মহাকাশে ওরিয়ন নীহারিকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একগাদা বৃহস্পতিসদৃশ গ্রহ। সেগুলো কোনো সৌরজগৎ বা কোনো তারাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে না। তার বদলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মুক্তভাবে। সম্প্রতি মহাকাশে ভ্রাম্যমাণ জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এই গ্রহগুলোকে আবিষ্কার করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের নজরে সব মিলিয়ে ৮০টি অর্থাৎ ৪০ জোড়া বৃহস্পতিসদৃশ গ্রহ ঘুরে বেড়াচ্ছে। গ্রহগুলো কেন জোড়ায় জোড়ায় ঘুরছে, বিজ্ঞানীরা এখনো বিষয়টি নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য আবিষ্কার করতে পারেননি। বিষয়টির রহস্য উদ্ঘাটনে তাঁরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
বিজ্ঞানীরা গ্রহগুলোর নাম দিয়েছেন জুপিটার ম্যাস বাইনারি অবজেক্টস বা জেইউএমবিও। তাদের ধারণা, গ্রহগুলো নীহারিকার এমন একটি এলাকায় উৎপন্ন হয়েছে, যেখানে পদার্থের ঘনত্ব এত কম যে, তা থেকে পরিপূর্ণভাবে গঠিত হতে পারেনি। তাঁরা আরও একটি সম্ভাবনার কথা বলেছেন, তা হলো—প্রথমে এই গ্রহগুলো একটি তারাকে কেন্দ্র করেই গঠিত হয়েছিল কিন্তু পরে সেগুলো বিভিন্ন মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে আন্তনাক্ষত্রিক অঞ্চলে চলে যায়।
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির গবেষক অধ্যাপক মার্ক ম্যাককঘ্রিয়ান বলেন, ‘বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে সম্ভাব্য তত্ত্ব হলো ইজেকশন হাইপোথিসিস।’ সাধারণত প্রায় একই আকারের দুটি গ্রহের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে অন্য একটি গ্রহ বিশেষ করে উপগ্রহের উৎপত্তি হওয়ার ধারণাকে ইজেকশন হাইপোথিসিস বলা হয়।
ম্যাককঘ্রিয়ান বলেন, ‘গ্যাস পদার্থবিদ্যা অনুসারে, কেবল পদার্থের ভরের কারণে বৃহস্পতির মতো ভরসম্পন্ন কোনো গ্রহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি করা সম্ভব নয় এবং আমরা জানি, একক যেকোনো গ্রহকে সোলার সিস্টেম থেকে বের হয়ে যেতে পারে। কিন্তু কীভাবে একসঙ্গে এক জোড়া গ্রহকে সেখান থেকে বের করে দেবেন? এ মুহূর্তে আমাদের কাছে এর কোনো উত্তর নেই। এটা তাত্ত্বিকদের বিষয়, তাঁরা ভালো বলতে পারবেন।’
ওরিয়ন নীহারিকা পৃথিবীর অন্যতম নিকটবর্তী তারকা গঠনকারী অঞ্চল। এই নীহারিকার কেন্দ্রস্থলটি ট্র্যাপিজিয়াম নামে পরিচিত। এটি সূর্যের চেয়ে চারগুণ উজ্জ্বল। পৃথিবী থেকে অনেক সময় খালি চোখেই এই কেন্দ্রস্থল দেখা যায়।
মহাকাশে ওরিয়ন নীহারিকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একগাদা বৃহস্পতিসদৃশ গ্রহ। সেগুলো কোনো সৌরজগৎ বা কোনো তারাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে না। তার বদলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মুক্তভাবে। সম্প্রতি মহাকাশে ভ্রাম্যমাণ জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এই গ্রহগুলোকে আবিষ্কার করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের নজরে সব মিলিয়ে ৮০টি অর্থাৎ ৪০ জোড়া বৃহস্পতিসদৃশ গ্রহ ঘুরে বেড়াচ্ছে। গ্রহগুলো কেন জোড়ায় জোড়ায় ঘুরছে, বিজ্ঞানীরা এখনো বিষয়টি নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য আবিষ্কার করতে পারেননি। বিষয়টির রহস্য উদ্ঘাটনে তাঁরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
বিজ্ঞানীরা গ্রহগুলোর নাম দিয়েছেন জুপিটার ম্যাস বাইনারি অবজেক্টস বা জেইউএমবিও। তাদের ধারণা, গ্রহগুলো নীহারিকার এমন একটি এলাকায় উৎপন্ন হয়েছে, যেখানে পদার্থের ঘনত্ব এত কম যে, তা থেকে পরিপূর্ণভাবে গঠিত হতে পারেনি। তাঁরা আরও একটি সম্ভাবনার কথা বলেছেন, তা হলো—প্রথমে এই গ্রহগুলো একটি তারাকে কেন্দ্র করেই গঠিত হয়েছিল কিন্তু পরে সেগুলো বিভিন্ন মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে আন্তনাক্ষত্রিক অঞ্চলে চলে যায়।
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির গবেষক অধ্যাপক মার্ক ম্যাককঘ্রিয়ান বলেন, ‘বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে সম্ভাব্য তত্ত্ব হলো ইজেকশন হাইপোথিসিস।’ সাধারণত প্রায় একই আকারের দুটি গ্রহের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে অন্য একটি গ্রহ বিশেষ করে উপগ্রহের উৎপত্তি হওয়ার ধারণাকে ইজেকশন হাইপোথিসিস বলা হয়।
ম্যাককঘ্রিয়ান বলেন, ‘গ্যাস পদার্থবিদ্যা অনুসারে, কেবল পদার্থের ভরের কারণে বৃহস্পতির মতো ভরসম্পন্ন কোনো গ্রহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি করা সম্ভব নয় এবং আমরা জানি, একক যেকোনো গ্রহকে সোলার সিস্টেম থেকে বের হয়ে যেতে পারে। কিন্তু কীভাবে একসঙ্গে এক জোড়া গ্রহকে সেখান থেকে বের করে দেবেন? এ মুহূর্তে আমাদের কাছে এর কোনো উত্তর নেই। এটা তাত্ত্বিকদের বিষয়, তাঁরা ভালো বলতে পারবেন।’
ওরিয়ন নীহারিকা পৃথিবীর অন্যতম নিকটবর্তী তারকা গঠনকারী অঞ্চল। এই নীহারিকার কেন্দ্রস্থলটি ট্র্যাপিজিয়াম নামে পরিচিত। এটি সূর্যের চেয়ে চারগুণ উজ্জ্বল। পৃথিবী থেকে অনেক সময় খালি চোখেই এই কেন্দ্রস্থল দেখা যায়।
নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
১ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
২ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগে