আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেটি পেরিসহ ছয় নারী গতকাল সোমবার মহাকাশে এক সংক্ষিপ্ত অভিযানে গিয়েছিলেন। তাঁদের বহন করে নিয়ে গিয়েছিল বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের কোম্পানি ব্লু অরিজিনের একটি রকেট।
বেজোসের বাগ্দত্তা লরেন সানচেজ, সাংবাদিক গেইল কিং, নাসার সাবেক রকেট বিজ্ঞানী আয়েশা বোয়ে, বিজ্ঞানী আমান্ডা নুয়েন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক কেরিয়ান্নে ফ্লিন এই দলে ছিলেন।
বিগত ৬০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথম কোনো যাত্রীবাহী রকেট মহাশূন্যে গেল যেখানে সব যাত্রীই ছিলেন নারী।
কেটি পেরি ও তাঁর সঙ্গীরা আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা বেজোসের মালিকানাধীন মহাকাশ সংস্থা ব্লু অরিজিনের একটি যানে করে পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উপরে উঠেছিলেন। এই ফ্লাইট যাত্রীদের কারমান লাইন অতিক্রম করে নিয়ে যায়।
কারমান লাইন হলো মহাশূন্যের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমা। অর্থাৎ, পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে এই সীমার পর থেকে মহাশূন্য শুরু হয়।
ব্লু অরিজিনের যানটি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলের মান সময় সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে পশ্চিম টেক্সাস থেকে যাত্রা শুরু করে এবং মহাকাশের প্রান্তে পৌঁছায়। সেখানে যাত্রীরা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ওজনহীনতা উপভোগ করেন। প্রায় ১১ মিনিট সেখানে অবস্থানের পর আবারও পৃথিবীতে ফিরে আসেন তাঁরা।
নারীরা ব্লু অরিজিনের নিউ শেফার্ড মহাকাশযানে করে মহাকাশে যান। এই যানটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে স্বল্প দূরত্বে ভ্রমণের জন্য ছয়জন পর্যন্ত যাত্রী বহন করতে পারে।
যাই হোক, নারীদের এই মহাকাশ ভ্রমণ এই জল্পনা উসকে দিয়েছে যে, যে কেউ চাইলেই কী মহাশূন্যে ভ্রমণ করতে পারেন? উত্তর হলো, হ্যাঁ। যে কেউ ব্লু অরিজিনের ফ্লাইটে মহাকাশে ভ্রমণের জন্য বুকিং করতে পারেন, তবে এর জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।
কোম্পানির ওয়েবসাইটে একটি রিজার্ভেশন পেজ আছে। যেখানে সম্ভাব্য যাত্রীরা তাঁদের নাম, ঠিকানা এবং জন্ম বছরের মতো প্রাথমিক তথ্য উল্লেখ করে একটি ফরম পূরণ করতে পারেন। এ ছাড়াও এতে একটি বিভাগ রয়েছে—যেখানে কোম্পানি যাত্রীদের ৫০০ বা তার কম শব্দের মধ্যে নিজেদের ব্যাপারে লিখতে বলে।
ফরমটি পূরণ করার একমাত্র শর্ত হলো, আবেদনকারীকে অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী হতে হবে।
ব্লু অরিজিনের বেসামরিক মিশনের সঠিক খরচ কিছুটা রহস্যময়, কারণ কোম্পানি এটি প্রকাশ করে না। তবে, রিজার্ভেশন পেজের নিচে একটি সতর্কবার্তা আছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘অর্ডার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য দেড় লাখ ডলার প্রয়োজন এবং এটি সম্পূর্ণ ফেরতযোগ্য জমা।’
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুসারে, ব্লু অরিজিন ২০২১ সালে তাদের প্রথম ক্রুযুক্ত ফ্লাইটে একটি আসন ২৮ মিলিয়ন ডলারে নিলাম করেছিল। এপির প্রতিবেদন অনুসারে, ব্লু অরিজিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভার্জিন গ্যালাকটিক ২ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ ডলার দিয়েই মহাশূন্যে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
তবে মহাকাশ ভ্রমণের জন্য সবাইকে লাখ লাখ ডলার দিতে হয় না। স্টার ট্রেক তারকা উইলিয়াম শ্যাটনার এবং আমেরিকান টেলিভিশন হোস্ট মাইকেল স্ট্রাহানের মতো সেলিব্রিটিরা ব্লু অরিজিনের ‘অতিথি’ হিসেবে নিউ শেফার্ড সাব-অরবিটাল লঞ্চ ভেহিকলে বিনা মূল্যে ভ্রমণ করেছেন।
মহাকাশ ভ্রমণ বুকিং সংস্থা স্পেসভিআইপি–এর সহপ্রতিষ্ঠাতা রোমান চিপোরুখা দ্য অবজারভারকে বলেছেন, ‘এটি অর্থের বিষয় নয়; এটি আপনি কে, আপনার সামাজিক পুঁজি এবং আপনি তাদের উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কিনা তার ওপর নির্ভর করে। এটি এক ধরনের প্যাকেজ ডিল।’
সিএনএন—এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, এমনকি গত ১৪ এপ্রিল ব্লু অরিজিনের ফ্লাইটেও কিছু যাত্রী বিনা মূল্যে ভ্রমণ করেছেন, অন্যরা সে সুযোগ পাননি। তবে কোম্পানিটি জানায়নি, কোন যাত্রীরা ভ্রমণের জন্য টাকা দিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেটি পেরিসহ ছয় নারী গতকাল সোমবার মহাকাশে এক সংক্ষিপ্ত অভিযানে গিয়েছিলেন। তাঁদের বহন করে নিয়ে গিয়েছিল বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের কোম্পানি ব্লু অরিজিনের একটি রকেট।
বেজোসের বাগ্দত্তা লরেন সানচেজ, সাংবাদিক গেইল কিং, নাসার সাবেক রকেট বিজ্ঞানী আয়েশা বোয়ে, বিজ্ঞানী আমান্ডা নুয়েন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক কেরিয়ান্নে ফ্লিন এই দলে ছিলেন।
বিগত ৬০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথম কোনো যাত্রীবাহী রকেট মহাশূন্যে গেল যেখানে সব যাত্রীই ছিলেন নারী।
কেটি পেরি ও তাঁর সঙ্গীরা আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা বেজোসের মালিকানাধীন মহাকাশ সংস্থা ব্লু অরিজিনের একটি যানে করে পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উপরে উঠেছিলেন। এই ফ্লাইট যাত্রীদের কারমান লাইন অতিক্রম করে নিয়ে যায়।
কারমান লাইন হলো মহাশূন্যের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমা। অর্থাৎ, পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে এই সীমার পর থেকে মহাশূন্য শুরু হয়।
ব্লু অরিজিনের যানটি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলের মান সময় সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে পশ্চিম টেক্সাস থেকে যাত্রা শুরু করে এবং মহাকাশের প্রান্তে পৌঁছায়। সেখানে যাত্রীরা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ওজনহীনতা উপভোগ করেন। প্রায় ১১ মিনিট সেখানে অবস্থানের পর আবারও পৃথিবীতে ফিরে আসেন তাঁরা।
নারীরা ব্লু অরিজিনের নিউ শেফার্ড মহাকাশযানে করে মহাকাশে যান। এই যানটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে স্বল্প দূরত্বে ভ্রমণের জন্য ছয়জন পর্যন্ত যাত্রী বহন করতে পারে।
যাই হোক, নারীদের এই মহাকাশ ভ্রমণ এই জল্পনা উসকে দিয়েছে যে, যে কেউ চাইলেই কী মহাশূন্যে ভ্রমণ করতে পারেন? উত্তর হলো, হ্যাঁ। যে কেউ ব্লু অরিজিনের ফ্লাইটে মহাকাশে ভ্রমণের জন্য বুকিং করতে পারেন, তবে এর জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।
কোম্পানির ওয়েবসাইটে একটি রিজার্ভেশন পেজ আছে। যেখানে সম্ভাব্য যাত্রীরা তাঁদের নাম, ঠিকানা এবং জন্ম বছরের মতো প্রাথমিক তথ্য উল্লেখ করে একটি ফরম পূরণ করতে পারেন। এ ছাড়াও এতে একটি বিভাগ রয়েছে—যেখানে কোম্পানি যাত্রীদের ৫০০ বা তার কম শব্দের মধ্যে নিজেদের ব্যাপারে লিখতে বলে।
ফরমটি পূরণ করার একমাত্র শর্ত হলো, আবেদনকারীকে অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী হতে হবে।
ব্লু অরিজিনের বেসামরিক মিশনের সঠিক খরচ কিছুটা রহস্যময়, কারণ কোম্পানি এটি প্রকাশ করে না। তবে, রিজার্ভেশন পেজের নিচে একটি সতর্কবার্তা আছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘অর্ডার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য দেড় লাখ ডলার প্রয়োজন এবং এটি সম্পূর্ণ ফেরতযোগ্য জমা।’
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুসারে, ব্লু অরিজিন ২০২১ সালে তাদের প্রথম ক্রুযুক্ত ফ্লাইটে একটি আসন ২৮ মিলিয়ন ডলারে নিলাম করেছিল। এপির প্রতিবেদন অনুসারে, ব্লু অরিজিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভার্জিন গ্যালাকটিক ২ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ ডলার দিয়েই মহাশূন্যে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
তবে মহাকাশ ভ্রমণের জন্য সবাইকে লাখ লাখ ডলার দিতে হয় না। স্টার ট্রেক তারকা উইলিয়াম শ্যাটনার এবং আমেরিকান টেলিভিশন হোস্ট মাইকেল স্ট্রাহানের মতো সেলিব্রিটিরা ব্লু অরিজিনের ‘অতিথি’ হিসেবে নিউ শেফার্ড সাব-অরবিটাল লঞ্চ ভেহিকলে বিনা মূল্যে ভ্রমণ করেছেন।
মহাকাশ ভ্রমণ বুকিং সংস্থা স্পেসভিআইপি–এর সহপ্রতিষ্ঠাতা রোমান চিপোরুখা দ্য অবজারভারকে বলেছেন, ‘এটি অর্থের বিষয় নয়; এটি আপনি কে, আপনার সামাজিক পুঁজি এবং আপনি তাদের উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কিনা তার ওপর নির্ভর করে। এটি এক ধরনের প্যাকেজ ডিল।’
সিএনএন—এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, এমনকি গত ১৪ এপ্রিল ব্লু অরিজিনের ফ্লাইটেও কিছু যাত্রী বিনা মূল্যে ভ্রমণ করেছেন, অন্যরা সে সুযোগ পাননি। তবে কোম্পানিটি জানায়নি, কোন যাত্রীরা ভ্রমণের জন্য টাকা দিয়েছেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেটি পেরিসহ ছয় নারী গতকাল সোমবার মহাকাশে এক সংক্ষিপ্ত অভিযানে গিয়েছিলেন। তাঁদের বহন করে নিয়ে গিয়েছিল বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের কোম্পানি ব্লু অরিজিনের একটি রকেট।
বেজোসের বাগ্দত্তা লরেন সানচেজ, সাংবাদিক গেইল কিং, নাসার সাবেক রকেট বিজ্ঞানী আয়েশা বোয়ে, বিজ্ঞানী আমান্ডা নুয়েন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক কেরিয়ান্নে ফ্লিন এই দলে ছিলেন।
বিগত ৬০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথম কোনো যাত্রীবাহী রকেট মহাশূন্যে গেল যেখানে সব যাত্রীই ছিলেন নারী।
কেটি পেরি ও তাঁর সঙ্গীরা আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা বেজোসের মালিকানাধীন মহাকাশ সংস্থা ব্লু অরিজিনের একটি যানে করে পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উপরে উঠেছিলেন। এই ফ্লাইট যাত্রীদের কারমান লাইন অতিক্রম করে নিয়ে যায়।
কারমান লাইন হলো মহাশূন্যের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমা। অর্থাৎ, পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে এই সীমার পর থেকে মহাশূন্য শুরু হয়।
ব্লু অরিজিনের যানটি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলের মান সময় সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে পশ্চিম টেক্সাস থেকে যাত্রা শুরু করে এবং মহাকাশের প্রান্তে পৌঁছায়। সেখানে যাত্রীরা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ওজনহীনতা উপভোগ করেন। প্রায় ১১ মিনিট সেখানে অবস্থানের পর আবারও পৃথিবীতে ফিরে আসেন তাঁরা।
নারীরা ব্লু অরিজিনের নিউ শেফার্ড মহাকাশযানে করে মহাকাশে যান। এই যানটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে স্বল্প দূরত্বে ভ্রমণের জন্য ছয়জন পর্যন্ত যাত্রী বহন করতে পারে।
যাই হোক, নারীদের এই মহাকাশ ভ্রমণ এই জল্পনা উসকে দিয়েছে যে, যে কেউ চাইলেই কী মহাশূন্যে ভ্রমণ করতে পারেন? উত্তর হলো, হ্যাঁ। যে কেউ ব্লু অরিজিনের ফ্লাইটে মহাকাশে ভ্রমণের জন্য বুকিং করতে পারেন, তবে এর জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।
কোম্পানির ওয়েবসাইটে একটি রিজার্ভেশন পেজ আছে। যেখানে সম্ভাব্য যাত্রীরা তাঁদের নাম, ঠিকানা এবং জন্ম বছরের মতো প্রাথমিক তথ্য উল্লেখ করে একটি ফরম পূরণ করতে পারেন। এ ছাড়াও এতে একটি বিভাগ রয়েছে—যেখানে কোম্পানি যাত্রীদের ৫০০ বা তার কম শব্দের মধ্যে নিজেদের ব্যাপারে লিখতে বলে।
ফরমটি পূরণ করার একমাত্র শর্ত হলো, আবেদনকারীকে অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী হতে হবে।
ব্লু অরিজিনের বেসামরিক মিশনের সঠিক খরচ কিছুটা রহস্যময়, কারণ কোম্পানি এটি প্রকাশ করে না। তবে, রিজার্ভেশন পেজের নিচে একটি সতর্কবার্তা আছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘অর্ডার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য দেড় লাখ ডলার প্রয়োজন এবং এটি সম্পূর্ণ ফেরতযোগ্য জমা।’
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুসারে, ব্লু অরিজিন ২০২১ সালে তাদের প্রথম ক্রুযুক্ত ফ্লাইটে একটি আসন ২৮ মিলিয়ন ডলারে নিলাম করেছিল। এপির প্রতিবেদন অনুসারে, ব্লু অরিজিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভার্জিন গ্যালাকটিক ২ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ ডলার দিয়েই মহাশূন্যে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
তবে মহাকাশ ভ্রমণের জন্য সবাইকে লাখ লাখ ডলার দিতে হয় না। স্টার ট্রেক তারকা উইলিয়াম শ্যাটনার এবং আমেরিকান টেলিভিশন হোস্ট মাইকেল স্ট্রাহানের মতো সেলিব্রিটিরা ব্লু অরিজিনের ‘অতিথি’ হিসেবে নিউ শেফার্ড সাব-অরবিটাল লঞ্চ ভেহিকলে বিনা মূল্যে ভ্রমণ করেছেন।
মহাকাশ ভ্রমণ বুকিং সংস্থা স্পেসভিআইপি–এর সহপ্রতিষ্ঠাতা রোমান চিপোরুখা দ্য অবজারভারকে বলেছেন, ‘এটি অর্থের বিষয় নয়; এটি আপনি কে, আপনার সামাজিক পুঁজি এবং আপনি তাদের উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কিনা তার ওপর নির্ভর করে। এটি এক ধরনের প্যাকেজ ডিল।’
সিএনএন—এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, এমনকি গত ১৪ এপ্রিল ব্লু অরিজিনের ফ্লাইটেও কিছু যাত্রী বিনা মূল্যে ভ্রমণ করেছেন, অন্যরা সে সুযোগ পাননি। তবে কোম্পানিটি জানায়নি, কোন যাত্রীরা ভ্রমণের জন্য টাকা দিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেটি পেরিসহ ছয় নারী গতকাল সোমবার মহাকাশে এক সংক্ষিপ্ত অভিযানে গিয়েছিলেন। তাঁদের বহন করে নিয়ে গিয়েছিল বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের কোম্পানি ব্লু অরিজিনের একটি রকেট।
বেজোসের বাগ্দত্তা লরেন সানচেজ, সাংবাদিক গেইল কিং, নাসার সাবেক রকেট বিজ্ঞানী আয়েশা বোয়ে, বিজ্ঞানী আমান্ডা নুয়েন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক কেরিয়ান্নে ফ্লিন এই দলে ছিলেন।
বিগত ৬০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথম কোনো যাত্রীবাহী রকেট মহাশূন্যে গেল যেখানে সব যাত্রীই ছিলেন নারী।
কেটি পেরি ও তাঁর সঙ্গীরা আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা বেজোসের মালিকানাধীন মহাকাশ সংস্থা ব্লু অরিজিনের একটি যানে করে পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উপরে উঠেছিলেন। এই ফ্লাইট যাত্রীদের কারমান লাইন অতিক্রম করে নিয়ে যায়।
কারমান লাইন হলো মহাশূন্যের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমা। অর্থাৎ, পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে এই সীমার পর থেকে মহাশূন্য শুরু হয়।
ব্লু অরিজিনের যানটি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলের মান সময় সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে পশ্চিম টেক্সাস থেকে যাত্রা শুরু করে এবং মহাকাশের প্রান্তে পৌঁছায়। সেখানে যাত্রীরা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ওজনহীনতা উপভোগ করেন। প্রায় ১১ মিনিট সেখানে অবস্থানের পর আবারও পৃথিবীতে ফিরে আসেন তাঁরা।
নারীরা ব্লু অরিজিনের নিউ শেফার্ড মহাকাশযানে করে মহাকাশে যান। এই যানটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে স্বল্প দূরত্বে ভ্রমণের জন্য ছয়জন পর্যন্ত যাত্রী বহন করতে পারে।
যাই হোক, নারীদের এই মহাকাশ ভ্রমণ এই জল্পনা উসকে দিয়েছে যে, যে কেউ চাইলেই কী মহাশূন্যে ভ্রমণ করতে পারেন? উত্তর হলো, হ্যাঁ। যে কেউ ব্লু অরিজিনের ফ্লাইটে মহাকাশে ভ্রমণের জন্য বুকিং করতে পারেন, তবে এর জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।
কোম্পানির ওয়েবসাইটে একটি রিজার্ভেশন পেজ আছে। যেখানে সম্ভাব্য যাত্রীরা তাঁদের নাম, ঠিকানা এবং জন্ম বছরের মতো প্রাথমিক তথ্য উল্লেখ করে একটি ফরম পূরণ করতে পারেন। এ ছাড়াও এতে একটি বিভাগ রয়েছে—যেখানে কোম্পানি যাত্রীদের ৫০০ বা তার কম শব্দের মধ্যে নিজেদের ব্যাপারে লিখতে বলে।
ফরমটি পূরণ করার একমাত্র শর্ত হলো, আবেদনকারীকে অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী হতে হবে।
ব্লু অরিজিনের বেসামরিক মিশনের সঠিক খরচ কিছুটা রহস্যময়, কারণ কোম্পানি এটি প্রকাশ করে না। তবে, রিজার্ভেশন পেজের নিচে একটি সতর্কবার্তা আছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘অর্ডার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য দেড় লাখ ডলার প্রয়োজন এবং এটি সম্পূর্ণ ফেরতযোগ্য জমা।’
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুসারে, ব্লু অরিজিন ২০২১ সালে তাদের প্রথম ক্রুযুক্ত ফ্লাইটে একটি আসন ২৮ মিলিয়ন ডলারে নিলাম করেছিল। এপির প্রতিবেদন অনুসারে, ব্লু অরিজিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভার্জিন গ্যালাকটিক ২ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ ডলার দিয়েই মহাশূন্যে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
তবে মহাকাশ ভ্রমণের জন্য সবাইকে লাখ লাখ ডলার দিতে হয় না। স্টার ট্রেক তারকা উইলিয়াম শ্যাটনার এবং আমেরিকান টেলিভিশন হোস্ট মাইকেল স্ট্রাহানের মতো সেলিব্রিটিরা ব্লু অরিজিনের ‘অতিথি’ হিসেবে নিউ শেফার্ড সাব-অরবিটাল লঞ্চ ভেহিকলে বিনা মূল্যে ভ্রমণ করেছেন।
মহাকাশ ভ্রমণ বুকিং সংস্থা স্পেসভিআইপি–এর সহপ্রতিষ্ঠাতা রোমান চিপোরুখা দ্য অবজারভারকে বলেছেন, ‘এটি অর্থের বিষয় নয়; এটি আপনি কে, আপনার সামাজিক পুঁজি এবং আপনি তাদের উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কিনা তার ওপর নির্ভর করে। এটি এক ধরনের প্যাকেজ ডিল।’
সিএনএন—এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, এমনকি গত ১৪ এপ্রিল ব্লু অরিজিনের ফ্লাইটেও কিছু যাত্রী বিনা মূল্যে ভ্রমণ করেছেন, অন্যরা সে সুযোগ পাননি। তবে কোম্পানিটি জানায়নি, কোন যাত্রীরা ভ্রমণের জন্য টাকা দিয়েছেন।

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
২ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৫ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর কাঠামোগত রহস্য উন্মোচন করেন। এই আবিষ্কারকে ‘বিশ শতকের অন্যতম সেরা অগ্রগতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবিষ্কার আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হলো ডিএনএর দুটি সর্পিল বা প্যাঁচানো মইয়ের মতো কাঠামো, যা পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই কাঠামোতে দুটি শৃঙ্খল থাকে, সেটি আবার হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই শৃঙ্খলগুলো অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) এবং সাইটোসিন (C) ও গুয়ানিনের (G) মতো নাইট্রোজেনাস বেস জোড়া দিয়ে গঠিত।
জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স—এই তিনজন বিজ্ঞানী ১৯৬২ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। এই আবিষ্কারের সময় তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনের রহস্য আবিষ্কার করেছি।’
যদিও এই আবিষ্কারের পেছনে কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি তাঁর সম্মতি ছাড়াই ওয়াটসন ও ক্রিক ব্যবহার করেছিলেন। মরিস উইলকিন্স ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে ডিএনএ অণুর কাঠামো নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।
এমন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পরও পরবর্তীকালে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জেমস ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘আফ্রিকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে হতাশ’। কারণ, ‘আমাদের সব সামাজিক নীতি এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি যে তাদের (আফ্রিকানদের) বুদ্ধিমত্তা আমাদের মতোই—যদিও সব পরীক্ষামূলক ফলাফলে তেমনটি দেখা যায় না।’ এই মন্তব্যের জেরে নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলরের পদ হারান তিনি।
২০১৯ সালে ওয়াটসন পুনরায় একই ধরনের মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও একবার বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যোগসূত্র টেনেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ল্যাবরেটরি তাঁর চ্যান্সেলর ইমেরিটাসসহ সমস্ত সম্মানসূচক পদ কেড়ে নেয়। ল্যাবরেটরি সেই সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞানের দ্বারা অসমর্থিত।’
২০১৪ সালে বৈজ্ঞানিক মহলে একঘরে হওয়ার অনুভূতির কথা বলে ওয়াটসন তাঁর নোবেল পদকটি ৪৮ লাখ ডলারে (প্রায় ৩৬ কোটি টাকা) নিলামে বিক্রি করে দেন। যদিও পদকটি ক্রয় করা এক রুশ বিলিয়নিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৮ সালের এপ্রিলে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন জেমস ওয়াটসন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্কলারশিপ পান। ডিএনএ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কেমব্রিজে যান, যেখানে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারের পর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির দায়িত্ব নেন। এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করার কৃতিত্ব তাঁর।

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর কাঠামোগত রহস্য উন্মোচন করেন। এই আবিষ্কারকে ‘বিশ শতকের অন্যতম সেরা অগ্রগতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবিষ্কার আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হলো ডিএনএর দুটি সর্পিল বা প্যাঁচানো মইয়ের মতো কাঠামো, যা পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই কাঠামোতে দুটি শৃঙ্খল থাকে, সেটি আবার হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই শৃঙ্খলগুলো অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) এবং সাইটোসিন (C) ও গুয়ানিনের (G) মতো নাইট্রোজেনাস বেস জোড়া দিয়ে গঠিত।
জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স—এই তিনজন বিজ্ঞানী ১৯৬২ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। এই আবিষ্কারের সময় তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনের রহস্য আবিষ্কার করেছি।’
যদিও এই আবিষ্কারের পেছনে কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি তাঁর সম্মতি ছাড়াই ওয়াটসন ও ক্রিক ব্যবহার করেছিলেন। মরিস উইলকিন্স ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে ডিএনএ অণুর কাঠামো নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।
এমন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পরও পরবর্তীকালে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জেমস ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘আফ্রিকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে হতাশ’। কারণ, ‘আমাদের সব সামাজিক নীতি এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি যে তাদের (আফ্রিকানদের) বুদ্ধিমত্তা আমাদের মতোই—যদিও সব পরীক্ষামূলক ফলাফলে তেমনটি দেখা যায় না।’ এই মন্তব্যের জেরে নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলরের পদ হারান তিনি।
২০১৯ সালে ওয়াটসন পুনরায় একই ধরনের মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও একবার বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যোগসূত্র টেনেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ল্যাবরেটরি তাঁর চ্যান্সেলর ইমেরিটাসসহ সমস্ত সম্মানসূচক পদ কেড়ে নেয়। ল্যাবরেটরি সেই সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞানের দ্বারা অসমর্থিত।’
২০১৪ সালে বৈজ্ঞানিক মহলে একঘরে হওয়ার অনুভূতির কথা বলে ওয়াটসন তাঁর নোবেল পদকটি ৪৮ লাখ ডলারে (প্রায় ৩৬ কোটি টাকা) নিলামে বিক্রি করে দেন। যদিও পদকটি ক্রয় করা এক রুশ বিলিয়নিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৮ সালের এপ্রিলে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন জেমস ওয়াটসন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্কলারশিপ পান। ডিএনএ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কেমব্রিজে যান, যেখানে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারের পর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির দায়িত্ব নেন। এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করার কৃতিত্ব তাঁর।

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেটি পেরি আরও পাঁচ নারীকে গতকাল সোমবার মহাকাশে এক সংক্ষিপ্ত অভিযানে গিয়েছিলেন। তাঁদের বহন করে নিয়ে গিয়েছিল বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের একটি রকেট। বেজোসের বাগ্দত্তা লরেন সানচেজ, সাংবাদিক গেইল কিং, নাসার সাবেক রকেট বিজ্ঞানী আয়েশা বোয়ে, বিজ্ঞানী আমান্ডা নুয়েন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক...
১৫ এপ্রিল ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
২ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৫ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেটি পেরি আরও পাঁচ নারীকে গতকাল সোমবার মহাকাশে এক সংক্ষিপ্ত অভিযানে গিয়েছিলেন। তাঁদের বহন করে নিয়ে গিয়েছিল বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের একটি রকেট। বেজোসের বাগ্দত্তা লরেন সানচেজ, সাংবাদিক গেইল কিং, নাসার সাবেক রকেট বিজ্ঞানী আয়েশা বোয়ে, বিজ্ঞানী আমান্ডা নুয়েন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক...
১৫ এপ্রিল ২০২৫
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৫ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেটি পেরি আরও পাঁচ নারীকে গতকাল সোমবার মহাকাশে এক সংক্ষিপ্ত অভিযানে গিয়েছিলেন। তাঁদের বহন করে নিয়ে গিয়েছিল বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের একটি রকেট। বেজোসের বাগ্দত্তা লরেন সানচেজ, সাংবাদিক গেইল কিং, নাসার সাবেক রকেট বিজ্ঞানী আয়েশা বোয়ে, বিজ্ঞানী আমান্ডা নুয়েন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক...
১৫ এপ্রিল ২০২৫
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
২ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেটি পেরি আরও পাঁচ নারীকে গতকাল সোমবার মহাকাশে এক সংক্ষিপ্ত অভিযানে গিয়েছিলেন। তাঁদের বহন করে নিয়ে গিয়েছিল বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের একটি রকেট। বেজোসের বাগ্দত্তা লরেন সানচেজ, সাংবাদিক গেইল কিং, নাসার সাবেক রকেট বিজ্ঞানী আয়েশা বোয়ে, বিজ্ঞানী আমান্ডা নুয়েন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক...
১৫ এপ্রিল ২০২৫
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
২ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৫ দিন আগে