সাইরুল ইসলাম, ঢাকা
‘তবু এই পৃথিবীর সব আলো একদিন নিভে গেলে পরে,/পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন,/মানুষ র’বে না আর, র’বে শুধু মানুষের স্বপ্ন তখনঃ/সেই মুখ আর আমি র’বো স্বপ্নের ভিতরে’—জেগে থাকার স্বপ্ন নাকি ঘুমিয়ে দেখার স্বপ্ন? জীবনানন্দ দাশের কবিতার সেই স্বপ্ন আজও ভাবিয়ে তোলে কবিতাপ্রেমীদের। যে স্বপ্নের জন্য আমরা বেঁচে থাকি, সেই স্বপ্নের পথে হাঁটতে গিয়ে ঘুমিয়ে দেখি স্বপ্নের ভাঙন কিংবা গড়ন। তবে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ বাস্তব স্বপ্নের দিকে নয়, ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্নে।
সহস্র আলোকবর্ষ দূরের তারাদের গায়ে কী রয়েছে? এ প্রশ্নের উত্তর এখন হাতের মোয়া। মহাকাশের সীমাহীন পথ এখন চোখের সামনে। কিন্তু হাতের কাছেই থাকা সবচেয়ে বিচিত্র রহস্যের কিনারা করতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। সে রহস্যের নাম ‘স্বপ্ন’। হ্যাঁ, হররোজ ঘুমিয়ে দেখা আমাদের স্বপ্ন।
বহু বছর ধরেই স্বপ্ন নিয়ে দ্বন্দ্বে দ্বন্দ্বে কাটিয়েছে মানুষ। ধর্মীয় ব্যাখ্যার পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ নিয়ে ভেবেছেন কত জ্ঞানীরা। অ্যারিস্টটল থেকে শুরু করে হালের সিগমুন্ড ফ্রয়েড। কিন্তু মানুষের স্বপ্নে প্রবেশ করা কি সম্ভব হয়েছে?
না, এতকাল পেরিয়ে গেলেও স্বপ্নে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিবিসির সায়েন্স ফোকাস সাময়িকীর এক প্রতিবেদন বলছে, আধুনিক গবেষণা সেই পথেই হাঁটছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে ‘লুসিড ড্রিমিং’। স্বপ্নে প্রবেশের আগে প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক টার্মটা আসলে কী।
কখনো স্বপ্নে একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখেছেন? স্বপ্নে কোনো কাজ করার সময় হঠাৎ মনে হলো, আরে আমি তো স্বপ্ন দেখছি! সেই ভাবনা নিয়েই স্বপ্নে এগিয়ে গেলেন। যাঁরা নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ইনসেপশন’ (২০১০) সিনেমা দেখেছেন তাঁরা ব্যাপারটা সহজে ধরতে পারবেন। একেই বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলা হচ্ছে লুসিড ড্রিমিং বা বাংলায় ‘স্বচ্ছ স্বপ্ন’।
আমাদের মধ্যে অর্ধেকের জীবনের কোনো না কোনো সময় এ অভিজ্ঞতা হয়। এঁদের মধ্যে ২০ শতাংশ এমন স্বপ্ন দেখেন মাসে একবার।
স্বপ্নে প্রবেশের পথে এই দরজাটাকেই বেছে নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কেন প্যালার এবং কারেন কোনকোলির নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই পরীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের একদল বিজ্ঞানী। লুসিড ড্রিমিংকে যখন দরজা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে, তখন সোপান বা সিঁড়ি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ‘র্যাপিড আই মুভমেন্ট (রেভ)’-কে। স্বপ্ন দেখার সময় আমাদের চোখের গোল অংশটা একটু নড়াচড়া করে। একেই বলা হচ্ছে র্যাপিড আই মুভমেন্ট (রেভ)।
নিয়মিত স্বচ্ছ স্বপ্ন দেখেন এমন কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁদের সঙ্গে বিশেষ পদ্ধতিতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে সফলও হয়েছেন তাঁরা। গণিত নিয়ে সহজ প্রশ্ন করার পর উত্তরও পাওয়া যায়। প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘৮ থেকে ৬ বাদ দিলে কত হয়’। উত্তর আসে ‘২’। তবে সেটি মুখে নয়, চোখের র্যাপিড আই মুভমেন্টে। ঘুমের আগেই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
ছোট্ট এ সফলতা এখন হয়তো বড় কিছু নয়। কিন্তু এমন দিন বেশি দূরে নয়, যখন স্বপ্নে থাকা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। আর মানসিক রোগের চিকিৎসা পাবে নতুন দিগন্ত।
‘তবু এই পৃথিবীর সব আলো একদিন নিভে গেলে পরে,/পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন,/মানুষ র’বে না আর, র’বে শুধু মানুষের স্বপ্ন তখনঃ/সেই মুখ আর আমি র’বো স্বপ্নের ভিতরে’—জেগে থাকার স্বপ্ন নাকি ঘুমিয়ে দেখার স্বপ্ন? জীবনানন্দ দাশের কবিতার সেই স্বপ্ন আজও ভাবিয়ে তোলে কবিতাপ্রেমীদের। যে স্বপ্নের জন্য আমরা বেঁচে থাকি, সেই স্বপ্নের পথে হাঁটতে গিয়ে ঘুমিয়ে দেখি স্বপ্নের ভাঙন কিংবা গড়ন। তবে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ বাস্তব স্বপ্নের দিকে নয়, ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্নে।
সহস্র আলোকবর্ষ দূরের তারাদের গায়ে কী রয়েছে? এ প্রশ্নের উত্তর এখন হাতের মোয়া। মহাকাশের সীমাহীন পথ এখন চোখের সামনে। কিন্তু হাতের কাছেই থাকা সবচেয়ে বিচিত্র রহস্যের কিনারা করতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। সে রহস্যের নাম ‘স্বপ্ন’। হ্যাঁ, হররোজ ঘুমিয়ে দেখা আমাদের স্বপ্ন।
বহু বছর ধরেই স্বপ্ন নিয়ে দ্বন্দ্বে দ্বন্দ্বে কাটিয়েছে মানুষ। ধর্মীয় ব্যাখ্যার পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ নিয়ে ভেবেছেন কত জ্ঞানীরা। অ্যারিস্টটল থেকে শুরু করে হালের সিগমুন্ড ফ্রয়েড। কিন্তু মানুষের স্বপ্নে প্রবেশ করা কি সম্ভব হয়েছে?
না, এতকাল পেরিয়ে গেলেও স্বপ্নে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিবিসির সায়েন্স ফোকাস সাময়িকীর এক প্রতিবেদন বলছে, আধুনিক গবেষণা সেই পথেই হাঁটছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে ‘লুসিড ড্রিমিং’। স্বপ্নে প্রবেশের আগে প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক টার্মটা আসলে কী।
কখনো স্বপ্নে একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখেছেন? স্বপ্নে কোনো কাজ করার সময় হঠাৎ মনে হলো, আরে আমি তো স্বপ্ন দেখছি! সেই ভাবনা নিয়েই স্বপ্নে এগিয়ে গেলেন। যাঁরা নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ইনসেপশন’ (২০১০) সিনেমা দেখেছেন তাঁরা ব্যাপারটা সহজে ধরতে পারবেন। একেই বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলা হচ্ছে লুসিড ড্রিমিং বা বাংলায় ‘স্বচ্ছ স্বপ্ন’।
আমাদের মধ্যে অর্ধেকের জীবনের কোনো না কোনো সময় এ অভিজ্ঞতা হয়। এঁদের মধ্যে ২০ শতাংশ এমন স্বপ্ন দেখেন মাসে একবার।
স্বপ্নে প্রবেশের পথে এই দরজাটাকেই বেছে নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কেন প্যালার এবং কারেন কোনকোলির নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই পরীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের একদল বিজ্ঞানী। লুসিড ড্রিমিংকে যখন দরজা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে, তখন সোপান বা সিঁড়ি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ‘র্যাপিড আই মুভমেন্ট (রেভ)’-কে। স্বপ্ন দেখার সময় আমাদের চোখের গোল অংশটা একটু নড়াচড়া করে। একেই বলা হচ্ছে র্যাপিড আই মুভমেন্ট (রেভ)।
নিয়মিত স্বচ্ছ স্বপ্ন দেখেন এমন কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁদের সঙ্গে বিশেষ পদ্ধতিতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে সফলও হয়েছেন তাঁরা। গণিত নিয়ে সহজ প্রশ্ন করার পর উত্তরও পাওয়া যায়। প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘৮ থেকে ৬ বাদ দিলে কত হয়’। উত্তর আসে ‘২’। তবে সেটি মুখে নয়, চোখের র্যাপিড আই মুভমেন্টে। ঘুমের আগেই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
ছোট্ট এ সফলতা এখন হয়তো বড় কিছু নয়। কিন্তু এমন দিন বেশি দূরে নয়, যখন স্বপ্নে থাকা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। আর মানসিক রোগের চিকিৎসা পাবে নতুন দিগন্ত।
বহু দশক ধরে ভিনগ্রহের প্রাণীর খোঁজে মহাকাশের দূর–দুরান্তে পর্যবেক্ষণ করেছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। অজানা গ্রহ, দূরবর্তী নক্ষত্রপুঞ্জ—সবখানে চলছে প্রাণের সম্ভাবনার সন্ধান। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে, এত দূরে নজর না দিলেও হবে।
৭ ঘণ্টা আগেনক্ষত্রের অভ্যন্তরীণ গঠন আসলে কেমন হয় তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহের কমতি নেয়। তাদের এই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। তবে এবার এক সুপারনোভার বিস্ফোরণ পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা আসলেই জানতে পারলেন একটি বিশাল তারার অন্তর্গঠন।
২ দিন আগেসৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাসের চারপাশে এক নতুন চাঁদ আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে এটি এতটাই ছোট যে, এক ব্যক্তি দুই ঘণ্টার মধ্যে এর পুরো পরিধি হাঁটতে পারবেন।
৩ দিন আগেমহাকাশ গবেষণা মাঝেমধ্যে এমন তথ্য সামনে এনে দেয়, যা বিজ্ঞানীদেরও চমকে দেয়। অনেকে ভাবেন, আমাদের সৌরজগৎ মানে কয়েকটি গ্রহ আর অনেক শূন্য জায়গা। তবে নতুন গবেষণা বলছে, আমরা এক গরম ও কম ঘনত্বের অঞ্চলে বাস করছি, যা আশপাশের নক্ষত্রদের সঙ্গে ‘মহাজাগতিক সুড়ঙ্গের’ মাধ্যমে যুক্ত।
৪ দিন আগে