
দুই বছর আগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে উদ্ধার হওয়া মঙ্গল গ্রহের বিরল উল্কাপিণ্ডটি গত মাসে নিউইয়র্কে নিলামে বিক্রি হয়েছে। এই উল্কাপিণ্ড বিক্রি হয়েছে ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি দামে। ২৪ কেজি বেশি ওজনের পাথরটি সাহারা মরুভূমিতে পাওয়া গেছে। তবে পাথরটি বেআইনিভাবে পাচার করা হতে পারে বলে দাবি করছে নাইজার। ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিক তদন্তও শুরু করেছে দেশটি।
নাইজারের সরকার বলছে, তারা উল্কাপিণ্ডটির আবিষ্কার ও বিক্রির প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও দেশটিতে উল্কাপিণ্ডসংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোনো আইন নেই, আন্তর্জাতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণবিষয়ক আইন প্রয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিলাম আয়োজক প্রতিষ্ঠান সোথেবি’জ জানিয়েছে, ‘NWA 16788’ নামের এই উল্কাপিণ্ডটি একটি বিশাল গ্রহাণুর আঘাতে মঙ্গল থেকে ছিটকে পড়ে এবং প্রায় ১৪ কোটি মাইল ভ্রমণ করে পৃথিবীতে আসে।
সোথেবিজের বিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক ইতিহাস বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান কাসান্দ্রা হ্যাটন এক ভিডিওতে বলেন, ‘এটি পৃথিবীতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ছিল প্রায় শূন্যের কাছাকাছি।’
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে নাইজারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সাহারায় এক উল্কাপিণ্ড অনুসন্ধানকারী এটি আবিষ্কার করেন। তবে সেই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। একইভাবে গত মাসে যিনি এটি কিনেছেন, তাঁর পরিচয়ও গোপন রাখা হয়েছে।
এই উল্কাপিণ্ড পৃথিবীতে আসা মঙ্গলের সবচেয়ে বড় খণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। এর ওজন ৫৪ দশমিক ৩৮৮ পাউন্ড (প্রায় ২৪ দশমিক ৬৭ কেজি)। এটি ২০২৫ সালের ৮ জুলাই নিউইয়র্কে নিলামের আগে প্রথমবারের মতো সোথেবি’জে জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হয়।
উল্কাপিণ্ড শিকার সাহারা অঞ্চল দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। শুকনো জলবায়ুর কারণে এই অঞ্চলে উল্কাপিণ্ড ভালোভাবে সংরক্ষিত থাকে। ফলে এখানকার অনুসন্ধানকারীরা প্রায়ই এ ধরনের পাথর খুঁজে বের করে, যা সংগ্রাহক ও বিজ্ঞানীদের কাছে বিক্রি হয়। সবচেয়ে মূল্যবান ও বিরল উল্কাপিণ্ডগুলো আসে মঙ্গল ও চাঁদ থেকে।
বৈজ্ঞানিক সাময়িকী হেরিটেজের তথ্যমতে, এই উল্কাপিণ্ড প্রথমে এক আন্তর্জাতিক বিক্রেতার কাছে বিক্রি হয় এবং পরে এটি ইতালির এক প্রাইভেট গ্যালারিতে পৌঁছায়। সেখানে ফ্লোরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী এর গঠন ও উৎস সম্পর্কে গবেষণা করেন। এরপর রোমে এটি অল্প সময়ের জন্য প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে এটি গত মাসে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত নিলামে জনসমক্ষে আসে।
উল্লেখ্য, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় উল্কাপিণ্ড নয়। নাসা বলছে, একসময় নামিবিয়ায় ১০০ টনের বেশি ওজনের একটি উল্কাপিণ্ড পড়েছিল।
এক বিবৃতিতে নাইজার সরকার জানায়, ঘটনাটি ‘আন্তর্জাতিক বেআইনি পাচারের মতো’ এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সম্প্রতি নাইজারের প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান চিয়ানি দেশজ সম্পদের সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি ‘দামি পাথর, আধা মূল্যবান পাথর ও উল্কাপিণ্ড’-এর রপ্তানি সাময়িকভাবে স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো, এগুলোর উৎস ও গতিপথ শনাক্ত করা যায়।
সোথেবি’জ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উল্কাপিণ্ডটি আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই নাইজার থেকে রপ্তানি ও পরিবহন করা হয়েছে।
তাদের বক্তব্য, ‘আমরা যেসব জিনিস বিক্রি করি, সবকিছুতেই প্রাসঙ্গিক নথিপত্র ঠিকঠাক থাকে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নিয়ম অনুসরণ করা হয়।’
বিশ্বজুড়ে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসংক্রান্ত বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন আইন থাকলেও উল্কাপিণ্ডের ক্ষেত্রে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবিষয়ক আইনজীবী প্যাটি গার্সটেনব্লিথ বলেন, ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক সম্পদ বিষয়ক কনভেনশন অনুযায়ী, উল্কাপিণ্ডও সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে গণ্য হতে পারে। তবে নাইজারকে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা এই উল্কাপিণ্ডের মালিক এবং এটি চুরি হয়েছিল।
মরক্কোর মতো কিছু দেশ তাদের ভূখণ্ডে পাওয়া উল্কাপিণ্ড ফেরত চায়। তবে সাহারার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ও অনানুষ্ঠানিক বাজারের কারণে এসব আইন বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ে।
তথ্যসূত্র: সিবিএস নিউজ

দুই বছর আগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে উদ্ধার হওয়া মঙ্গল গ্রহের বিরল উল্কাপিণ্ডটি গত মাসে নিউইয়র্কে নিলামে বিক্রি হয়েছে। এই উল্কাপিণ্ড বিক্রি হয়েছে ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি দামে। ২৪ কেজি বেশি ওজনের পাথরটি সাহারা মরুভূমিতে পাওয়া গেছে। তবে পাথরটি বেআইনিভাবে পাচার করা হতে পারে বলে দাবি করছে নাইজার। ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিক তদন্তও শুরু করেছে দেশটি।
নাইজারের সরকার বলছে, তারা উল্কাপিণ্ডটির আবিষ্কার ও বিক্রির প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও দেশটিতে উল্কাপিণ্ডসংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোনো আইন নেই, আন্তর্জাতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণবিষয়ক আইন প্রয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিলাম আয়োজক প্রতিষ্ঠান সোথেবি’জ জানিয়েছে, ‘NWA 16788’ নামের এই উল্কাপিণ্ডটি একটি বিশাল গ্রহাণুর আঘাতে মঙ্গল থেকে ছিটকে পড়ে এবং প্রায় ১৪ কোটি মাইল ভ্রমণ করে পৃথিবীতে আসে।
সোথেবিজের বিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক ইতিহাস বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান কাসান্দ্রা হ্যাটন এক ভিডিওতে বলেন, ‘এটি পৃথিবীতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ছিল প্রায় শূন্যের কাছাকাছি।’
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে নাইজারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সাহারায় এক উল্কাপিণ্ড অনুসন্ধানকারী এটি আবিষ্কার করেন। তবে সেই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। একইভাবে গত মাসে যিনি এটি কিনেছেন, তাঁর পরিচয়ও গোপন রাখা হয়েছে।
এই উল্কাপিণ্ড পৃথিবীতে আসা মঙ্গলের সবচেয়ে বড় খণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। এর ওজন ৫৪ দশমিক ৩৮৮ পাউন্ড (প্রায় ২৪ দশমিক ৬৭ কেজি)। এটি ২০২৫ সালের ৮ জুলাই নিউইয়র্কে নিলামের আগে প্রথমবারের মতো সোথেবি’জে জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হয়।
উল্কাপিণ্ড শিকার সাহারা অঞ্চল দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। শুকনো জলবায়ুর কারণে এই অঞ্চলে উল্কাপিণ্ড ভালোভাবে সংরক্ষিত থাকে। ফলে এখানকার অনুসন্ধানকারীরা প্রায়ই এ ধরনের পাথর খুঁজে বের করে, যা সংগ্রাহক ও বিজ্ঞানীদের কাছে বিক্রি হয়। সবচেয়ে মূল্যবান ও বিরল উল্কাপিণ্ডগুলো আসে মঙ্গল ও চাঁদ থেকে।
বৈজ্ঞানিক সাময়িকী হেরিটেজের তথ্যমতে, এই উল্কাপিণ্ড প্রথমে এক আন্তর্জাতিক বিক্রেতার কাছে বিক্রি হয় এবং পরে এটি ইতালির এক প্রাইভেট গ্যালারিতে পৌঁছায়। সেখানে ফ্লোরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী এর গঠন ও উৎস সম্পর্কে গবেষণা করেন। এরপর রোমে এটি অল্প সময়ের জন্য প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে এটি গত মাসে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত নিলামে জনসমক্ষে আসে।
উল্লেখ্য, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় উল্কাপিণ্ড নয়। নাসা বলছে, একসময় নামিবিয়ায় ১০০ টনের বেশি ওজনের একটি উল্কাপিণ্ড পড়েছিল।
এক বিবৃতিতে নাইজার সরকার জানায়, ঘটনাটি ‘আন্তর্জাতিক বেআইনি পাচারের মতো’ এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সম্প্রতি নাইজারের প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান চিয়ানি দেশজ সম্পদের সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি ‘দামি পাথর, আধা মূল্যবান পাথর ও উল্কাপিণ্ড’-এর রপ্তানি সাময়িকভাবে স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো, এগুলোর উৎস ও গতিপথ শনাক্ত করা যায়।
সোথেবি’জ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উল্কাপিণ্ডটি আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই নাইজার থেকে রপ্তানি ও পরিবহন করা হয়েছে।
তাদের বক্তব্য, ‘আমরা যেসব জিনিস বিক্রি করি, সবকিছুতেই প্রাসঙ্গিক নথিপত্র ঠিকঠাক থাকে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নিয়ম অনুসরণ করা হয়।’
বিশ্বজুড়ে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসংক্রান্ত বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন আইন থাকলেও উল্কাপিণ্ডের ক্ষেত্রে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবিষয়ক আইনজীবী প্যাটি গার্সটেনব্লিথ বলেন, ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক সম্পদ বিষয়ক কনভেনশন অনুযায়ী, উল্কাপিণ্ডও সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে গণ্য হতে পারে। তবে নাইজারকে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা এই উল্কাপিণ্ডের মালিক এবং এটি চুরি হয়েছিল।
মরক্কোর মতো কিছু দেশ তাদের ভূখণ্ডে পাওয়া উল্কাপিণ্ড ফেরত চায়। তবে সাহারার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ও অনানুষ্ঠানিক বাজারের কারণে এসব আইন বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ে।
তথ্যসূত্র: সিবিএস নিউজ

দুই বছর আগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে উদ্ধার হওয়া মঙ্গল গ্রহের বিরল উল্কাপিণ্ডটি গত মাসে নিউইয়র্কে নিলামে বিক্রি হয়েছে। এই উল্কাপিণ্ড বিক্রি হয়েছে ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি দামে। ২৪ কেজি বেশি ওজনের পাথরটি সাহারা মরুভূমিতে পাওয়া গেছে। তবে পাথরটি বেআইনিভাবে পাচার করা হতে পারে বলে দাবি করছে নাইজার। ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিক তদন্তও শুরু করেছে দেশটি।
নাইজারের সরকার বলছে, তারা উল্কাপিণ্ডটির আবিষ্কার ও বিক্রির প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও দেশটিতে উল্কাপিণ্ডসংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোনো আইন নেই, আন্তর্জাতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণবিষয়ক আইন প্রয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিলাম আয়োজক প্রতিষ্ঠান সোথেবি’জ জানিয়েছে, ‘NWA 16788’ নামের এই উল্কাপিণ্ডটি একটি বিশাল গ্রহাণুর আঘাতে মঙ্গল থেকে ছিটকে পড়ে এবং প্রায় ১৪ কোটি মাইল ভ্রমণ করে পৃথিবীতে আসে।
সোথেবিজের বিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক ইতিহাস বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান কাসান্দ্রা হ্যাটন এক ভিডিওতে বলেন, ‘এটি পৃথিবীতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ছিল প্রায় শূন্যের কাছাকাছি।’
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে নাইজারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সাহারায় এক উল্কাপিণ্ড অনুসন্ধানকারী এটি আবিষ্কার করেন। তবে সেই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। একইভাবে গত মাসে যিনি এটি কিনেছেন, তাঁর পরিচয়ও গোপন রাখা হয়েছে।
এই উল্কাপিণ্ড পৃথিবীতে আসা মঙ্গলের সবচেয়ে বড় খণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। এর ওজন ৫৪ দশমিক ৩৮৮ পাউন্ড (প্রায় ২৪ দশমিক ৬৭ কেজি)। এটি ২০২৫ সালের ৮ জুলাই নিউইয়র্কে নিলামের আগে প্রথমবারের মতো সোথেবি’জে জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হয়।
উল্কাপিণ্ড শিকার সাহারা অঞ্চল দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। শুকনো জলবায়ুর কারণে এই অঞ্চলে উল্কাপিণ্ড ভালোভাবে সংরক্ষিত থাকে। ফলে এখানকার অনুসন্ধানকারীরা প্রায়ই এ ধরনের পাথর খুঁজে বের করে, যা সংগ্রাহক ও বিজ্ঞানীদের কাছে বিক্রি হয়। সবচেয়ে মূল্যবান ও বিরল উল্কাপিণ্ডগুলো আসে মঙ্গল ও চাঁদ থেকে।
বৈজ্ঞানিক সাময়িকী হেরিটেজের তথ্যমতে, এই উল্কাপিণ্ড প্রথমে এক আন্তর্জাতিক বিক্রেতার কাছে বিক্রি হয় এবং পরে এটি ইতালির এক প্রাইভেট গ্যালারিতে পৌঁছায়। সেখানে ফ্লোরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী এর গঠন ও উৎস সম্পর্কে গবেষণা করেন। এরপর রোমে এটি অল্প সময়ের জন্য প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে এটি গত মাসে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত নিলামে জনসমক্ষে আসে।
উল্লেখ্য, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় উল্কাপিণ্ড নয়। নাসা বলছে, একসময় নামিবিয়ায় ১০০ টনের বেশি ওজনের একটি উল্কাপিণ্ড পড়েছিল।
এক বিবৃতিতে নাইজার সরকার জানায়, ঘটনাটি ‘আন্তর্জাতিক বেআইনি পাচারের মতো’ এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সম্প্রতি নাইজারের প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান চিয়ানি দেশজ সম্পদের সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি ‘দামি পাথর, আধা মূল্যবান পাথর ও উল্কাপিণ্ড’-এর রপ্তানি সাময়িকভাবে স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো, এগুলোর উৎস ও গতিপথ শনাক্ত করা যায়।
সোথেবি’জ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উল্কাপিণ্ডটি আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই নাইজার থেকে রপ্তানি ও পরিবহন করা হয়েছে।
তাদের বক্তব্য, ‘আমরা যেসব জিনিস বিক্রি করি, সবকিছুতেই প্রাসঙ্গিক নথিপত্র ঠিকঠাক থাকে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নিয়ম অনুসরণ করা হয়।’
বিশ্বজুড়ে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসংক্রান্ত বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন আইন থাকলেও উল্কাপিণ্ডের ক্ষেত্রে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবিষয়ক আইনজীবী প্যাটি গার্সটেনব্লিথ বলেন, ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক সম্পদ বিষয়ক কনভেনশন অনুযায়ী, উল্কাপিণ্ডও সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে গণ্য হতে পারে। তবে নাইজারকে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা এই উল্কাপিণ্ডের মালিক এবং এটি চুরি হয়েছিল।
মরক্কোর মতো কিছু দেশ তাদের ভূখণ্ডে পাওয়া উল্কাপিণ্ড ফেরত চায়। তবে সাহারার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ও অনানুষ্ঠানিক বাজারের কারণে এসব আইন বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ে।
তথ্যসূত্র: সিবিএস নিউজ

দুই বছর আগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে উদ্ধার হওয়া মঙ্গল গ্রহের বিরল উল্কাপিণ্ডটি গত মাসে নিউইয়র্কে নিলামে বিক্রি হয়েছে। এই উল্কাপিণ্ড বিক্রি হয়েছে ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি দামে। ২৪ কেজি বেশি ওজনের পাথরটি সাহারা মরুভূমিতে পাওয়া গেছে। তবে পাথরটি বেআইনিভাবে পাচার করা হতে পারে বলে দাবি করছে নাইজার। ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিক তদন্তও শুরু করেছে দেশটি।
নাইজারের সরকার বলছে, তারা উল্কাপিণ্ডটির আবিষ্কার ও বিক্রির প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও দেশটিতে উল্কাপিণ্ডসংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোনো আইন নেই, আন্তর্জাতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণবিষয়ক আইন প্রয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিলাম আয়োজক প্রতিষ্ঠান সোথেবি’জ জানিয়েছে, ‘NWA 16788’ নামের এই উল্কাপিণ্ডটি একটি বিশাল গ্রহাণুর আঘাতে মঙ্গল থেকে ছিটকে পড়ে এবং প্রায় ১৪ কোটি মাইল ভ্রমণ করে পৃথিবীতে আসে।
সোথেবিজের বিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক ইতিহাস বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান কাসান্দ্রা হ্যাটন এক ভিডিওতে বলেন, ‘এটি পৃথিবীতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ছিল প্রায় শূন্যের কাছাকাছি।’
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে নাইজারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সাহারায় এক উল্কাপিণ্ড অনুসন্ধানকারী এটি আবিষ্কার করেন। তবে সেই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। একইভাবে গত মাসে যিনি এটি কিনেছেন, তাঁর পরিচয়ও গোপন রাখা হয়েছে।
এই উল্কাপিণ্ড পৃথিবীতে আসা মঙ্গলের সবচেয়ে বড় খণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। এর ওজন ৫৪ দশমিক ৩৮৮ পাউন্ড (প্রায় ২৪ দশমিক ৬৭ কেজি)। এটি ২০২৫ সালের ৮ জুলাই নিউইয়র্কে নিলামের আগে প্রথমবারের মতো সোথেবি’জে জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হয়।
উল্কাপিণ্ড শিকার সাহারা অঞ্চল দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। শুকনো জলবায়ুর কারণে এই অঞ্চলে উল্কাপিণ্ড ভালোভাবে সংরক্ষিত থাকে। ফলে এখানকার অনুসন্ধানকারীরা প্রায়ই এ ধরনের পাথর খুঁজে বের করে, যা সংগ্রাহক ও বিজ্ঞানীদের কাছে বিক্রি হয়। সবচেয়ে মূল্যবান ও বিরল উল্কাপিণ্ডগুলো আসে মঙ্গল ও চাঁদ থেকে।
বৈজ্ঞানিক সাময়িকী হেরিটেজের তথ্যমতে, এই উল্কাপিণ্ড প্রথমে এক আন্তর্জাতিক বিক্রেতার কাছে বিক্রি হয় এবং পরে এটি ইতালির এক প্রাইভেট গ্যালারিতে পৌঁছায়। সেখানে ফ্লোরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী এর গঠন ও উৎস সম্পর্কে গবেষণা করেন। এরপর রোমে এটি অল্প সময়ের জন্য প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে এটি গত মাসে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত নিলামে জনসমক্ষে আসে।
উল্লেখ্য, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় উল্কাপিণ্ড নয়। নাসা বলছে, একসময় নামিবিয়ায় ১০০ টনের বেশি ওজনের একটি উল্কাপিণ্ড পড়েছিল।
এক বিবৃতিতে নাইজার সরকার জানায়, ঘটনাটি ‘আন্তর্জাতিক বেআইনি পাচারের মতো’ এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সম্প্রতি নাইজারের প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান চিয়ানি দেশজ সম্পদের সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি ‘দামি পাথর, আধা মূল্যবান পাথর ও উল্কাপিণ্ড’-এর রপ্তানি সাময়িকভাবে স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো, এগুলোর উৎস ও গতিপথ শনাক্ত করা যায়।
সোথেবি’জ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উল্কাপিণ্ডটি আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই নাইজার থেকে রপ্তানি ও পরিবহন করা হয়েছে।
তাদের বক্তব্য, ‘আমরা যেসব জিনিস বিক্রি করি, সবকিছুতেই প্রাসঙ্গিক নথিপত্র ঠিকঠাক থাকে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নিয়ম অনুসরণ করা হয়।’
বিশ্বজুড়ে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসংক্রান্ত বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন আইন থাকলেও উল্কাপিণ্ডের ক্ষেত্রে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবিষয়ক আইনজীবী প্যাটি গার্সটেনব্লিথ বলেন, ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক সম্পদ বিষয়ক কনভেনশন অনুযায়ী, উল্কাপিণ্ডও সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে গণ্য হতে পারে। তবে নাইজারকে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা এই উল্কাপিণ্ডের মালিক এবং এটি চুরি হয়েছিল।
মরক্কোর মতো কিছু দেশ তাদের ভূখণ্ডে পাওয়া উল্কাপিণ্ড ফেরত চায়। তবে সাহারার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ও অনানুষ্ঠানিক বাজারের কারণে এসব আইন বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ে।
তথ্যসূত্র: সিবিএস নিউজ

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়েও প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
১ ঘণ্টা আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
২ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
২ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়েও প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে এই খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরবর্তীতে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলিটির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকেই বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত, আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলিটি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়েও প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে এই খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরবর্তীতে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলিটির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকেই বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত, আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলিটি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

দুই বছর আগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে উদ্ধার হওয়া মঙ্গল গ্রহের বিরল উল্কাপিণ্ডটি গত মাসে নিউইয়র্কে নিলামে বিক্রি হয়েছে। এই উল্কাপিণ্ডটি বিক্রি হয়েছে ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি দামে। ২৪ কেজি বেশি ওজনের পাথরটি সাহারা মরুভূমিতে পাওয়া গেছে। তবে পাথরটি বেআইনিভাবে পাচার করা হতে পারে বলে দাবি কর
১২ আগস্ট ২০২৫
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
২ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
২ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

দুই বছর আগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে উদ্ধার হওয়া মঙ্গল গ্রহের বিরল উল্কাপিণ্ডটি গত মাসে নিউইয়র্কে নিলামে বিক্রি হয়েছে। এই উল্কাপিণ্ডটি বিক্রি হয়েছে ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি দামে। ২৪ কেজি বেশি ওজনের পাথরটি সাহারা মরুভূমিতে পাওয়া গেছে। তবে পাথরটি বেআইনিভাবে পাচার করা হতে পারে বলে দাবি কর
১২ আগস্ট ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়েও প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
১ ঘণ্টা আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
২ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

দুই বছর আগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে উদ্ধার হওয়া মঙ্গল গ্রহের বিরল উল্কাপিণ্ডটি গত মাসে নিউইয়র্কে নিলামে বিক্রি হয়েছে। এই উল্কাপিণ্ডটি বিক্রি হয়েছে ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি দামে। ২৪ কেজি বেশি ওজনের পাথরটি সাহারা মরুভূমিতে পাওয়া গেছে। তবে পাথরটি বেআইনিভাবে পাচার করা হতে পারে বলে দাবি কর
১২ আগস্ট ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়েও প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
১ ঘণ্টা আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
২ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
নিউরোকম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবমস্তিষ্কের ‘নিউরাল ওয়্যারিং’ পদ্ধতি অনুকরণ করে জেনারেটিভ এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতো অন্যান্য আধুনিক এআই মডেলে ব্যবহৃত কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
তাঁরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (টিএসএম)। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নিউরন কেবল কাছের বা সম্পর্কিত নিউরনের সঙ্গে যুক্ত হয় যেভাবে মানুষের মস্তিষ্ক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগঠিত করে গুছিয়ে সংরক্ষণ করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র লেকচারার ড. রোমান বাউয়ার বলেন, ‘খুব বেশি শক্তি না খরচ করেও বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব। এতে পারফরম্যান্সও কমে না। আমাদের গবেষণা তা ই বলছে।’
গবেষকেরা জানান, অপ্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক সংযোগ বাদ দেয় এই মডেলটি। যার ফলে নির্ভুলতা বজায় রেখে এআই আরও দ্রুত ও টেকসইভাবে কাজ করতে পারে।
ড. বাউয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বড় বড় এআই মডেলগুলো প্রশিক্ষণ দিতে ১০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ লাগে। যে গতিতে এআই মডেল বাড়ছে, তাতে এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নয়।’
এই পদ্ধতির একটি উন্নত সংস্করণও তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এর নাম দিয়েছেন এনহ্যান্সড টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (ইটিএসএম)। এটি ‘প্রুনিং’-এর মতো করে অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ছাঁটাই করে ফেলে। যার ফলে এআই আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।
এটি মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে শেখার সময় ধীরে ধীরে নিজের স্নায়ু সংযোগগুলো পরিশুদ্ধ বা সাজিয়ে নেয়, তার মতোই।
গবেষকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখছেন যে এই পদ্ধতিতে ‘নিওরোমরফিক কম্পিউটার’ তৈরি করা যায় কি না, যেগুলো একদম মানুষের মস্তিষ্কের মতোভাবে চিন্তা ও কাজ করতে পারবে।

মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
নিউরোকম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবমস্তিষ্কের ‘নিউরাল ওয়্যারিং’ পদ্ধতি অনুকরণ করে জেনারেটিভ এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতো অন্যান্য আধুনিক এআই মডেলে ব্যবহৃত কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
তাঁরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (টিএসএম)। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নিউরন কেবল কাছের বা সম্পর্কিত নিউরনের সঙ্গে যুক্ত হয় যেভাবে মানুষের মস্তিষ্ক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগঠিত করে গুছিয়ে সংরক্ষণ করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র লেকচারার ড. রোমান বাউয়ার বলেন, ‘খুব বেশি শক্তি না খরচ করেও বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব। এতে পারফরম্যান্সও কমে না। আমাদের গবেষণা তা ই বলছে।’
গবেষকেরা জানান, অপ্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক সংযোগ বাদ দেয় এই মডেলটি। যার ফলে নির্ভুলতা বজায় রেখে এআই আরও দ্রুত ও টেকসইভাবে কাজ করতে পারে।
ড. বাউয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বড় বড় এআই মডেলগুলো প্রশিক্ষণ দিতে ১০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ লাগে। যে গতিতে এআই মডেল বাড়ছে, তাতে এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নয়।’
এই পদ্ধতির একটি উন্নত সংস্করণও তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এর নাম দিয়েছেন এনহ্যান্সড টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (ইটিএসএম)। এটি ‘প্রুনিং’-এর মতো করে অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ছাঁটাই করে ফেলে। যার ফলে এআই আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।
এটি মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে শেখার সময় ধীরে ধীরে নিজের স্নায়ু সংযোগগুলো পরিশুদ্ধ বা সাজিয়ে নেয়, তার মতোই।
গবেষকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখছেন যে এই পদ্ধতিতে ‘নিওরোমরফিক কম্পিউটার’ তৈরি করা যায় কি না, যেগুলো একদম মানুষের মস্তিষ্কের মতোভাবে চিন্তা ও কাজ করতে পারবে।

দুই বছর আগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে উদ্ধার হওয়া মঙ্গল গ্রহের বিরল উল্কাপিণ্ডটি গত মাসে নিউইয়র্কে নিলামে বিক্রি হয়েছে। এই উল্কাপিণ্ডটি বিক্রি হয়েছে ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি দামে। ২৪ কেজি বেশি ওজনের পাথরটি সাহারা মরুভূমিতে পাওয়া গেছে। তবে পাথরটি বেআইনিভাবে পাচার করা হতে পারে বলে দাবি কর
১২ আগস্ট ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়েও প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
১ ঘণ্টা আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
২ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
২ দিন আগে