এক বছরের বেশি সময় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে ছিলেন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ৩ নভোচারী। অবশেষে তাঁরা পৃথিবীতে ফিরেছেন। তিনজনের মধ্যে দুজন রাশিয়ার নভোচারী ও বাকি একজন যুক্তরাষ্ট্রের। কাজাখস্তানের একটি প্রান্তিক এলাকায় অবতরণ করেন ওই তিন নভোচারী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করেছে।
এই মহাকাশচারী ত্রয়—নাসার ফ্র্যাঙ্ক রুবিও ও রাশিয়ার সের্গেই প্রকোপিয়েভ এবং দিমিত্রি পেতেলিন আগেও পৃথিবীতে ফেরার চেষ্টা করেছেন। তবে মহাকাশীয় বর্জ্যের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে যাত্রা বাতিল হয় এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সময় তাদের বহনকারী মহাকাশযানটির সবটুকু শীতলীকারক পদার্থ হারিয়ে ফেললে তাদের যাত্রা বিলম্বিত হয়।
এই তিন মহাকাশচারীর মিশন ছিল ৬ মাস বা ১৮০ দিনের। কিন্তু ত্রুটির কারণে সেই মিশনের দৈর্ঘ্য গিয়ে দাঁড়ায় ৩৭১ দিনে বা এক বছরের কিছু সময় বেশি। এই মিশনটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের মহাকাশ মিশন। তবে মহাকাশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় থাকার রেকর্ডটি রাশিয়ার দখলে। দেশটির মহাকাশচারী ভ্যালেরি পলিয়াকভ ১৯৯৪ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৯৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ৪৩৭ দিন অবিচ্ছিন্নভাবে মহাকাশে ছিলেন।
মূলত চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে এই তিনজনের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া তাদের ফেরত আনার জন্য প্রথমবার যে সয়ুজ মহাকাশযান পাঠিয়েছিল সেটি মহাকাশের কোনো বস্তুর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করেন, মহাকাশযানটির কুল্যান্ট বা রেডিয়েটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁরা আশঙ্কা করেছিলেন, এই অবস্থায় মহাকাশচারী আনতে তা তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। পরে মহাকাশযানটিকে খালি ফিরিয়ে আনা হয়।
কিন্তু রাশিয়ার হাতে নতুন কোনো সয়ুজ মহাকাশ যান প্রস্তুত ছিল না যার মাধ্যমে তড়িঘড়ি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া নভোচারীদের ফিরিয়ে আনা যায়। অবশেষে চলতি মাসের শুরুর রাশিয়া আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নতুন একটি মিশন পাঠায়। যা সেখানে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে পৌঁছায়। পরে সেই যানে করেই গতকাল বুধবার ওই তিন মহাকাশচারী পৃথিবীতে ফিরে আসেন।
নাসার তথ্য অনুসারে, রুবি, সের্গেই প্রকোপিয়েভ এবং দিমিত্রি পেতেলিন এই সময়ের মধ্যে ১ লাখ ৫৭৪ মাইল ভ্রমণ করেছে এবং পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ৫ হাজার ৯৬৩ বার আবর্তন করেছে।
এক বছরের বেশি সময় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে ছিলেন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ৩ নভোচারী। অবশেষে তাঁরা পৃথিবীতে ফিরেছেন। তিনজনের মধ্যে দুজন রাশিয়ার নভোচারী ও বাকি একজন যুক্তরাষ্ট্রের। কাজাখস্তানের একটি প্রান্তিক এলাকায় অবতরণ করেন ওই তিন নভোচারী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করেছে।
এই মহাকাশচারী ত্রয়—নাসার ফ্র্যাঙ্ক রুবিও ও রাশিয়ার সের্গেই প্রকোপিয়েভ এবং দিমিত্রি পেতেলিন আগেও পৃথিবীতে ফেরার চেষ্টা করেছেন। তবে মহাকাশীয় বর্জ্যের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে যাত্রা বাতিল হয় এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সময় তাদের বহনকারী মহাকাশযানটির সবটুকু শীতলীকারক পদার্থ হারিয়ে ফেললে তাদের যাত্রা বিলম্বিত হয়।
এই তিন মহাকাশচারীর মিশন ছিল ৬ মাস বা ১৮০ দিনের। কিন্তু ত্রুটির কারণে সেই মিশনের দৈর্ঘ্য গিয়ে দাঁড়ায় ৩৭১ দিনে বা এক বছরের কিছু সময় বেশি। এই মিশনটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের মহাকাশ মিশন। তবে মহাকাশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় থাকার রেকর্ডটি রাশিয়ার দখলে। দেশটির মহাকাশচারী ভ্যালেরি পলিয়াকভ ১৯৯৪ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৯৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ৪৩৭ দিন অবিচ্ছিন্নভাবে মহাকাশে ছিলেন।
মূলত চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে এই তিনজনের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া তাদের ফেরত আনার জন্য প্রথমবার যে সয়ুজ মহাকাশযান পাঠিয়েছিল সেটি মহাকাশের কোনো বস্তুর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করেন, মহাকাশযানটির কুল্যান্ট বা রেডিয়েটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁরা আশঙ্কা করেছিলেন, এই অবস্থায় মহাকাশচারী আনতে তা তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। পরে মহাকাশযানটিকে খালি ফিরিয়ে আনা হয়।
কিন্তু রাশিয়ার হাতে নতুন কোনো সয়ুজ মহাকাশ যান প্রস্তুত ছিল না যার মাধ্যমে তড়িঘড়ি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া নভোচারীদের ফিরিয়ে আনা যায়। অবশেষে চলতি মাসের শুরুর রাশিয়া আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নতুন একটি মিশন পাঠায়। যা সেখানে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে পৌঁছায়। পরে সেই যানে করেই গতকাল বুধবার ওই তিন মহাকাশচারী পৃথিবীতে ফিরে আসেন।
নাসার তথ্য অনুসারে, রুবি, সের্গেই প্রকোপিয়েভ এবং দিমিত্রি পেতেলিন এই সময়ের মধ্যে ১ লাখ ৫৭৪ মাইল ভ্রমণ করেছে এবং পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ৫ হাজার ৯৬৩ বার আবর্তন করেছে।
নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
২ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
২ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগে