গবেষণায় দেখা গেছে নানাবিধ কারণেই দিক নির্দেশনায় নারীর চেয়ে পুরুষেরাই ভালো করে থাকেন। তবে এই ভালো করার পেছনে বিবর্তন ভূমিকা রেখেছে—বিষয়টি এমন নয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পুরুষের এই এগিয়ে থাকা মূলত নারীর চেয়ে তাদের বেড়ে ওঠার পার্থক্যের কারণে।
এ বিষয়ে নিও সায়েন্টিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতীতের গবেষণায় দেখা গেছে—ভৌগোলিক দিক-নির্দেশনার ক্ষেত্রে নারীদের তুলনায় পুরুষ কিছুটা এগিয়ে। এই অবস্থাটির জন্য কিছু গবেষক মত দিয়েছিলেন, এটি বিবর্তনের কারণে হতে পারে। কারণ প্রাগৈতিহাসিক সময়েও পুরুষেরা সাধারণত শিকারের জন্য আস্তানা থেকে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করত। আর নারীরা প্রায়ই বাড়ির কাছাকাছি থাকতেন। এর ফলে হাজার লাখো বছরের বিবর্তনে পুরুষেরা ভালো দিক নির্দেশক হয়ে উঠেছে।
তবে ইলিনয় আরবানা-চ্যাম্পেইন ইউনিভার্সিটির গবেষক জাস্টিন রোডস বলেছেন—বিবর্তনের বিষয়টি যদি সত্যি হয়, তবে সেই জিনগুলো পুরুষের শরীর থেকে তার কন্যা সন্তানের শরীরেও প্রবেশ করবে।
এ ক্ষেত্রে পুরুষের এগিয়ে থাকার জন্য ‘একটি সুস্পষ্ট বিকল্প সংস্কৃতিকে’ কারণ বলে মনে করেন রোডস। এই সংস্কৃতিই পুরুষ এবং নারীর অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে বড় ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ—সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বাইরে খেলা-ধুলার প্রতি বেশি আগ্রহ বোধ করে। এটি তাদের দিক-নির্দেশনার দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।
বিষয়টির তদন্ত করার জন্য রোডস এবং তার সহকর্মীরা মানুষ ছাড়াও প্রাণী জগতের আরও ২১টি প্রজাতির তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। এসব প্রজাতির নারী ও পুরুষদের ভৌগোলিক দিক নির্দেশনার দক্ষতা এবং এবং তারা তাদের বাড়ি থেকে গড়ে কত দূর ভ্রমণ করে তা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।
এই খেলায় যদি প্রাকৃতিক নির্বাচনের বিষয়টি থাকত তবে আমরা আশা করাতাম—সব প্রজাতির মধ্যে যে লিঙ্গটি বাড়ি থেকে বেশি দূরের পথ ভ্রমণ করে তার মধ্যেই দিক-নির্দেশনার দক্ষতা বেশি থাকবে। কিন্তু এর বদলে দেখা গেছে, সব প্রজাতির মধ্যে পুরুষেরা নারীদের তুলনায় দিক নির্দেশনায় কিছুটা এগিয়ে ছিল। যদিও মরিচা ক্রেফিশ এবং লিটল ডেভিল পয়জন ফ্রগের মতো কিছু প্রজাতির মধ্যে নারী সঙ্গীটিই বাড়ি থেকে বেশি দূরের পথ ভ্রমণ করে।
এসব ফলাফলের ভিত্তিতেই রোডস এবং তাঁর সঙ্গীরা মনে করেন, নারী ও পুরুষের মধ্যে দিক নির্দেশনার দক্ষতার পার্থক্য সাংস্কৃতিক কারণে হতে পারে। বিষয়টি নারী ও পুরুষ প্রাণীদের মধ্যে জৈবিক বৈচিত্র্যের একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। রোডস বলেন, ‘হরমোনের পার্থক্য, উদাহরণস্বরূপ—সব ধরনের বৈশিষ্ট্যকে প্রভাবিত করতে পারে। এসব বৈশিষ্ট্য দান প্রজননকে বাধাগ্রস্ত করে না, বিবর্তনকে গুরুত্ব দেয় না।’
এ প্রসঙ্গে ফরাসি ন্যাশনাল সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চ-এর অ্যান্টোইন কউটরট বলেছেন, ‘গবেষকেরা ব্যাপকভাবে দেখিয়েছেন যে, ভৌগোলিক ক্ষমতার মধ্যে লিঙ্গের পার্থক্যগুলো অর্জিত হয় সম্ভবত সংস্কৃতির মাধ্যমে। এই ক্ষমতা অনেকটা সমস্ত জ্ঞানীয় ক্ষমতার মতো। আপনি যত বেশি এটি ব্যবহার করবেন, এটি আপনার কাছে তত বেশি হবে।’
গবেষণায় দেখা গেছে নানাবিধ কারণেই দিক নির্দেশনায় নারীর চেয়ে পুরুষেরাই ভালো করে থাকেন। তবে এই ভালো করার পেছনে বিবর্তন ভূমিকা রেখেছে—বিষয়টি এমন নয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পুরুষের এই এগিয়ে থাকা মূলত নারীর চেয়ে তাদের বেড়ে ওঠার পার্থক্যের কারণে।
এ বিষয়ে নিও সায়েন্টিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতীতের গবেষণায় দেখা গেছে—ভৌগোলিক দিক-নির্দেশনার ক্ষেত্রে নারীদের তুলনায় পুরুষ কিছুটা এগিয়ে। এই অবস্থাটির জন্য কিছু গবেষক মত দিয়েছিলেন, এটি বিবর্তনের কারণে হতে পারে। কারণ প্রাগৈতিহাসিক সময়েও পুরুষেরা সাধারণত শিকারের জন্য আস্তানা থেকে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করত। আর নারীরা প্রায়ই বাড়ির কাছাকাছি থাকতেন। এর ফলে হাজার লাখো বছরের বিবর্তনে পুরুষেরা ভালো দিক নির্দেশক হয়ে উঠেছে।
তবে ইলিনয় আরবানা-চ্যাম্পেইন ইউনিভার্সিটির গবেষক জাস্টিন রোডস বলেছেন—বিবর্তনের বিষয়টি যদি সত্যি হয়, তবে সেই জিনগুলো পুরুষের শরীর থেকে তার কন্যা সন্তানের শরীরেও প্রবেশ করবে।
এ ক্ষেত্রে পুরুষের এগিয়ে থাকার জন্য ‘একটি সুস্পষ্ট বিকল্প সংস্কৃতিকে’ কারণ বলে মনে করেন রোডস। এই সংস্কৃতিই পুরুষ এবং নারীর অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে বড় ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ—সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বাইরে খেলা-ধুলার প্রতি বেশি আগ্রহ বোধ করে। এটি তাদের দিক-নির্দেশনার দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।
বিষয়টির তদন্ত করার জন্য রোডস এবং তার সহকর্মীরা মানুষ ছাড়াও প্রাণী জগতের আরও ২১টি প্রজাতির তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। এসব প্রজাতির নারী ও পুরুষদের ভৌগোলিক দিক নির্দেশনার দক্ষতা এবং এবং তারা তাদের বাড়ি থেকে গড়ে কত দূর ভ্রমণ করে তা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।
এই খেলায় যদি প্রাকৃতিক নির্বাচনের বিষয়টি থাকত তবে আমরা আশা করাতাম—সব প্রজাতির মধ্যে যে লিঙ্গটি বাড়ি থেকে বেশি দূরের পথ ভ্রমণ করে তার মধ্যেই দিক-নির্দেশনার দক্ষতা বেশি থাকবে। কিন্তু এর বদলে দেখা গেছে, সব প্রজাতির মধ্যে পুরুষেরা নারীদের তুলনায় দিক নির্দেশনায় কিছুটা এগিয়ে ছিল। যদিও মরিচা ক্রেফিশ এবং লিটল ডেভিল পয়জন ফ্রগের মতো কিছু প্রজাতির মধ্যে নারী সঙ্গীটিই বাড়ি থেকে বেশি দূরের পথ ভ্রমণ করে।
এসব ফলাফলের ভিত্তিতেই রোডস এবং তাঁর সঙ্গীরা মনে করেন, নারী ও পুরুষের মধ্যে দিক নির্দেশনার দক্ষতার পার্থক্য সাংস্কৃতিক কারণে হতে পারে। বিষয়টি নারী ও পুরুষ প্রাণীদের মধ্যে জৈবিক বৈচিত্র্যের একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। রোডস বলেন, ‘হরমোনের পার্থক্য, উদাহরণস্বরূপ—সব ধরনের বৈশিষ্ট্যকে প্রভাবিত করতে পারে। এসব বৈশিষ্ট্য দান প্রজননকে বাধাগ্রস্ত করে না, বিবর্তনকে গুরুত্ব দেয় না।’
এ প্রসঙ্গে ফরাসি ন্যাশনাল সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চ-এর অ্যান্টোইন কউটরট বলেছেন, ‘গবেষকেরা ব্যাপকভাবে দেখিয়েছেন যে, ভৌগোলিক ক্ষমতার মধ্যে লিঙ্গের পার্থক্যগুলো অর্জিত হয় সম্ভবত সংস্কৃতির মাধ্যমে। এই ক্ষমতা অনেকটা সমস্ত জ্ঞানীয় ক্ষমতার মতো। আপনি যত বেশি এটি ব্যবহার করবেন, এটি আপনার কাছে তত বেশি হবে।’
গণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১ দিন আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগে