ল মূলত কচি বাঁশ, এটি অনেক দেশেই সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। গবেষকেরা ভবিষ্যতের সম্ভাব্য খাবার হিসেবে দেখছেন এই বাঁশ কোড়লকে।
চায়না ন্যাশনাল ব্যাম্বু রিসার্চ সেন্টারের গবেষক উ লিয়াংরুর নেতৃত্বে চলছে এই গবেষণা। তাঁদের লেখা গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, বাঁশ কোড়লে রয়েছে টেকসই খাদ্য সম্পদ হওয়ার সম্ভাবনা। এ ছাড়া, এই উদ্ভিদ ঘিরে রয়েছে বাণিজ্য ও রপ্তানির সুযোগ—যা স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে।
স্বাস্থ্যগত উপকারিতার রূপরেখা দিয়ে গবেষকেরা বলেছেন, বাঁশ কোড়ল মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় নয়টি অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিডের মধ্যে সাতটির উৎস। প্রকৃতপক্ষে, গাজর, বাঁধাকপির মতো অন্যান্য সবজির তুলনায় বাঁশ কোড়লে অ্যামিনো অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি এবং এতে পালংশাক ও কুমড়ার চেয়েও বেশি আয়রন থাকে।
গবেষণাপত্র অনুসারে, খাদ্যতালিকায় থাকা কার্বোহাইড্রেটের একটি দুর্দান্ত উৎসও এই বাঁশ কোড়ল। এতে কম চর্বিযুক্ত উপাদান এবং বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং ক্যানসার প্রতিরোধ করার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সুবিধা প্রদান করার ক্ষমতা রয়েছে বাঁশ কোড়লের।
গবেষক উ লিয়াংরু বলেন, বাঁশ কোড়লের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে অন্যতম হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করা। এতে এমন কিছু যৌগ রয়েছে যা মুক্ত র্যাডিকেলগুলোকে ধ্বংস করতে পারে। যে মুক্ত র্যাডিকেলগুলো কোষের ক্ষতিসাধন এবং বার্ধক্য ত্বরান্বিত করার জন্য দায়ী।
তিনি আরও বলেন— প্রোটিন, খাদ্যতালিকায় থাকা আঁশ, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন এবং বিভিন্ন সক্রিয় জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে এই বাঁশ কোড়ল।
বাঁশ কোড়ল রান্নার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। লবণ দিয়ে আচার, গাঁজানো, শুকনো, টিনজাত, হিমায়িত, রস কিংবা গুঁড়ো করে যেমন খাওয়া যায়, তেমনি অন্যান্য সবজির মতো করে রান্না করেও খাওয়া যায় বাঁশ কোড়ল।
বিশ্বজুড়ে অনেকেই বাঁশকে কেবল পান্ডার খাদ্য হিসেবেই দেখে। তবে রান্না এবং ঔষধি উপাদান হিসেবে বাঁশ ব্যবহারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এশিয়ায়। বাঁশ কোড়লের চাহিদাও এখন বাড়ছে। ২০০৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বাঁশের বাণিজ্য মূল্য বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। টিনজাত বাঁশ কোড়ল রপ্তানি করা হচ্ছে।
বিশ্বের বৃহত্তম বাঁশ উৎপাদনকারী দেশ হচ্ছে চীন। সেখানে প্রায় ৬৪ লাখ হেক্টর বাঁশবন রয়েছে। তবে এর মধ্যে ৬ শতাংশেরও কম বাঁশ থেকে বাঁশ কোড়ল উৎপাদন করা হয়। এবং প্রায় ২৪ শতাংশ ব্যবহৃত হয় সম্মিলিতভাবে কাঠ ও বাঁশ কোড়ল উৎপাদনের জন্য। এই বনাঞ্চল থেকে চীনে প্রতি বছর আনুমানিক আড়াই থেকে সাড়ে ৩ কোটি টন বাঁশ কোড়ল উৎপাদিত হয়।
তবুও এর মাত্র এক–তৃতীয়াংশই খাওয়ার জন্য সংগ্রহ করা হয় বলে জানিয়েছে গবেষণাপত্র। বাকি বাঁশ জঙ্গলেই পড়ে থাকে। সেখানেই পচে যায়।
উ লিয়াংরু বলেন, চীনের বাঁশ কোড়ল যদি সম্পূর্ণভাবে সংগ্রহ করা হয় এবং বিশ্বব্যাপী বাঁশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে প্রতি বছর ১৫ কোটি টন বাঁশ উৎপাদন করা সম্ভব হতে পারে। এতে বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যঘাটতি দূর করা সম্ভব।
তবে বাঁশ কোড়লে যে কোনো সমস্যা নেই তা নয়। বিশ্বব্যাপী মোট ১ হাজার ৬৪০ প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায়। তবে সেগুলোর সবকটিতে ভোজ্য নরম অংশ বা বাঁশ কোড়ল হয় না। চীনে পাওয়া যায় এমন ৮০০টি প্রজাতির মধ্যে মাত্র ১৫৩টি ভোজ্য এবং এর মধ্যে শুধু ৫৬টির বাঁশ কোড়লই উচ্চমানের বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
এ ছাড়া একটি বাঁশের নরম অংশের প্রায় ৭০ শতাংশই অখাদ্য বর্জ্য। তবে গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে, বাঁশের বাইরের আবরণকে কীভাবে কার্যকর উপাদানে পরিণত করা যায় তা পরীক্ষা করছেন অনেক গবেষক।
গণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১ দিন আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগে