অনলাইন ডেস্ক
পৃথিবীর কক্ষপথে টানা ৫৩ বছর আটকে থাকার পর অবশেষে ভূপাতিত হলো সোভিয়েত আমলের একটি ব্যর্থ মহাকাশযান। শনিবার সকাল ৯টা ২৪ মিনিটে (মস্কো সময়) এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার পশ্চিমে ভারত মহাসাগরে ভূপাতিত হয় বলে নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস। তবে অন্যান্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থা ও পর্যবেক্ষকদের মতে, এটি দক্ষিণ এশিয়া থেকে শুরু করে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে যেকোনো জায়গায় পড়ে থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে এর আছড়ে পড়ার স্থান চূড়ান্তভাবে জানা যায়নি।
সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘ভেনেরা’ কর্মসূচির অধীনে ১৯৭২ সালে উৎক্ষেপণ করা ‘কসমস ৪৮২’ নামের এই মহাকাশযান। এর গন্তব্য ছিল শুক্র গ্রহ। তবে উৎক্ষেপণের সময় রকেটে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সেটি নির্ধারিত পথে যেতে পারেনি এবং পৃথিবীর কক্ষপথেই আটকে পড়ে।
উপগ্রহটির আছড়ে পড়ার আগমুহূর্তে ইতালির রোম থেকে একটি ছবি তুলেছেন ভার্চুয়াল টেলিস্কোপ প্রজেক্টের জ্যোতির্বিজ্ঞানী জিয়ানলুকা মাসি। তিনি তাঁর ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ‘ছবিতে মহাকাশযানটি ওপরের দিক থেকে ফ্রেমে প্রবেশ করে। এটি একটি রেখার মতো দেখা যাচ্ছে, যা ওপরের দিক থেকে ডানে নিচের দিকে নেমে গেছে। এটি আসলে চারটি ছবির সমন্বয়, তাই রেখাটি খানিকটা খণ্ডিত দেখাচ্ছে।’
সোভিয়েত মহাকাশযানটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কথা ছিল না। এটি ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘ভেনেরা’ প্রকল্পের অংশ, যার আওতায় ১৯৬০-এর দশক থেকে শুরু করে ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর শুরুর দিকে শুক্র গ্রহের দিকে একাধিক মহাকাশযান পাঠানো হয়।
পৃথিবীর কক্ষপথে আটকে থাকা ‘কসমস ৪৮২’ মহাকাশযানটি দীর্ঘ ৫৩ বছর ধরে বায়ুমণ্ডলের টানে ধীরে ধীরে নিচে নামতে থাকে। বেশির ভাগ বড় মহাকাশ বর্জ্য—যেমন অকেজো উপগ্রহ বা ব্যবহৃত রকেটের অংশ—পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় বায়ুমণ্ডলে পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং কৃত্রিম উল্কাবৃষ্টির মতো দৃশ্য তৈরি করে। তবে কসমস ৪৮২ সম্ভবত পুরো অংশই নিচে নেমে এসেছে, কারণ এটি এমনভাবে তৈরি ছিল, যাতে শুক্রের ঘন বায়ুমণ্ডলে উচ্চগতির প্রবেশও সহ্য করতে পারে।
কসমস ৪৮২ প্রায় ১ মিটার প্রশস্ত এবং ওজন প্রায় ৪৯৫ কেজি। এটি যদি পুরোপুরি পুড়ে না গিয়ে এক টুকরো হিসেবে পড়ে থাকে, তবে সেটি প্রায় ২৪০ কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীর মাটিতে আছড়ে পড়ে থাকতে পারে। ডাচ স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষক মার্কো ল্যাংব্রুক জানান, এর ধাক্কা একটি ১৬–২২ ইঞ্চি আকারের উল্কাপিণ্ডের মতো হতে পারে।
এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও সামনে এসেছে মহাকাশ বর্জ্য সমস্যার প্রসঙ্গ। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ইএসএ) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পৃথিবীর কক্ষপথে ১৪ হাজার ২৪০টি স্যাটেলাইট ঘুরে বেড়াচ্ছে, যার মধ্যে প্রায় ১১ হাজার ৪০০টি সক্রিয়। এর বড় অংশ জুড়ে আছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক মেগাকনস্টেলেশন।
এ ছাড়াও অ্যামাজনের ‘প্রজেক্ট কুইপার’ এবং চীনের দুটি মেগাকনস্টেলেশন প্রকল্প কক্ষপথে আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
ইএসএ জানায়, ‘মহাকাশে যান চলাচল যত বাড়ছে, পৃথিবীতে এগুলো আছড়ে পড়ার সম্ভাবনার হার ততই বাড়ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে পৃথিবীতে আছড়ে পড়া মহাকাশ বর্জ্যের সংখ্যা আরও বাড়বে।’
তবে সাধারণ এসব স্যাটেলাইট পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে মানুষের ক্ষতি করার সম্ভাবনা কম। কারণ, বেশির ভাগ স্যাটেলাইট বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময়ই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে সংখ্যা বাড়লে ঝুঁকির মাত্রাও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন গবেষকেরা। পাশাপাশি, এসব পুনঃপ্রবেশ বায়ুমণ্ডলে দূষণ ছড়ায় এবং ওজোনস্তর ও জলবায়ুর ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
তথ্যসূত্র: স্পেসডট কম
পৃথিবীর কক্ষপথে টানা ৫৩ বছর আটকে থাকার পর অবশেষে ভূপাতিত হলো সোভিয়েত আমলের একটি ব্যর্থ মহাকাশযান। শনিবার সকাল ৯টা ২৪ মিনিটে (মস্কো সময়) এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার পশ্চিমে ভারত মহাসাগরে ভূপাতিত হয় বলে নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস। তবে অন্যান্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থা ও পর্যবেক্ষকদের মতে, এটি দক্ষিণ এশিয়া থেকে শুরু করে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে যেকোনো জায়গায় পড়ে থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে এর আছড়ে পড়ার স্থান চূড়ান্তভাবে জানা যায়নি।
সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘ভেনেরা’ কর্মসূচির অধীনে ১৯৭২ সালে উৎক্ষেপণ করা ‘কসমস ৪৮২’ নামের এই মহাকাশযান। এর গন্তব্য ছিল শুক্র গ্রহ। তবে উৎক্ষেপণের সময় রকেটে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সেটি নির্ধারিত পথে যেতে পারেনি এবং পৃথিবীর কক্ষপথেই আটকে পড়ে।
উপগ্রহটির আছড়ে পড়ার আগমুহূর্তে ইতালির রোম থেকে একটি ছবি তুলেছেন ভার্চুয়াল টেলিস্কোপ প্রজেক্টের জ্যোতির্বিজ্ঞানী জিয়ানলুকা মাসি। তিনি তাঁর ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ‘ছবিতে মহাকাশযানটি ওপরের দিক থেকে ফ্রেমে প্রবেশ করে। এটি একটি রেখার মতো দেখা যাচ্ছে, যা ওপরের দিক থেকে ডানে নিচের দিকে নেমে গেছে। এটি আসলে চারটি ছবির সমন্বয়, তাই রেখাটি খানিকটা খণ্ডিত দেখাচ্ছে।’
সোভিয়েত মহাকাশযানটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কথা ছিল না। এটি ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘ভেনেরা’ প্রকল্পের অংশ, যার আওতায় ১৯৬০-এর দশক থেকে শুরু করে ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর শুরুর দিকে শুক্র গ্রহের দিকে একাধিক মহাকাশযান পাঠানো হয়।
পৃথিবীর কক্ষপথে আটকে থাকা ‘কসমস ৪৮২’ মহাকাশযানটি দীর্ঘ ৫৩ বছর ধরে বায়ুমণ্ডলের টানে ধীরে ধীরে নিচে নামতে থাকে। বেশির ভাগ বড় মহাকাশ বর্জ্য—যেমন অকেজো উপগ্রহ বা ব্যবহৃত রকেটের অংশ—পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় বায়ুমণ্ডলে পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং কৃত্রিম উল্কাবৃষ্টির মতো দৃশ্য তৈরি করে। তবে কসমস ৪৮২ সম্ভবত পুরো অংশই নিচে নেমে এসেছে, কারণ এটি এমনভাবে তৈরি ছিল, যাতে শুক্রের ঘন বায়ুমণ্ডলে উচ্চগতির প্রবেশও সহ্য করতে পারে।
কসমস ৪৮২ প্রায় ১ মিটার প্রশস্ত এবং ওজন প্রায় ৪৯৫ কেজি। এটি যদি পুরোপুরি পুড়ে না গিয়ে এক টুকরো হিসেবে পড়ে থাকে, তবে সেটি প্রায় ২৪০ কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীর মাটিতে আছড়ে পড়ে থাকতে পারে। ডাচ স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষক মার্কো ল্যাংব্রুক জানান, এর ধাক্কা একটি ১৬–২২ ইঞ্চি আকারের উল্কাপিণ্ডের মতো হতে পারে।
এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও সামনে এসেছে মহাকাশ বর্জ্য সমস্যার প্রসঙ্গ। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ইএসএ) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পৃথিবীর কক্ষপথে ১৪ হাজার ২৪০টি স্যাটেলাইট ঘুরে বেড়াচ্ছে, যার মধ্যে প্রায় ১১ হাজার ৪০০টি সক্রিয়। এর বড় অংশ জুড়ে আছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক মেগাকনস্টেলেশন।
এ ছাড়াও অ্যামাজনের ‘প্রজেক্ট কুইপার’ এবং চীনের দুটি মেগাকনস্টেলেশন প্রকল্প কক্ষপথে আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
ইএসএ জানায়, ‘মহাকাশে যান চলাচল যত বাড়ছে, পৃথিবীতে এগুলো আছড়ে পড়ার সম্ভাবনার হার ততই বাড়ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে পৃথিবীতে আছড়ে পড়া মহাকাশ বর্জ্যের সংখ্যা আরও বাড়বে।’
তবে সাধারণ এসব স্যাটেলাইট পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে মানুষের ক্ষতি করার সম্ভাবনা কম। কারণ, বেশির ভাগ স্যাটেলাইট বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময়ই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে সংখ্যা বাড়লে ঝুঁকির মাত্রাও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন গবেষকেরা। পাশাপাশি, এসব পুনঃপ্রবেশ বায়ুমণ্ডলে দূষণ ছড়ায় এবং ওজোনস্তর ও জলবায়ুর ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
তথ্যসূত্র: স্পেসডট কম
বিশেষ ধরনের জেনেটিক মিউটেশন বা জিনগত পরিবর্তনের কারণে কিছু মানুষ দিনে মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমিয়েই পুরোপুরি সুস্থ ও সতেজ থাকেন এবং স্বাভাবিকভাবে দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। এই বিরল মিউটেশন কীভাবে ঘুমের পরিমাণ কমিয়েও শরীরের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে...
২ দিন আগেবিড়াল ও কুকুর—দুই ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। বিবর্তনের হিসেবে তারা আলাদা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি বছর আগে। তবে এদের চেহারার মধ্যে আশ্চর্যজনক মিল খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। মানুষ কতটা গভীরভাবে প্রকৃতিকে বদলে দিতে পারে, তা বোঝা যাচ্ছে নতুন এক গবেষণায়।
৫ দিন আগেব্র্যাড স্মিথ নামে এক ব্যক্তি কথা বলতে পারেন না। কিছুদিন আগে তিনি তাঁর মস্তিষ্কে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের উদ্যোগ নিউরালিংকের একটি ‘ব্রেইন চিপ’ বসিয়েছেন। তিনি তাঁর চিপ ব্যবহার করে কীভাবে জীবনযাপন করছেন—তার একটি ঝলক দেখিয়েছেন। ব্র্যাড স্মিথ চিপের মাধ্যমে তাঁর ব্রেন সিগন্যাল ব্যবহার করে একটি
৬ দিন আগেসাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ তো বটেই, বিশ্বজুড়েই বজ্রপাতের পরিমাণ বেড়ে গেছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা, বিশেষ করে বাংলাদেশে। আর এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণে নতুন প্রযুক্তির এর ড্রোন আনার ঘোষণা দিয়েছে জাপানি একটি প্রযুক্তি কোম্পানি।
৮ দিন আগে