একটি বাগান তৈরিতে কী কী লাগে? উর্বর মাটি, মৃদু বৃষ্টি, প্রচুর সূর্যালোক, ব্যস্ত মৌমাছি, প্রজাপতি ইত্যাদি। এগুলোর কোনো একটি যদি অনুপস্থিত থাকে তবে সেখানে গাছপালা বেড়ে উঠতে পারে কি না তা নিয়ে বেশ গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি কমিউনিকেশনস বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা এমন জায়গায় বিশেষ করে চাঁদের পৃষ্ঠে উদ্ভিদ জন্মানোর বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের সমাধান দিতে শুরু করেছে। সম্ভব হয়েছে চাঁদ থেকে আনা মাটিতে উদ্ভিদের চাষও।
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক গবেষণাকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম দ্য কনভারসেশনের এক নিবন্ধে যুক্তরাজ্যের দ্য ওপেন ইউনিভার্সিটির প্ল্যানেটারি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্সের অধ্যাপক মনিকা গ্র্যাডি বলেছেন, গবেষকেরা অ্যাপোলো মহাকাশচারীরা চাঁদের তিনটি ভিন্ন স্থান থেকে যে লুনার রেগোলিথ বা চাঁদের মাটি এনেছিলেন তাতে দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদ অ্যারাবিডোপসিস থ্যালিয়ানা চাষ করা হয়েছিল। এর আগে চাঁদের মাটিতে একাধিকবার উদ্ভিদ জন্মানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে কেন চাঁদের মাটিতে উদ্ভিদ জন্মায় না তা নিয়ে এই প্রথম কারণ জানার চেষ্টা করা হলো।
চাঁদের মাটি পৃথিবীর মাটি থেকে বেশ আলাদা। এতে জৈব বস্তু যেমন বিভিন্ন ধরনের অনুজীব নেই যা পৃথিবীর মাটিতে আছে। এমনকি এই মাটিতে কোনো জলীয় উপাদানও নেই। তবে আশার কথা হলো, এই মাটিও পৃথিবীর মাটির মতো একই খনিজ দিয়ে গঠিত। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, চাঁদের মাটিতে পানি, সূর্যালোক এবং বাতাসের অভাব দূর করা সম্ভব হলে উদ্ভিদ জন্মানোর একটি সম্ভাবনা তৈরি হবে।
পরে বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখতে পান তাঁদের ধারণা সঠিক। অ্যারাবিডোপসিস থ্যালিয়ানার বীজ চাঁদ থেকে আনা মাটিতে যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে পৃথিবীর মাটিতেও একই হারে বৃদ্ধি পায়। তবে পৃথিবীর মাটিতে যে পর্যায়ে গাছের মূল ও কাণ্ড তৈরি হয়, ওই সময় এসে চাঁদের মাটিতে জন্মানো চারাগুলোর বিকাশ থেমে যায়।
গবেষকদের মূল লক্ষ্য ছিল উদ্ভিদের জিনগত পরিবর্তন পরীক্ষা করা। তাঁরা দেখতে চেয়েছিলেন, চাঁদের মাটিতে কোন নির্দিষ্ট পরিবেশগত কারণে সৃষ্ট পীড়নে উদ্ভিদের জিন কীভাবে সাড়া দেয়। তাঁরা দেখেছেন, চাঁদের মাটিতে বোনা বীজগুলোর বেশির ভাগেরই অঙ্কুরোদগম হয়েছে। জিনে চাঁদের মাটিতে থাকা খনিজ এবং অক্সিজেনের প্রভাবও স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মাটির তুলনায় চাঁদের মাটিতে চারার যথেষ্ট বৃদ্ধি না হওয়ার একটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে চাঁদের মাটিতে উপস্থিত অ্যাগ্লুটিনেটগুলোকে দায়ী করেছেন। অ্যাগ্লুটিনেটস চন্দ্র পৃষ্ঠের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য। অ্যাগ্লুটিনেটস হলো—আগ্নেয়গিরির প্রাকৃতিক কাচের মতো। যেখানে গলিত কাচের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের খনিজের সামান্য মিশ্রণ থাকে। চাঁদ থেকে আনা তিন ধরনের মাটির মধ্যে যে দুই নমুনায় অ্যাগ্লুটিনেটসের উপস্থিতি কম ছিল সেই মাটিতে তুলনামূলক উদ্ভিদের বৃদ্ধি বেশি হয়েছে। অ্যাপোলো ১১ মহাকাশ যানে করে আনা মাটিতে থাকা ন্যানোফেজ আয়রনকেও চাঁদের মাটিতে উদ্ভিদের বৃদ্ধির আরেকটি সম্ভাব্য কারণ বলে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকেরা বলেছেন, চন্দ্র পৃষ্ঠের যে স্থানের মাটির বয়স তুলনামূলক কম সেখানে অধিক পরিমাণে চারা গজানোর জন্য বেশি কার্যকর উপাদান রয়েছে। গবেষকেরা এর ভিত্তিতে বলছেন, এটি প্রমাণ করে যে চাঁদের মাটি ব্যবহার করে উদ্ভিদ জন্মানো যেতে পারে।
একটি বাগান তৈরিতে কী কী লাগে? উর্বর মাটি, মৃদু বৃষ্টি, প্রচুর সূর্যালোক, ব্যস্ত মৌমাছি, প্রজাপতি ইত্যাদি। এগুলোর কোনো একটি যদি অনুপস্থিত থাকে তবে সেখানে গাছপালা বেড়ে উঠতে পারে কি না তা নিয়ে বেশ গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি কমিউনিকেশনস বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা এমন জায়গায় বিশেষ করে চাঁদের পৃষ্ঠে উদ্ভিদ জন্মানোর বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের সমাধান দিতে শুরু করেছে। সম্ভব হয়েছে চাঁদ থেকে আনা মাটিতে উদ্ভিদের চাষও।
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক গবেষণাকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম দ্য কনভারসেশনের এক নিবন্ধে যুক্তরাজ্যের দ্য ওপেন ইউনিভার্সিটির প্ল্যানেটারি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্সের অধ্যাপক মনিকা গ্র্যাডি বলেছেন, গবেষকেরা অ্যাপোলো মহাকাশচারীরা চাঁদের তিনটি ভিন্ন স্থান থেকে যে লুনার রেগোলিথ বা চাঁদের মাটি এনেছিলেন তাতে দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদ অ্যারাবিডোপসিস থ্যালিয়ানা চাষ করা হয়েছিল। এর আগে চাঁদের মাটিতে একাধিকবার উদ্ভিদ জন্মানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে কেন চাঁদের মাটিতে উদ্ভিদ জন্মায় না তা নিয়ে এই প্রথম কারণ জানার চেষ্টা করা হলো।
চাঁদের মাটি পৃথিবীর মাটি থেকে বেশ আলাদা। এতে জৈব বস্তু যেমন বিভিন্ন ধরনের অনুজীব নেই যা পৃথিবীর মাটিতে আছে। এমনকি এই মাটিতে কোনো জলীয় উপাদানও নেই। তবে আশার কথা হলো, এই মাটিও পৃথিবীর মাটির মতো একই খনিজ দিয়ে গঠিত। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, চাঁদের মাটিতে পানি, সূর্যালোক এবং বাতাসের অভাব দূর করা সম্ভব হলে উদ্ভিদ জন্মানোর একটি সম্ভাবনা তৈরি হবে।
পরে বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখতে পান তাঁদের ধারণা সঠিক। অ্যারাবিডোপসিস থ্যালিয়ানার বীজ চাঁদ থেকে আনা মাটিতে যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে পৃথিবীর মাটিতেও একই হারে বৃদ্ধি পায়। তবে পৃথিবীর মাটিতে যে পর্যায়ে গাছের মূল ও কাণ্ড তৈরি হয়, ওই সময় এসে চাঁদের মাটিতে জন্মানো চারাগুলোর বিকাশ থেমে যায়।
গবেষকদের মূল লক্ষ্য ছিল উদ্ভিদের জিনগত পরিবর্তন পরীক্ষা করা। তাঁরা দেখতে চেয়েছিলেন, চাঁদের মাটিতে কোন নির্দিষ্ট পরিবেশগত কারণে সৃষ্ট পীড়নে উদ্ভিদের জিন কীভাবে সাড়া দেয়। তাঁরা দেখেছেন, চাঁদের মাটিতে বোনা বীজগুলোর বেশির ভাগেরই অঙ্কুরোদগম হয়েছে। জিনে চাঁদের মাটিতে থাকা খনিজ এবং অক্সিজেনের প্রভাবও স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মাটির তুলনায় চাঁদের মাটিতে চারার যথেষ্ট বৃদ্ধি না হওয়ার একটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে চাঁদের মাটিতে উপস্থিত অ্যাগ্লুটিনেটগুলোকে দায়ী করেছেন। অ্যাগ্লুটিনেটস চন্দ্র পৃষ্ঠের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য। অ্যাগ্লুটিনেটস হলো—আগ্নেয়গিরির প্রাকৃতিক কাচের মতো। যেখানে গলিত কাচের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের খনিজের সামান্য মিশ্রণ থাকে। চাঁদ থেকে আনা তিন ধরনের মাটির মধ্যে যে দুই নমুনায় অ্যাগ্লুটিনেটসের উপস্থিতি কম ছিল সেই মাটিতে তুলনামূলক উদ্ভিদের বৃদ্ধি বেশি হয়েছে। অ্যাপোলো ১১ মহাকাশ যানে করে আনা মাটিতে থাকা ন্যানোফেজ আয়রনকেও চাঁদের মাটিতে উদ্ভিদের বৃদ্ধির আরেকটি সম্ভাব্য কারণ বলে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকেরা বলেছেন, চন্দ্র পৃষ্ঠের যে স্থানের মাটির বয়স তুলনামূলক কম সেখানে অধিক পরিমাণে চারা গজানোর জন্য বেশি কার্যকর উপাদান রয়েছে। গবেষকেরা এর ভিত্তিতে বলছেন, এটি প্রমাণ করে যে চাঁদের মাটি ব্যবহার করে উদ্ভিদ জন্মানো যেতে পারে।
মানুষের মস্তিষ্কের ভেতর নীরব চিন্তাভাবনা বা ‘ইনার স্পিচ’ (মনের কথা) শনাক্ত করার কৌশল উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। মস্তিষ্কের-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এটিকে একটি বড় অগ্রগতি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
২৮ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি বাড়ির ওপর আছড়ে পড়া এক উল্কাপিণ্ডকে পৃথিবীর থেকেও প্রাচীন বলে শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ার এক গবেষণায় উঠে এসেছে, এই উল্কাপিণ্ডের বয়স ৪৫৬ কোটি বছর—যা পৃথিবীর বর্তমান আনুমানিক বয়স ৪৫৪ কোটি বছরের তুলনায় প্রায় ২ কোটি বছর বেশি।
১ দিন আগেআন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণায় আবারও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ অধ্যাপক আভি লোয়েব। তিনি দাবি করেছেন, সৌরজগতের দিকে ধেয়ে আসা ‘৩১ /অ্যাটলাস’ (31 /ATLAS) নামের একটি মহাজাগতিক বস্তু সম্ভবত প্রাকৃতিক নয়, বরং এটি কোনো বুদ্ধিমান সভ্যতার তৈরি করা প্রযুক্তিগত বস্তু হতে পারে।
২ দিন আগেমানববর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা বায়োচার বা একধরনের শুষ্ক চারকোল সার সংকট মোকাবিলা, পরিবেশদূষণ হ্রাস ও জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, এটি কেবল কৃষি নয়, বরং বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তা, অর্থনীতি ও ভূরাজনীতির
৩ দিন আগে