নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রণ যখন গেল বছর গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, তখন এক অর্থে মানুষের জীবনযাত্রা থমকে গিয়েছিল। এখনো পরিস্থিতি আলাদা কিছু নয়। মাঝে করোনার টিকা আবিষ্কার ও এর প্রয়োগ শুরু হয়েছে। কিন্তু ধরন পাল্টে আরও বেশি সংক্রমণ শক্তি নিয়ে ফিরে এসেছে করোনা। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম প্রাপ্ত করোনার ধরন আগের ধরনটির চেয়ে বেশি সংক্রামক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ অবস্থায় টিকার উন্নয়নকাজও চলছে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, করোনা ক্রমে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো একটি ভাইরাসে পরিণত হবে, যা নির্মূলে সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা হয়তো শেষ পর্যন্ত কার্যকর হবে না। প্রতি বছরই এর টিকা নিতে হবে মানুষকে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো একটি ভাইরাসে পরিণত হবে। দুটি কারণে এমনটি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রথমত, করোনা প্রতিনিয়ত তার ধরন পাল্টাচ্ছে। ফলে এটি নির্মূলে একটি সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর টিকা পাওয়া কঠিন। দ্বিতীয়ত, এটি প্রতিরোধে যে টিকাগুলো এখন পর্যন্ত হাতে এসেছে, তার কার্যকারিতা একটি নির্দিষ্ট সময় পর হারিয়ে যায়।
মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজারসহ যেসব প্রতিষ্ঠান করোনার টিকা নিয়ে এসেছে, তাদের পরীক্ষা পর্যায়ে অবশ্য টিকার কার্যকারিতা দীর্ঘ সময় থাকে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, এই টিকা যাকে প্রতিহত করতে তৈরি করা হয়েছে, সেই করোনাভাইরাসই নিজের ধরন পাল্টাচ্ছে। ফলে তৈরি করা টিকা করোনার নতুন ধরনটিকে অনেক সময়ই আর চিনতে পারছে না।
ফাইজারের তৈরি টিকা দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রয়োগ করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন বি.১.৩৫১ ছড়িয়ে পড়ার পরও ফাইজারের টিকা কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এ বিষয়ে পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির রোগ প্রতিরোধ ও টিকা বিশেষজ্ঞ স্কট হেন্সলি সিএনএনকে বলেন, ‘এই টিকা এখনো বেশ ভালোভাবে কাজ করছে; সুরক্ষা দিচ্ছে।’
এদিকে মডার্না তাদের টিকার তৃতীয় ডোজের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে। মূলত বুস্টার হিসেবে তৈরি করা এই তৃতীয় ডোজ বি.১.৩৫১–কে প্রতিরোধে কাজ করবে। এ ছাড়া এটি নতুন পুরোনো মিলিয়ে করোনার যেকোনো ধরনের বিরুদ্ধে আগের চেয়ে বেশি সুরক্ষা দেয় কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে এই পরীক্ষামূলক পর্যায়ে। মডার্নার টিকার পরীক্ষামূলক পর্যায়ে এখন পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা ব্যক্তিদের অনেকেই এই পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
এ তো গেল করোনার নতুন ধরনসহ উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপের কথা। প্রশ্ন হলো এখন পর্যন্ত যে টিকা মানুষের হাতে এসে পৌঁছেছে, তা কত দিন কার্যকর থাকে। ফাইজার জানাচ্ছে, তাদের টিকার দুটি ডোজই যারা নিয়েছেন, তারা অন্তত ছয় মাস সুরক্ষিত থাকবেন বলে তারা নিশ্চিত হয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে, এর কার্যকারিতা ছয় মাস পরই হারিয়ে যাবে। তবে ছয় মাস পর্যন্ত পূর্ণ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিচ্ছে ফাইজার। টিকার প্রয়োগ শুরুর পর যেহেতু লম্বা সময় এখনো যায়নি, তাই বিদ্যমান টিকাগুলো কতদিন পর্যন্ত কার্যকর থাকে, তা নিশ্চিত করে বলার সুযোগ নেই। সময় যত গড়াবে পরীক্ষা তত চলবে। আর এর মধ্য দিয়েই টিকার কার্যকর সময়সীমা সম্পর্কে নিশ্চিত হবে মানুষ।
তবে এ বিষয়ে বেশ আশাবাদী টিকা বিশেষজ্ঞ স্কট হেন্সলি। তাঁর ভাষ্যমতে, এই টিকাগুলো যদি এক বছর পরও কার্যকর থাকে, তবে তিনি অবাক হবেন না। এমনকি একবার নিলে সারা জীবনের সুরক্ষিত থাকার বিষয়টি সামনে এলেও তিনি বিস্মিত হবেন বলে জানিয়েছেন। আবার এমনও হতে পারে এটি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো একটি ভাইরাসে পরিণত হবে। প্রতি বছরই এর প্রতিরোধে মানুষকে টিকা নিতে হতে পারে। যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে।
নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রণ যখন গেল বছর গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, তখন এক অর্থে মানুষের জীবনযাত্রা থমকে গিয়েছিল। এখনো পরিস্থিতি আলাদা কিছু নয়। মাঝে করোনার টিকা আবিষ্কার ও এর প্রয়োগ শুরু হয়েছে। কিন্তু ধরন পাল্টে আরও বেশি সংক্রমণ শক্তি নিয়ে ফিরে এসেছে করোনা। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম প্রাপ্ত করোনার ধরন আগের ধরনটির চেয়ে বেশি সংক্রামক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ অবস্থায় টিকার উন্নয়নকাজও চলছে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, করোনা ক্রমে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো একটি ভাইরাসে পরিণত হবে, যা নির্মূলে সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা হয়তো শেষ পর্যন্ত কার্যকর হবে না। প্রতি বছরই এর টিকা নিতে হবে মানুষকে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো একটি ভাইরাসে পরিণত হবে। দুটি কারণে এমনটি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রথমত, করোনা প্রতিনিয়ত তার ধরন পাল্টাচ্ছে। ফলে এটি নির্মূলে একটি সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর টিকা পাওয়া কঠিন। দ্বিতীয়ত, এটি প্রতিরোধে যে টিকাগুলো এখন পর্যন্ত হাতে এসেছে, তার কার্যকারিতা একটি নির্দিষ্ট সময় পর হারিয়ে যায়।
মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজারসহ যেসব প্রতিষ্ঠান করোনার টিকা নিয়ে এসেছে, তাদের পরীক্ষা পর্যায়ে অবশ্য টিকার কার্যকারিতা দীর্ঘ সময় থাকে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, এই টিকা যাকে প্রতিহত করতে তৈরি করা হয়েছে, সেই করোনাভাইরাসই নিজের ধরন পাল্টাচ্ছে। ফলে তৈরি করা টিকা করোনার নতুন ধরনটিকে অনেক সময়ই আর চিনতে পারছে না।
ফাইজারের তৈরি টিকা দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রয়োগ করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন বি.১.৩৫১ ছড়িয়ে পড়ার পরও ফাইজারের টিকা কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এ বিষয়ে পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির রোগ প্রতিরোধ ও টিকা বিশেষজ্ঞ স্কট হেন্সলি সিএনএনকে বলেন, ‘এই টিকা এখনো বেশ ভালোভাবে কাজ করছে; সুরক্ষা দিচ্ছে।’
এদিকে মডার্না তাদের টিকার তৃতীয় ডোজের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে। মূলত বুস্টার হিসেবে তৈরি করা এই তৃতীয় ডোজ বি.১.৩৫১–কে প্রতিরোধে কাজ করবে। এ ছাড়া এটি নতুন পুরোনো মিলিয়ে করোনার যেকোনো ধরনের বিরুদ্ধে আগের চেয়ে বেশি সুরক্ষা দেয় কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে এই পরীক্ষামূলক পর্যায়ে। মডার্নার টিকার পরীক্ষামূলক পর্যায়ে এখন পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা ব্যক্তিদের অনেকেই এই পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
এ তো গেল করোনার নতুন ধরনসহ উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপের কথা। প্রশ্ন হলো এখন পর্যন্ত যে টিকা মানুষের হাতে এসে পৌঁছেছে, তা কত দিন কার্যকর থাকে। ফাইজার জানাচ্ছে, তাদের টিকার দুটি ডোজই যারা নিয়েছেন, তারা অন্তত ছয় মাস সুরক্ষিত থাকবেন বলে তারা নিশ্চিত হয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে, এর কার্যকারিতা ছয় মাস পরই হারিয়ে যাবে। তবে ছয় মাস পর্যন্ত পূর্ণ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিচ্ছে ফাইজার। টিকার প্রয়োগ শুরুর পর যেহেতু লম্বা সময় এখনো যায়নি, তাই বিদ্যমান টিকাগুলো কতদিন পর্যন্ত কার্যকর থাকে, তা নিশ্চিত করে বলার সুযোগ নেই। সময় যত গড়াবে পরীক্ষা তত চলবে। আর এর মধ্য দিয়েই টিকার কার্যকর সময়সীমা সম্পর্কে নিশ্চিত হবে মানুষ।
তবে এ বিষয়ে বেশ আশাবাদী টিকা বিশেষজ্ঞ স্কট হেন্সলি। তাঁর ভাষ্যমতে, এই টিকাগুলো যদি এক বছর পরও কার্যকর থাকে, তবে তিনি অবাক হবেন না। এমনকি একবার নিলে সারা জীবনের সুরক্ষিত থাকার বিষয়টি সামনে এলেও তিনি বিস্মিত হবেন বলে জানিয়েছেন। আবার এমনও হতে পারে এটি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো একটি ভাইরাসে পরিণত হবে। প্রতি বছরই এর প্রতিরোধে মানুষকে টিকা নিতে হতে পারে। যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ তো বটেই, বিশ্বজুড়েই বজ্রপাতের পরিমাণ বেড়ে গেছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা, বিশেষ করে বাংলাদেশে। আর এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণে নতুন প্রযুক্তির এর ড্রোন আনার ঘোষণা দিয়েছে জাপানি একটি প্রযুক্তি কোম্পানি।
১০ ঘণ্টা আগেমহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষকদলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
৪ দিন আগেপৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে
৫ দিন আগেসাধারণত গাছের চাহিদা বুঝতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুমানের ওপর নির্ভর করেন কৃষকেরা। তবে ভবিষ্যতে গাছও জানাতে পারবে তার প্রয়োজনের কথা। কখন তার পানির প্রয়োজন বা কীটের আক্রমণ হয়েছে, তা সে নিজেই কৃষককে জানিয়ে দেবে।
৫ দিন আগে