আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বসন্ত এলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে লাখ লাখ পিঁপড়া। দলবদ্ধভাবে তারা ছড়িয়ে পড়ে উঠোন, বারান্দা ও রান্নাঘরের মেঝেতে—উদ্দেশ্য একটাই, কলোনির জন্য খাবার খুঁজে বের করা। তবে এদের সব সময় সারিবদ্ধভাবেই হাঁটতে দেখা যায়। তবে তাদের এই শৃঙ্খলাবদ্ধ হাঁটার পেছনে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
প্রকৃতির ভেতরে সবচেয়ে দক্ষ দলগত কর্মী হিসেবে পরিচিত পিঁপড়া। নিজেদের কলোনি চালাতে ও টিকিয়ে রাখতে যেভাবে তারা একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে চলে, তা সত্যিই অভাবনীয়। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোলজি ও ইভালিউশনারি বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেসাসকো বলেন, ‘পিঁপড়ারা মূলত রাসায়নিক গন্ধ, অর্থাৎ ফেরোমোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। খাবার কোথায় পাওয়া যায়, সেটাও তারা এভাবেই জানায়।’
যখন কোনো পিঁপড়া একটি ভালো খাবারের উৎস খুঁজে পায়, তখন সে কলোনির দিকে ফেরার সময় পথে ফেরোমোন নামক একধরনের রাসায়নিক গন্ধ ছড়িয়ে দেয়। এরপর অন্য পিপিলিকারা নিজেদের অ্যান্টেনা বা শুঁড়ের সংবেদনশীল অংশ ব্যবহার করে সেই গন্ধ শনাক্ত করে এবং ঠিক একই পথে চলতে শুরু করে। তারা নিজেরাও একই ফেরোমোন ফেলে রেখে যায়, যাতে পথটি আরও সুস্পষ্ট হয়।
মানুষের তুলনায় পিঁপড়াদের দৃষ্টিশক্তি খুবই দুর্বল। তাই এদের পক্ষে গন্তব্যে না হারিয়ে পৌঁছাতে এই ফেরোমোনের চিহ্নই একমাত্র নির্ভরযোগ্য উপায়। এ কারণেই তারা প্রায় নিখুঁত সারিতে চলাফেরা করে।
খাবারের মান ভালো হলে ফেরোমোন দীর্ঘস্থায়ী হয়, ফলে আরও পিঁপড়ারা এসে সাহায্য করতে পারে। আবার খাবার যদি খারাপ হয় বা সহজে সংগ্রহ করা যায়, তখন ফেরোমোন দ্রুত উড়ে যায়, যেন অতিরিক্ত শ্রম না হয়।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পিঁপড়াদের নিয়ে গবেষণা করেছে রেসাসকো। বিশেষত কামড় দেওয়া স্বভাবের ফায়ার অ্যান্টদের নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একক পিঁপড়ার দিকে তাকালে মনে হতে পারে, সে খুব একটা বুদ্ধিমান নয়। তবে পুরো কলোনি একসঙ্গে অনেক সাধারণ আচরণ থেকে অনেক জটিল ও আশ্চর্যজনক কাজ করতে পারে।’
শুধু খাবার খোঁজার সময়ই নয়, শত্রু এসে পড়লে পিঁপড়ারা ফরোমোন ছড়িয়ে সতর্কবার্তাও দিতে পারে।
বিভিন্ন প্রজাতির পিঁপড়াদের খাওয়ার কৌশলও আলাদা। যেমন: পাতা খাওয়া পিঁপড়ারা গাছের ডালে উঠে খাবার আনতে এক রকম পথ তৈরি করে—একটি ওঠার জন্য, আরেকটি নামার জন্য। আবার দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার আর্মি অ্যান্টরা দল বেঁধে হানা দেয় অন্য পিঁপড়ার কলোনিতে, একে বলে ‘রেইড’।
রেসাসকো বলেন, ‘রেইনফরেস্টের ভেতর যদি এই পিঁপড়াদের দল চলতে দেখেন, মনে হবে মাটি যেন নড়ে উঠছে।’
তবে এই নিখুঁত ব্যবস্থারও ভুল হতে পারে। কোনো বাধা এলে বা ফেরোমোন ট্রেইল হারিয়ে গেলে পিঁপড়ারা একে অন্যকে অনুসরণ করতে করতে একটা চক্রাকারে ঘুরতে থাকে—এটি ‘ডেথ স্পাইরাল’ নামে পরিচিত। যতক্ষণ না তারা ক্লান্তিতে মারা যায়, তারা ঘুরতেই থাকে।
রেসাসকো বলেন, ‘পিঁপড়ারা হলো সেই ছোট ছোট প্রাণী, যারা পৃথিবী চালায়। তারা মাটি উর্বর করে তোলে, ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলে, যা প্রকৃতি ও কৃষির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তাঁর মতে, একটি রোদেলা দিনে পিঁপড়ার সারি অনুসরণ করে তাদের আচরণ দেখা হতে পারে দারুণ একটি অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, ‘পিঁপড়ারা আমাদের চারপাশে সর্বত্র রয়েছে। একটু মনোযোগ দিলেই দেখা যাবে, তারা সব সময়ই কিছু না কিছু চমকপ্রদ কাজ করছে।’
তথ্যসূত্র: নোরিডজ সায়েন্স

বসন্ত এলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে লাখ লাখ পিঁপড়া। দলবদ্ধভাবে তারা ছড়িয়ে পড়ে উঠোন, বারান্দা ও রান্নাঘরের মেঝেতে—উদ্দেশ্য একটাই, কলোনির জন্য খাবার খুঁজে বের করা। তবে এদের সব সময় সারিবদ্ধভাবেই হাঁটতে দেখা যায়। তবে তাদের এই শৃঙ্খলাবদ্ধ হাঁটার পেছনে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
প্রকৃতির ভেতরে সবচেয়ে দক্ষ দলগত কর্মী হিসেবে পরিচিত পিঁপড়া। নিজেদের কলোনি চালাতে ও টিকিয়ে রাখতে যেভাবে তারা একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে চলে, তা সত্যিই অভাবনীয়। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোলজি ও ইভালিউশনারি বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেসাসকো বলেন, ‘পিঁপড়ারা মূলত রাসায়নিক গন্ধ, অর্থাৎ ফেরোমোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। খাবার কোথায় পাওয়া যায়, সেটাও তারা এভাবেই জানায়।’
যখন কোনো পিঁপড়া একটি ভালো খাবারের উৎস খুঁজে পায়, তখন সে কলোনির দিকে ফেরার সময় পথে ফেরোমোন নামক একধরনের রাসায়নিক গন্ধ ছড়িয়ে দেয়। এরপর অন্য পিপিলিকারা নিজেদের অ্যান্টেনা বা শুঁড়ের সংবেদনশীল অংশ ব্যবহার করে সেই গন্ধ শনাক্ত করে এবং ঠিক একই পথে চলতে শুরু করে। তারা নিজেরাও একই ফেরোমোন ফেলে রেখে যায়, যাতে পথটি আরও সুস্পষ্ট হয়।
মানুষের তুলনায় পিঁপড়াদের দৃষ্টিশক্তি খুবই দুর্বল। তাই এদের পক্ষে গন্তব্যে না হারিয়ে পৌঁছাতে এই ফেরোমোনের চিহ্নই একমাত্র নির্ভরযোগ্য উপায়। এ কারণেই তারা প্রায় নিখুঁত সারিতে চলাফেরা করে।
খাবারের মান ভালো হলে ফেরোমোন দীর্ঘস্থায়ী হয়, ফলে আরও পিঁপড়ারা এসে সাহায্য করতে পারে। আবার খাবার যদি খারাপ হয় বা সহজে সংগ্রহ করা যায়, তখন ফেরোমোন দ্রুত উড়ে যায়, যেন অতিরিক্ত শ্রম না হয়।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পিঁপড়াদের নিয়ে গবেষণা করেছে রেসাসকো। বিশেষত কামড় দেওয়া স্বভাবের ফায়ার অ্যান্টদের নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একক পিঁপড়ার দিকে তাকালে মনে হতে পারে, সে খুব একটা বুদ্ধিমান নয়। তবে পুরো কলোনি একসঙ্গে অনেক সাধারণ আচরণ থেকে অনেক জটিল ও আশ্চর্যজনক কাজ করতে পারে।’
শুধু খাবার খোঁজার সময়ই নয়, শত্রু এসে পড়লে পিঁপড়ারা ফরোমোন ছড়িয়ে সতর্কবার্তাও দিতে পারে।
বিভিন্ন প্রজাতির পিঁপড়াদের খাওয়ার কৌশলও আলাদা। যেমন: পাতা খাওয়া পিঁপড়ারা গাছের ডালে উঠে খাবার আনতে এক রকম পথ তৈরি করে—একটি ওঠার জন্য, আরেকটি নামার জন্য। আবার দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার আর্মি অ্যান্টরা দল বেঁধে হানা দেয় অন্য পিঁপড়ার কলোনিতে, একে বলে ‘রেইড’।
রেসাসকো বলেন, ‘রেইনফরেস্টের ভেতর যদি এই পিঁপড়াদের দল চলতে দেখেন, মনে হবে মাটি যেন নড়ে উঠছে।’
তবে এই নিখুঁত ব্যবস্থারও ভুল হতে পারে। কোনো বাধা এলে বা ফেরোমোন ট্রেইল হারিয়ে গেলে পিঁপড়ারা একে অন্যকে অনুসরণ করতে করতে একটা চক্রাকারে ঘুরতে থাকে—এটি ‘ডেথ স্পাইরাল’ নামে পরিচিত। যতক্ষণ না তারা ক্লান্তিতে মারা যায়, তারা ঘুরতেই থাকে।
রেসাসকো বলেন, ‘পিঁপড়ারা হলো সেই ছোট ছোট প্রাণী, যারা পৃথিবী চালায়। তারা মাটি উর্বর করে তোলে, ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলে, যা প্রকৃতি ও কৃষির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তাঁর মতে, একটি রোদেলা দিনে পিঁপড়ার সারি অনুসরণ করে তাদের আচরণ দেখা হতে পারে দারুণ একটি অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, ‘পিঁপড়ারা আমাদের চারপাশে সর্বত্র রয়েছে। একটু মনোযোগ দিলেই দেখা যাবে, তারা সব সময়ই কিছু না কিছু চমকপ্রদ কাজ করছে।’
তথ্যসূত্র: নোরিডজ সায়েন্স
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বসন্ত এলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে লাখ লাখ পিঁপড়া। দলবদ্ধভাবে তারা ছড়িয়ে পড়ে উঠোন, বারান্দা ও রান্নাঘরের মেঝেতে—উদ্দেশ্য একটাই, কলোনির জন্য খাবার খুঁজে বের করা। তবে এদের সব সময় সারিবদ্ধভাবেই হাঁটতে দেখা যায়। তবে তাদের এই শৃঙ্খলাবদ্ধ হাঁটার পেছনে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
প্রকৃতির ভেতরে সবচেয়ে দক্ষ দলগত কর্মী হিসেবে পরিচিত পিঁপড়া। নিজেদের কলোনি চালাতে ও টিকিয়ে রাখতে যেভাবে তারা একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে চলে, তা সত্যিই অভাবনীয়। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোলজি ও ইভালিউশনারি বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেসাসকো বলেন, ‘পিঁপড়ারা মূলত রাসায়নিক গন্ধ, অর্থাৎ ফেরোমোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। খাবার কোথায় পাওয়া যায়, সেটাও তারা এভাবেই জানায়।’
যখন কোনো পিঁপড়া একটি ভালো খাবারের উৎস খুঁজে পায়, তখন সে কলোনির দিকে ফেরার সময় পথে ফেরোমোন নামক একধরনের রাসায়নিক গন্ধ ছড়িয়ে দেয়। এরপর অন্য পিপিলিকারা নিজেদের অ্যান্টেনা বা শুঁড়ের সংবেদনশীল অংশ ব্যবহার করে সেই গন্ধ শনাক্ত করে এবং ঠিক একই পথে চলতে শুরু করে। তারা নিজেরাও একই ফেরোমোন ফেলে রেখে যায়, যাতে পথটি আরও সুস্পষ্ট হয়।
মানুষের তুলনায় পিঁপড়াদের দৃষ্টিশক্তি খুবই দুর্বল। তাই এদের পক্ষে গন্তব্যে না হারিয়ে পৌঁছাতে এই ফেরোমোনের চিহ্নই একমাত্র নির্ভরযোগ্য উপায়। এ কারণেই তারা প্রায় নিখুঁত সারিতে চলাফেরা করে।
খাবারের মান ভালো হলে ফেরোমোন দীর্ঘস্থায়ী হয়, ফলে আরও পিঁপড়ারা এসে সাহায্য করতে পারে। আবার খাবার যদি খারাপ হয় বা সহজে সংগ্রহ করা যায়, তখন ফেরোমোন দ্রুত উড়ে যায়, যেন অতিরিক্ত শ্রম না হয়।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পিঁপড়াদের নিয়ে গবেষণা করেছে রেসাসকো। বিশেষত কামড় দেওয়া স্বভাবের ফায়ার অ্যান্টদের নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একক পিঁপড়ার দিকে তাকালে মনে হতে পারে, সে খুব একটা বুদ্ধিমান নয়। তবে পুরো কলোনি একসঙ্গে অনেক সাধারণ আচরণ থেকে অনেক জটিল ও আশ্চর্যজনক কাজ করতে পারে।’
শুধু খাবার খোঁজার সময়ই নয়, শত্রু এসে পড়লে পিঁপড়ারা ফরোমোন ছড়িয়ে সতর্কবার্তাও দিতে পারে।
বিভিন্ন প্রজাতির পিঁপড়াদের খাওয়ার কৌশলও আলাদা। যেমন: পাতা খাওয়া পিঁপড়ারা গাছের ডালে উঠে খাবার আনতে এক রকম পথ তৈরি করে—একটি ওঠার জন্য, আরেকটি নামার জন্য। আবার দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার আর্মি অ্যান্টরা দল বেঁধে হানা দেয় অন্য পিঁপড়ার কলোনিতে, একে বলে ‘রেইড’।
রেসাসকো বলেন, ‘রেইনফরেস্টের ভেতর যদি এই পিঁপড়াদের দল চলতে দেখেন, মনে হবে মাটি যেন নড়ে উঠছে।’
তবে এই নিখুঁত ব্যবস্থারও ভুল হতে পারে। কোনো বাধা এলে বা ফেরোমোন ট্রেইল হারিয়ে গেলে পিঁপড়ারা একে অন্যকে অনুসরণ করতে করতে একটা চক্রাকারে ঘুরতে থাকে—এটি ‘ডেথ স্পাইরাল’ নামে পরিচিত। যতক্ষণ না তারা ক্লান্তিতে মারা যায়, তারা ঘুরতেই থাকে।
রেসাসকো বলেন, ‘পিঁপড়ারা হলো সেই ছোট ছোট প্রাণী, যারা পৃথিবী চালায়। তারা মাটি উর্বর করে তোলে, ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলে, যা প্রকৃতি ও কৃষির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তাঁর মতে, একটি রোদেলা দিনে পিঁপড়ার সারি অনুসরণ করে তাদের আচরণ দেখা হতে পারে দারুণ একটি অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, ‘পিঁপড়ারা আমাদের চারপাশে সর্বত্র রয়েছে। একটু মনোযোগ দিলেই দেখা যাবে, তারা সব সময়ই কিছু না কিছু চমকপ্রদ কাজ করছে।’
তথ্যসূত্র: নোরিডজ সায়েন্স

বসন্ত এলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে লাখ লাখ পিঁপড়া। দলবদ্ধভাবে তারা ছড়িয়ে পড়ে উঠোন, বারান্দা ও রান্নাঘরের মেঝেতে—উদ্দেশ্য একটাই, কলোনির জন্য খাবার খুঁজে বের করা। তবে এদের সব সময় সারিবদ্ধভাবেই হাঁটতে দেখা যায়। তবে তাদের এই শৃঙ্খলাবদ্ধ হাঁটার পেছনে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
প্রকৃতির ভেতরে সবচেয়ে দক্ষ দলগত কর্মী হিসেবে পরিচিত পিঁপড়া। নিজেদের কলোনি চালাতে ও টিকিয়ে রাখতে যেভাবে তারা একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে চলে, তা সত্যিই অভাবনীয়। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোলজি ও ইভালিউশনারি বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেসাসকো বলেন, ‘পিঁপড়ারা মূলত রাসায়নিক গন্ধ, অর্থাৎ ফেরোমোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। খাবার কোথায় পাওয়া যায়, সেটাও তারা এভাবেই জানায়।’
যখন কোনো পিঁপড়া একটি ভালো খাবারের উৎস খুঁজে পায়, তখন সে কলোনির দিকে ফেরার সময় পথে ফেরোমোন নামক একধরনের রাসায়নিক গন্ধ ছড়িয়ে দেয়। এরপর অন্য পিপিলিকারা নিজেদের অ্যান্টেনা বা শুঁড়ের সংবেদনশীল অংশ ব্যবহার করে সেই গন্ধ শনাক্ত করে এবং ঠিক একই পথে চলতে শুরু করে। তারা নিজেরাও একই ফেরোমোন ফেলে রেখে যায়, যাতে পথটি আরও সুস্পষ্ট হয়।
মানুষের তুলনায় পিঁপড়াদের দৃষ্টিশক্তি খুবই দুর্বল। তাই এদের পক্ষে গন্তব্যে না হারিয়ে পৌঁছাতে এই ফেরোমোনের চিহ্নই একমাত্র নির্ভরযোগ্য উপায়। এ কারণেই তারা প্রায় নিখুঁত সারিতে চলাফেরা করে।
খাবারের মান ভালো হলে ফেরোমোন দীর্ঘস্থায়ী হয়, ফলে আরও পিঁপড়ারা এসে সাহায্য করতে পারে। আবার খাবার যদি খারাপ হয় বা সহজে সংগ্রহ করা যায়, তখন ফেরোমোন দ্রুত উড়ে যায়, যেন অতিরিক্ত শ্রম না হয়।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পিঁপড়াদের নিয়ে গবেষণা করেছে রেসাসকো। বিশেষত কামড় দেওয়া স্বভাবের ফায়ার অ্যান্টদের নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একক পিঁপড়ার দিকে তাকালে মনে হতে পারে, সে খুব একটা বুদ্ধিমান নয়। তবে পুরো কলোনি একসঙ্গে অনেক সাধারণ আচরণ থেকে অনেক জটিল ও আশ্চর্যজনক কাজ করতে পারে।’
শুধু খাবার খোঁজার সময়ই নয়, শত্রু এসে পড়লে পিঁপড়ারা ফরোমোন ছড়িয়ে সতর্কবার্তাও দিতে পারে।
বিভিন্ন প্রজাতির পিঁপড়াদের খাওয়ার কৌশলও আলাদা। যেমন: পাতা খাওয়া পিঁপড়ারা গাছের ডালে উঠে খাবার আনতে এক রকম পথ তৈরি করে—একটি ওঠার জন্য, আরেকটি নামার জন্য। আবার দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার আর্মি অ্যান্টরা দল বেঁধে হানা দেয় অন্য পিঁপড়ার কলোনিতে, একে বলে ‘রেইড’।
রেসাসকো বলেন, ‘রেইনফরেস্টের ভেতর যদি এই পিঁপড়াদের দল চলতে দেখেন, মনে হবে মাটি যেন নড়ে উঠছে।’
তবে এই নিখুঁত ব্যবস্থারও ভুল হতে পারে। কোনো বাধা এলে বা ফেরোমোন ট্রেইল হারিয়ে গেলে পিঁপড়ারা একে অন্যকে অনুসরণ করতে করতে একটা চক্রাকারে ঘুরতে থাকে—এটি ‘ডেথ স্পাইরাল’ নামে পরিচিত। যতক্ষণ না তারা ক্লান্তিতে মারা যায়, তারা ঘুরতেই থাকে।
রেসাসকো বলেন, ‘পিঁপড়ারা হলো সেই ছোট ছোট প্রাণী, যারা পৃথিবী চালায়। তারা মাটি উর্বর করে তোলে, ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলে, যা প্রকৃতি ও কৃষির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তাঁর মতে, একটি রোদেলা দিনে পিঁপড়ার সারি অনুসরণ করে তাদের আচরণ দেখা হতে পারে দারুণ একটি অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, ‘পিঁপড়ারা আমাদের চারপাশে সর্বত্র রয়েছে। একটু মনোযোগ দিলেই দেখা যাবে, তারা সব সময়ই কিছু না কিছু চমকপ্রদ কাজ করছে।’
তথ্যসূত্র: নোরিডজ সায়েন্স

এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের মূত্রেই পাওয়া যায়।
৮ ঘণ্টা আগে
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
৩ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৩ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাধ্যাকর্ষণের কারণে আমরা বসে-দাঁড়িয়ে প্লেটে বা হাতে নিয়ে খাবার খেতে পারি; কিন্তু মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ নেই, তাই সেখানকার খাবার ও খাওয়ার পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন। সাধারণত নভোচারীরা হিমায়িত বা শুকনো খাবার খান। আর এসব খাবার পৃথিবী থেকে মহাকাশে নিয়ে যেতে হয়।
তবে এবার মহাকাশেই বাতাস (thin air) ও নভোচারীদের প্রস্রাব থেকে খাদ্য তৈরি সম্ভব বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ‘সোলেইন’ (Solein) নামে একটি প্রোটিন পাউডার খেয়ে ভবিষ্যতে চাঁদ বা মঙ্গলে দীর্ঘমেয়াদি মিশনে যাওয়া নভোচারীরা বেঁচে থাকতে পারবেন।
ইএসএ জানিয়েছে, একটি নতুন পাইলট প্রকল্পের আওতায় তারা সোলেইন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এটি তৈরি করতে প্রয়োজন কেবল মাইক্রোব (অণুজীব), বাতাস ও বিদ্যুৎ।
এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের প্রস্রাবেই পাওয়া যায়।
ইএসএ ঘোষণা দিয়েছে, এই খাবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) তৈরির জন্য তারা একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। তাদের মতে, এই পরীক্ষা সফল হলে ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের খাদ্যব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে।
সোলার ফুডসের স্পেস ও ডিফেন্স বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আরত্তু লুকানেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল শুরু। আমাদের লক্ষ্য হলো, মহাকাশে সোলেইন উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করা। আমরা আশা করছি, ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশচারীদের প্রধান প্রোটিন উৎস হয়ে উঠবে সোলেইন।’
প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হোবি-ওয়ান’ (HOBI-WAN), এর পূর্ণরূপ Hydrogen Oxidizing Bacteria In Weightlessness As a source of Nutrition। প্রথম ধাপে এই প্রযুক্তি পৃথিবীতে উন্নয়ন করা হবে, এরপর তা মাইক্রোগ্র্যাভিটি (অল্প মহাকর্ষ) পরিবেশে পরীক্ষা করা হবে।
ইএসএর প্রধান অনুসন্ধান বিজ্ঞানী অ্যাঞ্জেলিক ভ্যান ওমবারজেন বলেন, এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো এমন একটি খাদ্য উপাদান তৈরি করা, যা মহাকাশ অভিযানে নভোচারীদের জন্য সার্বিক কল্যাণ বয়ে আনবে।
অ্যাঞ্জেলিক ভ্যান আরও বলেন, মানবজাতি যদি একদিন দীর্ঘ সময়ের জন্য চাঁদে বা মঙ্গলে অবস্থান করতে চায়, তাহলে সীমিত সরবরাহের মধ্যেও টিকে থাকার মতো উদ্ভাবনী ও টেকসই সমাধান প্রয়োজন হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইএসএ ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা তৈরি করছে।
সূত্র: স্পেস ডটকম

মাধ্যাকর্ষণের কারণে আমরা বসে-দাঁড়িয়ে প্লেটে বা হাতে নিয়ে খাবার খেতে পারি; কিন্তু মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ নেই, তাই সেখানকার খাবার ও খাওয়ার পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন। সাধারণত নভোচারীরা হিমায়িত বা শুকনো খাবার খান। আর এসব খাবার পৃথিবী থেকে মহাকাশে নিয়ে যেতে হয়।
তবে এবার মহাকাশেই বাতাস (thin air) ও নভোচারীদের প্রস্রাব থেকে খাদ্য তৈরি সম্ভব বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ‘সোলেইন’ (Solein) নামে একটি প্রোটিন পাউডার খেয়ে ভবিষ্যতে চাঁদ বা মঙ্গলে দীর্ঘমেয়াদি মিশনে যাওয়া নভোচারীরা বেঁচে থাকতে পারবেন।
ইএসএ জানিয়েছে, একটি নতুন পাইলট প্রকল্পের আওতায় তারা সোলেইন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এটি তৈরি করতে প্রয়োজন কেবল মাইক্রোব (অণুজীব), বাতাস ও বিদ্যুৎ।
এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের প্রস্রাবেই পাওয়া যায়।
ইএসএ ঘোষণা দিয়েছে, এই খাবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) তৈরির জন্য তারা একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। তাদের মতে, এই পরীক্ষা সফল হলে ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের খাদ্যব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে।
সোলার ফুডসের স্পেস ও ডিফেন্স বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আরত্তু লুকানেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল শুরু। আমাদের লক্ষ্য হলো, মহাকাশে সোলেইন উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করা। আমরা আশা করছি, ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশচারীদের প্রধান প্রোটিন উৎস হয়ে উঠবে সোলেইন।’
প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হোবি-ওয়ান’ (HOBI-WAN), এর পূর্ণরূপ Hydrogen Oxidizing Bacteria In Weightlessness As a source of Nutrition। প্রথম ধাপে এই প্রযুক্তি পৃথিবীতে উন্নয়ন করা হবে, এরপর তা মাইক্রোগ্র্যাভিটি (অল্প মহাকর্ষ) পরিবেশে পরীক্ষা করা হবে।
ইএসএর প্রধান অনুসন্ধান বিজ্ঞানী অ্যাঞ্জেলিক ভ্যান ওমবারজেন বলেন, এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো এমন একটি খাদ্য উপাদান তৈরি করা, যা মহাকাশ অভিযানে নভোচারীদের জন্য সার্বিক কল্যাণ বয়ে আনবে।
অ্যাঞ্জেলিক ভ্যান আরও বলেন, মানবজাতি যদি একদিন দীর্ঘ সময়ের জন্য চাঁদে বা মঙ্গলে অবস্থান করতে চায়, তাহলে সীমিত সরবরাহের মধ্যেও টিকে থাকার মতো উদ্ভাবনী ও টেকসই সমাধান প্রয়োজন হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইএসএ ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা তৈরি করছে।
সূত্র: স্পেস ডটকম

বসন্ত এলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে লাখ লাখ পিঁপড়া। দলবদ্ধভাবে তারা ছড়িয়ে পড়ে উঠোন, বারান্দা ও রান্নাঘরের মেঝেতে—উদ্দেশ্য একটাই, কলোনির জন্য খাবার খুঁজে বের করা। তবে এদের সব সময় সারিবদ্ধভাবেই হাঁটতে দেখা যায়। তবে তাদের এই শৃঙ্খলাবদ্ধ হাঁটার পেছনে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
০৩ জুন ২০২৫
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
৩ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৩ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর কাঠামোগত রহস্য উন্মোচন করেন। এই আবিষ্কারকে ‘বিশ শতকের অন্যতম সেরা অগ্রগতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবিষ্কার আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হলো ডিএনএর দুটি সর্পিল বা প্যাঁচানো মইয়ের মতো কাঠামো, যা পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই কাঠামোতে দুটি শৃঙ্খল থাকে, সেটি আবার হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই শৃঙ্খলগুলো অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) এবং সাইটোসিন (C) ও গুয়ানিনের (G) মতো নাইট্রোজেনাস বেস জোড়া দিয়ে গঠিত।
জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স—এই তিনজন বিজ্ঞানী ১৯৬২ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। এই আবিষ্কারের সময় তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনের রহস্য আবিষ্কার করেছি।’
যদিও এই আবিষ্কারের পেছনে কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি তাঁর সম্মতি ছাড়াই ওয়াটসন ও ক্রিক ব্যবহার করেছিলেন। মরিস উইলকিন্স ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে ডিএনএ অণুর কাঠামো নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।
এমন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পরও পরবর্তীকালে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জেমস ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘আফ্রিকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে হতাশ’। কারণ, ‘আমাদের সব সামাজিক নীতি এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি যে তাদের (আফ্রিকানদের) বুদ্ধিমত্তা আমাদের মতোই—যদিও সব পরীক্ষামূলক ফলাফলে তেমনটি দেখা যায় না।’ এই মন্তব্যের জেরে নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলরের পদ হারান তিনি।
২০১৯ সালে ওয়াটসন পুনরায় একই ধরনের মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও একবার বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যোগসূত্র টেনেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ল্যাবরেটরি তাঁর চ্যান্সেলর ইমেরিটাসসহ সমস্ত সম্মানসূচক পদ কেড়ে নেয়। ল্যাবরেটরি সেই সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞানের দ্বারা অসমর্থিত।’
২০১৪ সালে বৈজ্ঞানিক মহলে একঘরে হওয়ার অনুভূতির কথা বলে ওয়াটসন তাঁর নোবেল পদকটি ৪৮ লাখ ডলারে (প্রায় ৩৬ কোটি টাকা) নিলামে বিক্রি করে দেন। যদিও পদকটি ক্রয় করা এক রুশ বিলিয়নিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৮ সালের এপ্রিলে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন জেমস ওয়াটসন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্কলারশিপ পান। ডিএনএ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কেমব্রিজে যান, যেখানে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারের পর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির দায়িত্ব নেন। এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করার কৃতিত্ব তাঁর।

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর কাঠামোগত রহস্য উন্মোচন করেন। এই আবিষ্কারকে ‘বিশ শতকের অন্যতম সেরা অগ্রগতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবিষ্কার আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হলো ডিএনএর দুটি সর্পিল বা প্যাঁচানো মইয়ের মতো কাঠামো, যা পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই কাঠামোতে দুটি শৃঙ্খল থাকে, সেটি আবার হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই শৃঙ্খলগুলো অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) এবং সাইটোসিন (C) ও গুয়ানিনের (G) মতো নাইট্রোজেনাস বেস জোড়া দিয়ে গঠিত।
জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স—এই তিনজন বিজ্ঞানী ১৯৬২ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। এই আবিষ্কারের সময় তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনের রহস্য আবিষ্কার করেছি।’
যদিও এই আবিষ্কারের পেছনে কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি তাঁর সম্মতি ছাড়াই ওয়াটসন ও ক্রিক ব্যবহার করেছিলেন। মরিস উইলকিন্স ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে ডিএনএ অণুর কাঠামো নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।
এমন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পরও পরবর্তীকালে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জেমস ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘আফ্রিকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে হতাশ’। কারণ, ‘আমাদের সব সামাজিক নীতি এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি যে তাদের (আফ্রিকানদের) বুদ্ধিমত্তা আমাদের মতোই—যদিও সব পরীক্ষামূলক ফলাফলে তেমনটি দেখা যায় না।’ এই মন্তব্যের জেরে নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলরের পদ হারান তিনি।
২০১৯ সালে ওয়াটসন পুনরায় একই ধরনের মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও একবার বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যোগসূত্র টেনেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ল্যাবরেটরি তাঁর চ্যান্সেলর ইমেরিটাসসহ সমস্ত সম্মানসূচক পদ কেড়ে নেয়। ল্যাবরেটরি সেই সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞানের দ্বারা অসমর্থিত।’
২০১৪ সালে বৈজ্ঞানিক মহলে একঘরে হওয়ার অনুভূতির কথা বলে ওয়াটসন তাঁর নোবেল পদকটি ৪৮ লাখ ডলারে (প্রায় ৩৬ কোটি টাকা) নিলামে বিক্রি করে দেন। যদিও পদকটি ক্রয় করা এক রুশ বিলিয়নিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৮ সালের এপ্রিলে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন জেমস ওয়াটসন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্কলারশিপ পান। ডিএনএ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কেমব্রিজে যান, যেখানে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারের পর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির দায়িত্ব নেন। এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করার কৃতিত্ব তাঁর।

বসন্ত এলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে লাখ লাখ পিঁপড়া। দলবদ্ধভাবে তারা ছড়িয়ে পড়ে উঠোন, বারান্দা ও রান্নাঘরের মেঝেতে—উদ্দেশ্য একটাই, কলোনির জন্য খাবার খুঁজে বের করা। তবে এদের সব সময় সারিবদ্ধভাবেই হাঁটতে দেখা যায়। তবে তাদের এই শৃঙ্খলাবদ্ধ হাঁটার পেছনে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
০৩ জুন ২০২৫
এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের মূত্রেই পাওয়া যায়।
৮ ঘণ্টা আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৩ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

বসন্ত এলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে লাখ লাখ পিঁপড়া। দলবদ্ধভাবে তারা ছড়িয়ে পড়ে উঠোন, বারান্দা ও রান্নাঘরের মেঝেতে—উদ্দেশ্য একটাই, কলোনির জন্য খাবার খুঁজে বের করা। তবে এদের সব সময় সারিবদ্ধভাবেই হাঁটতে দেখা যায়। তবে তাদের এই শৃঙ্খলাবদ্ধ হাঁটার পেছনে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
০৩ জুন ২০২৫
এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের মূত্রেই পাওয়া যায়।
৮ ঘণ্টা আগে
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
৩ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বসন্ত এলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে লাখ লাখ পিঁপড়া। দলবদ্ধভাবে তারা ছড়িয়ে পড়ে উঠোন, বারান্দা ও রান্নাঘরের মেঝেতে—উদ্দেশ্য একটাই, কলোনির জন্য খাবার খুঁজে বের করা। তবে এদের সব সময় সারিবদ্ধভাবেই হাঁটতে দেখা যায়। তবে তাদের এই শৃঙ্খলাবদ্ধ হাঁটার পেছনে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
০৩ জুন ২০২৫
এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের মূত্রেই পাওয়া যায়।
৮ ঘণ্টা আগে
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
৩ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৩ দিন আগে