আশ্চর্য এক প্রাণী আরদউলফ। নামে নেকড়ে বা উলফের সঙ্গে মিল থাকলেও এরা আসলে এক জাতের হায়েনা। তাহলে নিশ্চয় এরা মাংসাশী—তাই তো ভাবছেন। হরিণ বা অ্যান্টিলোপ শিকার করে কিংবা অন্য প্রাণীর থেকে শিকার কেড়ে নিয়ে উদর পূর্তি করে? আপনার ধারণার সঙ্গে একমত হতে পারলাম না। এদের প্রিয় খাবার উইপোকা। এক রাতেই তিন লাখ উইপোকা সাবাড় করে একেকটি আরদউলফ।
খাবার ম্যানুতে পিঁপড়াও থাকে এদের। তবে পোকা-মাকড় বা কীটপতঙ্গ ছাড়া জোর করেও খাওয়াতে পারবেন না একে। খাবেই–বা কীভাবে, এদের একটু ছোট আকারের দাঁত ঠিক মাংস খাওয়ার উপযোগী নয়, নিজের জ্ঞাতিদের যেটা আছে।
এসব তথ্য পাওয়া যায় লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে।
এদের বাস পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাভানা ও ঘাসবহুল জমিতে।
আপনি নিশ্চয় এক রাতে এত এত পোকা-মাকড় খায় কীভাবে? তাদের আঠালো, অতিদীর্ঘ জিহ্বা ব্যবহার করে একবারে প্রচুরসংখ্যক উইপোকা পেটে চালান করতে পারে এর।
আরদউলফের জিহ্বা প্রশস্ত এবং গোলাকার। তারা যে উইপোকা খেয়ে বালুতে গড়াগড়ি খায় তা এই হায়েনাদের হজমে সাহায্য করে।
আরদউলফের যদিও এখনো শ্বদন্ত আছে তবু তা তাদের মাংস খাওয়া সঙ্গীদের থেকে ভিন্ন। আরদউলফেরা শুধু তাদের এলাকা এবং শাবক রক্ষার জন্য ব্যবহার করে এ শ্বদন্ত।
আরদউলফে আফ্রিকানাস শব্দ। যার অর্থ আর্থ ওয়লফ বা মাটি নেকড়ে। হায়েনার চারটি প্রজাতির মধ্যে এরা আকারে সবচেয়ে ছোট। লম্বায় ২২ থেকে ৩১ ইঞ্চি (৫৫-৮০ সেন্টিমিটার) ও উচ্চতায় ২০ ইঞ্চির (৫০ সেন্টিমিটার) মতো। অন্য হায়েনাদের মতো এরা দলবেঁধেও থাকে না। কেবল সঙ্গী ও বাচ্চা থাকতে পারে এদের সঙ্গে।
এই নিঃসঙ্গ জীবনধারাও তাদের উইপোকা খাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তারা প্রতি রাতে উইপোকা চাটতে বেশ কয়েকটা ঘণ্টা ব্যয় করে। দলবদ্ধ অবস্থায় একসঙ্গে এত উইপোকা পাওয়াটা মোটেই চাট্টিখানি বিষয় হতো না।
বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন কীভাবে আরদউলফ এখনকার অবস্থায় আসে। অন্যান্য হায়েনা প্রজাতি থেকে জিনগত বিচ্ছিন্নতার ভিত্তিতে প্রজাতিটি প্রায় দেড় কোটি বছর আগে আবির্ভূত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। তবে প্রজাতিটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ প্রথম জীবাশ্ম ৪০ লাখ বছর আগের। এতে একটা বড় ধন্দে পড়েন বিজ্ঞানীরা।
তবে শেষ পর্যন্ত রহস্যভেদ হয়েছে। চীনে আবিষ্কৃত ১ কোটি ২০ থেকে ১ কোটি ৫০ বছর আগের কিছু জীবাশ্ম হায়েনার একটি বিলুপ্ত প্রজাতির সন্ধান দেয়। যার বৈজ্ঞানিক নাম গানসুয়ায়েনা মেগালোটিস। এদেরও উইপোকা খাওয়ার অভ্যাস ছিল। যদিও এরা সরাসরি আরদউলফের পূর্বপুরুষ নয়, আবিষ্কারটি এই অস্বাভাবিক হায়েনাগুলো কীভাবে আত্মপ্রকাশ করে সে সম্পর্কে আমাদের বোঝার ফাঁক পূরণ করতে সাহায্য করে।
আশ্চর্য এক প্রাণী আরদউলফ। নামে নেকড়ে বা উলফের সঙ্গে মিল থাকলেও এরা আসলে এক জাতের হায়েনা। তাহলে নিশ্চয় এরা মাংসাশী—তাই তো ভাবছেন। হরিণ বা অ্যান্টিলোপ শিকার করে কিংবা অন্য প্রাণীর থেকে শিকার কেড়ে নিয়ে উদর পূর্তি করে? আপনার ধারণার সঙ্গে একমত হতে পারলাম না। এদের প্রিয় খাবার উইপোকা। এক রাতেই তিন লাখ উইপোকা সাবাড় করে একেকটি আরদউলফ।
খাবার ম্যানুতে পিঁপড়াও থাকে এদের। তবে পোকা-মাকড় বা কীটপতঙ্গ ছাড়া জোর করেও খাওয়াতে পারবেন না একে। খাবেই–বা কীভাবে, এদের একটু ছোট আকারের দাঁত ঠিক মাংস খাওয়ার উপযোগী নয়, নিজের জ্ঞাতিদের যেটা আছে।
এসব তথ্য পাওয়া যায় লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে।
এদের বাস পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাভানা ও ঘাসবহুল জমিতে।
আপনি নিশ্চয় এক রাতে এত এত পোকা-মাকড় খায় কীভাবে? তাদের আঠালো, অতিদীর্ঘ জিহ্বা ব্যবহার করে একবারে প্রচুরসংখ্যক উইপোকা পেটে চালান করতে পারে এর।
আরদউলফের জিহ্বা প্রশস্ত এবং গোলাকার। তারা যে উইপোকা খেয়ে বালুতে গড়াগড়ি খায় তা এই হায়েনাদের হজমে সাহায্য করে।
আরদউলফের যদিও এখনো শ্বদন্ত আছে তবু তা তাদের মাংস খাওয়া সঙ্গীদের থেকে ভিন্ন। আরদউলফেরা শুধু তাদের এলাকা এবং শাবক রক্ষার জন্য ব্যবহার করে এ শ্বদন্ত।
আরদউলফে আফ্রিকানাস শব্দ। যার অর্থ আর্থ ওয়লফ বা মাটি নেকড়ে। হায়েনার চারটি প্রজাতির মধ্যে এরা আকারে সবচেয়ে ছোট। লম্বায় ২২ থেকে ৩১ ইঞ্চি (৫৫-৮০ সেন্টিমিটার) ও উচ্চতায় ২০ ইঞ্চির (৫০ সেন্টিমিটার) মতো। অন্য হায়েনাদের মতো এরা দলবেঁধেও থাকে না। কেবল সঙ্গী ও বাচ্চা থাকতে পারে এদের সঙ্গে।
এই নিঃসঙ্গ জীবনধারাও তাদের উইপোকা খাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তারা প্রতি রাতে উইপোকা চাটতে বেশ কয়েকটা ঘণ্টা ব্যয় করে। দলবদ্ধ অবস্থায় একসঙ্গে এত উইপোকা পাওয়াটা মোটেই চাট্টিখানি বিষয় হতো না।
বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন কীভাবে আরদউলফ এখনকার অবস্থায় আসে। অন্যান্য হায়েনা প্রজাতি থেকে জিনগত বিচ্ছিন্নতার ভিত্তিতে প্রজাতিটি প্রায় দেড় কোটি বছর আগে আবির্ভূত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। তবে প্রজাতিটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ প্রথম জীবাশ্ম ৪০ লাখ বছর আগের। এতে একটা বড় ধন্দে পড়েন বিজ্ঞানীরা।
তবে শেষ পর্যন্ত রহস্যভেদ হয়েছে। চীনে আবিষ্কৃত ১ কোটি ২০ থেকে ১ কোটি ৫০ বছর আগের কিছু জীবাশ্ম হায়েনার একটি বিলুপ্ত প্রজাতির সন্ধান দেয়। যার বৈজ্ঞানিক নাম গানসুয়ায়েনা মেগালোটিস। এদেরও উইপোকা খাওয়ার অভ্যাস ছিল। যদিও এরা সরাসরি আরদউলফের পূর্বপুরুষ নয়, আবিষ্কারটি এই অস্বাভাবিক হায়েনাগুলো কীভাবে আত্মপ্রকাশ করে সে সম্পর্কে আমাদের বোঝার ফাঁক পূরণ করতে সাহায্য করে।
প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
২১ ঘণ্টা আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগেপ্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরে তৈরি একটি বুনন করা লিনেন পোশাক এখন বিশ্বের সর্বপ্রাচীন বুনন করা পোশাক জামা হিসেবে স্বীকৃত। কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, ‘তারখান ড্রেস’ নামে পরিচিত এই পোশাকটি ৩৫০০ থেকে ৩১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে তৈরি হয়েছে।
৫ দিন আগে