প্রযুক্তি ডেস্ক
মহাবিশ্ব রহস্যময়। সেই রহস্য কল্পনার চেয়েও অনেক বেশি উত্তেজনাপূর্ণ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত মহাবিশ্বের নতুন ও বিস্ময়কর ধাঁধা খুঁজে পান, সমাধান করেন। দূরবর্তী ছায়াপথগুলোর একটি সাধারণ নমুনা খুঁজছেন এমন একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানীর সঙ্গেও ঘটেছে ঠিক এমনই এক ঘটনা।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বে ধুলোর পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকা দুটি প্রায় ‘অদৃশ্য’ ছায়াপথ আবিষ্কার করেছেন। এদের নামকরণ করা হয়েছে আরইবিইএলএস-১২-২ ও আরইবিইএলএস-২৯-২। ধুলোর এই পর্দাটি এ পর্যন্ত তাঁদের দৃষ্টি থেকে ছায়াপথ দুটিকে আড়াল করে রেখেছিল। এ ছাড়া পরিচিত ছায়াপথের মধ্যেও এদের অবস্থান সবচেয়ে দূরে।
এসব ছায়াপথ থেকে আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে ১৩ বিলিয়ন বছরের দীর্ঘপথ অতিক্রম করেছে। তবে বিস্ময়করভাবে এদের দূরত্ব ২৯ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে। সময়ের এই হেরফেরের কারণ, মহাবিশ্ব ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বর্তমানে অ্যাটাকামা লার্জ মিলিমিটার অ্যারে ব্যবহার করে রেডিও তরঙ্গ শনাক্ত করেছেন।
নেচার জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে গবেষকেরা তাঁদের আবিষ্কারের বিস্তারিত জানিয়েছেন। গবেষণায় দেখা যায়, মহাবিশ্বের শুরুর দিকে ধারণার চেয়ে অনেক বেশি ছায়াপথ ছিল, যা মহাবিশ্ব সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাকে পাল্টে দিতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন, মহাবিশ্বের ১০-২০ শতাংশ ছায়াপথ ধূলিকণা ও মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে। কোনো একদিন সেগুলো আবিষ্কৃত হবে বলেও মনে করেন তাঁরা।
মহাজাগতিক রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সাধারণত হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করেন। তবে হাবল ব্যবহার করেও সবকিছু দেখা যায় না। কারণ, এ টেলিস্কোপগুলোর বেশির ভাগই অতিবেগুনি ও আলোর দৃশ্যমান তরঙ্গদৈর্ঘ্যে মহাকাশ দেখে। তাই জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের এই দলটি এএলএমএ টেলিস্কোপ ব্যবহার করে, যা ০ দশমিক ৩২ মিলিমিটার থেকে ৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যে কাজ করে।
সংবাদমাধ্যমে নিউ এটলাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই গবেষক দলের একজন প্যাসকেল ওশ বলেন, ‘এএলএমএ-এর সঙ্গে খুব দূরবর্তী একগুচ্ছ গ্যালাক্সি দেখি এবং দেখতে পাই, ছায়াপথ দুটি বেশ কাছাকাছি ছিল। এরা সেখানে আদৌ থাকবে বলে প্রত্যাশা ছিল না। দুটি ছায়াপথই ধূলিকণায় ঢাকা ছিল, যা কিছু আলোকে আটকে দেওয়ায় হাবল দিয়ে এদের দেখা যায়নি। তবে আমরা মহাবিশ্বের গঠন সম্পর্কিত মৌলিক প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
সংশ্লিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পরবর্তী কাজ এগিয়ে নিতে মহাকাশে আরও শক্তিশালী যন্ত্র স্থাপনের অপেক্ষা করছেন। এ যন্ত্রের মধ্যে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপও আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি স্থাপন করা গেলে মহাবিশ্বের ইনফ্রারেড ইমেজিংয়ে বিশেষভাবে কাজ করবে। ২২ ডিসেম্বর থেকে ওই প্রযুক্তি চালু হতে যাচ্ছে।
মহাবিশ্ব রহস্যময়। সেই রহস্য কল্পনার চেয়েও অনেক বেশি উত্তেজনাপূর্ণ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত মহাবিশ্বের নতুন ও বিস্ময়কর ধাঁধা খুঁজে পান, সমাধান করেন। দূরবর্তী ছায়াপথগুলোর একটি সাধারণ নমুনা খুঁজছেন এমন একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানীর সঙ্গেও ঘটেছে ঠিক এমনই এক ঘটনা।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বে ধুলোর পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকা দুটি প্রায় ‘অদৃশ্য’ ছায়াপথ আবিষ্কার করেছেন। এদের নামকরণ করা হয়েছে আরইবিইএলএস-১২-২ ও আরইবিইএলএস-২৯-২। ধুলোর এই পর্দাটি এ পর্যন্ত তাঁদের দৃষ্টি থেকে ছায়াপথ দুটিকে আড়াল করে রেখেছিল। এ ছাড়া পরিচিত ছায়াপথের মধ্যেও এদের অবস্থান সবচেয়ে দূরে।
এসব ছায়াপথ থেকে আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে ১৩ বিলিয়ন বছরের দীর্ঘপথ অতিক্রম করেছে। তবে বিস্ময়করভাবে এদের দূরত্ব ২৯ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে। সময়ের এই হেরফেরের কারণ, মহাবিশ্ব ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বর্তমানে অ্যাটাকামা লার্জ মিলিমিটার অ্যারে ব্যবহার করে রেডিও তরঙ্গ শনাক্ত করেছেন।
নেচার জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে গবেষকেরা তাঁদের আবিষ্কারের বিস্তারিত জানিয়েছেন। গবেষণায় দেখা যায়, মহাবিশ্বের শুরুর দিকে ধারণার চেয়ে অনেক বেশি ছায়াপথ ছিল, যা মহাবিশ্ব সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাকে পাল্টে দিতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন, মহাবিশ্বের ১০-২০ শতাংশ ছায়াপথ ধূলিকণা ও মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে। কোনো একদিন সেগুলো আবিষ্কৃত হবে বলেও মনে করেন তাঁরা।
মহাজাগতিক রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সাধারণত হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করেন। তবে হাবল ব্যবহার করেও সবকিছু দেখা যায় না। কারণ, এ টেলিস্কোপগুলোর বেশির ভাগই অতিবেগুনি ও আলোর দৃশ্যমান তরঙ্গদৈর্ঘ্যে মহাকাশ দেখে। তাই জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের এই দলটি এএলএমএ টেলিস্কোপ ব্যবহার করে, যা ০ দশমিক ৩২ মিলিমিটার থেকে ৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যে কাজ করে।
সংবাদমাধ্যমে নিউ এটলাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই গবেষক দলের একজন প্যাসকেল ওশ বলেন, ‘এএলএমএ-এর সঙ্গে খুব দূরবর্তী একগুচ্ছ গ্যালাক্সি দেখি এবং দেখতে পাই, ছায়াপথ দুটি বেশ কাছাকাছি ছিল। এরা সেখানে আদৌ থাকবে বলে প্রত্যাশা ছিল না। দুটি ছায়াপথই ধূলিকণায় ঢাকা ছিল, যা কিছু আলোকে আটকে দেওয়ায় হাবল দিয়ে এদের দেখা যায়নি। তবে আমরা মহাবিশ্বের গঠন সম্পর্কিত মৌলিক প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
সংশ্লিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পরবর্তী কাজ এগিয়ে নিতে মহাকাশে আরও শক্তিশালী যন্ত্র স্থাপনের অপেক্ষা করছেন। এ যন্ত্রের মধ্যে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপও আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি স্থাপন করা গেলে মহাবিশ্বের ইনফ্রারেড ইমেজিংয়ে বিশেষভাবে কাজ করবে। ২২ ডিসেম্বর থেকে ওই প্রযুক্তি চালু হতে যাচ্ছে।
গণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১ দিন আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৪ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগে