গর্ভধারণের ফলে নারীর মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু অংশে ধূসর বস্তু কমে যায়। এই পরিবর্তন সন্তানের সঙ্গে শক্তিশালী আবেগীয় বন্ধন তৈরি করতে এবং মাতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুসারে, প্রথমবারের মতো মা হওয়া ২৫ জনের মস্তিষ্ক স্ক্যান করে দেখা গেছে, মস্তিষ্কের এ কাঠামোগত পরিবর্তন সন্তান জন্মের প্রায় দুই বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
ইউরোপীয় গবেষকেরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় মস্তিষ্কের এ ধরনের পরিবর্তন বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনের সঙ্গে বেশ সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে তাঁরা এ সময় নারীর স্মৃতিলোপের কোনো প্রমাণ পাননি।
অনেক নারীই বলেন, তাঁরা গর্ভাবস্থায় বেশ ভুলোমনা এবং আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এর জন্য তাঁরা গর্ভধারণ বা গর্ভের শিশুর মস্তিষ্ককে দায়ী করে থাকেন।
হরমোনের ওঠানামা
গবেষকেরা বলেন, গর্ভাবস্থায় সেক্স হরমোনের প্রভাব বেশ বেড়ে যায়। এর প্রভাবে নারীর ব্যাপক মনস্তাত্ত্বিক ও শারীরিক পরিবর্তন হয়। গর্ভাবস্থার ৯ মাসে নারী যে পরিমাণ এস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসরণ হয়, সারা জীবনেও এত পরিমাণে হয় না।
তবে নারীর মস্তিষ্কের ওপর গর্ভধারণের প্রভাব নিয়ে গবেষণার পরিমাণ খুব কম।
ইউনিভার্সিট্যাট অটোনোমা দে বার্সেলোনা এবং লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এ গবেষণা প্রতিবেদন নেচার নিউরোসায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এ গবেষণায় গর্ভকালে নারীর মস্তিষ্কের পরিবর্তন কেমন হয়, তা পর্যবেক্ষণের জন্য গর্ভধারণের আগে, সন্তান জন্মদানের পরপর এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার দুই বছর পর মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখা হয়। এরপর সেই পর্যবেক্ষণ প্রথমবারের মতো বাবা হওয়া ১৯ পুরুষ, বাবা হয়নি এমন ১৭ পুরুষ এবং কখনো সন্তান জন্ম দেয়নি এমন ২০ নারীর মস্তিষ্কের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, প্রথমবারের মতো মা হওয়া নারীদের মস্তিষ্কের ধূসর বস্তু উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। মস্তিষ্কের যেসব অংশ সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, সেসব অংশের ধূসর বস্তুতে পরিবর্তন দেখা গেছে। এ অংশগুলো অন্যের সম্পর্কে ভাবনা এবং অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে। এটিকে বলা হয় ‘থিওরি-অব-মাইন্ড’-এর কাজ।
গবেষকদের মতে, এ পরিবর্তন নতুন মায়েদের বেশ কয়েকটি সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন সন্তানের চাহিদা বুঝতে সাহায্য করা, সামাজিক ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে আরও বেশি সতর্ক করা এবং সন্তানের সঙ্গে আরও বেশি ঘনিষ্ঠ করা।
এই গবেষণায় কেবল মস্তিষ্কের ছবি পরীক্ষা করেই কম্পিউটার সন্তানসম্ভবা মা চিহ্নিত করতে পেরেছিল।
সন্তানের সঙ্গে শক্তিশালী বন্ধন তৈরি
পরীক্ষার একপর্যায়ে নারীদের নিজ সন্তান ও অন্য শিশুদের ছবি দেখানো হয়েছিল। এ পরীক্ষার সময় তাঁদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপের ওপর নজর রাখা হয়। গবেষকেরা লক্ষ করেন, গর্ভাবস্থায় মস্তিষ্কের যে অংশগুলোর ধূসর বস্তু কমে গিয়েছিল, সে অংশগুলো নিজের সন্তানের ছবি দেখে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। অথচ অন্য শিশুদের ছবি দেখার পর একই অংশগুলো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে না।
এ গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক নেদারল্যান্ডসের লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব সাইকোলজির পোস্টডক্টরাল গবেষক এলসেলাইন হিকজেমা বলেন, ‘আমরা ধারণা করতে পারি, গর্ভাবস্থায় (ধূসর বস্তুর) হ্রাস, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া প্রক্রিয়ার বিশেষায়িতকরণ এবং আরও বেশি পরিপক্বতাকেই নির্দেশ করে। একদিক থেকে বলতে গেলে, এটি মা হতে যাওয়া নারীকে উপযোগী করে তুলতে সহায়তা করে।’
প্রাকৃতিকভাবে গর্ভধারণ হোক বা আইভিএফের (টেস্টটিউব বেবি) মাধ্যমে, সব গর্ভবতী নারীর মধ্যেই একই প্রভাব দেখা যায় বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। তবে প্রথমবার বাবা হওয়া পুরুষদের মস্তিষ্কের ধূসর বস্তু সঙ্গীর গর্ভধারণের আগে এবং পরে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
গবেষক দলটি মস্তিষ্কের শ্বেত পদার্থে কোনো বড় ধরনের পরিবর্তন খুঁজে পায়নি।
উল্লেখ্য, মস্তিষ্কের শ্বেত পদার্থ মূলত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের তথ্য বহনের কাজ করে, আর সেই তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে ধূসর পদার্থ।
গর্ভধারণের ফলে নারীর মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু অংশে ধূসর বস্তু কমে যায়। এই পরিবর্তন সন্তানের সঙ্গে শক্তিশালী আবেগীয় বন্ধন তৈরি করতে এবং মাতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুসারে, প্রথমবারের মতো মা হওয়া ২৫ জনের মস্তিষ্ক স্ক্যান করে দেখা গেছে, মস্তিষ্কের এ কাঠামোগত পরিবর্তন সন্তান জন্মের প্রায় দুই বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
ইউরোপীয় গবেষকেরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় মস্তিষ্কের এ ধরনের পরিবর্তন বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনের সঙ্গে বেশ সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে তাঁরা এ সময় নারীর স্মৃতিলোপের কোনো প্রমাণ পাননি।
অনেক নারীই বলেন, তাঁরা গর্ভাবস্থায় বেশ ভুলোমনা এবং আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এর জন্য তাঁরা গর্ভধারণ বা গর্ভের শিশুর মস্তিষ্ককে দায়ী করে থাকেন।
হরমোনের ওঠানামা
গবেষকেরা বলেন, গর্ভাবস্থায় সেক্স হরমোনের প্রভাব বেশ বেড়ে যায়। এর প্রভাবে নারীর ব্যাপক মনস্তাত্ত্বিক ও শারীরিক পরিবর্তন হয়। গর্ভাবস্থার ৯ মাসে নারী যে পরিমাণ এস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসরণ হয়, সারা জীবনেও এত পরিমাণে হয় না।
তবে নারীর মস্তিষ্কের ওপর গর্ভধারণের প্রভাব নিয়ে গবেষণার পরিমাণ খুব কম।
ইউনিভার্সিট্যাট অটোনোমা দে বার্সেলোনা এবং লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এ গবেষণা প্রতিবেদন নেচার নিউরোসায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এ গবেষণায় গর্ভকালে নারীর মস্তিষ্কের পরিবর্তন কেমন হয়, তা পর্যবেক্ষণের জন্য গর্ভধারণের আগে, সন্তান জন্মদানের পরপর এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার দুই বছর পর মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখা হয়। এরপর সেই পর্যবেক্ষণ প্রথমবারের মতো বাবা হওয়া ১৯ পুরুষ, বাবা হয়নি এমন ১৭ পুরুষ এবং কখনো সন্তান জন্ম দেয়নি এমন ২০ নারীর মস্তিষ্কের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, প্রথমবারের মতো মা হওয়া নারীদের মস্তিষ্কের ধূসর বস্তু উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। মস্তিষ্কের যেসব অংশ সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, সেসব অংশের ধূসর বস্তুতে পরিবর্তন দেখা গেছে। এ অংশগুলো অন্যের সম্পর্কে ভাবনা এবং অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে। এটিকে বলা হয় ‘থিওরি-অব-মাইন্ড’-এর কাজ।
গবেষকদের মতে, এ পরিবর্তন নতুন মায়েদের বেশ কয়েকটি সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন সন্তানের চাহিদা বুঝতে সাহায্য করা, সামাজিক ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে আরও বেশি সতর্ক করা এবং সন্তানের সঙ্গে আরও বেশি ঘনিষ্ঠ করা।
এই গবেষণায় কেবল মস্তিষ্কের ছবি পরীক্ষা করেই কম্পিউটার সন্তানসম্ভবা মা চিহ্নিত করতে পেরেছিল।
সন্তানের সঙ্গে শক্তিশালী বন্ধন তৈরি
পরীক্ষার একপর্যায়ে নারীদের নিজ সন্তান ও অন্য শিশুদের ছবি দেখানো হয়েছিল। এ পরীক্ষার সময় তাঁদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপের ওপর নজর রাখা হয়। গবেষকেরা লক্ষ করেন, গর্ভাবস্থায় মস্তিষ্কের যে অংশগুলোর ধূসর বস্তু কমে গিয়েছিল, সে অংশগুলো নিজের সন্তানের ছবি দেখে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। অথচ অন্য শিশুদের ছবি দেখার পর একই অংশগুলো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে না।
এ গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক নেদারল্যান্ডসের লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব সাইকোলজির পোস্টডক্টরাল গবেষক এলসেলাইন হিকজেমা বলেন, ‘আমরা ধারণা করতে পারি, গর্ভাবস্থায় (ধূসর বস্তুর) হ্রাস, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া প্রক্রিয়ার বিশেষায়িতকরণ এবং আরও বেশি পরিপক্বতাকেই নির্দেশ করে। একদিক থেকে বলতে গেলে, এটি মা হতে যাওয়া নারীকে উপযোগী করে তুলতে সহায়তা করে।’
প্রাকৃতিকভাবে গর্ভধারণ হোক বা আইভিএফের (টেস্টটিউব বেবি) মাধ্যমে, সব গর্ভবতী নারীর মধ্যেই একই প্রভাব দেখা যায় বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। তবে প্রথমবার বাবা হওয়া পুরুষদের মস্তিষ্কের ধূসর বস্তু সঙ্গীর গর্ভধারণের আগে এবং পরে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
গবেষক দলটি মস্তিষ্কের শ্বেত পদার্থে কোনো বড় ধরনের পরিবর্তন খুঁজে পায়নি।
উল্লেখ্য, মস্তিষ্কের শ্বেত পদার্থ মূলত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের তথ্য বহনের কাজ করে, আর সেই তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে ধূসর পদার্থ।
গণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
১১ ঘণ্টা আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১ দিন আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগে