অনলাইন ডেস্ক
নতুন গবেষণায় পাওয়া গেল পৃথিবীতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়ের তথ্য। এই ঝড় ঘটেছিল ১২ হাজার ৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বে। এই আবিষ্কার মহাজাগতিক আবহাওয়া এবং রেডিও কার্বন ডেটিং সম্পর্কিত পূর্ববর্তী ধারণাগুলোকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে।
ফিনল্যান্ডের ওউলু বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট ডক্টোরাল গবেষক ড. ক্সেনিয়া গোলুবেঙ্কো ও অধ্যাপক ইলিয়া উসোস্কিন তাঁদের উদ্ভাবিত নতুন রাসায়নিক জলবায়ু মডেল ‘SOCOL: 14 C-Ex’ ব্যবহার করে এই বিরল সৌর ঘটনা শনাক্ত করেন। এই মডেল বরফ যুগের জলবায়ু পরিস্থিতিতে সৌরঝড়ের প্রভাব নির্ধারণের জন্য বিশেষভাবে তৈরি।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১২ হাজার ৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বের এই সৌরঝড় পূর্বে ধারণ করা সবচেয়ে বড় সৌরঝড়, যা ৭৭৫ সালের ঘটনাটির চেয়েও প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি শক্তিশালী ছিল।
ড. গোলুবেঙ্কো বলেন, ‘২০০৫ সালের স্যাটেলাইটে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা সবচেয়ে বড় সৌরঝড়ের তুলনায় এই প্রাগৈতিহাসিক ঝড় ছিল প্রায় ৫০০ গুণ বেশি তীব্র।’
এর আগে কয়েকটি বড় সৌরঝড় শনাক্ত করা হয়েছে—৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দ, ৬৬৩ খ্রিষ্টপূর্ব, ৫ হাজার ২৫৯ খ্রিষ্টপূর্ব ও ৭ হাজার ১৭৬ খ্রিষ্টপূর্বে। তবে ১২ হাজার ৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বের ঘটনা হচ্ছে একমাত্র শক্তিশালী সৌরঝড়, যা হলোসিন যুগের বাইরের।
হলোসিন যুগ প্রায় ১১ হাজার ৭০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল। এটি শেষ বরফ যুগের শেষ নাগাদ। আবহাওয়া তুলনামূলক উষ্ণ থাকায় এই সময়টিকে আধুনিক মানুষের বিস্তারের যুগ বলে মনে করা হয়।
এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ফ্রান্সের সিরেজ (সিইআরইজিই) প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক এডোয়ার্ড বার্ড। গবেষণায় ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরাও ছিলেন।
আধুনিক ও প্রাগৈতিহাসিক জলবায়ু উভয়ই বিশ্লেষণের জন্য ‘SOCOL: 14 C-Ex’ মডেলটি ব্যবহার করা হয়েছে। ফ্রেঞ্চ আল্পস থেকে উদ্ধার করা প্রায় ১৪ হাজার ৩০০ বছর আগের কাঠের নমুনা বিশ্লেষণ করে SOCOL: 14 C-Ex মডেলটি থেকে প্রাপ্ত ফলাফল যাচাই করা হয়।
এই নতুন মডেলের সাহায্যে গবেষকেরা ১২ হাজার ৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বের সৌরঝড়ের কাল, তীব্রতা ও পৃথিবীতে এর প্রভাব নির্ধারণ করতে পেরেছেন। গবেষক উসোস্কিন বলেন, ‘এই মডেল আমাদের হলোসিন যুগের আগের জলবায়ুতে রেডিও কার্বন বিশ্লেষণের সুযোগ এনে দিয়েছে।’
শক্তিশালী সৌরঝড়গুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে উচ্চশক্তির কণা নিক্ষেপ করে। মহাজাগতিক রশ্মির মাধ্যমে রেডিও কার্বনের মতো মহাজাগতিক আইসোটোপের উৎপাদন বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।
রেডিও কার্বনের এই হঠাৎ বৃদ্ধির নিদর্শন মিলে গাছের বার্ষিক বলয়ের মধ্যে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বৃদ্ধির সময় গাছের গুঁড়িতে একটি করে বলয় তৈরি হয়। এই বলয়গুলো গাছের গুঁড়ির মধ্যে চিকন রেখার বলয়ের মতো দেখা যায়। এই বলয় গুণে সেই গাছের বয়স নির্ণয় করা যায়। গাছের বলয়ে সেই বছরের পরিবেশগত তথ্যও জমা থাকে—যেমন তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, এমনকি বায়ুমণ্ডলের রসায়ন।
অর্থাৎ, সৌরঝড় থেকে উৎপাদিত অতিরিক্ত রেডিও কার্বন সে বছর গাছের গুঁড়িতে তৈরি বলয়ে জমা থাকে। বহু বছর পরও বিজ্ঞানীরা সেই বলয় বিশ্লেষণ করে সেই সৌরঝড়ের প্রমাণ পান। একে ‘মিয়াকে ঘটনা’ বলা হয়। এ ঘটনার নামকরণ করা হয়েছে জাপানি গবেষক ফুসাতা মিয়াকের নামে। তিনি প্রথম এমন ঘটনা আবিষ্কার করেন।
মিয়াকে ঘটনাগুলোর মাধ্যমে প্রাচীন নিদর্শনগুলোকে সঠিক বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী নির্ধারণ করা সম্ভব হয়। উদাহরণস্বরূপ, ভাইকিংদের বসতি বা গ্রিসে নিওলিথিক (নব্যপ্রস্তর) যুগের জনবসতির সময় নির্ধারণে মিয়াকে ঘটনাগুলো ভূমিকা রেখেছে।
এই নতুন আবিষ্কার সৌর পদার্থবিজ্ঞান এবং মহাজাগতিক পরিবেশের ধারণায় একটি মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ড. গোলুবেঙ্কো বলেন, এ ঘটনা ‘চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’ কেমন হতে পারে তার ধারণা দিয়েছে। ভবিষ্যতের সৌরঝড় থেকে আধুনিক প্রযুক্তির যেমন—স্যাটেলাইট, বিদ্যুৎ গ্রিড ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ঝুঁকি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ।’
গবেষণাটি ২০২৫ সালের ২৮ এপ্রিল ‘আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স লেটার্স’ নামক খ্যাতনামা বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
নতুন গবেষণায় পাওয়া গেল পৃথিবীতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়ের তথ্য। এই ঝড় ঘটেছিল ১২ হাজার ৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বে। এই আবিষ্কার মহাজাগতিক আবহাওয়া এবং রেডিও কার্বন ডেটিং সম্পর্কিত পূর্ববর্তী ধারণাগুলোকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে।
ফিনল্যান্ডের ওউলু বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট ডক্টোরাল গবেষক ড. ক্সেনিয়া গোলুবেঙ্কো ও অধ্যাপক ইলিয়া উসোস্কিন তাঁদের উদ্ভাবিত নতুন রাসায়নিক জলবায়ু মডেল ‘SOCOL: 14 C-Ex’ ব্যবহার করে এই বিরল সৌর ঘটনা শনাক্ত করেন। এই মডেল বরফ যুগের জলবায়ু পরিস্থিতিতে সৌরঝড়ের প্রভাব নির্ধারণের জন্য বিশেষভাবে তৈরি।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১২ হাজার ৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বের এই সৌরঝড় পূর্বে ধারণ করা সবচেয়ে বড় সৌরঝড়, যা ৭৭৫ সালের ঘটনাটির চেয়েও প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি শক্তিশালী ছিল।
ড. গোলুবেঙ্কো বলেন, ‘২০০৫ সালের স্যাটেলাইটে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা সবচেয়ে বড় সৌরঝড়ের তুলনায় এই প্রাগৈতিহাসিক ঝড় ছিল প্রায় ৫০০ গুণ বেশি তীব্র।’
এর আগে কয়েকটি বড় সৌরঝড় শনাক্ত করা হয়েছে—৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দ, ৬৬৩ খ্রিষ্টপূর্ব, ৫ হাজার ২৫৯ খ্রিষ্টপূর্ব ও ৭ হাজার ১৭৬ খ্রিষ্টপূর্বে। তবে ১২ হাজার ৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বের ঘটনা হচ্ছে একমাত্র শক্তিশালী সৌরঝড়, যা হলোসিন যুগের বাইরের।
হলোসিন যুগ প্রায় ১১ হাজার ৭০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল। এটি শেষ বরফ যুগের শেষ নাগাদ। আবহাওয়া তুলনামূলক উষ্ণ থাকায় এই সময়টিকে আধুনিক মানুষের বিস্তারের যুগ বলে মনে করা হয়।
এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ফ্রান্সের সিরেজ (সিইআরইজিই) প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক এডোয়ার্ড বার্ড। গবেষণায় ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরাও ছিলেন।
আধুনিক ও প্রাগৈতিহাসিক জলবায়ু উভয়ই বিশ্লেষণের জন্য ‘SOCOL: 14 C-Ex’ মডেলটি ব্যবহার করা হয়েছে। ফ্রেঞ্চ আল্পস থেকে উদ্ধার করা প্রায় ১৪ হাজার ৩০০ বছর আগের কাঠের নমুনা বিশ্লেষণ করে SOCOL: 14 C-Ex মডেলটি থেকে প্রাপ্ত ফলাফল যাচাই করা হয়।
এই নতুন মডেলের সাহায্যে গবেষকেরা ১২ হাজার ৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বের সৌরঝড়ের কাল, তীব্রতা ও পৃথিবীতে এর প্রভাব নির্ধারণ করতে পেরেছেন। গবেষক উসোস্কিন বলেন, ‘এই মডেল আমাদের হলোসিন যুগের আগের জলবায়ুতে রেডিও কার্বন বিশ্লেষণের সুযোগ এনে দিয়েছে।’
শক্তিশালী সৌরঝড়গুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে উচ্চশক্তির কণা নিক্ষেপ করে। মহাজাগতিক রশ্মির মাধ্যমে রেডিও কার্বনের মতো মহাজাগতিক আইসোটোপের উৎপাদন বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।
রেডিও কার্বনের এই হঠাৎ বৃদ্ধির নিদর্শন মিলে গাছের বার্ষিক বলয়ের মধ্যে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বৃদ্ধির সময় গাছের গুঁড়িতে একটি করে বলয় তৈরি হয়। এই বলয়গুলো গাছের গুঁড়ির মধ্যে চিকন রেখার বলয়ের মতো দেখা যায়। এই বলয় গুণে সেই গাছের বয়স নির্ণয় করা যায়। গাছের বলয়ে সেই বছরের পরিবেশগত তথ্যও জমা থাকে—যেমন তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, এমনকি বায়ুমণ্ডলের রসায়ন।
অর্থাৎ, সৌরঝড় থেকে উৎপাদিত অতিরিক্ত রেডিও কার্বন সে বছর গাছের গুঁড়িতে তৈরি বলয়ে জমা থাকে। বহু বছর পরও বিজ্ঞানীরা সেই বলয় বিশ্লেষণ করে সেই সৌরঝড়ের প্রমাণ পান। একে ‘মিয়াকে ঘটনা’ বলা হয়। এ ঘটনার নামকরণ করা হয়েছে জাপানি গবেষক ফুসাতা মিয়াকের নামে। তিনি প্রথম এমন ঘটনা আবিষ্কার করেন।
মিয়াকে ঘটনাগুলোর মাধ্যমে প্রাচীন নিদর্শনগুলোকে সঠিক বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী নির্ধারণ করা সম্ভব হয়। উদাহরণস্বরূপ, ভাইকিংদের বসতি বা গ্রিসে নিওলিথিক (নব্যপ্রস্তর) যুগের জনবসতির সময় নির্ধারণে মিয়াকে ঘটনাগুলো ভূমিকা রেখেছে।
এই নতুন আবিষ্কার সৌর পদার্থবিজ্ঞান এবং মহাজাগতিক পরিবেশের ধারণায় একটি মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ড. গোলুবেঙ্কো বলেন, এ ঘটনা ‘চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’ কেমন হতে পারে তার ধারণা দিয়েছে। ভবিষ্যতের সৌরঝড় থেকে আধুনিক প্রযুক্তির যেমন—স্যাটেলাইট, বিদ্যুৎ গ্রিড ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ঝুঁকি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ।’
গবেষণাটি ২০২৫ সালের ২৮ এপ্রিল ‘আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স লেটার্স’ নামক খ্যাতনামা বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্রমণ্ডল আলফা সেন্টরিতে এক বিশাল গ্যাস গ্রহ থাকার শক্ত প্রমাণ পেয়েছেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাবে সাড়ে চার আলোকবর্ষ দূরের এই প্রাণহীন গ্রহকে পৃথিবীর ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর উপগ্রহে জীবনের উপযোগী পরিবেশ থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে!
৫ ঘণ্টা আগেইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ‘ক্রু-১১’ মিশনের মাধ্যমে চারজন নভোচারী একটি ব্যতিক্রমধর্মী বৈজ্ঞানিক গবেষণার উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছেছেন। গত ১ আগস্ট উৎক্ষেপণ হওয়া এই অভিযানে নভোচারীরা সঙ্গে নিয়েছেন রোগ সৃষ্টিকারী কয়েকটি ব্যাকটেরিয়া।
২ দিন আগেচাঁদের মাটিতে ২০৩০ সালের মধ্যে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নাসা। এই পদক্ষেপ চাঁদে মানুষের স্থায়ী বসতি গড়ার উচ্চাভিলাষের অংশ। কারণ, মানুষের বসবাসের জন্য সেখানে নিরবচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
২ দিন আগেআমরা যখন ‘নাসা’ নিয়ে ভাবি, তখন আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে রকেট আর মহাকাশ অভিযান। এটিই স্বাভাবিক, কারণ মহাকাশ-সংক্রান্ত নাসার অন্যান্য অর্জনই সংবাদমাধ্যমে বেশি প্রকাশ পায়। তবে অনেকেই জানেন না, নাসার রকেট বা মহাকাশযানের পাশাপাশি নিজস্ব যুদ্ধবিমানের বহর রয়েছে।
৫ দিন আগে