অনলাইন ডেস্ক
দুই দশক আগে সাহসী অবস্থান নিয়েছিলেন বিশ্বখ্যাত কগনিটিভ সাইকোলজিস্ট এলিজাবেথ স্পেলকে। তিনি বলেছিলেন, ‘বিজ্ঞান ও গণিতে নারীদের এবং পুরুষদের স্বাভাবিক দক্ষতায় কোনো মৌলিক পার্থক্য নেই।’ এই মন্তব্য তখন তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়। এবার সেই বক্তব্য আরও শক্ত ভিত্তি পেল এক নতুন গবেষণায়।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে স্পেলকে দাবি করেছেন, ‘আমার পূর্বের অবস্থানের পক্ষে এবার আরও জোরালো প্রমাণ মিলেছে।’
এই গবেষণায় সহলেখক হিসেবে স্পেলকের সঙ্গে ছিলেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আরও ৯ জন গবেষক। তাঁরা বিশ্লেষণ করেছেন, ফরাসি সরকারের ২০১৮ সালে চালু করা একটি বড়মাপের শিক্ষা প্রকল্প ইভালএইডের (EvalAide) তথ্য। পাঁচ বছর ধরে চালানো এই প্রকল্পে ২৫ লাখেরও বেশি শিশুর ওপর গণিতের দক্ষতা পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করা হয়েছে।
প্রাথমিক ফলাফল দেখায়, প্রথম শ্রেণির শুরুতে ছেলেমেয়ের মধ্যে গণিতের দক্ষতায় পার্থক্য প্রায় ছিল না বললেই চলে। তবে স্কুল শুরু হওয়ার মাত্র চার মাস পরই ছেলেদের একটু এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যবধান ক্রমাগত বাড়তে থাকে—চতুর্থ ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে এসে তা আরও স্পষ্ট হয়।
স্পেলকে বলেন, ‘স্কুলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণিত শিক্ষা শুরু হওয়ার পরপরই ছেলেমেয়ের মধ্যে লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য গড়ে উঠতে শুরু করে।’
২০০৫ সালে স্পেলকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে দাবি করেছিলেন, মানবশিশুর একবারে শৈশবকাল গণনা ও জ্যামিতিগত দক্ষতায় লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় ছেলেমেয়ের ফলাফল আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করতাম, তবে কখনোই দেখিনি যে ছেলেরা বা মেয়েরা কেউ স্বাভাবিকভাবে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে।’ তবে তখনো প্রশ্ন ছিল—বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, হয়তো প্রিস্কুলের সময় থেকেই, কীভাবে এই পার্থক্য তৈরি হয়?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে স্পেলকে এখন শিশুদের গণনা ও সংখ্যা চেনার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এসব কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপ মূল্যায়ন করা হচ্ছে র্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়াল নামে পরিচিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে, যাতে ফলাফল নির্ভরযোগ্য ও তথ্যভিত্তিক হয়।
এ প্রসঙ্গে স্পেলকে যুক্ত হয়েছেন এমআইটির নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এস্তার দুফলোর সঙ্গে। তাঁরা দিল্লির জে-পাল (J-PAL) অফিসের সঙ্গে কাজ করছেন। এটি ভারতের চারটি রাজ্যের সরকারকে পরামর্শ দিয়ে থাকে। যেখানে প্রিস্কুল, কিন্ডারগার্টেন ও প্রথম শ্রেণির শিশুদের জন্য নতুন গণিত শিক্ষাক্রম তৈরি ও পরীক্ষা চলছে।
এ ছাড়া দীর্ঘদিনের সহকর্মী নিউরোসায়েন্টিস্ট স্তানিসলাস দেহানের সঙ্গে ফরাসি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈজ্ঞানিক কাউন্সিল ও পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন স্পেলকে। এই কাউন্সিলের সহায়তায় ২০১৮ সালে শুরু হয় ইভালএইডই প্রকল্প। উদ্দেশ্য ছিল—ফ্রান্সের প্রতিটি শিশুর মৌলিক ভাষা ও গণিত দক্ষতার মানদণ্ড তৈরি এবং তথ্যভিত্তিক শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন।
নেচারে প্রকাশিত গবেষণাটি চারটি আলাদা দলে বিভক্ত ৫ ও ৬ বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে করা হয়েছে, যারা ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে স্কুলে ভর্তি হয়।
তাদের মধ্যে দেখা গেছে, ভাষাগত পরীক্ষায় মেয়েরা সামান্য এগিয়ে থাকলেও গণিতে শুরুতে ছেলেমেয়ের পারফরম্যান্স প্রায় সমান ছিল। তবে স্কুল শুরু হওয়ার মাত্র চার মাস পরই ছেলেরা এগিয়ে যেতে শুরু করে এবং সেই ব্যবধান সময়ের সঙ্গে চারগুণ বেড়ে যায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে। এই পার্থক্য চতুর্থ এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে গিয়ে আরও বড় হয়।
অন্যদিকে, ভাষায় মেয়েরা শুরুতে সামান্য এগিয়ে থাকলেও স্কুল শুরু হওয়ার প্রথম চার মাসেই সেই ব্যবধান কমে যায় এবং পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে তা আর তেমনভাবে বাড়ে না।
তবে গণিতে এই ব্যবধান কীভাবে গড়ে উঠছে তা জানতে চান গবেষকেরা। স্পেলকে বলেন, ‘গবেষণায় আমরা জেনেটিক বা সামাজিক পক্ষপাতের পক্ষে তেমন কোনো প্রমাণ পাইনি।’
তিনি যুক্তি দেন, যদি সামাজিক পক্ষপাত থাকত, তাহলে স্কুলে ঢোকার আগেই ছেলেরা গণিত ও স্থানিক দক্ষতা সম্পর্কিত কাজে বেশি পারদর্শিতা দেখাত। বাস্তবে তেমন কিছু দেখা যায়নি।
তবে কিছু চমকপ্রদ ফলাফল গবেষণায় উঠে এসেছে। যেমন—গবেষকেরা জন্মতারিখ ধরে ফলাফল বিশ্লেষণ করেন। দেখা যায়, লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য বয়সের সঙ্গে নয়, বরং স্কুলে কাটানো সময়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের করোনা মহামারির সময় স্কুল বন্ধ থাকার প্রভাবেও উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা যায়। যারা ২০১৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়, তাদের শেষ আড়াই মাস স্কুল বন্ধ ছিল। এই দলের মধ্যে গণিতে লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য অন্যান্য বছরের তুলনায় তুলনামূলক কম ছিল।
একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও এই বৈচিত্র্যের ব্যাখ্যায় যুক্ত হয়। ২০১৯ সালে, আন্তর্জাতিক পরীক্ষায় ফরাসি শিশুদের গণিত দক্ষতা ছিল ২৩টি ইউরোপীয় দেশের মধ্যে একেবারে তলানিতে। সেই ঘটনায় জাতীয়ভাবে আলোড়ন তৈরি হয়। এরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিন্ডারগার্টেনে গণিত শিক্ষার পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
তার প্রভাব পড়ে ২০১৯ সালের শিক্ষার্থীদের ওপর, যারা ওই বছরই প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। আগের বছরের মতো নয়, তাদের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য সেই সময়েই দেখা দেয় এবং পরের বছরগুলোতেও তা বজায় থাকে।
সব মিলিয়ে, এই গবেষণা জেনেটিক তত্ত্ব কিংবা সামাজিক পক্ষপাত নয়, বরং স্কুলশিক্ষার শুরুর ধরনেই লুকিয়ে রয়েছে গণিতে ছেলেমেয়ের পার্থক্য তৈরি হওয়ার রহস্য।
স্পেলকে বলেন, ‘আমরা এখনো জানি না ঠিক কোন পাঠদানের কৌশল বা পদ্ধতির কারণে এই পার্থক্য তৈরি হচ্ছে। তবে এখন হাতে এমন ডেটা আছে, যার ভিত্তিতে পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করে র্যান্ডমাইজড পদ্ধতিতে পরীক্ষার মাধ্যমে সেটি বোঝার সুযোগ এসেছে।’
তথ্যসূত্র: দ্য হার্ভার্ড গ্যাজেট
আরও খবর পড়ুন:
দুই দশক আগে সাহসী অবস্থান নিয়েছিলেন বিশ্বখ্যাত কগনিটিভ সাইকোলজিস্ট এলিজাবেথ স্পেলকে। তিনি বলেছিলেন, ‘বিজ্ঞান ও গণিতে নারীদের এবং পুরুষদের স্বাভাবিক দক্ষতায় কোনো মৌলিক পার্থক্য নেই।’ এই মন্তব্য তখন তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়। এবার সেই বক্তব্য আরও শক্ত ভিত্তি পেল এক নতুন গবেষণায়।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে স্পেলকে দাবি করেছেন, ‘আমার পূর্বের অবস্থানের পক্ষে এবার আরও জোরালো প্রমাণ মিলেছে।’
এই গবেষণায় সহলেখক হিসেবে স্পেলকের সঙ্গে ছিলেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আরও ৯ জন গবেষক। তাঁরা বিশ্লেষণ করেছেন, ফরাসি সরকারের ২০১৮ সালে চালু করা একটি বড়মাপের শিক্ষা প্রকল্প ইভালএইডের (EvalAide) তথ্য। পাঁচ বছর ধরে চালানো এই প্রকল্পে ২৫ লাখেরও বেশি শিশুর ওপর গণিতের দক্ষতা পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করা হয়েছে।
প্রাথমিক ফলাফল দেখায়, প্রথম শ্রেণির শুরুতে ছেলেমেয়ের মধ্যে গণিতের দক্ষতায় পার্থক্য প্রায় ছিল না বললেই চলে। তবে স্কুল শুরু হওয়ার মাত্র চার মাস পরই ছেলেদের একটু এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যবধান ক্রমাগত বাড়তে থাকে—চতুর্থ ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে এসে তা আরও স্পষ্ট হয়।
স্পেলকে বলেন, ‘স্কুলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণিত শিক্ষা শুরু হওয়ার পরপরই ছেলেমেয়ের মধ্যে লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য গড়ে উঠতে শুরু করে।’
২০০৫ সালে স্পেলকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে দাবি করেছিলেন, মানবশিশুর একবারে শৈশবকাল গণনা ও জ্যামিতিগত দক্ষতায় লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় ছেলেমেয়ের ফলাফল আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করতাম, তবে কখনোই দেখিনি যে ছেলেরা বা মেয়েরা কেউ স্বাভাবিকভাবে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে।’ তবে তখনো প্রশ্ন ছিল—বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, হয়তো প্রিস্কুলের সময় থেকেই, কীভাবে এই পার্থক্য তৈরি হয়?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে স্পেলকে এখন শিশুদের গণনা ও সংখ্যা চেনার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এসব কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপ মূল্যায়ন করা হচ্ছে র্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়াল নামে পরিচিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে, যাতে ফলাফল নির্ভরযোগ্য ও তথ্যভিত্তিক হয়।
এ প্রসঙ্গে স্পেলকে যুক্ত হয়েছেন এমআইটির নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এস্তার দুফলোর সঙ্গে। তাঁরা দিল্লির জে-পাল (J-PAL) অফিসের সঙ্গে কাজ করছেন। এটি ভারতের চারটি রাজ্যের সরকারকে পরামর্শ দিয়ে থাকে। যেখানে প্রিস্কুল, কিন্ডারগার্টেন ও প্রথম শ্রেণির শিশুদের জন্য নতুন গণিত শিক্ষাক্রম তৈরি ও পরীক্ষা চলছে।
এ ছাড়া দীর্ঘদিনের সহকর্মী নিউরোসায়েন্টিস্ট স্তানিসলাস দেহানের সঙ্গে ফরাসি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈজ্ঞানিক কাউন্সিল ও পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন স্পেলকে। এই কাউন্সিলের সহায়তায় ২০১৮ সালে শুরু হয় ইভালএইডই প্রকল্প। উদ্দেশ্য ছিল—ফ্রান্সের প্রতিটি শিশুর মৌলিক ভাষা ও গণিত দক্ষতার মানদণ্ড তৈরি এবং তথ্যভিত্তিক শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন।
নেচারে প্রকাশিত গবেষণাটি চারটি আলাদা দলে বিভক্ত ৫ ও ৬ বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে করা হয়েছে, যারা ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে স্কুলে ভর্তি হয়।
তাদের মধ্যে দেখা গেছে, ভাষাগত পরীক্ষায় মেয়েরা সামান্য এগিয়ে থাকলেও গণিতে শুরুতে ছেলেমেয়ের পারফরম্যান্স প্রায় সমান ছিল। তবে স্কুল শুরু হওয়ার মাত্র চার মাস পরই ছেলেরা এগিয়ে যেতে শুরু করে এবং সেই ব্যবধান সময়ের সঙ্গে চারগুণ বেড়ে যায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে। এই পার্থক্য চতুর্থ এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে গিয়ে আরও বড় হয়।
অন্যদিকে, ভাষায় মেয়েরা শুরুতে সামান্য এগিয়ে থাকলেও স্কুল শুরু হওয়ার প্রথম চার মাসেই সেই ব্যবধান কমে যায় এবং পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে তা আর তেমনভাবে বাড়ে না।
তবে গণিতে এই ব্যবধান কীভাবে গড়ে উঠছে তা জানতে চান গবেষকেরা। স্পেলকে বলেন, ‘গবেষণায় আমরা জেনেটিক বা সামাজিক পক্ষপাতের পক্ষে তেমন কোনো প্রমাণ পাইনি।’
তিনি যুক্তি দেন, যদি সামাজিক পক্ষপাত থাকত, তাহলে স্কুলে ঢোকার আগেই ছেলেরা গণিত ও স্থানিক দক্ষতা সম্পর্কিত কাজে বেশি পারদর্শিতা দেখাত। বাস্তবে তেমন কিছু দেখা যায়নি।
তবে কিছু চমকপ্রদ ফলাফল গবেষণায় উঠে এসেছে। যেমন—গবেষকেরা জন্মতারিখ ধরে ফলাফল বিশ্লেষণ করেন। দেখা যায়, লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য বয়সের সঙ্গে নয়, বরং স্কুলে কাটানো সময়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের করোনা মহামারির সময় স্কুল বন্ধ থাকার প্রভাবেও উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা যায়। যারা ২০১৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়, তাদের শেষ আড়াই মাস স্কুল বন্ধ ছিল। এই দলের মধ্যে গণিতে লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য অন্যান্য বছরের তুলনায় তুলনামূলক কম ছিল।
একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও এই বৈচিত্র্যের ব্যাখ্যায় যুক্ত হয়। ২০১৯ সালে, আন্তর্জাতিক পরীক্ষায় ফরাসি শিশুদের গণিত দক্ষতা ছিল ২৩টি ইউরোপীয় দেশের মধ্যে একেবারে তলানিতে। সেই ঘটনায় জাতীয়ভাবে আলোড়ন তৈরি হয়। এরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিন্ডারগার্টেনে গণিত শিক্ষার পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
তার প্রভাব পড়ে ২০১৯ সালের শিক্ষার্থীদের ওপর, যারা ওই বছরই প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। আগের বছরের মতো নয়, তাদের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য সেই সময়েই দেখা দেয় এবং পরের বছরগুলোতেও তা বজায় থাকে।
সব মিলিয়ে, এই গবেষণা জেনেটিক তত্ত্ব কিংবা সামাজিক পক্ষপাত নয়, বরং স্কুলশিক্ষার শুরুর ধরনেই লুকিয়ে রয়েছে গণিতে ছেলেমেয়ের পার্থক্য তৈরি হওয়ার রহস্য।
স্পেলকে বলেন, ‘আমরা এখনো জানি না ঠিক কোন পাঠদানের কৌশল বা পদ্ধতির কারণে এই পার্থক্য তৈরি হচ্ছে। তবে এখন হাতে এমন ডেটা আছে, যার ভিত্তিতে পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করে র্যান্ডমাইজড পদ্ধতিতে পরীক্ষার মাধ্যমে সেটি বোঝার সুযোগ এসেছে।’
তথ্যসূত্র: দ্য হার্ভার্ড গ্যাজেট
আরও খবর পড়ুন:
নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
২ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
২ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগে