অনলাইন ডেস্ক
পূর্বের ধারণার চেয়ে অনেক অনেক আগেই হয়তো মহাবিশ্বের মৃত্যু ঘটবে। এমনটাই জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের র্যাডবাউড ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী। জার্নাল অব কসমোলজি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোপারটিকাল ফিজিক্সে প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা একটি গবেষণাপত্রে এই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।
বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, মহাবিশ্বের বিভিন্ন বস্তু ধীরে ধীরে হকিং রেডিয়েশনের মাধ্যমে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হকিং রেডিয়েশন হলো একটি কোয়ান্টাম বিকিরণ, যেখানে কৃষ্ণগহ্বর (ব্ল্যাক হোল) থেকে কিছু কণা বিকিরিত হয়ে ইভেন্ট হরাইজনের (ঘটনা দিগন্ত) বাইরে চলে যায়। ১৯৭০-এর দশকে পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং এই তত্ত্ব প্রস্তাব করেন।
নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে, শুধু কৃষ্ণগহ্বরই নয়, নিউট্রন তারকার মতো অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তু থেকেও হকিং রেডিয়েশনের মাধ্যমে শক্তির বিকিরণ ঘটছে। এর ফলে আগে ধারণা করা হতো যে, মহাবিশ্বের মৃত্যু ঘটবে 10¹¹⁰⁰ (অর্থাৎ ১-এর পরে ১১০০টি শূন্য) বছর পর। তবে এখন বলা হচ্ছে, এই সময় কমে দাঁড়াতে পারে 10⁷⁸ (অর্থাৎ ১-এর পরে ৭৮টি শূন্য) বছরে।
র্যাডবাউড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক হেইনো ফাল্কে বলেন, ‘মহাবিশ্বের চূড়ান্ত অবসান পূর্বের ধারণার চেয়ে অনেক আগেই হতে পারে, তবে সেটি এখনো দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার।’
গবেষণায় দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি সময় টিকে থাকা বস্তু যেমন শ্বেত-বামন, সেগুলোও একসময় হকিং রেডিয়েশনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিলীন হবে।
গবেষণাটি মহাবিশ্বের শেষ পরিণতি নিয়ে আমাদের ধারণায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝিতে পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং একটি যুগান্তকারী তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, কৃষ্ণগহ্বর (ব্ল্যাক হোল) থেকেও বিকিরণ (রেডিয়েশন) বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে, যা আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্বের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। হকিংয়ের ব্যাখ্যায়, কৃষ্ণগহ্বরের প্রান্তে জোড়ায় জোড়ায় কণার সৃষ্টি হতে পারে, এরপর তাৎক্ষণিকভাবে একটি শোষিত হয়, অন্যটি মহাশূন্যে হারিয়ে যায়।
তবে এখন বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, শুধু কৃষ্ণগহ্বরই নয়, হকিং রেডিয়েশনের প্রভাব পড়তে পারে অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুর ওপরও। গবেষণায় দেখা গেছে, নিউট্রন তারকার মহাকর্ষ বল তুলনামূলকভাবে দুর্বল হলেও হকিং রেডিয়েশনের কারণে একই সময়ে (10⁷⁸ বছর) ক্ষয় হতে পারে। তাত্ত্বিকভাবে দুর্বল মহাকর্ষ বল এই বিকিরণ প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেওয়ার কথা, তবে গবেষণায় ভিন্ন ফল মিলেছে।
সহ-গবেষক মাইকেল ওয়ানড্রাক জানান, কৃষ্ণগহ্বরের কোনো পৃষ্ঠতল নেই, ফলে এরা নিজেদের বিকিরণের কিছু অংশ শোষণ করে ফেলে, যা বিকিরণ প্রক্রিয়াকে ধীর করে।
এই বিশাল মহাজাগতিক বস্তুগুলোর পাশাপাশি, আমাদের চাঁদ এবং একটি মানুষের মতো তুলনামূলক ছোট বস্তুও হকিং রেডিয়েশনের মাধ্যমে পুরোপুরি ক্ষয় হতে কত সময় লাগতে পারে, গবেষক দল সেটিও হিসাব করেছে।
অর্থাৎ যদি কোনো বস্তু যেমন—মানুষের দেহ বা চাঁদ—চিরকাল মহাবিশ্বে থাকে এবং তাকে অন্য কিছু নষ্ট না করে, তাহলে শুধু হকিং রেডিয়েশনের কারণে সেটি পুরোপুরি উবে বা অদৃশ্য হতে কত সময় লাগবে, বিজ্ঞানীরা সেটির ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
তাঁদের হিসাব অনুযায়ী, একটি মানুষ বা চাঁদের মতো বস্তু হকিং রেডিয়েশনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ক্ষয় হতে প্রায় 10⁹⁰ (১ এর পর ৯০টি শূন্য) বছর লাগবে। তবে গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, এই হিসাবে অন্যান্য জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বিবর্তন, ক্ষয় প্রক্রিয়া এবং ভরের ঘনত্বে প্রভাবিত পরিবর্তনকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
তথ্যসূত্র: ফিউচারিজম
পূর্বের ধারণার চেয়ে অনেক অনেক আগেই হয়তো মহাবিশ্বের মৃত্যু ঘটবে। এমনটাই জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের র্যাডবাউড ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী। জার্নাল অব কসমোলজি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোপারটিকাল ফিজিক্সে প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা একটি গবেষণাপত্রে এই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।
বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, মহাবিশ্বের বিভিন্ন বস্তু ধীরে ধীরে হকিং রেডিয়েশনের মাধ্যমে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হকিং রেডিয়েশন হলো একটি কোয়ান্টাম বিকিরণ, যেখানে কৃষ্ণগহ্বর (ব্ল্যাক হোল) থেকে কিছু কণা বিকিরিত হয়ে ইভেন্ট হরাইজনের (ঘটনা দিগন্ত) বাইরে চলে যায়। ১৯৭০-এর দশকে পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং এই তত্ত্ব প্রস্তাব করেন।
নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে, শুধু কৃষ্ণগহ্বরই নয়, নিউট্রন তারকার মতো অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তু থেকেও হকিং রেডিয়েশনের মাধ্যমে শক্তির বিকিরণ ঘটছে। এর ফলে আগে ধারণা করা হতো যে, মহাবিশ্বের মৃত্যু ঘটবে 10¹¹⁰⁰ (অর্থাৎ ১-এর পরে ১১০০টি শূন্য) বছর পর। তবে এখন বলা হচ্ছে, এই সময় কমে দাঁড়াতে পারে 10⁷⁸ (অর্থাৎ ১-এর পরে ৭৮টি শূন্য) বছরে।
র্যাডবাউড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক হেইনো ফাল্কে বলেন, ‘মহাবিশ্বের চূড়ান্ত অবসান পূর্বের ধারণার চেয়ে অনেক আগেই হতে পারে, তবে সেটি এখনো দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার।’
গবেষণায় দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি সময় টিকে থাকা বস্তু যেমন শ্বেত-বামন, সেগুলোও একসময় হকিং রেডিয়েশনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিলীন হবে।
গবেষণাটি মহাবিশ্বের শেষ পরিণতি নিয়ে আমাদের ধারণায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝিতে পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং একটি যুগান্তকারী তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, কৃষ্ণগহ্বর (ব্ল্যাক হোল) থেকেও বিকিরণ (রেডিয়েশন) বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে, যা আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্বের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। হকিংয়ের ব্যাখ্যায়, কৃষ্ণগহ্বরের প্রান্তে জোড়ায় জোড়ায় কণার সৃষ্টি হতে পারে, এরপর তাৎক্ষণিকভাবে একটি শোষিত হয়, অন্যটি মহাশূন্যে হারিয়ে যায়।
তবে এখন বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, শুধু কৃষ্ণগহ্বরই নয়, হকিং রেডিয়েশনের প্রভাব পড়তে পারে অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুর ওপরও। গবেষণায় দেখা গেছে, নিউট্রন তারকার মহাকর্ষ বল তুলনামূলকভাবে দুর্বল হলেও হকিং রেডিয়েশনের কারণে একই সময়ে (10⁷⁸ বছর) ক্ষয় হতে পারে। তাত্ত্বিকভাবে দুর্বল মহাকর্ষ বল এই বিকিরণ প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেওয়ার কথা, তবে গবেষণায় ভিন্ন ফল মিলেছে।
সহ-গবেষক মাইকেল ওয়ানড্রাক জানান, কৃষ্ণগহ্বরের কোনো পৃষ্ঠতল নেই, ফলে এরা নিজেদের বিকিরণের কিছু অংশ শোষণ করে ফেলে, যা বিকিরণ প্রক্রিয়াকে ধীর করে।
এই বিশাল মহাজাগতিক বস্তুগুলোর পাশাপাশি, আমাদের চাঁদ এবং একটি মানুষের মতো তুলনামূলক ছোট বস্তুও হকিং রেডিয়েশনের মাধ্যমে পুরোপুরি ক্ষয় হতে কত সময় লাগতে পারে, গবেষক দল সেটিও হিসাব করেছে।
অর্থাৎ যদি কোনো বস্তু যেমন—মানুষের দেহ বা চাঁদ—চিরকাল মহাবিশ্বে থাকে এবং তাকে অন্য কিছু নষ্ট না করে, তাহলে শুধু হকিং রেডিয়েশনের কারণে সেটি পুরোপুরি উবে বা অদৃশ্য হতে কত সময় লাগবে, বিজ্ঞানীরা সেটির ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
তাঁদের হিসাব অনুযায়ী, একটি মানুষ বা চাঁদের মতো বস্তু হকিং রেডিয়েশনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ক্ষয় হতে প্রায় 10⁹⁰ (১ এর পর ৯০টি শূন্য) বছর লাগবে। তবে গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, এই হিসাবে অন্যান্য জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বিবর্তন, ক্ষয় প্রক্রিয়া এবং ভরের ঘনত্বে প্রভাবিত পরিবর্তনকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
তথ্যসূত্র: ফিউচারিজম
পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর এক দম্পতি সম্প্রতি এক চমৎকার ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাঁরা সন্তান জন্ম দিয়ে নতুন এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। কারণ, যে ভ্রূণ থেকে তাদের সন্তানের জন্ম হয়েছে তা ওই দম্পতির শুক্রাণু ও ডিম্বাণু থেকে তৈরি হয়নি। মূলত, তাঁরা ৩১ বছর ধরে সংরক্ষণ করে রাখা এক ভ্রূণ থেকে তাদের সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেপৃথিবীর জলবায়ুর নাটকীয় পরিবর্তনের পেছনে ১২ হাজার বছরেরও বেশি সময় আগের এক বিশাল ধ্বংসপ্রাপ্ত ধূমকেতুর ধূলিকণা দায়ী হতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।
১৭ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞানীরা পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্রমণ্ডল আলফা সেন্টরিতে এক বিশাল গ্যাস গ্রহ থাকার শক্ত প্রমাণ পেয়েছেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাবে সাড়ে চার আলোকবর্ষ দূরের এই প্রাণহীন গ্রহকে পৃথিবীর ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর উপগ্রহে জীবনের উপযোগী পরিবেশ থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে!
১ দিন আগে