আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বসন্ত এলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে লাখ লাখ পিঁপড়া। দলবদ্ধভাবে তারা ছড়িয়ে পড়ে উঠোন, বারান্দা ও রান্নাঘরের মেঝেতে—উদ্দেশ্য একটাই, কলোনির জন্য খাবার খুঁজে বের করা। তবে এদের সব সময় সারিবদ্ধভাবেই হাঁটতে দেখা যায়। তবে তাদের এই শৃঙ্খলাবদ্ধ হাঁটার পেছনে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
প্রকৃতির ভেতরে সবচেয়ে দক্ষ দলগত কর্মী হিসেবে পরিচিত পিঁপড়া। নিজেদের কলোনি চালাতে ও টিকিয়ে রাখতে যেভাবে তারা একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে চলে, তা সত্যিই অভাবনীয়। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোলজি ও ইভালিউশনারি বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেসাসকো বলেন, ‘পিঁপড়ারা মূলত রাসায়নিক গন্ধ, অর্থাৎ ফেরোমোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। খাবার কোথায় পাওয়া যায়, সেটাও তারা এভাবেই জানায়।’
যখন কোনো পিঁপড়া একটি ভালো খাবারের উৎস খুঁজে পায়, তখন সে কলোনির দিকে ফেরার সময় পথে ফেরোমোন নামক একধরনের রাসায়নিক গন্ধ ছড়িয়ে দেয়। এরপর অন্য পিপিলিকারা নিজেদের অ্যান্টেনা বা শুঁড়ের সংবেদনশীল অংশ ব্যবহার করে সেই গন্ধ শনাক্ত করে এবং ঠিক একই পথে চলতে শুরু করে। তারা নিজেরাও একই ফেরোমোন ফেলে রেখে যায়, যাতে পথটি আরও সুস্পষ্ট হয়।
মানুষের তুলনায় পিঁপড়াদের দৃষ্টিশক্তি খুবই দুর্বল। তাই এদের পক্ষে গন্তব্যে না হারিয়ে পৌঁছাতে এই ফেরোমোনের চিহ্নই একমাত্র নির্ভরযোগ্য উপায়। এ কারণেই তারা প্রায় নিখুঁত সারিতে চলাফেরা করে।
খাবারের মান ভালো হলে ফেরোমোন দীর্ঘস্থায়ী হয়, ফলে আরও পিঁপড়ারা এসে সাহায্য করতে পারে। আবার খাবার যদি খারাপ হয় বা সহজে সংগ্রহ করা যায়, তখন ফেরোমোন দ্রুত উড়ে যায়, যেন অতিরিক্ত শ্রম না হয়।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পিঁপড়াদের নিয়ে গবেষণা করেছে রেসাসকো। বিশেষত কামড় দেওয়া স্বভাবের ফায়ার অ্যান্টদের নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একক পিঁপড়ার দিকে তাকালে মনে হতে পারে, সে খুব একটা বুদ্ধিমান নয়। তবে পুরো কলোনি একসঙ্গে অনেক সাধারণ আচরণ থেকে অনেক জটিল ও আশ্চর্যজনক কাজ করতে পারে।’
শুধু খাবার খোঁজার সময়ই নয়, শত্রু এসে পড়লে পিঁপড়ারা ফরোমোন ছড়িয়ে সতর্কবার্তাও দিতে পারে।
বিভিন্ন প্রজাতির পিঁপড়াদের খাওয়ার কৌশলও আলাদা। যেমন: পাতা খাওয়া পিঁপড়ারা গাছের ডালে উঠে খাবার আনতে এক রকম পথ তৈরি করে—একটি ওঠার জন্য, আরেকটি নামার জন্য। আবার দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার আর্মি অ্যান্টরা দল বেঁধে হানা দেয় অন্য পিঁপড়ার কলোনিতে, একে বলে ‘রেইড’।
রেসাসকো বলেন, ‘রেইনফরেস্টের ভেতর যদি এই পিঁপড়াদের দল চলতে দেখেন, মনে হবে মাটি যেন নড়ে উঠছে।’
তবে এই নিখুঁত ব্যবস্থারও ভুল হতে পারে। কোনো বাধা এলে বা ফেরোমোন ট্রেইল হারিয়ে গেলে পিঁপড়ারা একে অন্যকে অনুসরণ করতে করতে একটা চক্রাকারে ঘুরতে থাকে—এটি ‘ডেথ স্পাইরাল’ নামে পরিচিত। যতক্ষণ না তারা ক্লান্তিতে মারা যায়, তারা ঘুরতেই থাকে।
রেসাসকো বলেন, ‘পিঁপড়ারা হলো সেই ছোট ছোট প্রাণী, যারা পৃথিবী চালায়। তারা মাটি উর্বর করে তোলে, ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলে, যা প্রকৃতি ও কৃষির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তাঁর মতে, একটি রোদেলা দিনে পিঁপড়ার সারি অনুসরণ করে তাদের আচরণ দেখা হতে পারে দারুণ একটি অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, ‘পিঁপড়ারা আমাদের চারপাশে সর্বত্র রয়েছে। একটু মনোযোগ দিলেই দেখা যাবে, তারা সব সময়ই কিছু না কিছু চমকপ্রদ কাজ করছে।’
তথ্যসূত্র: নোরিডজ সায়েন্স
বসন্ত এলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে লাখ লাখ পিঁপড়া। দলবদ্ধভাবে তারা ছড়িয়ে পড়ে উঠোন, বারান্দা ও রান্নাঘরের মেঝেতে—উদ্দেশ্য একটাই, কলোনির জন্য খাবার খুঁজে বের করা। তবে এদের সব সময় সারিবদ্ধভাবেই হাঁটতে দেখা যায়। তবে তাদের এই শৃঙ্খলাবদ্ধ হাঁটার পেছনে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
প্রকৃতির ভেতরে সবচেয়ে দক্ষ দলগত কর্মী হিসেবে পরিচিত পিঁপড়া। নিজেদের কলোনি চালাতে ও টিকিয়ে রাখতে যেভাবে তারা একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে চলে, তা সত্যিই অভাবনীয়। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোলজি ও ইভালিউশনারি বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেসাসকো বলেন, ‘পিঁপড়ারা মূলত রাসায়নিক গন্ধ, অর্থাৎ ফেরোমোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। খাবার কোথায় পাওয়া যায়, সেটাও তারা এভাবেই জানায়।’
যখন কোনো পিঁপড়া একটি ভালো খাবারের উৎস খুঁজে পায়, তখন সে কলোনির দিকে ফেরার সময় পথে ফেরোমোন নামক একধরনের রাসায়নিক গন্ধ ছড়িয়ে দেয়। এরপর অন্য পিপিলিকারা নিজেদের অ্যান্টেনা বা শুঁড়ের সংবেদনশীল অংশ ব্যবহার করে সেই গন্ধ শনাক্ত করে এবং ঠিক একই পথে চলতে শুরু করে। তারা নিজেরাও একই ফেরোমোন ফেলে রেখে যায়, যাতে পথটি আরও সুস্পষ্ট হয়।
মানুষের তুলনায় পিঁপড়াদের দৃষ্টিশক্তি খুবই দুর্বল। তাই এদের পক্ষে গন্তব্যে না হারিয়ে পৌঁছাতে এই ফেরোমোনের চিহ্নই একমাত্র নির্ভরযোগ্য উপায়। এ কারণেই তারা প্রায় নিখুঁত সারিতে চলাফেরা করে।
খাবারের মান ভালো হলে ফেরোমোন দীর্ঘস্থায়ী হয়, ফলে আরও পিঁপড়ারা এসে সাহায্য করতে পারে। আবার খাবার যদি খারাপ হয় বা সহজে সংগ্রহ করা যায়, তখন ফেরোমোন দ্রুত উড়ে যায়, যেন অতিরিক্ত শ্রম না হয়।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পিঁপড়াদের নিয়ে গবেষণা করেছে রেসাসকো। বিশেষত কামড় দেওয়া স্বভাবের ফায়ার অ্যান্টদের নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একক পিঁপড়ার দিকে তাকালে মনে হতে পারে, সে খুব একটা বুদ্ধিমান নয়। তবে পুরো কলোনি একসঙ্গে অনেক সাধারণ আচরণ থেকে অনেক জটিল ও আশ্চর্যজনক কাজ করতে পারে।’
শুধু খাবার খোঁজার সময়ই নয়, শত্রু এসে পড়লে পিঁপড়ারা ফরোমোন ছড়িয়ে সতর্কবার্তাও দিতে পারে।
বিভিন্ন প্রজাতির পিঁপড়াদের খাওয়ার কৌশলও আলাদা। যেমন: পাতা খাওয়া পিঁপড়ারা গাছের ডালে উঠে খাবার আনতে এক রকম পথ তৈরি করে—একটি ওঠার জন্য, আরেকটি নামার জন্য। আবার দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার আর্মি অ্যান্টরা দল বেঁধে হানা দেয় অন্য পিঁপড়ার কলোনিতে, একে বলে ‘রেইড’।
রেসাসকো বলেন, ‘রেইনফরেস্টের ভেতর যদি এই পিঁপড়াদের দল চলতে দেখেন, মনে হবে মাটি যেন নড়ে উঠছে।’
তবে এই নিখুঁত ব্যবস্থারও ভুল হতে পারে। কোনো বাধা এলে বা ফেরোমোন ট্রেইল হারিয়ে গেলে পিঁপড়ারা একে অন্যকে অনুসরণ করতে করতে একটা চক্রাকারে ঘুরতে থাকে—এটি ‘ডেথ স্পাইরাল’ নামে পরিচিত। যতক্ষণ না তারা ক্লান্তিতে মারা যায়, তারা ঘুরতেই থাকে।
রেসাসকো বলেন, ‘পিঁপড়ারা হলো সেই ছোট ছোট প্রাণী, যারা পৃথিবী চালায়। তারা মাটি উর্বর করে তোলে, ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলে, যা প্রকৃতি ও কৃষির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তাঁর মতে, একটি রোদেলা দিনে পিঁপড়ার সারি অনুসরণ করে তাদের আচরণ দেখা হতে পারে দারুণ একটি অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, ‘পিঁপড়ারা আমাদের চারপাশে সর্বত্র রয়েছে। একটু মনোযোগ দিলেই দেখা যাবে, তারা সব সময়ই কিছু না কিছু চমকপ্রদ কাজ করছে।’
তথ্যসূত্র: নোরিডজ সায়েন্স
চাঁদে মরিচা ধরছে। আর এর জন্য দায়ী আমাদের পৃথিবী। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমনই এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁদের গবেষণায় দেখা , পৃথিবী থেকে চাঁদের দিকে ছুটে যাওয়া অক্সিজেন কণার প্রভাবে চাঁদের খনিজ পদার্থ হেমাটাইটে (haematite) রূপান্তরিত হচ্ছে।
২০ ঘণ্টা আগেঅর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় (৫৩ বছর) পর আবারও চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা করতে চলেছে মানবজাতি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আর্টেমিস ২ নামের এই মিশনে চারজন নভোচারী চাঁদকে ঘিরে ১০ দিনের মিশনে অংশ নেবেন। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭-এর পর এই প্রথম কোনো নভোচারী পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথের বাইরে পা রাখবেন।
২ দিন আগেপ্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে পৃথিবীর বুকে ডাইনোসরদের রাজত্বের অবসান হয় এক ভয়ংকর গ্রহাণু আছড়ে পড়ার মাধ্যমে। প্রায় ১২ কিলোমিটার প্রস্থের একটি গ্রহাণু ঘণ্টায় প্রায় ৪৩ হাজার কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীতে আঘাত হানে। এই সংঘর্ষের ফলে একের পর এক প্রাণঘাতী ঘটনা শুরু হয়। এটি শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রজ
৩ দিন আগেপ্রাচীন মিসরীয়রা তাদের পিরামিডগুলোকে সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবে অনেকেই মনে করেন বহিরাগতদের ঠেকাতে তারা পিরামিডের ভেতর ফাঁদ তৈরি করে রাখতেন। এই তথ্য কতটুকু সত্য তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্স।
৪ দিন আগে